২৭ এপ্রিল ২০১২, শনিবার, ০৫:০৪:২৬ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
‘ব্রাজিল থেকে জীবন্ত গরু আনা সম্ভব, তবে প্রক্রিয়া জটিল’ খালেদা জিয়ার সঙ্গে মির্জা ফখরুলের ঘন্টাব্যাপী সাক্ষাৎ বিশ্বের প্রতি যুদ্ধকে ‘না’ বলার আহ্বান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭ জানুয়ারির সংসদ নির্বাচনে গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা প্রতিষ্ঠা হয়েছে - হাবিবুল মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের প্রতিবেদন অনুমান ও অপ্রমাণিত অভিযোগ নির্ভর- পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয় ইউরোপে ভারতীয় ৫২৭ পণ্যে ক্যান্সার সৃষ্টিকারি উপাদন শনাক্ত বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের প্রবেশে কড়াকড়ি বিএনপির আন্দোলন ঠেকানোই ক্ষমতাসীনদের প্রধান চ্যালেঞ্জ বিএনপিকে মাঠে ফেরাচ্ছে আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন নিয়ে অদৃশ্য চাপে বিএনপি


ইমিগ্রেশন কোর্টে মামলার সংখ্যা ২০ লাখ
দেশ রিপোর্ট
  • আপডেট করা হয়েছে : ২০-০৭-২০২২
ইমিগ্রেশন কোর্টে মামলার সংখ্যা ২০ লাখ


আমেরিকান ইমিগ্রেশন কোর্টসমূহে এখন পুঞ্জীভূত মামলার সংখ্যা প্রায় ২০ লাখ। প্রতি মাসে বাইডেন প্রশাসনের হাতে হাজার হাজার ইমিগ্র্যান্ট গ্রেফতার হওয়ার পর এই পুঞ্জীভূত সংখ্যা ক্রমান্বয়ে বাড়ছে বলে ইমিগ্রেশন সংবাদ জানিয়েছে। এসব মামলা দেশের ৬৬টি কোর্টে ৫০০ ইমিগ্রেশন জাজ শুনছেন। সম্প্রতি রিয়েল ক্লিয়ার ইনভেস্টিগেশনের পক্ষে এ বিষয়ে তদন্ত করা হয়।

নিউ অরলিন্সে ইমিগ্রেশন জাজ জোসেফ রোকা একদিনে ২৫টি মাস্টার হিয়ারিং করছেন। এই শুনানি প্রাথমিক শুনানি, যেখানে চূড়ান্ত শুনানির দিন ধার্য হতে পারে। সাধারণত সেখানে সীমান্ত দিয়ে আসা ইমিগ্র্যান্টদের জিজ্ঞাসা করা হয়, তাদের অ্যাসাইলাম দেয়া না হলে কোন দেশে ফেরত পাঠানো হবে, যদি তারা ডিপোর্টেড হয়। এই মামলায় হিয়ারিংয়ে কেউ ডিপোর্টেড হয় না। পরবর্তী ধার্য করা দিনে মাইগ্র্যান্ট অ্যাসাইলাম দাবি করতে পারে। তবে এক বছরের মধ্যে ইমিগ্র্যান্টকে অ্যাসাইলাম দাবি করতে হবে।

প্রথম মাস্টার হিয়ারিংয়ে একজনকে সাধারণত চার মাস সময় দেয়া হয় অ্যাটর্নি হায়ার করতে। কিন্তু দেখা যায়, মাইগ্র্যান্টরা সুযোগের জন্য বসে থাকে, তাদের ডিপোর্টেশন বিলম্বিত করার জন্য। তারা মনে করে যতোদিন যায়, ততোই তাদের ডিপোর্ট করার সম্ভাবনা কমে যায়। একসময় ৬ মাসের মধ্যে মামলা নিষ্পত্তি হয়ে যেতো। এতো ইমিগ্রেশন জাজ ছিল না। এখন ৫ থেকে ৬ বছরেও নিষ্পত্তি হয় না।

বাইডেন প্রশাসন ২০২১ সালে ক্ষমতায় এসে প্রসিকিউশন করার এখতিয়ার খাটিয়ে অনেকের বিরুদ্ধে ডিপোর্টেশন মামলা খারিজ করতে বলেছেন। খারিজ পেয়ে অনেকে ছাড়া পেয়েছেন। তারা আমেরিকায় রয়ে গেছেন। তাদের আর খোঁজ করতে পারে না। কারণ তারা কোর্টে যায় না। অনেকে গিয়ে এখানে থাকার জন্য মানবিক আবেদন জানায়। বলে ভালো থাকার জন্য তারা এখানে এসেছে। দেশে ভালো খেতে পারতো না, পরতে পারতো না তাই। কিন্তু তাতে তাদের অ্যাসাইলাম পাওয়ার পথ বন্ধ হয়ে যায়। কারণ তারা আসলে অর্থনৈতিক রিফিউজি। এক্ষেত্রে অন্য আইন না ভাঙলে তারা এদেশে থেকে যায় অবৈধভাবে। 


শেয়ার করুন