মানহানির অভিযোগে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দীর্ঘদিনের সহযোগী এবং আইনজীবী রুডি জুলিয়ানির বিরুদ্ধে ১৪ কোটি ৮০ লাখ ডলারের বেশি অর্থদণ্ড দিয়েছে আদালত। তাকে এই পরিমাণ অর্থ পরিশোধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি দুই নারীর বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ এনে তাদের মানহানি করেছেন। ট্রাম্পের এক সময়ের ঘনিষ্ঠ সহযোগী জুলিয়ানি অভিযোগ করেছিলেন, ওই দুই নারী ২০২০ সালের নির্বাচনে ভোট জালিয়াতি করেছেন। তার অভিযোগ আনা দুই নারী হলেন জর্জিয়ার নির্বাচন কর্মী রুবি ফ্রিম্যান এবং তার মেয়ে ওয়ান্ড্রিয়া মোস।
গত ১৪ ডিসেম্বর শুক্রবার ওয়াশিংটন ডিসিতে আট সদস্যের জুরির দেওয়া আদেশে বলা হয়েছে, মানহানির জন্য জুলিয়ানিকে ভুক্তভোগীদের প্রত্যেককে ২ কোটি ডলার করে দিতে হবে। অনুভূতিতে আঘাত দেওয়ার কারণে তাদের প্রত্যেককে আরো ১ কোটি ৬০ লাখ ডলার করে দিতে বলা হয়েছে। এছাড়া ক্ষতিপূরণ হিসেবে আরো অতিরিক্ত ৭ কোটি ৫০ লাখ ডলার সবার মধ্যে বণ্টন করে দিতে বলা হয়েছে। সাজা নির্ধারণে ওয়াশিংটন ডিসির এক আদালতকক্ষে চারদিনের বিচারকাজ শেষে এ রায় দেওয়া হয়েছে।
ট্রাম্পের সাবেক ব্যক্তিগত আইনজীবী জুলিয়ানির কাছ থেকে ক্ষতিপূরণ হিসেবে ১ কোটি ৫০ লাখ ডলার থেকে ৪ কোটি ৩০ লাখ ডলার পর্যন্ত চাওয়া হয়েছিল। আদালতের বাইরে সাংবাদিকদের জুলিয়ানি বলেছেন, ‘এসব জঘন্য জিনিস নিয়ে আমার অনুশোচনা নেই।’ গত ১৩ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার আদালতে যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের শেষ দিনে ফ্রিম্যান এবং মোস নামের ওই দুই নারীর আইনজীবী মাইকেল গোতলিয়েব বলেন, জুলিয়ানিই ভুয়া তথ্যের উৎস।
ধারণা করা হচ্ছিল, জুলিয়ানি বৃহস্পতিবার আদালতে আত্মপক্ষ সমর্থন করবেন। তবে সে পরিকল্পনা বাতিল হয়ে যায়। আদালতের রায়কে ‘অযৌক্তিক’ বলে উল্লেখ করেছেন জুলিয়ানি। শুক্রবার রায় ঘোষণার পর তিনি বলেছেন, তিনি আপিল করার কথা ভাবছেন।
সিবিএস নিউজের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জুলিয়ানি প্রায় ৫ কোটি ডলার পরিমাণ সম্পদের মালিক। এর আগে জুরিকে তার আইনজীবীরা অনুরোধ করেছিলেন, সাজা ঘোষণার সময় যেন বিষয়টি মাথায় রাখা হয়।
জুলিয়ানির বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলাগুলোর মধ্যে শুধু একটির বিচারকাজ ওয়াশিংটন ডিসিতে চলছে। জর্জিয়ার আদালতেও তার বিরুদ্ধে কয়েকটি মামলা করা হয়েছে। তবে এসব মামলায় তিনি নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করেছেন।