২৮ এপ্রিল ২০১২, রবিবার, ০৫:১২:৩২ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
‘শেরে বাংলা আপাদমস্তক একজন পারফেক্ট বাঙালি ছিলেন’ বিএনপির বহিস্কৃতদের জন্য সুখবর! মে দিবসে নয়পল্টনে বিএনপির শ্রমিক সমাবেশ উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেয়ার জের, বিএনপির বহিস্কার ৭৬ থাইল্যান্ডের ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আহ্বান ‘ব্রাজিল থেকে জীবন্ত গরু আনা সম্ভব, তবে প্রক্রিয়া জটিল’ খালেদা জিয়ার সঙ্গে মির্জা ফখরুলের ঘন্টাব্যাপী সাক্ষাৎ বিশ্বের প্রতি যুদ্ধকে ‘না’ বলার আহ্বান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭ জানুয়ারির সংসদ নির্বাচনে গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা প্রতিষ্ঠা হয়েছে - হাবিবুল মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের প্রতিবেদন অনুমান ও অপ্রমাণিত অভিযোগ নির্ভর- পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়


বিয়ানীবাজার সমিতির নির্বাচন কমিশনের সংবাদ সম্মেলন
জালা ভোটের বক্তব্য সম্পূর্ণ বানোয়াট ও কল্পনাপ্রসূত
দেশ রিপোর্ট
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৫-১১-২০২৩
জালা ভোটের বক্তব্য সম্পূর্ণ বানোয়াট ও কল্পনাপ্রসূত বক্তব্য রাখছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার মহিউদ্দিন


গত ১৩ নভেম্বর ওজনপার্কের বিয়ানীবাজার সমিতির নিজস্ব ভবনে বিয়ানীবাজার সমিতির নির্বাচন কমিশন তাদের বিরুদ্ধে নির্বাচন নিয়ে উত্থাপিত অভিযোগর প্রেক্ষিতে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার মহিউদ্দিন, নির্বাচন কমিশনের সদস্য ছালেহ আহমদ মনিয়া, মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন, আব্দুন নুর ও নুরুল ইসলাম।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন কমিশনের সদস্য ছালেহ আহমদ মনিয়া। লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, গত ৩০ অক্টোবর ওজনপার্কের মামোছ রেস্টুরেন্টে সচেতন বিয়ানীবাজারবাসীর ব্যানারে মিছবাহ-অপু প্যানেলের সমর্থক, নির্বাচিত কয়েক জন সদস্য একটি সুন্দর নির্বাচনকে হীন ও ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার লক্ষ্যে সংবাদ সম্মেলন ও প্রতিবাদ সভার আয়োজন করে। সংবাদ সম্মেলনে নির্বাচন কমিশন লিখিত বক্তব্যে উত্থাপনে বলেন, মিছবাহ- অপু প্যানেল নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্টতা পেয়ে জয়লাভ করে। তারপরেও নির্বাচন নিয়ে কমিউনিটিতে বিভ্রান্ত্রিকর তথ্য ছড়াচ্ছে। নির্বাচন কমিশন লিখিত বক্তব্যে উল্লেখ করেন ভোটিং মেশিন বন্ধ করার পূর্বে প্রতিদ্বন্দ্বী উভয় পক্ষ ও নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে সর্বশেষ ভোটগ্রহণের মাধ্যমে ভোটিং মেশিন চূড়ান্তভাবে বন্ধ করা হয়। ভোটিং মেশিন সম্পূর্ণ কাজ বন্ধ করার পর মূল মেশিন থেকে ফলাফল বিধি মোতাবেক প্রিন্ট বের করে স্বাভাবিক নিয়মে বেসরকারি ফলাফল ঘোষণা

