২৮ এপ্রিল ২০১২, রবিবার, ০১:২৯:১৪ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
‘শেরে বাংলা আপাদমস্তক একজন পারফেক্ট বাঙালি ছিলেন’ বিএনপির বহিস্কৃতদের জন্য সুখবর! মে দিবসে নয়পল্টনে বিএনপির শ্রমিক সমাবেশ উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেয়ার জের, বিএনপির বহিস্কার ৭৬ থাইল্যান্ডের ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আহ্বান ‘ব্রাজিল থেকে জীবন্ত গরু আনা সম্ভব, তবে প্রক্রিয়া জটিল’ খালেদা জিয়ার সঙ্গে মির্জা ফখরুলের ঘন্টাব্যাপী সাক্ষাৎ বিশ্বের প্রতি যুদ্ধকে ‘না’ বলার আহ্বান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭ জানুয়ারির সংসদ নির্বাচনে গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা প্রতিষ্ঠা হয়েছে - হাবিবুল মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের প্রতিবেদন অনুমান ও অপ্রমাণিত অভিযোগ নির্ভর- পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়


বাঁধভাঙা আনন্দ-উচ্ছ্বাসের মধ্য দিয়ে এসএসসি ব্যাচ ১৯৮৬ বাংলাদেশের ২য় ঢাকা সামিট অনুষ্ঠিত
দেশ রিপোর্ট
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৩-১২-২০২৩
বাঁধভাঙা আনন্দ-উচ্ছ্বাসের মধ্য দিয়ে এসএসসি ব্যাচ ১৯৮৬ বাংলাদেশের ২য় ঢাকা সামিট অনুষ্ঠিত


 ১৯৮৬ সনে বাংলাদেশ শিক্ষাক্রমের আওতায় এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের সংগঠন এসএসসি ব্যাচ ১৯৮৬ বাংলাদেশ। চতুর্থ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপনের দারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে উদযাপন করলো দ্বিতীয় ঢাকা সামিট ২০২৩। ঢাকা বিভাগীয় কমিটির তত্ত্বাবধায়নে গত ৮ ডিসেম্বর ধানমন্ডির ম্যারিয়ট কনভেশন হলে পাঁচশতের অধিক বন্ধুদের নিয়ে এই মিলনমেলাটি অনুষ্ঠিত হয়ে গেল।

দেশ-বিদেশে ছড়িয়ে থাকা বন্ধুদের মাঝে যোগাযোগ আরো সুদৃঢ় করে দেশের উন্নয়ন ও মানবসেবায় নতুন নতুন উদ্যোগ বাস্তবায়নের অঙ্গীকার ও বন্ধুত্বের বন্ধনে দেশ ও মানুষের জন্য কাজ করার অঙ্গীকারে এসএসসি ব্যাচ ১৯৮৬ বাংলাদেশের ২য় ঢাকা সামিট।

অনুষ্ঠানের আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন ঢাকা বিভাগীয় সভাপতি এম কামাল সেরনিয়াবাত এবং সদস‍্য সচিবের দায়িত্বে বিভাগীয় সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির আসনটি অলঙ্কিত করেন গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা এবং সভাপতি আশরাফুল হক সোহেল। বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন গ্রুপের মুখ‍্য সমন্বয়ক এবং সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মাদ শহীদুল্লাহ্ সিদ্দিকী।

সকাল নয়টায় সারাদিনব্যাপী এ আয়োজনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ঘোষণা উদ্বোধন করেন গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা এডমিন ও প্রেসিডেন্ট আশরাফুল হক সোহেল। সকাল সাড়ে সাতটা থেকেই বন্ধুরা জড়ো হওয়া শুরু করে। বন্ধুদের ফুল এবং  উপহারসামগ্রী দিয়ে বরণ করে নেওয়া হয়। পুরো হলরুমটির দৃষ্টিনন্দন সাজসজ্জা বন্ধুদের বিশেষভাবে আকৃষ্ট করে। ঢাকা সামিট উপলক্ষে প্রকাশ করা হয় বিশেষ স্মরণিকা। মুখ‍্য সমন্বয়কের সম্পাদনায় এই স্মরণিকায় গ্রুপের উদ্দেশ্য ও লক্ষ‍্য তুলে ধরা হয়। এছাড়া ফেসবুক গ্রুপের এডমিন প‍্যানেল, অনুষ্ঠান পরিচালনা পর্ষদের পরিচিতি তুলে ধরা হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত সকল বন্ধুর পরিচিতি ছাড়াও তালিকাসহ অনুষ্ঠানের বিভিন্ন স্পনসরদের ধন‍্যবাদ জ্ঞাপন করা হয়। স্মরণিকাটি মহান মুক্তিযুদ্ধে সম্পৃক্ত দেশের কৃতিসন্তানদের উৎসর্গ করা হয়। এছাড়া গ্রুপের যে সকল বন্ধুরা বিভিন্ন সময়ে মৃত্যুবরণ করেছেন তাঁদেরও স্মরণ করা হয়। এরপর গ্রুপের থিমসং সকল বন্ধুরা সমবেত কন্ঠে গেয়ে উঠেন।

