একজন ভালো মুসলমান একজন ভালো মানুষ। একজন ভালো মানুষের পক্ষেই সমাজ এবং রাষ্ট্র গঠন সম্ভব। তাছাড়া মুসলিম কমিউনিটি নিউইয়র্ক সিটির উন্নয়নে বিরাট ভূমিকা রেখে চলছে। গত ৩ অক্টোবর জ্যামাইকা মুসলিম সেন্টারে জুমা পূর্ব এক প্রচারণায় নিউইয়র্ক সিটির মেয়র প্রার্থী জোহরান মামদানি এসব কথা বলেন। মেয়র প্রার্থী যেখানে গিয়েছিলেন নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিতে। তিনি জ্যামাইকা মুসলিম সেন্টারে মুসল্লিদের সঙ্গে নামাজ আদায় করেন।
নামাজের পূর্বে তিনি তার বক্তব্যে আগামী ৪ নভেম্বরের নির্বাচনে তাকে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, আমাকে একবার প্রশ্ন করা হয়েছিল মুসলমান নিয়ে। আমি আমার দাদা-দাদির কথা উল্লেখ করে বলেছিলাম, একজন ভালো মুসলমান একজন ভালো মানুষ। একজন ভালো মানুষের পক্ষেই সমাজ এবং রাষ্ট্র গঠন সম্ভব। তিনি বলেন, আমি আপনাদের কারণেই আজকে এ পর্যায়ে এসেছি। আমি যখন নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছিলাম, তখন আমি সবার পেছনে ছিলাম। আস্তে আস্তে আপনাদের সহযোগিতা আমি আজকে পর্যায়ে এসেছি। ডেমোক্রেটিক প্রাইমারিতে জয়লাভ করেছি। এ জয়ের পেছনে ছিল মুসলিম কমিউনিটি এবং দক্ষিণ এশিয়ান কমিউনিটির অবদান।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন জ্যামাইকা মুসলিম সেন্টারের ইমাম মাওলানা শামসে আলী, জ্যামাইকা মুসলিম সেন্টারের সভাপতি ডা. মাহমুদুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক আফতাব উদ্দিন মান্নান, সহ-সাধারণ সম্পাদক ফখরুল ইসলাম দেলোয়ার, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মঞ্জুর আহমেদ চৌধুরী প্রমুখ।
এদিকে গত ৩ অক্টোবর জামাইকা মুসলিম সেন্টারে জীবনের সদস্যরা ব্যাপক আয়োজনের মাধ্যমে ভোটার রেজিস্ট্রেশনে সহায়তা করেন। এ আয়োজনে নিউইয়র্ক সিটির মেয়র প্রার্থী জোহরান মামদানিও উপস্থিত ছিলেন।
জুমার নামাজের পর জীবনের সদস্যরা একটি বড়সড় রোডশো পরিচালনা করেন। যেখানে প্রায় ৩০টি গাড়ি অংশগ্রহণ করে। রোডশোটি এলাকার মানুষের মধ্যে বিশেষ উৎসাহ সৃষ্টি করে এবং নির্বাচনী প্রচারণাকে আরো গতিশীল করে তোলে।
এই সপ্তাহে জীবন সক্রিয়ভাবে আরো বেশি মানুষের কাছে পৌঁছতে সক্ষম হয়। শুধু তাই নয় জীবনের ৩৫ জনেরও বেশি স্বেচ্ছাসেবক নিবেদিতভাবে কাজ করেছেন, যারা জনগণকে ভোটার রেজিস্ট্রেশন করতে সহায়তা করেছেন এবং গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণের গুরুত্ব তুলে ধরেছেন।
গত কয়েক মাস ধরে জীবনের সদস্যরা প্রতি শুক্রবার শহরের বিভিন্ন স্থানে এ প্রচারণা চালিয়ে আসছেন এবং এটি নির্বাচনের দিন পর্যন্ত এ প্রচারণা অব্যাহত থাকবে। এছাড়াও নির্বাচনের দিন জীবন বিনামূল্যে পরিবহন সুবিধা প্রদান করবে, যাতে ভোটাররা সহজে ভোটকেন্দ্রে পৌঁছাতে পারেন।
এমন সংগঠিত উদ্যোগের মাধ্যমে জীবন দেখিয়েছে কীভাবে কমিউনিটির ঐক্য, পরিশ্রম এবং সচেতনতা একত্রে মিলিত হয়ে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে পারে।