৩০ অক্টোবর ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ০১:৫৩:৪৪ পূর্বাহ্ন


দুই শতকের ইতিহাসে অভিবাসীদের যুক্তরাষ্ট্রে পাঁচটি বড় বৈধতার সুযোগ
দেশ রিপোর্ট
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৯-১০-২০২৫
দুই শতকের ইতিহাসে অভিবাসীদের যুক্তরাষ্ট্রে পাঁচটি বড় বৈধতার সুযোগ ইউএস ইমিগ্রেশন অ্যান্ড ন্যাচারালাইজেশন সার্ভিসেস


যুক্তরাষ্ট্র সব সময়ই অভিবাসীদের দেশ হিসেবে পরিচিত, যেখানে বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে মানুষ নতুন জীবন ও সুযোগের সন্ধানে এসেছে। তবে এই দেশে বৈধভাবে বসবাসের সুযোগ সবসময়ই সহজ ছিল না। স্বাধীনতার পর থেকে যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধ বা সীমিত বৈধতা থাকা অভিবাসীরা মাত্র কয়েকবারই বৈধতার সুযোগ পেয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রের কয়েক শতকের ইতিহাসে প্রায় পাঁচটি বড় সময়ে অভিবাসীরা বৈধতার সুযোগ লাভ করেছেন। যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসন আইন স্বাধীনতা লাভের পর থেকে ক্রমাগত বিবর্তনের মধ্য দিয়ে গেছে। স্বাধীনতার সময়ে কোনো কেন্দ্রীয় অভিবাসন আইন ছিল না; বরং রাজ্যভিত্তিক নিয়মই প্রাধান্য পেতো। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য আইনগুলো হলো: ন্যাচারালাইজেশন অ্যাক্ট ১৭৯০, ইমারজেন্সি কোটা অ্যাক্ট ১৯২১ ও জনসন-রিড অ্যাক্ট ১৯২৪, ডিসপ্লেসড পারসনস অ্যাক্ট ১৯৪৮, ইমিগ্রেশন অ্যান্ড ন্যাশনালিটি অ্যাক্ট ১৯৬৫, ইমিগ্রেশন রিফর্ম অ্যান্ড কন্ট্রোল অ্যাক্ট ১৯৮৬ এবং নিকারাগুয়ান অ্যাডজাস্টমেন্ট অ্যান্ড সেন্ট্রাল আমেরিকান রিলিফ অ্যাক্ট ১৯৯৭। এসব আইন ও উদ্যোগের মাধ্যমে লাখ লাখ মানুষ বৈধতার আলো পেয়েছেন এবং যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি, সংস্কৃতি ও সমাজে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। ইতিহাস প্রমাণ করে যে যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসীদের বৈধতার সুযোগ সবসময়ই এসেছে নির্দিষ্ট রাজনৈতিক সময়, মানবিক প্রয়োজন ও বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটের প্রভাবে। আজও অভিবাসন নীতির বিতর্কের কেন্দ্রে রয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে অভিবাসীদের বৈধতার সুযোগের সংখ্যা বিভিন্ন সময়ে পরিবর্তিত হয়েছে। ন্যাচারালাইজেশন অ্যাক্ট ১৭৯০ নাগরিকত্বের আইনি কাঠামো তৈরি করলেও নির্দিষ্ট সংখ্যার মানুষ বৈধ হয়নি। পরবর্তীতে ১৯৪৮ সালে পাশ হওয়া ডিসপ্লেসড পারসনস অ্যাক্টের মাধ্যমে প্রায় ৪ লাখ ইউরোপীয় শরণার্থী বৈধতার সুযোগ পান। ১৯৬৫ সালের ইমিগ্রেশন অ্যান্ড ন্যাশনালিটি অ্যাক্ট কোটা ব্যবস্থা বাতিল করে এবং বৈধতার সুযোগ আরও উন্মুক্ত করে, যদিও নির্দিষ্ট সংখ্যার তথ্য পাওয়া যায়নি। ১৯৮৬ সালের ইমিগ্রেশন রিফর্ম অ্যান্ড কন্ট্রোল অ্যাক্টের মাধ্যমে প্রায় দুই দশমিক সাত মিলিয়ন অবৈধ অভিবাসী বৈধতার সুযোগ পান। এরপর ১৯৯৭ সালের নিকারাগুয়ান অ্যাডজাস্টমেন্ট অ্যান্ড সেন্ট্রাল আমেরিকান রিলিফ অ্যাক্টের মাধ্যমে প্রায় ৪ থেকে ৪ দশমিক ৫ লাখ মানুষ বৈধভাবে বসবাসের সুযোগ পান। এই হিসাবে, ১৯৪৮ থেকে ১৯৯৭ পর্যন্ত উল্লেখযোগ্যভাবে প্রায় ৩ দশমিক ৫ থেকে ৩ দশমিক ৯ মিলিয়ন মানুষ যুক্তরাষ্ট্রে বৈধতার সুযোগ লাভ করেছেন।

