৩০ এপ্রিল ২০১২, মঙ্গলবার, ১০:১৮:৫০ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
‘বিশেষ চাহিদা সম্পন্নদের প্রতিভা বিকাশে কোন ধরনের প্রতিবন্ধকতা রাখা যাবে না’ সরকার ও বেসরকারি উদ্যোগে দরিদ্রমুক্ত দেশ গড়ে উঠবে - আসাদুজ্জামান খান কামাল ৭০ শতাংশ মৃত্যু অসংক্রামক রোগে, বাজেটে বরাদ্দ বৃদ্ধির দাবি ‘বিদেশে দেশবিরোধী অপপ্রচারকারীদের বিরুদ্ধে স্থানীয় আইনে ব্যবস্থা নিন’ ভূল স্বীকার করে সরে দাড়ানোয় একজনের বহিস্কারাদেশ প্রত্যাহার বাফেলোতে সন্ত্রাসীদের গুলিতে দুই বাংলাদেশী নিহত ‘শেরে বাংলা আপাদমস্তক একজন পারফেক্ট বাঙালি ছিলেন’ বিএনপির বহিস্কৃতদের জন্য সুখবর! মে দিবসে নয়পল্টনে বিএনপির শ্রমিক সমাবেশ উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেয়ার জের, বিএনপির বহিস্কার ৭৬


বঙ্গবন্ধুর জীবন ও বাংলাদেশের ইতিহাস একইসূত্রে গাঁথা
দেশ রিপোর্ট
  • আপডেট করা হয়েছে : ২০-০৩-২০২৪
বঙ্গবন্ধুর জীবন ও বাংলাদেশের ইতিহাস একইসূত্রে গাঁথা বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনে কেক কাটার দৃশ্য


দেশের ন্যায় প্রবাসেও জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী এবং জাতীয় শিশু দিবস উদযাপন করা হয়েছে। এ উপলক্ষে ওয়াশিংটন বাংলাদেশ দূতাবাস, জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশ স্থায়ী মিশন, নিউইয়র্কস্থ বাংলাদেশ কনস্যুলেট এবং আওয়ামী লীগের অঙ্গ সংগঠন বিস্তারিত কর্মসূচি পালন করে। কর্মসূচির মধ্যে ছিল আলোচনা সভা, জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ এবং শিশু-কিশোরদের মধ্যে বিভিন্ন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, মহান নেতার জীবন এবং বাংলাদেশের ইতিহাস একইসূত্রে গাঁথা। বঙ্গবন্ধু আমাদের দেশ দিয়েছেন এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়তে যাচ্ছেন। যার জন্য আমাদের সবার সহযোগিতা প্রয়োজন।

ওয়াশিংটন ডিসি

যথাযোগ্য মর্যাদা এবং ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে গত ১৭ মার্চ রোববার ওয়াশিংটন ডিসিস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস-২০২৪ উদযাপিত হয়েছে।

দিবসটি উদযাপন উপলক্ষে দূতাবাস বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করে। যার মধ্যে ছিল জাতীয় পতাকা উত্তোলন, বঙ্গবন্ধুর আবক্ষ প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ, আলোচনাসভা, শিশুদের জন্য রচনা ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা এবং বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্মের ওপর প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন। সকালে রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরান কর্তৃক দূতাবাস প্রাঙ্গণে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে দিনের কর্মসূচি শুরু হয়। এ সময় দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন। পরে রাষ্ট্রদূত মিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উপস্থিতিতে বঙ্গবন্ধু কর্নারে জাতির পিতার আবক্ষ প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে তার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান।

বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাণী পাঠ করে শোনান যথাক্রমে মিনিস্টার (কনস্যুলার) মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান, মিনিস্টার (কমার্স) মো. সেলিম রেজা এবং মিনিস্টার (ইকোনমিক) ড. মো. ফজলে রাব্বি। আলোচনায় অংশ নিয়ে রাষ্ট্রদূত ইমরান স্বাধীনতার মহান স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন এবং বাঙালি জাতির বহুল প্রতীক্ষিত স্বাধীনতা অর্জনে মহান ভাষা আন্দোলন থেকে মুক্তিযুদ্ধ পর্যন্ত তার দীর্ঘ সংগ্রামের কথা শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন। বঙ্গবন্ধুকে একজন আপসহীন ও নির্ভীক নেতা হিসেবে আখ্যায়িত করে তিনি বলেন, মহান নেতার জীবন এবং বাংলাদেশের ইতিহাস একইসূত্রে গাঁথা। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে জাতিকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিতে এবং বিশ্বে আরো মর্যাদাপূর্ণ অবস্থানে নিয়ে যেতে ভবিষ্যতে নতুন প্রজন্মই হবে প্রধান চালিকা শক্তি। রাষ্ট্রদূত ইমরান বাংলাদেশের সমৃদ্ধ ইতিহাস, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের পাশাপাশি স্বাধীনতা এবং যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ পুনর্গঠনে বঙ্গবন্ধুর মহান আত্মত্যাগ ও অবদানের কথা শিশুদের সামনে তুলে ধরার জন্য অভিভাবকদের অনুরোধ করেন। জাতীয় শিশু দিবস প্রসঙ্গে রাষ্ট্রদূত বলেন, বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার দেশকে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি নিরাপদ আবাসস্থল হিসেবে গড়ে তুলতে নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।

