০৬ জুলাই ২০১২, শনিবার, ১০:২২:১২ পূর্বাহ্ন


দেশকে কাজী জাফরউল্লাহ
বিএনপি দলকে ধরে রাখতে পারবে না
সৈয়দ মাহবুব মোর্শেদ
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৩-০৭-২০২৪
বিএনপি দলকে ধরে রাখতে পারবে না কাজী জাফরউল্লাহ


আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী জাফরউল্লাহ বলেছেন, আওয়ামী লীগ একটা বড় রাজনৈতিক দল। তারা এখন সরকারে আছে। অন্যদিকে তারা (বিএনপি) অনেকদিন ধরে সরকারের বাইরে অবস্থান করছে। তাছাড়া তারা একটি বড় রাজনৈতিক দলও। তাদের তোরাজনৈতিক কর্মসূচি দিয়েই কর্মী ধরে রাখতে হবে। এবং একটি রাজনৈতিক দলের উদ্দেশ্যই থাকে ক্ষমতায় যাওয়া। ক্ষমতায় না গেলে তো তারা দলকে ধরেই রাখতে পারবে না। এটা আমাদের দলের বেলাতেও প্রযোজ্য। কোনো দলই দল ধরে রাখতে পারে না। 

আমেরিকা থেকে প্রকাশিত পাঠকপ্রিয় দেশ পত্রিকার সাথে চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলতে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। কাজী জাফরউল্লাহ’র সাথে রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলেছেন দেশ পত্রিকার বিশেষ প্রতিনিধি সৈয়দ মাহবুব মোর্শেদ 

দেশ : রাজপথে আবারও মুখোমুখি হচ্ছে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি। সম্প্রতি পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি নিয়ে মাঠে নেমেছে দুই দল। আওয়ামী লীগ প্লাটিনাম জয়ন্তীর আলোচনা সভা এবং বিএনপি দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে সমাবেশের মাধ্যমে রাজধানীতে বড় ধরনের শোডাউন করে। ক্ষমতাসীন এবং রাজপথের সরকারবিরোধী প্রধান দলের এমন কর্মসূচি ঘিরে সব মহলে কৌতূহল সৃষ্টি হয়েছিল। এটাকে কি আপনি মনে করেন এই দুই দল আবারও মুখোমুখি হয়েছে বা পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি দিলো?

কাজী জাফরউল্লাহ : (হেসে দিয়ে) আরে না..না না..। তা হবে কেনো? আমাদেরও তো কর্মসূচি ছিলো। প্লাটিনাম জয়ন্তীতে আমাদের তো অনেক অনুষ্ঠান হওয়ার কথাই আছে। আওয়ামী লীগ প্লাটিনাম জয়ন্তী পালন করছে ধারাবাহিক ভাবে। তার-ই অংশ হিসাবে প্লাটিনাম জয়ন্তীর আলোচনা সভ ছিল সে-দিন। এটা পাল্টাপাল্টি হবে কেনো?

দেশ: আপনি বলতে চাচ্ছেন যে এটি একটি ধারাবাহিক কর্মসূচিরই অংশ?

কাজী জাফরউল্লাহ : হা হা প্লাটিনাম জয়ন্তী’তে অনেক কর্মসূচিই তো আওয়ামী লীগের.. আগেই নেয়া আছে। এখন এই সময়ে ওরা কি করবে বা করুক জানি না। আমাদের আরো কর্মসূচি হচ্ছে এবং হবে। 

দেশ : কিন্তু এমন প্রশ্ন তো উঠেছে যে বিএনপি’র কর্মসূচিকে ভণ্ডুল বা প্রতিরোধ করতেই এমন কর্মসূচি দিয়েছে আওয়ামী লীগ? বিষয়টি কি সত্যিই। 

কাজী জাফরউল্লাহ: কেনো এমন কথা উঠবে? ওদের সমাবেশ তো হয়েছে। কেউ তো বাধা দেয়নি? এটা তো সবাই দেখেছে ওরা ভালোভাবেই সমাবেশ করেছে। তাদের সমাবেশ ভণ্ডুল করেনি বা বাধা দেয়নি। 

দেশ : আচ্ছা এবার অন্য বিষয়ে কথা বলতে চাচ্ছি যে ক্ষমতাসীন না জনগণের দিকে না তাকিয়ে বা বলা চলে চিন্তা না করে বাজেট দিয়েছে। এর পাশাপাশি দুর্নীতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে না। 

কাজী জাফরউল্লাহ: শুনেন, আওয়ামী লীগ একটা বড়ো রাজনৈতিক দল। তারা এখন সরকারে আছে। অন্যদিকে তারা (বিএনপি) অনেকদিন ধরে সরকারের বাইরে অবস্থান করছে। তাছাড়া তারা একটি বড়ো রাজনৈতিক দলও। তারা তো তাদের রাজনৈতিক কর্মসূচি দিয়েই কর্মী ধরে রাখতে হবে। এবং একটি রাজনৈতিক দলের উদ্দেশ্যই থাকে ক্ষমতায় যাওয়ার। ক্ষমতায় না গেলে তো তারা দলকে ধরেই রাখতে পারবে না। এটা আমাদের দলেরও বেলায় প্রযোজ্য। কোনো দলই দল ধরে রাখতে পারে না। 

দেশ: তাহলে কি বিএনপি হতাশা থেকে এইা ধরনের কথা বলছে। 

কাজী জাফরউল্লাহ: না, না, তা না..। তারা তাদের প্রয়োজনের থেকেই একথা বলছে। একটু দেরিতে হলেও তারা বুঝতে সক্ষম হয়েছে যে তারা যদি তাদের ভবিষ্যত ভোট ব্যাংকগুলি ধরে রাখতে না পারে, তৃণমূলকে চাঙ্গা রাখতে না পারে তাহলে তো তাদের কর্মীদের ধরে রাখতে পারবে না। 

দেশ: আপনি কি বলতে চাচ্ছেন যে তারা নির্বাচনে না গিয়ে তাদের ভুল শোধরাতে এসব কর্মসূচি দিয়েছে বা দিচ্ছে?

কাজী জাফরউল্লাহ : আমি তো তাদের কথা বলতে পারি না..কিন্তু রাজনৈতিকভাবে বিবেচনা করলে দেখা যায় যে, একটি রাজনৈতিক দল যদি জাতীয় নির্বাচনে না যেতে পারে, ক্ষমতায় যেতে না পারে, সংসদে না থাকতে পারে তাহলে তো তাদের অবস্থান তা পোক্ত থাকে না,, নাজুক হয়ে পড়ে।

শেয়ার করুন