ন্যাচারালাইজেশন অ্যাক্ট ১৭৯০

ন্যাচারালাইজেশন অ্যাক্ট ১৭৯০ ছিল যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে প্রথম নাগরিকত্ব আইন, যা ২৬ মার্চ ১৭৯০ সালে কংগ্রেসে পাস হয়। এই আইনের মূল উদ্দেশ্য ছিল নির্ধারণ করাকে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক হতে পারবে। আইনে বলা হয়, শুধু ‘শ্বেতাঙ্গ’ ব্যক্তিরাই নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করতে পারবেন। তাদের বয়স হতে হবে অন্তত ২১ বছর এবং যুক্তরাষ্ট্রে কমপক্ষে দুই বছর বসবাসের প্রমাণ দিতে হবে। এছাড়াও আবেদনকারীর ‘ভালো চরিত্র’ থাকা বাধ্যতামূলক ছিল।

আইনে আরো বলা হয়, বিদেশে জন্ম নেওয়া শিশু যদি আমেরিকান নাগরিক পিতা-মাতার সন্তান হয়, তবে সেই শিশুও জন্মগতভাবে নাগরিক হিসেবে বিবেচিত হবে। তবে এই আইনটি ছিল বর্ণভিত্তিক ও বৈষম্যমূলক। কারণ এতে দাস, কৃষ্ণাঙ্গ, আদিবাসী বা অন্যান্য জাতিগোষ্ঠীর মানুষদের নাগরিকত্বের সুযোগ দেওয়া হয়নি। যদিও এটি যুক্তরাষ্ট্রে নাগরিকত্বের আইনি ভিত্তি স্থাপন করেছিল, তবুও সবার জন্য সমান অধিকার নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হয়েছিল। পরবর্তীতে বিভিন্ন সংশোধনীর মাধ্যমে এই বৈষম্য ধীরে ধীরে দূর করা হয়।

চাইনিজ এক্সক্লুশন অ্যাক্ট ১৮৮২

চাইনিজ এক্সক্লুশন অ্যাক্ট যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে প্রথম ফেডারেল আইন, যা কোনো নির্দিষ্ট জাতিগোষ্ঠীর অভিবাসন সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ করে। ১৮৮২ সালের ৬ মে প্রেসিডেন্ট চেস্টার এ আর্থার এই আইনটি অনুমোদন করেন। ঊনিশ শতকের মাঝামাঝি সময়ে বিপুলসংখ্যক চীনা শ্রমিক ক্যালিফোর্নিয়া ও পশ্চিম উপকূলে রেলপথ, খনি ও কৃষিক্ষেত্রে কাজ করতে আসেন। তাদের শ্রম যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখলেও, স্থানীয় শ্রমিকদের মধ্যে ধারণা জন্মে যে চীনারা কম মজুরিতে কাজ করে তাদের কর্মসংস্থানের সুযোগ কমিয়ে দিচ্ছে। এই অসন্তোষ থেকেই ‘চাইনিজ ফোবিয়া’ বা চীনাবিরোধী মনোভাব সৃষ্টি হয় এবং ফলস্বরূপ এ আইন প্রণীত হয়।

আইনটি চীনা শ্রমিকদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করে। দেশে অবস্থানরত চীনা অভিবাসীরা নাগরিকত্বের আবেদন করতে পারত না এবং যারা সাময়িকভাবে দেশ ত্যাগ করত, তারা পুনরায় প্রবেশের অনুমতিও পেতো না। কেবল ব্যবসায়ী, শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কূটনীতিক ও পর্যটক শ্রেণির কিছু মানুষ এই নিষেধাজ্ঞার বাইরে ছিলেন। প্রথমে আইনটি ১০ বছরের জন্য প্রণীত হয়েছিল, তবে পরে এটি নবায়নের মাধ্যমে ১৯০২ সালে স্থায়ী করা হয়। এর ফলে চীনা অভিবাসন প্রায় সম্পূর্ণভাবে বন্ধ হয়ে যায় এবং চীনা সম্প্রদায়ের ওপর দীর্ঘমেয়াদি বৈষম্য ও সামাজিক বিচ্ছিন্নতার প্রভাব পড়ে।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালীন ১৯৪৩ সালে ম্যাগনুসন অ্যাক্ট দ্বারা এই আইন বাতিল করা হয়, যদিও তখনও কঠোর কোটা বজায় ছিল। চাইনিজ এক্সক্লুশন অ্যাক্ট যুক্তরাষ্ট্রের বর্ণবাদী অভিবাসন নীতির এক প্রতীক হিসেবে আজও ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ।

