২৯ এপ্রিল ২০১২, সোমবার, ০২:৫৩:২১ পূর্বাহ্ন


বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের ওয়েষ্টইন্ডিজ সফর
আরেকটি জয়ের প্রত্যাশা
সালেক সুফী
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৩-০৭-২০২২
আরেকটি জয়ের প্রত্যাশা প্রথম ওয়ানডে ম্যাচের সাফল্যে শরিফুল/ছবি সংগৃহীত


দুপুর পেরিয়ে সন্ধ্যা হলেই গায়ানার প্রভিডেন্স স্টেডিয়ামে শুরু হবে, বাংলাদেশ - ওয়েস্ট ইন্ডিজ দ্বিতীয় ওয়ানডে। আমার সময় ব্রিসবেনে মাঝ রাত। চাতক পাখির মতো চেয়ে থাকবো, আরো একটি জয়ের প্রত্যাশায়। সাম্প্রতিক রেকর্ডস,বর্তমান দল দুটির তুল্যমান বিশ্লেষণে এগিয়ে থাকা বাংলাদেশ ক্রিকেট দল আজ দ্বিতীয় ম্যাচ জয় করে সিরিজ জিতে নেয়া স্বাভাবিক বলে মনে করি।

তবে ক্রিকেট এমন এক খেলা, যেখানে কোনো কিছুই আগাম নিশ্চিত করে বলা সু-বিবেচনা প্রসূত নয়। শেষ নয়টি ওডিআই জিতেছে। বাংলাদেশ আজ হলে হবে দশম। ব্যাটিং, বোলিং দুটিতেই বেশ কিছু ম্যাচ জয়ী খেলোয়াড় থাকায় স্বাভাবিক খেলাটা খেললেই বাংলাদেশ জয় পাবার কথা। তবে কিছুটার দুশ্চিন্তার কারণ অবশ্যই দুর্বল ফিল্ডিং এবং সূচনার ব্যাটসম্যানদের উইকেটে থিতু হয়ে উইকেট ছুড়ে আসার ব্যার্থতা। তামিম, শান্ত প্রথম ম্যাচে যেভাবে আউট হয়েছে সেটা ওদের নিজেদেরও সম্ভবত ভালো লাগেনি।

যদিও শান্ত ভালো ব্যাট করেছে তবুও আমি মনে করি আজ এনামুল হক বিজয়কে সুযোগ দেয়া উচিত। ওকে সময় দিতে হবে কিছু ম্যাচ খেলে নিজেকে পরিবর্তিত পরিস্থিতির সাথে মানিয়ে নিতে। আর যদি শান্তকে খেলাতেই হয়, তাহলে মোসাদ্দেক বিশ্রাম দিয়ে হলেও বিজয় আজ খেলা উচিত। ওকে না খেলানো বিষয়ে তামিম যুক্তি আমার কাছে গ্রহণযোগ্য মনে হয়নি। এই সিরিজটি আইসিসি ওডিআই চ্যাম্পিয়নশিপের অংশ নয়। এখানে বাংলাদেশ ঝুঁকি নিতেই পারে। দলে এত ব্যাটসম্যান, কাউকে না কাউকে দায়িত্ব নিয়ে দীর্ঘ সময় ব্যাট করতেই হবে। 

আমি মনে করি বাংলাদেশের যেই সময় আছে এখন আর ২০২৩ ভারতে অনুষ্ঠিতব্য বিশ্বকাপ ২০২৩ পর্যন্ত একে মাঝে ওডিআই খেলার জন্য অন্ত ১০-১২ ব্যাটসম্যান, ৫ জন পেসার , একজন লেগ স্পিনার সহ ৫ জন স্পিনার খুঁজে পেতে হবে। যে দল খেলছে এর বাইরে আছে সাকিব , মুশফিক, ইয়াসির আলী, মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন। মৃত্যুঞ্জয়কে নিউজিল্যাণ্ড গামী দলে সুযোগ দিয়ে যাচাই করা যায়। দেশে কয়েকজন উদীয়মান লেগ স্পিনারকে নিবিড় অনুশীলন করে যাচাই করা প্রয়োজন। এশিয়া কাপে কিন্তু বাংলাদেশের সব প্রতিদ্বন্দির তুখোড় লেগ স্পিনার আছে। 

২০২৩ বিশ্বকাপের পর বাংলাদেশের তারকা খেলোয়াড় সাকিব,তামিম, মুশফিক , মাহমুদুল্লাহকে আর পাওয়া যাবে না হয়তো আরও একটি বিশ্বকাপের জন্য। সোনালী প্রজন্ম থাকতেই বাংলাদেশকে বিশ্বকাপ জয়ের সর্বোচ্চ চেষ্টা করতে হবে। এখন কিন্তু জিম্বাবুয়ে ছাড়া সব দল প্রস্তুতিতে। এবং বাংলাদেশ থেকে এগিয়ে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের সঙ্গে ওডিআই সিরিজ জয় অবশ্যই অর্জন হবে। কিন্তু সেটি টেস্ট সিরিজের ধবল ধোলাই আর টি-২০ সিরিজে দুঃসহ পরাজয়ের স্মৃতি মুছে দিবে না। দলের রসায়নে নিশ্চিত সমস্যা আছে। তারকা খেলোয়াড়দের উপর বিসিবির নিয়ন্ত্রণ নেই। জুনিয়র খেলোয়াড়রা ভুল ইঙ্গিত পাচ্ছে।


শেয়ার করুন