করা হয়। সুতরাং এখানে নির্বাচন কমিশনের প্রভাব বিস্তারের সুযোগ নেই, ফলাফলে প্রভাব বিস্তারের বক্তব্যকে কমিশন অবান্তর মনে করে। নির্বাচন কমিশন ফলাফল ঘোষণার পূর্বে পুনরায় ফলাফলের কাগজ প্রিন্ট করার অনুরোধ হলে কমিশনের পক্ষে মেশিনের অপারেটরকে সবার সম্মুখে হাজির করে পুনরায় ফলাফল প্রিন্ট করার নির্দেশ দিলে অপারেটর উত্তর দেয়- একই ফলাফল প্রিন্ট আসবে, সুতরাং সময় ক্ষেপণ না করে ফলাফল ঘোষণা করেন। জাল ভোটের অভিযোগ খন্ডন করে বলা হয় ২০ ডলার ফি জমা দিয়ে জাল ভোট চ্যালেঞ্জ করার বিধান আছে। নির্বাচন চলাকালীন সময়ে জাল ভোটের জন্য নিয়ম মাফিক কেউ চ্যালেঞ্জ করেননি। উপরন্তু বিভিন্ন এজেন্ট জাল ভোটার বলেই ভোটারের শার্টের কলার চেপে ধলে চেঁচামেচি করে পরিবেশ বিঘ্নিত করার অপচেষ্টা করা হয়। লিখিত বক্তব্যে আরো বলা হয়,২০২১ সালের একজন সাবেক নির্বাচন কমিশনার নির্বাচনে মিছবাহ-অপু প্যানেলের দায়িত্ব পালন করে জাল ভোটের যে অসত্য তথ্য বা বক্তব্য দিয়েছেন, তা সম্পূর্ণ বানোয়াট ও কল্পনাপ্রসূত। লিখিত বক্তব্যে নির্বাচন কেন্দ্রে ও বাইরে নির্বাচন কমিশনের কোন পক্ষের ভোট প্রার্থনা করার নজির নেই বলে উল্লেখ করা হয়। এ ছাড়াও গঠনতন্ত্রের ১৫ জ ধারা অনুসারে ভোট কেন্দ্রে কোন অনিয়মের অভিযোগ থাকলে নির্বাচন চলাকালীন সময়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে লিখিতভাবে

অবহিত করার বিধান থাকলেও এ সময়ের ভিতর কোন লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়রি। ১০নম্বরে মেশিনে বেশি ভোট জমার ব্যাপারে নির্বাচন কমিশন তার বক্তব্যে বলেন, ১০ নম্বর মেশিন ভোট প্রদান লাইনের প্রবেশ দ্বারে থাকায় বেশিরভাগ ভোটার এই মেশিন ব্যবহার করে। দূরে থাকার কারণে অন্য মেশিনে ১৩৯ টি ভোট জমা হয়। ভোটার তালিকায় নির্বাচন কমিশন কোন সংশোধন সংযোজন বা পরিবর্তন করেনি। কার্যকরি পরিষদের দেয়া ভোটার তালিকা অনুযায়ী ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। লিখিত বক্তব্যে ভোটার সংখ্যা লাইফ মেম্বার ৮৬৫, সিনিয়র মেম্বার ১৭০, জেনারেল মেম্বার ৬০৭৭ মোট ৭৬৫২। তাদের সাংবাদিক সম্মেলনে ৭৯৭৯ ভোটার বলা হয়। নির্বাচন কমিশনের দেয়া ভোটার ফলাফলে প্রাথমিক ফলাফলের সাথে চূড়ান্ত ফলাফল সম্পূর্ণ সঠিক। নির্বাচন কমিশন তাদের সাংবাদিক সম্মেলনে জনৈক সদস্যের বক্তব্যে ১০ পাতার কম একখানা রিসিট বই পোলিং টেবিলে প্রদান করেছেন। এই বক্তব্যকে নির্বাচন কমিশন অনুমাননির্ভরও মিথ্যা বলে উল্লেখ করেন। আসল সত্য হচ্ছে নির্বাচন অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে লাইফ মেম্বারের ১ নম্বর পোলিং টেবিল ছাড়া অনেকগুলো পোলিং টেবিলে ভোটার উপস্থিত না থাকায় বন্ধ করে দেয়া হয়। উক্ত পোলিং টেবিলগুলোর আংশিক ব্যবহৃত একটি ভোটার রিসিট বই ১ নম্বর পোলিং টেবিলে দেয়া হয়েছে মাত্র। এখানে রিসিটের পাতা ছেড়া বা তসরুফের প্রশ্ন আসে না। এসকল বক্তব্য উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও অপপ্রচার।

শেয়ার করুন