মিনিস্টার (প্রেস) এ জেড এম সাজ্জাদ হোসেন আলোচনায় অংশ নেন এবং জাতির বহুল প্রতীক্ষিত স্বাধীনতা অর্জনের পথপরিক্রমায় বঙ্গবন্ধুর দীর্ঘ সংগ্রাম এবং যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ পুনর্গঠনে তার অসামান্য অবদানের কথা বিস্তারিতভাবে তুলে ধরেন।

বঙ্গবন্ধু ও ১৫ আগস্টের অন্যান্য শহিদদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত এবং জাতির অব্যাহত শান্তি, অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাতের মাধ্যমে সকালের অনুষ্ঠান শেষ হয়।

পরবর্তীতে সন্ধ্যার অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রদূত শিশু-কিশোরদের অংশগ্রহণে কেক কাটেন এবং রচনা ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন। দূতাবাসের এই দুই পর্বের অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন ফার্স্ট সেক্রেটারি (পাসপোর্ট ও ভিসা উইং) মুহাম্মদ আব্দুল হাই মিলটন ও ফার্স্ট সেক্রেটারি আতাউর রহমান।

জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশন 

গত ১৭ মার্চ জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনে যথাযোগ্য মর্যাদা ও উৎসবমুখর পরিবেশে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস-২০২৪ উদ্‌যাপন করা হয়। জাতীয় পতাকা উত্তোলন, জাতীয় সংগীত পরিবেশন ও জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানটি শুরু হয়। এরপর জাতির পিতা ও তার পরিবারের শাহাদত বরণকারী সদস্যদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয় এবং দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বাণী পাঠ করা হয়। এছাড়া অনুষ্ঠানে জাতীয় শিশু দিবস ২০২৪ উপলক্ষে একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয় ও জাতির পিতার ১০৪ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে কেক কাটা হয়। 

এছাড়াও দিবসটি পালনের অংশ হিসেবে এক উৎসবমুখর পরিবেশে, যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী বাংলাদেশি শিশু-কিশোরদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনে দিনব্যাপী শিশু-কিশোর আনন্দমেলা অনুষ্ঠিত হয়। শিশু-কিশোর আনন্দমেলায় আয়োজিত চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় শিশু-কিশোরেরা বঙ্গবন্ধু এবং বাংলাদেশের গ্রামীন দৃশ্য ক্যানভাসে ফুটিয়ে তোলে। এছাড়াও অনুষ্ঠানে ‘বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা ও স্মার্ট বাংলাদেশ’ বিষয়ে শিশু-কিশোরদের জন্য বয়সভিত্তিক রচনা প্রতিযোগিতা এবং বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ পাঠ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। এসব প্রতিযোগিতায় অর্ধশতাধিক শিশু-কিশোর অংশগ্রহণ করে। অনুষ্ঠানে জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আব্দুল মুহিত বক্তব্য প্রদান করেন এবং বিজয়ীদের পুরস্কার তুলে দেন। 

রাষ্ট্রদূত মুহিত, তার বক্তব্যে বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্ম এবং নিপীড়িত-বঞ্চিত শোষিত মানুষের অধিকার আদায় এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনে বঙ্গবন্ধুর সংগ্রাম ও নেতৃত্বের বিষয়সমূহ বিস্তারিত বর্ণনা করেন। তিনি এ বছরের জাতীয় শিশু দিবসের প্রতিপাদ্য ‘বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ধরে, আনবো হাসি সবার ঘরে’-এর ওপর আলোকপাত করে বলেন, শিশুদের প্রতি বঙ্গবন্ধুর ছিল অপরিসীম স্নেহ ও ভালোবাসা এবং বঙ্গবন্ধু বিশ্বাস করতেন শিশুদের সঠিক বিকাশ নিশ্চিতকরণ সোনার বাংলা গড়ে তোলার অন্যতম চাবি কাঠি। বঙ্গবন্ধুর পথ ধরে পরবর্তীতে তারই সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের শিশুদের উন্নয়ন ও সমান অধিকার রক্ষায় যুগান্তকারী সব পদক্ষেপ নিয়েছেন এবং বর্তমান প্রজন্মকে স্মার্ট, ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের হাতিয়ার হিসেবে গড়ে তুলছেন। এ সময় তিনি ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি আধুনিক ও উন্নত রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তুলতে এবং স্মার্ট বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় প্রধানমন্ত্রীর বিভিন্ন উদ্যোগ ও সাফল্য তুলে ধরেন। তিনি বলেন বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা একটি চলমান দর্শন এবং এই সোনার বাংলা দর্শনের ধারাবাহিকতার একটি অংশ হলো আজকের স্মার্ট বাংলাদেশ উদ্যোগ। রাষ্ট্রদূত মুহিত আরো বলেন জাতিসংঘে শিশুসনদ গৃহীত হওয়ার প্রায় ১৫ বছর আগে ১৯৭৪ সালে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশে জাতীয় শিশু আইন প্রণয়ন করেন এবং প্রাথমিক শিক্ষাকে সবার জন্য বাধ্যতামূলক করেন। শিশুদের প্রতি বঙ্গবন্ধুর অপরিসীম স্নেহ ও ভালোবাসাকে স্মরণীয় করে রাখতে ১৯৯৭ সাল হতে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন ১৭ মার্চে জাতীয় শিশু দিবস পালন করা হচ্ছে। এছাড়াও তিনি ফিলিস্তিনে হাজার হাজার শিশুর ওপর ইসরায়েলের হামলার তীব্র নিন্দা জানান এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে নিপীড়িত ফিলিস্তিনি শিশুদের জন্য বাংলাদেশ কাজ করে যাবে বলে উল্লেখ করেন। 