ইমারজেন্সি কোটা অ্যাক্ট ১৯২১ ও জনসন-রিড অ্যাক্ট ১৯২৪

১৯২১ সালের ইমারজেন্সি কোটা অ্যাক্ট এবং ১৯২৪ সালের জনসন-রিড অ্যাক্ট যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসন নীতিতে একটি বড় পরিবর্তন আনে। এই আইনগুলোর মূল উদ্দেশ্য ছিল অভিবাসনের প্রবাহ সীমিত করা এবং দেশের জনসংখ্যার গঠন ‘স্থিতিশীল’ রাখা। ১৯২১ সালের আইনে প্রথমবারের মতো জাতিগত কোটা নির্ধারণ করা হয়, যেখানে ১৯১০ সালের আদমশুমারির ভিত্তিতে প্রতিটি দেশ থেকে সর্বোচ্চ ৩ শতাংশ অভিবাসী যুক্তরাষ্ট্রে আসতে পারতেন। এতে দক্ষিণ ও পূর্ব ইউরোপ থেকে অভিবাসন ব্যাপকভাবে কমে যায়।

পরবর্তী সময়ে ১৯২৪ সালের জনসন-রিড অ্যাক্ট এই সীমা আরো কঠোর করে, ১৮৯০ সালের আদমশুমারিকে ভিত্তি হিসেবে গ্রহণ করে। ফলে উত্তর ও পশ্চিম ইউরোপীয় দেশগুলোর জন্য কোটা বাড়ানো হলেও এশীয় দেশগুলোর অভিবাসন প্রায় সম্পূর্ণ বন্ধ করা হয়। এই আইন ‘জাতিগত বিশুদ্ধতা’ রক্ষার ধারণাকে আইনি স্বীকৃতি দেয় এবং এটি ১৯৬৫ সালের ইমিগ্রেশন অ্যান্ড ন্যাশনালিটি অ্যাক্ট পাস হওয়া পর্যন্ত কার্যকর থাকে।

ডিসপ্লেসড পারসনস অ্যাক্ট ১৯৪৮

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইউরোপে লক্ষ লক্ষ মানুষ যুদ্ধ, নিপীড়ন ও ধ্বংসের কারণে বাস্তুচ্যুত হয়ে পড়ে। এই মানবিক সংকট মোকাবিলায় যুক্তরাষ্ট্র ১৯৪৮ সালে ডিসপ্লেসড পারসনস অ্যাক্ট পাস করে। এর মাধ্যমে প্রায় ৪ লাখ ইউরোপীয় শরণার্থীকে যুক্তরাষ্ট্রে আশ্রয়ের সুযোগ দেওয়া হয়। তাদের মধ্যে ছিল নাৎসি নির্যাতনের শিকার ইহুদি, যুদ্ধবিধ্বস্ত পরিবার ও পূর্ব ইউরোপের রাজনৈতিক শরণার্থী। এই আইন যুক্তরাষ্ট্রের মানবিক অবস্থানকে আরও দৃঢ় করে এবং শরণার্থী গ্রহণ নীতির ভিত্তি স্থাপন করে।

ইমিগ্রেশন অ্যান্ড ন্যাশনালিটি অ্যাক্ট ১৯৬৫

এই আইন যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসন নীতিতে যুগান্তকারী পরিবর্তন আনে। প্রেসিডেন্ট লিন্ডন বি. জনসনের প্রশাসনকালে পাশ হওয়া এই আইনটি পূর্ববর্তী জাতিগত কোটা ব্যবস্থা বাতিল করে এবং পারিবারিক পুনর্মিলন ও দক্ষতা বা পেশাগত যোগ্যতার ভিত্তিতে নতুন নীতি প্রবর্তন করে। এর ফলে এশিয়া, আফ্রিকা ও লাতিন আমেরিকা থেকে অভিবাসনের সুযোগ উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পায়। যুক্তরাষ্ট্রের জনসংখ্যাগত গঠন ও সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যে এর গভীর প্রভাব পড়ে এবং এটি যুক্তরাষ্ট্রকে আরও অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজে পরিণত করে।

