২৮ এপ্রিল ২০১২, রবিবার, ০১:১৮:০৭ অপরাহ্ন
শিরোনাম :


শিল্পকলা একাডেমির শৈল্পিক আয়োজন
দেশ রিপোর্ট
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৬-০৩-২০২৪
শিল্পকলা একাডেমির শৈল্পিক আয়োজন শিল্পকলা একাডেমির পরিবেশনা


প্রবাসের অন্যতম সাংস্কৃতিক সংগঠন শিল্পকলা একাডেমি। প্রতিষ্ঠার পর থেকেই প্রবাসে জন্ম নেয়া এবং বেড়ে ওঠা নতুন প্রজন্মের মাঝে বাংলা ভাষা এবং বাংলা সংস্কৃতিকে তুলে প্রত্যয়ে কাজ করে যাচ্ছে। যার অগ্রণী ভূমিকায় রয়েছেন শিল্পকলা একাডেমির প্রতিষ্ঠা এবং প্রেসিডেন্ট মনিকা রায়। সাথে রয়েছেন শিল্পকলা একাডেমির কার্যকরি কমিটির সদস্য এবং উপদেষ্টারা। এই সংগঠনের উদ্যোগে স্বাধীনতা দিবস উদযাপন করা হয় গত ৩ মার্চ সন্ধ্যায় জ্যাকসন হাইটসের জুইস সেন্টারে। বলা যায় শিল্পকলার এই আয়োজন ছিলো শৈল্পিক, যা পুরো অনুষ্ঠান দেখেই বুঝা গিয়েছিলো। ছিলো আলোচনা, অতিথি শিল্পীদের পরিবেশনা, শিল্পকলার শিল্পীদের সঙ্গীত এবং নৃত্য পরিবেশন, সেই সাথে কাবতা আবৃত্তি। আরো ছিলো সম্মানীত ব্যক্তিদের সম্মাননা প্রদান এবং নতুন প্রজন্মের শিল্পীদের ক্রেস্ট প্রদান। ব্যাতিক্রমী এই অনুষ্ঠানে ছিলো না কোন মঞ্চ, সবাই বসেছিলেন এক কাতারে দর্শক সারিতে। পুরো আয়োজনটি হল ভর্তি দর্শকদের মনজয় করে নিয়েছে। সব পরিবেশনাই ছিলো হৃদয়গ্রাহী। প্রশংসায় পঞ্চমুখ ছিলেন অতিথি এবং দর্শকরা। এমন চমৎকার আয়োজনের জন্য ধন্যবাদ পেতেই পারে শিল্পকলা একাডেমির কার্যকরি কমিটি। জয়তু শিল্পকলা একাডেমি অসাধারণ অনুষ্ঠান উপহার দেয়ার জন্য।

শিল্পকলা একাডেমির প্রেসিডেন্ট মনিকা রায়ের সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক অমিত সাহা এবং সহ সভাপতি মিলন কুমার রায়ের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন নিউইয়র্কস্থ বাংলাদেশ কন্স্যুলেটের কন্সাল জেনারেল নাজমুল হুদা। প্রধান বক্তা ছিলেন সাহিত্য একাডেমির পরিপালক মোশাররফ হোসেন। বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন এ্যাসেম্বলীম্যান স্টিভেন রাগা, শিল্পকলা একাডেমির প্রধান উপদেষ্টা গীতিকার নাদিম আহমেদ, উপদেষ্টা জীবন চৌধুরী, মূলধারার রাজনীতিবিদ মোর্শেদ আলম, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শামসুদ্দীন আজাদ, মেয়র অফিসের দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক লিয়াজন সাপরাণী ধনপত, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী এস এম জামিল, সিপিএ সরওয়ার চৌধুরী প্রমুখ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে কন্স্যাল জেনারেল নাজমুল হুদা মার্চের শুরুতেই এই অনুষ্ঠান আয়োজন করার জন্য শিল্পকলা একাডেমিকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, মার্চ আমাদের স্বাধীনতার মাস, মার্চ আমাদের গর্বের মাস। এই মাসেই আমাদের মহাকাব্যিক সংগ্রামে দেশ এবং একটি লাল সবুজের পতাকা পেয়েছিলাম। যার নেতৃত্ব দিয়েছেন জাতিরজনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তিনি বলেন, প্রবাসী বাংলাদেশীদের দেশপ্রেম অনেক বেশি। যে কারণে তারা বাংলাদেশকে বুকে লালন করেই বিভিন্ন ধরনের অনুষ্ঠানের আয়োজন করে থাকেন। আপনাদের ধন্যবাদ আপনারা বাংলাদেশের শিল্প- সাহিত্য-সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে ধারণ করছেন এবং নতুন প্রজন্মের মাঝে তা ছড়িয়ে দিচ্ছেন। নতুন প্রজন্মকে আমাদের সংস্কৃতির সাথে সম্পৃক্ত করা আমাদের সকলের দায়িত্ব। তিনি বর্তমানে শেখ হাসিনা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় কাজ করছেন। তার নতুন ভিশন হচ্ছে স্মার্ট বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা। এই কাজে আপনারা সহযোগিতা করবেন।

মোর্শেদ আলম বলেন, এখনো বাংলাদেশে ইতিহাস বিকৃতি হচ্ছে। যা আমাদের জন্য দুঃখজনক।

সিপিএ সরোয়ার চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশ থেকে অনেক টাকা বিদেশে পাচার হয়ে যাচ্ছে। এটা বন্ধ করে সেই অর্থ সংস্কৃতির ক্ষেত্রে ব্যবহার করা উচিত।

অন্যান্য বক্তারা শিল্পকলা একাডেমির কর্মকাণ্ডের প্রশংসা করে বক্তব্য রাখেন এবং মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস এবং স্মৃতি তুলে ধরেন।

অনুষ্ঠানে সম্মাননা জানানো হয় সাংবাদিক নিনি ওয়াহেদ, লেখক এবিএম সালেহউদ্দীন এবং মোশাররফ হোসেনকে। ক্রেস্ট প্রদান করা হয় নতুন প্রজন্মের শিল্পী জেরিন মাইশা, আলভান ইসলাম চৌধুরী, সৌমিক মজুমদার এবং গোপাল রায়কে। শিল্পকলার প্রেসিডেন্ট মনিকা রায় এবং অতিথিরা তাদের হাতে ক্রেস্ট এবং সম্মাননা তুলে দেন।

অতিথি শিল্পী হিসাবে সঙ্গীত পরিবেশন করেন প্রবাসের জনপ্রিয় শিল্পী শাহ মাহবুব, মরিয়ম মারিয়া, জেরিন মাইশা, আলভান এবং নৃত্য পরিবেশন করে শিল্পকলার শিল্পীরা।

অনুষ্ঠান সফল এবং স্বার্থক করার জন্য মনিকা রায় সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করেন।

শেয়ার করুন