০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, শুক্রবার, ৬:৩৬:১৬ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
স্ন্যাপ সুবিধা ফিরলেও কঠোর নিয়মে বিপাকে ৪০ মিলিয়ন মানুষ মসজিদে ধারাবাহিক হামলা, উদ্বেগে মুসলিম সম্প্রদায় ফেব্রুয়ারি ১ থেকে রিয়েল আইডি ছাড়া বিমানযাত্রায় লাগবে ৪৫ ডলারের ফি নিউইয়র্কে শীতকালে ঘর গরম রাখার জন্য এনার্জি সহায়তার আবেদন শুরু দারিদ্র্যপীড়িত দেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসন স্থায়ীভাবে বন্ধের আহ্বান ট্রাম্পের ১৯ দেশের গ্রিনকার্ডধারীদের পুনর্মূল্যায়ন শুরু তারেকের ‘ফেরা ইস্যু’ ঘোলা পানিতে মাছ শিকারে চেষ্টা বিডিআর বিদ্রোহের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের কমিশন রিপোর্টে তোলপাড় রাষ্ট্রীয় সর্বোচ্চ মর্যাদায় খালেদা জিয়া ১১ মাসে ২৮ জন বাংলাদেশী ভারতীয় সীমান্ত রক্ষীবাহিনী কর্তৃক নিহত হয়েছে


পুতিনের সাথে আবার বৈঠক?
দেশ রিপোর্ট
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৫-০৩-২০২২
পুতিনের সাথে আবার বৈঠক? জেলেনস্কি , রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন



ইউক্রেনে রুশ অভিযান চলতে থাকার মধ্যেই জেলেনস্কি আবারও রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের সাথে সরাসরি আলোচনায় বসার আহ্বান জানিয়েছেন। ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি বলেন, তার সাথে পুতিনের বৈঠক ছাড়া এ যুদ্ধ অবসানের ব্যাপারে আলোচনা সম্ভব হবে না। তিনি বলেন, রাশিয়ার দখলকৃত ক্রাইমিয়া, ডনবাস অঞ্চল এবং ইউক্রেনের নিরাপত্তার গ্যারান্টিসহ "সকল বিষয় নিয়ে" আলোচনার জন্য তিনি তৈরি আছেন। তবে জেলেনস্কি এ-ও বলেন যে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তগুলোকে অবশ্যই একটি গণভোটের মাধ্যমে ইউক্রেনের জনগণের সামনে তুলে ধরতে হবে।

এমন এক সময় জেলেনস্কি এ আহ্বান জানালেন যখন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেন হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন যে পুতিনের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে এবং তিনি হয়তো ইউক্রেনে রাসায়নিক বা জীবাণু অস্ত্র ব্যবহার করতে পারেন। ক্রেমলিন অবশ্য ২১ মার্চ সোমবার বলেছে যে এই দুই নেতার মধ্যে সরাসরি বৈঠক হবার মতো অগ্রগতি এখনো হয়নি।

জেলেনস্কি ইতোমধ্যে পোপ ফ্রান্সিসের সাথে কথা বলেছেন এবং আভাস দিয়েছেন যে ভ্যাটিকান হয়তো এ যুদ্ধ মধ্যস্থতার ভুমিকা পালন করতে পারে। এ ছাড়া তিনি ভিডিও লিংকে ইতালির পার্লামেন্টেও এক ভাষণ দেন। সেখানে তিনি বলেন, তার দেশ এখন প্রায় চার সপ্তাহ আগে শুরু হওয়া রুশ অভিযান অতিক্রম করে টিকে থাকার দ্বারপ্রান্তে চলে এসেছে।

তার এই সতর্ক আশাবাদ সত্ত্বেও ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী সতর্ক করছে যে বিভিন্ন শহর ও অবকাঠামোর ওপর রাশিয়া তাদের নির্বিচার গোলাবর্ষণ চালিয়ে যাবে।

অনেকগুলো শহরের আশপাশে লড়াই চলছে

ইউক্রেনের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর খারকিভ, দক্ষিণাঞ্চলীয় বন্দর নগরী মারিউপোল, উত্তরাঞ্চলীয় চেরনিহিভ - এগুলোর আশপাশে এখনো লড়াই চলছে। একজন প্রত্যক্ষদর্শী বলেছেন আগের যে কোন সময়ের তুলনায় এখন আরো বেশি বিস্ফোরণ দেখা যাচ্ছে।

ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী বলছে, তারা রুশ সৈন্যদের বিরুদ্ধে এক পাল্টা অভিযান চালিয়ে কিয়েভের পশ্চিমের মাকারিভ শহরটি পুনর্দখল করেছে। কিয়েভের কেন্দ্রস্থল থেকে ২৫ মাইল পূর্বদিকের আরেকটি শহর বোরিস্পিলের আশপাশের এলাকায় ইতোমধ্যেই যুদ্ধ চলছে। সেখানকার বাসিন্দাদের ওই অঞ্চল ছেড়ে যাবার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। কিয়েভের প্রধান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরটি এখানেই। মেয়র ভলোদিমির বোরিসেংকো বলেছেন, বেসামরিক লোকদের যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সরে যাওয়া উচিত।

এ ছাড়া রুশ সীমান্ত থেকে ৩০ মাইল দূরের খারকিভ শহরে রুশ বাহিনী অবিরাম গোলাবর্ষণ করছে। সেখানে এ পর্যন্ত কমপক্ষে ৫০০ বেসামরিক লোক নিহত হয়েছে, এবং প্রায় ১০০০ বাড়িঘর ধ্বংস হয়েছে।


ইতালির পার্লামেন্টে জেলেনস্কির ভাষণ

ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী বলছে, রাশিয়া গত ২৪ ঘন্টায় ইউক্রেনের আকাশসীমায় তাদের বিমানের উপস্থিতি বাড়িয়েছে। তবে তারা এটাও বলছে যে রুশ বাহিনীর হাতে মাত্র তিন দিন চলার মত জ্বালানি ও গোলাবারুদের মজুত আছে। ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় দাবি করছে যে এ পর্যন্ত ১৫ হাজার রুশ সৈন্য নিহত হয়েছে। রাশিয়া বলছে ২রা মার্চ পর্যন্ত তাদের ৪৯৮ জন সৈন্য নিহত হয়েছ।

অন্যদিকে এই প্রথমবারের মতো কৃষ্ণসাগর তীরবর্তী ইউক্রেনীয় বন্দর ওডেসার আবাসিক এলাকায় রুশদের নিক্ষিপ্ত গোলা এসে পড়েছে। সাগর থেকে রুশ নৌবাহিনী এ গোলাবর্ষণ করে বলে জানা গেছে। তবে ব্রিটেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রগুলো বলছে, রুশ বাহিনীর অগ্রযাত্রা স্থবির হয়ে পড়েছে বলে মনে হচ্ছে, এবং ইউক্রেনের বাহিনী মারিউপোল শহরটি দখলে নেয়ার রুশ চেষ্টা ঠেকিয়ে দিচ্ছে।

অবরুদ্ধ মারিউপোল শহর থেকে আরো তিন হাজার লোককে বের করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সব মিলিয়ে ২১ মার্চ সোমবার বিভিন্ন যুদ্ধ এলাকা থেকে মোট আট হাজার বেসামরিক লোককে বের করে নিয়ে যাওয়া হয়।


মারিউপোলে মানবিক করিডোর প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে এখনো দু পক্ষের ঐকমত্য হয়নি।


শেয়ার করুন