ইমিগ্রেশন রিফর্ম অ্যান্ড কন্ট্রোল অ্যাক্ট ১৯৮৬

১৯৮৬ সালের এই আইনটি যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসন ইতিহাসে এক ঐতিহাসিক পদক্ষেপ। রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রিগানের নেতৃত্বে এবং ডেমোক্র্যাটদের সমর্থনে পাশ হওয়া এই আইনের মাধ্যমে ১৯৮২ সালের ১ জানুয়ারির আগে থেকে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত অবৈধ অভিবাসীরা বৈধতার সুযোগ পান। প্রায় ২ দশমিক ৭ মিলিয়ন মানুষ এই আইনের আওতায় বৈধতা লাভ করেন।

আইনটি কৃষি শ্রমিকদের জন্য বিশেষ সুবিধা দেয়, যেমন স্পেশাল অ্যাগ্রিকালচারাল ওয়ার্কার প্রোগ্রাম, যার মাধ্যমে প্রায় ১ দশমিক ১ থেকে ১ দশমিক ৩ মিলিয়ন শ্রমিক বৈধতা পান। একই সঙ্গে ভবিষ্যতের অবৈধ অভিবাসন রোধে কর্মক্ষেত্রে নিয়োগকর্তাদের দায়বদ্ধ করা হয় এবং অবৈধ কর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রে জরিমানার বিধান আনা হয়। যদিও বাস্তবায়নে কিছু সীমাবদ্ধতা ছিল, তবুও এটি যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসন ইতিহাসে মানবিক ও বাস্তবসম্মত সমাধানের এক মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হয়।

নিক্যারাগুয়ান অ্যাডজাস্টমেন্ট অ্যান্ড সেন্ট্রাল আমেরিকান রিলিফ অ্যাক্ট ১৯৯৭

১৯৯৭ সালের এই আইনটি মূলত নিকারাগুয়া, এল সালভাডোর ও গুয়াতেমালার মতো দেশ থেকে গৃহযুদ্ধ ও রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে পালিয়ে আসা মানুষদের বৈধতার সুযোগ দেয়। এই আইনের আওতায় নির্দিষ্ট সময়ে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করা নিকারাগুয়ান ও কিউবান নাগরিকরা সরাসরি স্থায়ী নাগরিকত্বের আবেদন করতে পারেন। এল সালভাডোর, গুয়াতেমালা ও কিছু পূর্ব ইউরোপীয় দেশের নাগরিকদেরও বহিষ্কার থেকে সুরক্ষা দেওয়া হয়।সরকারি রেকর্ড অনুযায়ী, প্রায় ৪ থেকে ৪ দশমিক ৫ লাখ মানুষ সরাসরি এই আইনের সুবিধা পান। এটি যুক্তরাষ্ট্রের মানবিক মূল্যবোধ ও আশ্রয়নীতির একটি গুরুত্বপূর্ণ উদাহরণ।রাজনৈতিকভাবে দেখা যায়, রিপাবলিকান পার্টি সাধারণত কঠোর অভিবাসন নীতির পক্ষে থাকে, তবে তারা ১৯৮৬ সালের আইআরসিএর মতো বৈধতা প্রদানমূলক আইনেও সমর্থন দিয়েছে। অন্যদিকে ডেমোক্র্যাট পার্টি সাধারণত অভিবাসীদের অধিক অধিকার ও বৈধতার পক্ষে।

সংক্ষেপে বলা যায়, যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসন আইন ধাপে ধাপে পরিবর্তিত হয়েছে এবং বৈধতা প্রদানকারী আইনগুলো প্রায়ই রাজনৈতিক সমঝোতা, সামাজিক চাহিদা ও আন্তর্জাতিক পরিস্থিতির প্রভাবে এসেছে। স্বাধীনতা থেকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত বৈধতা প্রদানের আইনগুলো যুক্তরাষ্ট্রের মানবিক ও অন্তর্ভুক্তিমূলক চরিত্রের প্রতিফলন ঘটায়। ভবিষ্যতে এই নীতির আরো সংস্কার প্রয়োজন, বিশেষত অবৈধ অভিবাসীদের স্থায়ী বৈধতা, কর্মসংস্থান ও শিক্ষার অধিকার নিশ্চিত করার জন্য।

শেয়ার করুন