২৮ এপ্রিল ২০১২, রবিবার, ০৭:১২:৪০ অপরাহ্ন
শিরোনাম :


ভারতে অনুষ্টিত জি-২০ শীর্ষ সম্মেলন
বাইডেনের সেলফিতে শেখ হাসিনা
দেশ রিপোর্ট
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৯-০৯-২০২৩
বাইডেনের সেলফিতে শেখ হাসিনা সেলফিতে বাইডেন ও শেখ হাসিনা/ছবি সংগৃহীত


বিশ্ববরেণ্য নেতাদের পদভারে মুখরিত দিল্লি। জি ২০ শীর্ষ সম্মেলনে বিশ্বের এসব নেতাদের সম্মেলনটা মিলন মেলায় পরিণত হয়েছে। সম্মেলনে অংশগ্রহন ছাড়াও দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হয়েছে। এর বাইরেও পারস্পারিক সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে কুশলও বিনিময় করেছেন তারা একে অপরের সঙ্গে। বিভিন্ন মতবাদে এক দেশের সঙ্গে অপর দেশের বিরোধ চরমে। এরপরও এ সম্মেলনে একে অপরের সঙ্গে সব ভূলে করমর্দণ,কুশল বিনিময়, সেলফি বিভিন্নভাবে ঘনিষ্ট হয়েছেন এ বিশ্ব নেতৃবৃন্দ।

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও এ সম্মেলনে যোগ দিয়েছেন। তিনিও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে বৈঠক ছাড়াও আমেরিকার প্রেসিডেন্ড জোয়ে বাইডেনের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন। এক সময় দেখা গেছে জোয়ে বাইডেন শেখ হাসিনা ও তার মেয়ে সায়মা পুতুলকে নিয়ে সেফফি তুলতে ব্যস্ত। পাশে দেখা গেছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিংকেন ও বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. আব্দুল মোমেনকেও।


কুলশ বিনিময়ে বাইডেন শেখ হাসিনা ও সায়মা/ছবি সংগৃহীত


প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে বিশ্বব্যাপী সংহতি জোরদার করার এবং বৈশ্বিক সংকট মোকাবেলায় সমন্বিতভাবে প্রচেষ্টা গ্রহণের ওপর জোর দিয়েছেন। শেখ হাসিনা শীর্ষ সম্মেলনে তাঁর চার দফা সুপারিশে এই আহ্বান জানান।

তিনি শীর্ষ সম্মেলনে ‘ওয়ান আর্থ’ অধিবেশনে ভাষণ দেওয়ার সময় তাঁর সুপারিশের প্রথম পয়েন্টে বলেছেন, ‘এখানে জি-২০ এবং আন্তর্জাতিক আর্থিক  প্রতিষ্ঠানগুলোর একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে এবং বাংলাদেশ সংকট মোকাবেলায় কার্যকর সুপারিশ তৈরি করতে তাদের প্রচেষ্টাকে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত রয়েছে।’

শেখ হাসিনা দ্বিতীয় পয়েন্টে বলেন, মানবতার বৃহত্তর স্বার্থে এবং সারা বিশ্বে শান্তি ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করার জন্য বিশ্বব্যাপী সাহসী, দৃঢ় এবং সমন্বিত পদক্ষেপ নিতে হবে। তিনি বলেন, বৈশ্বিক উন্নয়নের জন্য প্রধান অর্থনীতির দেশগুলোকে তাদের যথাযথ দায়িত্ব পালন করা উচিত।’


সেলফি/ছবি সংগৃহীত

তৃতীয়ত, ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরামের ত্রয়ীকার সদস্য হিসেবে তিনি বলেন, ‘জলবায়ুজনিত অভিবাসন মোকাবেলায় অতিরিক্ত অর্থায়নের ব্যবস্থা করার জন্য যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ক্ষতি এবং ক্ষয়ক্ষতি তহবিল চালু করার জন্য আমি সকলকে অনুরোধ জানাচ্ছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আসন্ন কপ-২৮ এ, আমি সকলকে জবাবদিহিতা এবং স্বচ্ছতার সাথে ক্ষতি এবং ক্ষতির জন্য তহবিল বাস্তবায়নের উপর জোর দেওয়ার জন্য অনুরোধ কর।

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী অবশেষে অভিমত ব্যক্ত করেন, সব মানুষেরই উপযুক্ত জীবনযাপনের সমান অধিকার থাকা উচিত।‘দুর্ভাগ্যজনকভাবে মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত নাগরিকদের তাদের ডিনজ দেশে প্রত্যাবাসন নিশ্চিত করতে বৈশ্বিক সম্প্রদায় ভুলবেন না এবং তাদের মানবিক সহায়তা অব্যাহত রাখতে হবে।’ শেখ হাসিনা আরো বলেন, ‘আমরা আমাদের পৃথিবীকে বাঁচাতে ও শক্তিশালীকরণে জি-২০ অংশীদারদের সাথে কাজ করার জন্য উন্মুখ হয়ে আছি’।

শেয়ার করুন