দিনব‍্যাপি এই আয়োজনের উদ্বোধনী সাংগঠনিক পর্যায়ে ছিল জাতীয় সংগীত পরিবেশন, পবিত্র ধর্মগ্রন্থ থেকে পাঠ, শোক প্রস্তাব, নিরবতা পালন ও প্রার্থনা। তাতে সংগঠনের বন্ধু, পরিবার, বাংলাদেশ ও ফিলিস্তিনি জনগণের মঙ্গল কামনা করা হয়। অনুষ্ঠানের আহ্বায়ক ও সদস‍্য সচিব উভয়েই বন্ধুদের ধন‍্যবাদ জ্ঞাপন করেন এবং এই বন্ধুত্ব ধরে রাখার বিষয়টি তুলে ধরেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিষ্ঠাতা আশরাফুল হক সোহেল সংগঠনের শুরু থেকে এ পর্যন্ত চলমান কর্মকান্ড তুলে ধরেন। ভবিষ্যতের স্বপ্ন ও লক্ষ‍্য নিয়ে তার বক্তব্য বন্ধুদের আশাবাদী করে তুলে। এ বিষয়ে মুখ‍্য সমন্বয়ক মুহাম্মাদ শহীদুল্লাহ্ সিদ্দিকী গ্রুপের বিভিন্ন পর্যায় থেকে  পরিচালিত মানবিক কর্মকান্ডের বিষয়ে আলোকপাত করেন। সংগঠনের প্রয়োজনীয়তার বিষয়েও তিনি স্পষ্ট ধারণা দেন।

বক্তব‍্য পর্ব শেষে একে একে প‍্যানেল মেম্বার, উৎসব কমিটি, অংশগ্রহণকারী দেশ ও বিদেশ থেকে সকল বন্ধুদের মঞ্চে পরিচয় করিয়ে দেওয়া। বিভিন্ন বিভাগ, জেলা এবং ঢাকার বিভিন্ন জোনের প্রতিনিধি বন্ধুরা বন্ধুদের শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করেন। অনুষ্ঠানের স্পন্সর হিসেবে মুক্তার হোসেন ও টিম কট, ডাক্তার ফায়যুল ইসলাম, আজিজ সরদার, ওল্ড ঢাকা জোন, খালেদ ভূইয়া ও এসকেবির হাতে সম্মাননা স্মারক তুলে দেওয়া হয়। ধানমন্ডি জোনকেও  সর্বোচ্চ সংখ‍্যক রেজিস্ট্রেশনের জন‍্য সম্মানিত করা হয়। সাংগঠনিক পর্বের শেষভাগে আজীবন সদস‍্য হওয়া বন্ধুদের পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয়। এ উপলক্ষে তাদের বিশেষ পিন পরিয়ে দেওয়া হয়।

এসএসসি ব্যাচ ১৯৮৬ বাংলাদেশ এর আহ্বায়ক গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা এডমিন ও প্রেসিডেন্ট আশরাফুল হক সোহেল বলেন, বন্ধুদের মাঝে একটি ফলপ্রসূ নেটওয়ার্ক বজায় রাখার পাশাপাশি যুগের তাল মিলিয়ে দেশের উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে চায় এই প্লাটফর্ম। বিশাল এই নেটওয়ার্ক বন্ধুদের পাশে থাকার ক্ষেত্রে আগামী প্রজন্মের জন্য দৃষ্টান্ত তৈরি করতে চায়।

গ্রুপের বন্ধুরা সংগীত, নৃত্য ও কবিতা আবৃত্তির মধ‍্যদিয়ে সাংস্কৃতিক পর্বটি আনন্দময় করে তোলেন। এই পর্বটি প্রায় পাঁচঘন্টা ধরে চলে। সকাল থেকে শুরু হওয়া পুরো অনুষ্ঠানের সময়কাল ছিল চৌদ্দঘন্টার অধিক। শেষ সময় পর্যন্ত বন্ধুরা তা উপভোগ করে। অনুষ্ঠানের বিশেষ আকর্ষণ ছিল র‍্যাফেল ড্র। গ্রুপের বন্ধুরাই এ র‍্যাফেলের উপহারসামগ্রী স্পন্সর করে। স্পন্সরকারীরা হলো - ধানমন্ডি জোন, হোটেল গ্রেস কক্স, এসকেবি, ওল্ড ঢাকা জোন, কায়সার রশীদ ও ডাক্তার জেসমিন ফেরদৌসী কণা, রোটারিয়ান মাসুদুর রহমান মাসুদ। অনুষ্ঠানের শেষভাগে সকল বন্ধুরা কেক কেটে পরস্পরের মুখে তুলে দেয়। প্রতিষ্ঠাতা আশরাফুল হক ও মূখ‍্য সমন্বয়ক মুহাম্মাদ শহীদুল্লাহ্ সিদ্দিকীসহ প‍্যানেল ও আয়োজক বন্ধুরা সকল বন্ধুদের বিদায় জানিয়ে পুনরায় আবার এমন আয়োজনে বন্ধুদের যুক্ত হওয়ার আগাম আমন্ত্রণ জানান।

শেয়ার করুন