ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (এম-এল) লিবারেশন-এর পলিটব্যুরোর সদস্য কমরেড কার্তিক বলেছেন, দক্ষিণ এশিয়ার এই অঞ্চলে ফ্যাসিবাদ আজ বড় বিপদ হিসাবে আবির্ভূত হয়েছে। জনগণের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের পথে ফ্যাসিবাদী দুঃশাসন পরাজিত করে জনগণের অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। এর পাশাপাশি তিনি বলেন, সমমর্যাদার ভিত্তিতে ভারত-বাংলাদেশ দ্বিপাক্ষিক সমস্যার সমাধান করতে হবে।
রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের সাথে ঢাকায় মতবিনিময়কালে কমরেড কার্তিক এসব কথা বলেন। বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির কংগ্রেসে আমন্ত্রিত ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (এম-এল) লিবারেশন এর পলিটব্যুরোর সদস্য কমরেড কার্তিক গত ৯ জানুয়ারি সোমবার বিকালে এই মতবিনিময়ে সমসমায়িক বিষয়ে বক্তব্য রাখেন।
কমরেড কার্তিক পাল দেশের রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ স্বৈরতান্ত্রিক ও নিপীড়নমূলক শাসনের বিরুদ্ধে এই অঞ্চলের মুক্তিকামী মানুষের ঐক্যবদ্ধ গণসংগ্রামের উপর গুরুত্ব আরোপ করেন। তিনি বলেন, সমমর্যাদার ভিত্তিতে ভারত-বাংলাদেশ দ্বিপাক্ষিক সমস্যার সমাধান করতে হবে। প্রতিবেশীর নিরাপত্তা নিশ্চিত না করে নিজের নিরাপত্তাও নিশ্চিত করা যাবে না। পারস্পরিক স্বার্থের স্বীকৃতি ও সমমর্যাদার ভিত্তিতে বাংলাদেশ ও ভারতের যাবতীয় দ্বিপাক্ষিক সমস্যার সমাধান করতে হবে। তিনি বলেন, প্রতিবেশীর নিরাপত্তা ও স্বার্থ নিশ্চিত না করে নিজের নিরাপত্তা ও স্বার্থও নিশ্চিত করা যায় না।
সেগুনবাগিচায় সংহতি মিলনায়তনে এই মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই মতবিনিময় সভায় অংশগ্রহণ করেন ভারতের কমিউনিস্ট নেতা বাসুদেব বসু, জাতীয় গণফ্রন্টের সমন্বয়ক টিপু বিশ্বাস, বাসদের সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশীদ ফিরোজ, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি ও বাচ্চু ভূইয়া, বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের নেতা অধ্যাপক আবদুস সাত্তার ও নজরুল ইসলাম, নাগরিক ঐক্য এর সাধারণ সম্পাদক শহীদুল্লাহ কায়সার ও সাকিব আনোয়ার, জেএসডির সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন, জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সমন্বয়ক এডভোকেট হাসনাত কাইয়ুম, গণ অধিকার পরিষদের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক রাশেদ ও ফারুক হাসান, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির নেতা শহীদুল ইসলাম সবুজ, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির কেন্দ্রীয় নেতা বহ্নিশিখা জামালী, আকবর খান, আনছার আলী দুলাল প্রমুখ।