০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, শুক্রবার, ০৩:১৮:৫৩ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
স্ন্যাপ সুবিধা ফিরলেও কঠোর নিয়মে বিপাকে ৪০ মিলিয়ন মানুষ মসজিদে ধারাবাহিক হামলা, উদ্বেগে মুসলিম সম্প্রদায় ফেব্রুয়ারি ১ থেকে রিয়েল আইডি ছাড়া বিমানযাত্রায় লাগবে ৪৫ ডলারের ফি নিউইয়র্কে শীতকালে ঘর গরম রাখার জন্য এনার্জি সহায়তার আবেদন শুরু দারিদ্র্যপীড়িত দেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসন স্থায়ীভাবে বন্ধের আহ্বান ট্রাম্পের ১৯ দেশের গ্রিনকার্ডধারীদের পুনর্মূল্যায়ন শুরু তারেকের ‘ফেরা ইস্যু’ ঘোলা পানিতে মাছ শিকারে চেষ্টা বিডিআর বিদ্রোহের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের কমিশন রিপোর্টে তোলপাড় রাষ্ট্রীয় সর্বোচ্চ মর্যাদায় খালেদা জিয়া ১১ মাসে ২৮ জন বাংলাদেশী ভারতীয় সীমান্ত রক্ষীবাহিনী কর্তৃক নিহত হয়েছে


দেশের অর্ধেক ভোটকেন্দ্র ঝুঁকিতে
বিশেষ প্রতিনিধি
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৩-০১-২০২৪
দেশের অর্ধেক ভোটকেন্দ্র ঝুঁকিতে ১২ দলীয় জোট আয়োজিত গণসংযোগ ও পদযাত্রা/ছবি সংগৃহীত


দেশের অর্ধেক ভোটকেন্দ্র ঝুঁকিতে আছে সম্প্রতি ’নির্বাচন কমিশন ও ডিএমপি কমিশনের’ এমন মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় ১২ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ বলেছেন যে দেশে অগণতান্ত্রিক সরকারের হাতে দেশের গণতন্ত্র ভাসমান, সে দেশে শুধু ভোটকেন্দ্র কেন! পুরো দেশটাই তখন ঝুঁকিতে থাকবে এটাই স্বাভাবিক। 

নেতৃবৃন্দ বলেন, যখন দেশে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার অভাবে জনগণের ওপর বার বার লাশের মিছিল দৃশ্যমান হয় এবং সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীদের কারণে দেশের অর্থনীতির ওপর আক্রমণ আসতে থাকে। তখনি দেশের আইন-আদালত ও নির্বাচন ব্যবস্থা হয় আজ্ঞাবহ। যদি শক্ত গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে হয়, তাহলে শেখ হাসিনাকে বিদায় করে দেশের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে হবে। গত ২ জানুয়ারি মঙ্গলবার (শেখ হাসিনার পদত্যাগ, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচন ও অসহযোগ আন্দোলন সফল করার লক্ষ্যে ১২ দলীয় জোট আয়োজিত গণসংযোগ ও পদযাত্রা দুপুরে বিজয়নগর পানির ট্যাংক এলাকা থেকে শান্তিনগর, পল্টন মোড় ঘুরে প্রেসক্লাব শেষ হয়। এসময় সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে নেতৃবৃন্দ এসব কথা বলেন।

১২ দলীয় জোটের মুখপাত্র ও বাংলাদেশ এলডিপির মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম বলেন, এই নির্বাচন ভাগাভাগির নির্বাচন। কারণ এই ডামি নির্বাচনে কারা এমপি হবে তা ঠিক করা হয়ে গেছে। তাই এই নির্বাচনে জনগণ ভোট কেন্দ্রে যাবে না। এখনো নির্বাচন বাতিল করার সুযোগ আছে। অবিলম্বে নির্বাচন বাতিল করে পদত্যাগ করুন। অন্যথায় গণ-আন্দোলনের স্রোতে সরকার ভেসে যাবে। তিনি বলেন, জাতি হিসেবে আমাদের দূর্ভাগ্য আমরা একজন অর্থনীতিবিদ নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে সম্মান দিতে পারিনি। আমরা বিশ্ব বিবেকের কাছে লজ্জিত। 

জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) প্রেসিডিয়াম সদস্য নওয়াব আলী খান আব্বাস বলেন, এটা নির্বাচন নয়! নির্বাচনের নামে পুতুল খেলা চলছে। আগামী ৭ তারিখ জনগণ এই পুতুল সরকারকে ক্ষমতায় থেকে টেনে নামাতে প্রস্তুত থাকবে। জনগণের পিট দেওয়ালে ঠেকে গেছে। শেখ হাসিনার আর ক্ষমতায় থাকার সুযোগ নেই।

১২ দলীয় জোটের প্রধান সমন্বয়ক ও জাগপার সহ-সভাপতি রাশেদ প্রধান বলেন, জাতি হিসেবে আমাদের দুর্ভাগ্য আমরা আমরা এদেশের অবিসংবাদিত নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে কারাগার মুক্ত করতে পারিনি। তিনি বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের স্মরণ করে বলতে হয়, আজ দেশে পতাকা আছে, স্বাধীনতা নেই! সংবিধান আছে অধিকার নেই! শিল্প আছে উৎপাদন নেই! শিক্ষিত যুবক আছে, কর্মসংস্থান নেই। আমরা মানচিত্র পেয়েছি, তবে সীমান্ত অরক্ষিত। একটাই সমাধান! স্বৈরাচার হাসিনা মুক্ত বাংলাদেশ চাই। গণসংযোগ ও পদযাত্রা শেষে বক্তব্য রাখেন, ১২ দলীয় জোটের মুখপাত্র ও বাংলাদেশ এলডিপির মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম, জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) প্রেসিডিয়াম সদস্য নওয়াব আলী খান আব্বাস, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামী বাংলাদেশের মহাসচিব মাওলানা ড.গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি-জাগপার সহ-সভাপতি ও ১২ দলীয় জোটের প্রধান সমন্বয়ক রাশেদ প্রধান, বাংলাদেশ জাতীয় দলের ভাইস চেয়ারম্যান শামসুল আহাদ, বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান লায়ন মোঃ ফারুক রহমান, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মোঃ শামসুদ্দীন পারভেজ, ইসলামি ঐক্যজোটের মহাসচিব মাওলানা আব্দুল করিম।

উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) কাজী মোঃ নজরুল, বাংলাদেশ এলডিপির এম এ বাশার, মোঃ ফরিদ উদ্দিন, মিজানুর রহমান পিন্টু, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মুফতী আতাউর রহমান খান, মাওলানা এম এ কাসেম ইসলামাবাদী, জাগপার মনোয়ার হোসেন, মোঃ সাজু মিয়া, বাংলাদেশ জাতীয় দলের বেলায়েত হোসেন শামীম, আবুল মনসুর, বাংলাদেশ লেবার পার্টির শরিফুল ইসলাম, মোঃ লিটন, হাবিবুর রহমান, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির মুহাম্মদ আবু হানিফ, রিপন মিয়া, মোঃ ফরহাদ, মানিক মিয়া, মোঃ নজরুল ইসলাম, ইসলামী ঐক্য জোটের, বীর মুক্তিযোদ্ধা শওকত আমিন, যুব জাগপার নজরুল ইসলাম বাবলু, জনি নন্দী, যুব সংহতির নিজাম উদ্দিন সরকার, ছাত্র সমাজের কাজী ফয়েজ আহমেদ, মেহেদী হাসান, ছাত্র জমিয়ত বাংলাদেশের নিজাম উদ্দিন আল আদনান, হাফেজ খালেদ মাহমুদ প্রমুখ।

শেয়ার করুন