০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, শুক্রবার, ১১:০৪:১৩ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
স্ন্যাপ সুবিধা ফিরলেও কঠোর নিয়মে বিপাকে ৪০ মিলিয়ন মানুষ মসজিদে ধারাবাহিক হামলা, উদ্বেগে মুসলিম সম্প্রদায় ফেব্রুয়ারি ১ থেকে রিয়েল আইডি ছাড়া বিমানযাত্রায় লাগবে ৪৫ ডলারের ফি নিউইয়র্কে শীতকালে ঘর গরম রাখার জন্য এনার্জি সহায়তার আবেদন শুরু দারিদ্র্যপীড়িত দেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসন স্থায়ীভাবে বন্ধের আহ্বান ট্রাম্পের ১৯ দেশের গ্রিনকার্ডধারীদের পুনর্মূল্যায়ন শুরু তারেকের ‘ফেরা ইস্যু’ ঘোলা পানিতে মাছ শিকারে চেষ্টা বিডিআর বিদ্রোহের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের কমিশন রিপোর্টে তোলপাড় রাষ্ট্রীয় সর্বোচ্চ মর্যাদায় খালেদা জিয়া ১১ মাসে ২৮ জন বাংলাদেশী ভারতীয় সীমান্ত রক্ষীবাহিনী কর্তৃক নিহত হয়েছে


প্রবাসী সুরক্ষা আইন বাস্তবায়ন কমিটির সংবাদ সম্মেলন
দেশ রিপোর্ট
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৩-০৮-২০২৩
প্রবাসী সুরক্ষা আইন বাস্তবায়ন কমিটির সংবাদ সম্মেলন বক্তব্য রাখছেন অ্যাটর্নি মঈন চৌধুরী


প্রবাসী সুরক্ষা আইন বাস্তবায়ন কমিটির পরিচিত এবং সংবাদ সম্মেলন গত ১৭ আগস্ট সন্ধ্যায় জ্যাকসন হাইটসের নবান্ন পার্টি হলে অনুষ্ঠিত হয়। সদস্য সচিব মোহাম্মদ আলী পরিচালনায় সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংগঠনের আহ্বায়ক মাহাবুবার রহমান। এছাড়াও সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন যুগ্ম-আহ্বায়ক ইকবাল হোসেন, যুগ্ম-সদস্য সচিব ইসমাইল হোসেন স্বপন, সদস্য এম আর সেলিম খান, আমিন মেহেদী বাবু, দীলিপ কুমার সাহা, প্রধান উপদেষ্টা অ্যাটর্নি মঈন চৌধুরী, উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট নাসির উদ্দিন, জুনায়েল আহমেদ, কাজী জামান, ডা. আব্দুল লতিফ, ড. রফিকুল ইসলাম প্রমুখ।

লিখিত বক্তব্যে অ্যাডভোকেট মাহাবুবার রহমান বলেন, বর্তমানে সারা বিশ্বে প্রায় দেড় থেকে ২ কোটি বাংলাদেশির বাসবাস। জীবন ও জীবিকার তাগিদে তারা প্রবাসে থাকছেন। এই প্রবাসী বাংলাদেশিদের প্রেরিত অর্থে বাংলাদেশের অর্থনীতি চাকা ঘোরছে। অথচ বাংলাদেশে এই প্রবাসীরাই নানাধরনের সমস্যার শিকার হচ্ছে। যার মধ্যে অন্যতম এয়ারপোর্টে হয়রানি, চাঁদাবাজি, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কিছু অসাধু কর্মকর্তা ও কর্মচারীর দ্বারা হয়রানি, বাড়িঘর এবং জায়গা জমি বেদখল, আবার দেশে গিয়ে অনেক প্রবাসী নির্মমভাবে হত্যারও শিকার হচ্ছেন। আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার দুর্নীতি এবং বিচার বিভাগে অধিকতর মামলা জটলার কারণে তা নিষ্পত্তিতে বিলম্বিত হওয়ায়, প্রবাসীরা দেশের প্রচলিত আইনে, প্রচলিত আদালতে ন্যায় বিচার পান না। সর্বোপরি প্রবাসীদের কোনো অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয় না। তাই আমরা প্রবাসী বাংলাদেশিদের জানমাল সুরক্ষা ও নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠান লক্ষ্যে এই সংগঠন করেছি। যে সঙ্গে দাবি জানাচ্ছি প্রবাসীদের জন্য দেশে একটি বিশেষ আইন করা হোক। যার নাম হবে প্রবাসী সুরক্ষা আইন। দ্বিতীয়ত আমরা প্রবাসীদের জন্য বিশেষ আইন চাই, যার নাম হচ্ছে প্রবাসী বিশেষ ট্রাইব্যুনাল। প্রবাসীদের দায়েরকৃত প্রতিটি অভিযোগ এবং মামলা মোকদ্দমা প্রবাসী সুরক্ষা আইন দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়ে বিশেষ ট্রাইব্যুনাল দ্বারা বিচার হবে। ৯০টি কার্যদিবসের মধ্যে প্রবাসীদের প্রতিটি অভিযোগ এবং মামলা নিষ্পত্তি করতে হবে। সংবাদ সম্মেলনে তারা একটি খচড়া রূপরেখা এবং প্রস্তাবনা উপস্থাপন করেন।

সংবাদ সম্মেলনে নেতৃবৃন্দ সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে বলেন, এই সংগঠন প্রয়োজনে সারা বিশ্বের প্রবাসীদের ঐক্যবদ্ধ করা হবে। সেই সঙ্গে আমরা জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তার সংসদে উঠানোর ব্যবস্থা করবো। প্রয়োজনে আইন মন্ত্রণালয়ে যাবো।

অ্যাটর্নি মঈন চৌধুরী বলেন, আমরা এখানে যেভাবে সব অধিকার ভোগ করি, বাংলাদেশেও ভোগ করতে চাই। এই কাজটি আমাদের সম্মিলিতভাবে করতে হবে। তিনি বলেন, আমরা দেশকে ভালোবাসি, যে কারণে বারবার বাংলাদেশে ছুটে যাই। কিন্তু সেখানে গিয়ে সমস্যায় পড়ি। এই সমস্যার সমাধান করা প্রয়োজন। যে কারণে আমাদের এই উদ্যোগ। আমরা সবার সহযোগিতা কামনা করছি।

শেয়ার করুন