রাষ্ট্রদূত মুহিতের বক্তব্যের পূর্বে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ, যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী বীর মুক্তিযোদ্ধারা ও স্থানীয় বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা এবং নিউইয়র্কস্থ বাংলাদেশ কনস্যুলেটের কনসাল জেনারেল মো. নাজমুল হুদা অনুষ্ঠানে বক্তব্য প্রদান করেন। 

ব্রাসিলিয়াতে বাংলাদেশ দূতাবাস

‘বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ধরে, আনবো হাসি সবার ঘরে’ প্রতিপাদ্যকে উপজীব্য করে ব্রাসিলিয়াস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসে আনন্দঘন পরিবেশে জাতীয় শিশু দিবস-২০২৪ ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪তম জন্মবার্ষিকী পালিত হয়েছে। 

দিবসটি উপলক্ষে দিনব্যাপী কর্মসূচির প্রারম্ভে দূতাবাস প্রাঙ্গনে রাষ্ট্রদূত সাদিয়া ফয়জুননেসা জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। রাষ্ট্রদূত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এরপর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, বঙ্গবন্ধুর পরিবারের শহিদ সদস্যবৃন্দ এবং মুক্তিযুদ্ধে আত্মদানকারী সব শহিদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয় এবং দিবসটি উপলক্ষে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বাণী পাঠ করা হয়। এছাড়াও বঙ্গবন্ধুর ১০৪তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস-২০২৪ উপলক্ষে একটি বিশেষ প্রামাণ্য চিত্রপ্রদর্শন করা হয়।

রাষ্ট্রদূত ফয়জুননেসা তার বক্তব্যে একটি স্বাধীন সার্বভৌম দেশ উপহার দেওয়ার জন্য জাতির পিতাকে গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন এবং ১৫ আগস্ট নির্মম হত্যাকাণ্ডে নিহত বঙ্গবন্ধু পরিবারের সব শহিদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ব্যক্ত করেন। রাষ্ট্রদূত তার বক্তব্যে উল্লেখ করেন যে বঙ্গবন্ধু শিশুদের অত্যন্ত ভালো বাসতেন এবং শিশুদের অধিকার রক্ষায় জাতিসংঘ শিশুসনদের ১৫ বছর আগে ১৯৭৪ সালে শিশু আইন প্রণয়ন করেছিলেন। শিশুশিক্ষার বিকাশ নিশ্চিত করতে প্রাথমিক শিক্ষাকে বঙ্গবন্ধু জাতীয়করণ করেন। রাষ্ট্রদূত ফয়জুননেসা বাংলাদেশের ক্রম অগ্রসরমান আর্থসামাজিক উন্নয়নের মূলে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল ও বিচক্ষণ নেতৃত্বের প্রশংসা করেন।

রাষ্ট্রদূত উপস্থিত শিশুদের নিয়ে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ও সমসাময়িক সাধারণ জ্ঞানভিত্তিক কুইজ প্রতিযোগিতার আয়োজন করেন যেখানে শিশুরা অংশগ্রহণ করে। এছাড়াও বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্মের উপর আলোকচিত্র প্রদর্শন করা হয়। রাষ্ট্রদূত উপস্থিত সকলকে বঙ্গবন্ধুর জীবনাদর্শ ও কর্ম ভবিষ্যত প্রজন্মের মধ্যে প্রচার করার আহ্বান জানান। শিশুদের মনে প্রকৃত দেশপ্রেম জাগ্রত করে তাদের মনন ও সৃজনশীলতার বিকাশে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার নেপথ্য কারিগর হিসেবে মানবিক চেতনাসম্পন্ন মানুষ হিসেবে গড়ে ওঠার আহ্বান জানান। 

পরিশেষে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের সব শহিদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা, শহিদ বুদ্ধিজীবীদের আত্মার মাগফিরাত এবং সর্বোপরি বাংলাদেশের সার্বিক কল্যাণ কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।

শেয়ার করুন