২৮ এপ্রিল ২০১২, রবিবার, ০৬:৩৯:৩১ অপরাহ্ন
শিরোনাম :


দিনদুপুরে বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠানে হামলা : বোমা মেরে স্টোর উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি
আহবাব চৌধুরী খোকন
  • আপডেট করা হয়েছে : ৩১-০১-২০২৪
দিনদুপুরে বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠানে হামলা : বোমা মেরে স্টোর উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি


বাংলাদেশি অধ্যুষিত ব্রঙ্কসের ১২০৫ হোয়াইট প্লেইনে অবস্থিত মেহজাবিন জুয়েলার্স নামে এক বাংলাদেশি স্টোরে গত ২৮ জানুয়ারি রবিবার বিকেল ৫টায় এক বাংলাদেশি যুবক জোরপূর্বক প্রবেশ করে কর্মরত কর্মচারীর সঙ্গে অশোভন আচরণ করে এবং যাওয়ার সময় কর্মচারীর হাতে থাকা দোকানের আইফোন ছিনিয়ে নিয়ে যায়। মালিকের অনুপস্থিতিতে মহিলা কর্মচারী এই সময় দোকানে কাজ করছিলেন। যাওয়ার সময় আবার হুমকি দিয়ে যায় ঘটনাটি জানাজানি হলে সে বোমা মেরে দোকান উড়িয়ে দেবে। মেহজাবিন জুয়েলার্সের মালিক সাইদা চৌধুরী ইতিমধ্যে পুলিশ প্রিসেক্টে অভিযোগ করলেও পুলিশ এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি। 

ব্রঙ্কসে সম্প্রতি সময়ে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির ব্যাপক অবনতি ঘটেছে। প্রতিদিনই শোনা যায়, কোথাও না কোথাও চুরি-ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটছে। বেশির ভাগ ঘটছে বাস স্টপেজে। সম্প্রতি দেশ থেকে ইমিগ্র্যান্ট ভিসা নিয়ে আসা অ্যাডভোকেট আতিকুল হক চৌধুরী সাবু জানিয়েছেন গত ২২ জানুয়ারি সোমবার ব্রঙ্কসের ব্রারনার ব্লুবার্ডস্থ বিএস ফাইভ বাস স্টপেজে তার ছেলে কাজে যাওয়ার উদ্দেশে বাসের জন্য অপেক্ষা করছিল। এই সময় দুটি গাড়ি থেকে সাত জন যুবক নেমে এসে অস্ত্রের মুখে তার মোবাইল ও ওয়ালেট ছিনিয়ে নিয়ে যায়। শুধু ব্রঙ্কসে নয়, পুরো নিউইয়র্কে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতি হয়েছে। হামলা- ছিনতাই হরহামেশাই ঘটছে। সবচেয়ে ভয়ংকর বিষয় হচ্ছে, এসব অপরাধের সঙ্গে বাংলাদেশিরাও জড়িয়ে পড়ছেন। তা নিয়ে কমিউনিটিতে চরম হতাশা বিরাজ করছে। অতি সম্প্রতি জ্যামাইকায় অপহরণের অভিযোগে দুই নারীসহ ছয় বাংলাদেশিকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। অনেকেই মন্তব্য করেছেন এজন্য দায়ী নেশাজাতীয় দ্রবাদি। ইতিমধ্যেই নিউইয়র্কে নেশা বিক্রি এবং প্রকাশ্যে খাওয়া বৈধ করে দেওয়া হয়েছে। যে কারণে বাংলাদেশি যুবসমাজ অপরাধমূলক কর্মকা-ে জড়িয়ে পড়েছে। বাংলাদেশি যুবসমাজ এর আগে অপরাধ জগতের সঙ্গে এতোটা জড়িত ছিল না। এখন তারাই অপরাধের স্বর্গরাজ্য গড়ে তোলার চেষ্টা করছে। বাংলাদেশি অধ্যুষিত জ্যামাইকায়, জ্যাকসন হাইটস, ব্রুকলিন, ব্রঙ্কসসহ বিভিন্ন এলাকায় বাংলাদেশি যুবসমাজ ইয়াবাসহ বিভিন্ন ধরনের মাদব ব্যবসায় জড়িত। ইতিমধ্যেই মাদকের ছোবলে নতুন প্রজন্মের বেশ কয়েকজন বাংলাদেশির অকাল মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু এ নিয়ে কারো যেন কোনো মাথাব্যথা নেই। এসব বন্ধে সবার সম্মিলিতভাবে এগিয়ে আসা উচিত বলে অনেকেই মত প্রকাশ করেছেন।

শেয়ার করুন