২৯ এপ্রিল ২০১২, সোমবার, ১০:১৫:১৫ পূর্বাহ্ন


লিডারশিপ অ্যাওয়ার্ড পেলেন কাজী হাসান
সিকান্দর হক
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৪-১০-২০২৩
লিডারশিপ অ্যাওয়ার্ড পেলেন কাজী হাসান কারেকশন অফিসার কাজী হাসান


নিউইয়র্কে লিডারশিপ অ্যাওয়ার্ড পেলেন গোপালগঞ্জের কৃতীসন্তান নিউইয়র্ক কারেকশন অফিসার কাজী হাসান। গত ২৮ সেপ্টেম্বর (বৃহস্পতিবার) কুইন্সের ওয়ান ওয়ার্ল্ড ফেয়ার ম্যারিনা বেঙ্কুইট হলে অ্যাসোসিয়েশন অব আফ্রিকান ন্যাশনস ইন কারেকশন ইনকের (এএএনসি) আয়োজিত বার্ষিক নৈশভোজ ও আ্যাওয়ার্ড নাইট অনুষ্ঠানে কোভিট-১৯-এর সময় বাংলাদেশি কমিউনিটির সেবায় নেতৃত্ব প্রদানে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখার জন্য তাকে এ সম্মাননা দেওয়া হয়। এএএনসির পক্ষ থেকে তার হাতে অ্যাওয়ার্ড তুলে দেন সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতা ডেপুটি ওয়ারেন মারাজ। সংগঠনটির বর্তমান সভাপতি এডেনিয়া এডেসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নিউইয়র্ক কারেকশন বিভাগের কমিশনার লুইস এ মলিনা। এছাড়াও সিটির বিভিন্ন বিভাগে কর্মরত শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তারাসহ পাঁচ শতাধিক কারেকশন অফিসার ও তাদের পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে কাজী হাসানের অনন্য কৃতিত্বের জন্য অভিনন্দন জানান বাংলাদেশ কারেকশন সোসাইটির (বিসিএস) বর্তমান ভাইস প্রেসিডেন্ট মাহবুব সুমন, সাধারণ সম্পাদক শফিকুর খান, উপদেষ্টা ইকবাল সাইফুদ্দিনসহ বিসিএসের অন্য সদস্যরা।  

বাংলাদেশ কারেকশন সোসাইটি (বিসিএস)-এর উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য কারেকশন অফিসার ইকবাল সাইফুদ্দীন জানান, অফিসার হাসান গোপালগঞ্জ জেলার কাশিয়ানী থানার তারাইল গ্রামের কাজী ইদ্রিস হোসেন ও আরজু বেগমের জ্যেষ্ঠ পুত্র। গত ৬ বছর ধরে অত্যন্ত দক্ষতা ও সুনামের সঙ্গে নিউইয়র্ক কারেকশন অফিসার হিসেবে কাজ করে আসছেন এবং এর আগে নিউইয়র্ক সিটি ডিপার্টমেন্ট অব হোমলেস সার্ভিসেস (ডিএইচএস) এ পুলিশ অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। তিনি ২০১৮ সালে কারেকশন বিভাগে কর্মরত বাংলাদেশি অফিসারদের নিয়ে বাংলাদেশ কারেকশন সোসাইটি (বিসিএস) গড়ে তোলেন। বর্তমানে সংগঠনটির সভাপতি হিসেবে দুই শতাধিক সদস্যের নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছেন। সংগঠনটির মূল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হলো সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যের প্রচার করা, সদস্যদের বিভাগের নীতি এবং নিয়ম সম্পর্কে অবগত করা এবং আরো বাংলাদেশি অফিসার নিয়োগে বিভিন্ন কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা। তিনি বাংলাদেশি কমিউনিটিকে সহায়তার জন্য নিবেদিত এবং বেশ কয়েকটি সামাজিক সংগঠনের সঙ্গে সক্রিয়। কোভিড-১৯-এর প্রাদুর্ভাবের সময় তার নেতৃত্বে বিভিন্ন জনসেবামূলক কর্মকাণ্ড এবং নির্ভীকতার জন্য সর্বমহলে প্রশংসিত হন। সম্প্রতি নিউইয়র্ক সিটি মেয়র এরিক অ্যাডামস অফিসার কাজী হাসান এবং তার সংগঠনকে শহরের জীবনযাত্রার মানোন্নয়নে অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ একটি প্রশংসাপত্র প্রদান করেন। এদিকে তার জনসেবামূলক কর্মকাণ্ডে মুগ্ধ হয়ে কারেকশন বিভাগের বর্তমান কমিশনার লুইস মলিনা তাকে নিয়ে টুইট করেন, যা বিভাগে কর্মরত অফিসারদের কাছে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হয়। এক ছেলে, এক মেয়েসহ সস্ত্রীক ব্রঙ্কসে বসবাস করেন তিনি। অ্যাওয়ার্ড  প্রদান অনুষ্ঠানে কাজী হাসান তার বক্তব্যে বলেন, কোভিডের সময় আমার নেতৃত্বে সংগঠনের সদস্যরা নিজেদের জীবনবাজি রেখে বাংলাদেশি অফিসার ও তাদের পরিবার এবং কমিউনিটিকে সেবা প্রদানে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখার জন্য এ বিরল সম্মাননা পেয়ে আমি সত্যিই গর্বিত। কমিউনিটিকে সেবা করা শুধু দায়িত্ব না এটি একটি অনন্য সুযোগ, যা আমাকে সহানুভূতি, ধৈর্যশক্তি এবং সম্মিলিত উদ্যোগ গ্রহণের মধ্য দিয়ে সঠিক নেতৃত্বের মাধ্যমে আজকের এই অনন্য সম্মান অর্জন করেছি। আমি মেয়র এরিক অ্যাডামসকে ধন্যবাদ জানাতে চাই বাংলাদেশি কমিউনিটির প্রতি তার অকুণ্ঠ সমর্থনের জন্য।

নিউইয়র্ক সিটি কারেকশন কমিশনার লুইস মলিনা কারেকশন বিভাগে আরো বাংলাদেশি নিয়োগের জন্য নিয়োগ বিভাগে বাংলাদেশি কর্মকর্তাদের দায়িত্ব প্রদান করে  কারেকশন বিভাগে এক অনন্য নজির সৃষ্টি করেছেন বলে কাজী হাসান বক্তব্যে উল্লেখ করেন। বক্তব্য শেষে তিনি অ্যাসোসিয়েশন অব আফ্রিকান ন্যাশনস ইন কারেকশন ইনকের (এএএনসি) সভাপতি ও অন্য কার্যনির্বাহী সদস্যদের এ ধরনের অনুষ্ঠান আয়োজনে কঠোর পরিশ্রমের জন্য ধন্যবাদ জানান।

শেয়ার করুন