২৮ এপ্রিল ২০১২, রবিবার, ০৯:১৯:৫৬ অপরাহ্ন
শিরোনাম :


জবাবদিহিতা নিশ্চিতে কার্যকর কৌশল প্রণয়ন করুন: টিআইবি
বিশেষ প্রতিনিধি
  • আপডেট করা হয়েছে : ২১-০২-২০২৪
জবাবদিহিতা নিশ্চিতে কার্যকর কৌশল প্রণয়ন করুন: টিআইবি


প্রত্যেক সংসদ সদস্যের নির্বাচনী এলাকায় উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য পাঁচ বছরে ২০ কোটি টাকা বরাদ্দ ঘোষণা করেছেন স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন (এলজিআরডি) মন্ত্রী। উন্নয়ন প্রকল্পের নামে জনগণের অর্থের অপব্যবহার ও দুর্নীতির সাম্প্রতিক অভিজ্ঞতার আলোকে স্বচ্ছতা ও জবাবদীহীতা নিশ্চিতে আগের মেয়াদের প্রকল্পের নিবিড় ও নিরপেক্ষ নীরিক্ষার ওপর ভিত্তি করে কৌশল প্রণয়ন ও কঠোর প্রয়োগের আহ্বান জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। 

গত ১৮ ফেব্রুয়ারি এলজিআরডি মন্ত্রী সংসদে ঘোষণা করেছেন, প্রত্যেক সংসদ সদস্য তাদের নির্বাচনী এলাকায় উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য পাঁচ বছরে ২০ কোটি টাকা করে পেতে পারেন। এ সংক্রান্ত একটি প্রকল্প চূড়ান্ত করার প্রক্রিয়া বর্তমানে চলমান রয়েছে। ২০২০ সালের ১২ আগস্ট ‘সংসদীয় আসনভিত্তিক থোক বরাদ্দ : অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে সুশাসনের চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক টিআইবির গবেষণায় দেখা যায়, এই প্রকল্পের আওতায় স্থানীয় পর্যায়ে অনেক স্কিমের প্রয়োজনীয়তা থাকলেও স্কিম পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে ঠিকাদার ও তদারকি কর্তৃপক্ষের পারস্পরিক যোগসাজস এবং কমিশন বাণিজ্যের ফলে স্কিমের কাজের মান প্রত্যাশিত পর্যায়ের ছিলো না এবং অনিয়ম-দুর্নীতির কারণে জনগণের অর্থের অপচয় হয়েছে এবং স্বার্থান্বেষী মহল লাভবান হয়েছেন। 

টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘সময়ের সঙ্গে সংসদীয় আসনভিত্তিক থোক বরাদ্দ বৃদ্ধি পেলেও তার সঠিক ব্যবহার ও সুশাসন নিশ্চিতের উদ্যোগ বরাবরই উপেক্ষিত রয়ে গেছে। কেননা সংশ্লিষ্ট আসনের সংসদ সদস্যই অনুমোদিত কাজের অগ্রগতি তদারকি ও অভিযোগ নিষ্পত্তির একক দায়িত্বে থাকেন। একইসঙ্গে, রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তার ও আর্থিক সুবিধা প্রাপ্তির জন্য বিভিন্ন অনিয়মকে প্রশ্রয় দেন সদস্যদের একাংশ। ফলে এইসব কাজের স্বচ্ছতা ও জবাবদীহী ব্যবস্থা প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়ে। আমরা মনে করি, এই প্রকল্প সংসদ সদস্যের একাংশের জন্য স্থানীয়ভাবে রাজনৈতিক ক্ষমতার অপব্যবহার, স্বজনপ্রীতি ও অনৈতিকভাবে আর্থিক সুবিধা অর্জনের পথ হিসেবে ব্যবহৃত হওয়ার সুযোগ তৈরি করে আসছে। ফলে এ ধরনের প্রকল্প অনিয়ম-দুর্নীতিকে স্থানীয় পর্যায়ে স্বাভাবিকতায় পরিণত করেছে এবং রাষ্ট্রীয় সম্পদের অপচয় হচ্ছে।’ টিআইবির নির্বাহী পরিচালক আরো বলেন, ‘২০২০ সালের গবেষণার প্রেক্ষিতে সুনির্দিষ্ট কিছু সুপারিশ করেছিলো টিআইবি। কিন্তু এই সুপারিশমালা আমলে নিয়ে সংসদ সদস্যদের থোক বরাদ্দ ব্যবহারে সুশাসন নিশ্চিতে কোনো উদ্যোগ দেখা যায়নি। প্রকল্প ও স্কিমসমূহে কার্যকর তদারকি এবং প্রকল্পের সঙ্গে জড়িত সংসদ সদস্যসহ সংশ্লিষ্ট সকলের সততা ও স্বার্থের দ্বন্দ্ব সম্পর্কিত সুনির্দিষ্ট অবশ্য পালনীয় আচরণবিধি প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন অপরিহার্য। নতুন করে থোক বরাদ্দ কার্যক্রম শুরুর আগে পূর্বের বরাদ্দসমূহের নিবিড় ও নিরপেক্ষ নীরিক্ষার দাবি জানাচ্ছে টিআইবি। একইসঙ্গে, প্রকল্পের স্কিমসমূহ বাস্তবায়ন প্রক্রিয়ায় পরিবীবিক্ষণ ও মূল্যায়ন নিশ্চিতের আহ্বান জানাচ্ছে টিআইবি।’

শেয়ার করুন