বাংলা ভাষায় ‘আলুর দোষ’ বলে একটা কথা প্রচলিত। এ কথাটাতে কিছু একটা ঘাপলা আছে সম্ভবত। ‘যত দোষ নন্দ ঘোষ’-এর মতো এখানেও অকারণে বেচারা নিরীহ আলুকে টেনে আনা হয়। চরিত্রগত কিংবা স্বভাবজাত দোষ কারো থাকতেই পারে, কিন্তু সেটা প্রকাশ করতে আলুকে কেন কটাক্ষ করা হয় তা আমার বুঝে আসে না! নন্দ ব্যাটা যে কে তা ঠিকঠিকভাবে জানার উপায় এখন হয়তো নেই, কিন্তু সব দোষ নিজের কাঁধে তুলে নেওয়ার দায়ভার যে নিতান্তই তার, এ কথায় দ্বিমত সম্ভবত কেউই করবেন না। অবলীলায় মানুষ কারণে অকারণে বলে বসেন, ‘যত দোষ নন্দ ঘোষ’। নন্দ ব্যাটার কপাল খারাপ স্বীকার করতেই হবে।
বাংলাদেশে আমরা মহান ‘পিঁয়াজ স্যারের’ ক্যারিশমা দেখেছি। যখন তখন দাম ওঠে নামে। বাংলাদেশের গরিব নিম্নবিত্ত-মধ্যবিত্ত মানুষ কিন্তু ‘পেঁয়াজের দোষে’ দুষ্ট নন-ওসব বিলাসিতার সময় ও সামর্থ্য কোনোটাই তাদের নেই, তারা কাতরবোধ করেন যখন পেঁয়াজ হঠাৎ দুষ্টুমি শুরু করে। তুই বাপু গতকালও ২৫ টাকা ৩০ টাকা কেজি দরে আমাদের পলিথিনের ব্যাগ আলোকিত করলি, আর রাতে যখনই শুনলি প্রতিবেশী বন্ধু আচমকা তোর রফতানি বন্ধ করে দিয়েছে, অমনি তুই একলাফে পরদিন সকালে তোর দাম বাড়িয়ে ৫০-৬০ টাকায় নিয়ে গেলি। এটা কী ধরনের ভদ্রতা? আর তা-ও যদি ওখানে থেমে থাকতি, তা না, তুই চৌকা-ছক্কার ফুলঝুরি ছুটিয়ে এক দিনের মধ্যে ‘সেঞ্চুরি’ করে বসলি। একেবারে ক্রিজে গিয়ে দাঁড়াতে না দাঁড়াতেই সেঞ্চুরি!
পেঁয়াজ নিয়ে চিলির নোবেলজয়ী কবি পাবলো নেরুদা বহুকাল আগে রচনা করেছিলেন ‘ওদা আ লা সেবুইয়া’ (oda ala cebulla) শিরোনামের অসামান্য একটি কবিতা। স্প্যানিশ ভাষায় লেখা এ কবিতায় পেঁয়াজের লাবণ্য, সুরভি, শক্তি, গরিমা ও সুষমাকে কবি তুলে ধরেছেন অপরূপ উপমা-প্রতীক আর চিত্রময়তায়। নেরুদার এ কবিতাটি রচনার একটি পরিপ্রেক্ষিত আছে; আর সেই ইতিহাসের সঙ্গে জড়িয়ে আছে কবির তৃতীয় স্ত্রী মাতিলদে উররুতিয়ার নাম। নেরুদার আমৃত্যু প্রেরণা মাতিলদে তখন অবধি ছিলেন তার প্রেমিকা, স্ত্রী হয়ে ওঠেননি। মাতিলদের বাড়িতে মধ্যাহ্নভোজের দাওয়াতে গিয়েছিলেন কবি। রান্নাঘরের টেবিলে তিনি দেখতে পেলেন বাগান থেকে সদ্য তুলে আনা খোসা ছাড়ানো পেঁয়াজ। পেঁয়াজের ঝাঁজ তার চোখকে করে তুললো অশ্রুসিক্ত। পরে নেরুদা পেঁয়াজ নিয়ে লিখলেন তার অমর স্তবগান: ‘কোনোরূপ আঘাত না হেনে/ আমাদের কাঁদাতে পারো তুমি।’ ‘ওড টু দ্য অনিয়ন’ (ode to the onion) নামে এর ইংরেজি রূপান্তর করেছেন স্টিফেন মিচেল।
পরে নেরুদা ও মাতিলদেকে নিয়ে আলেক্সান্দ্রিয়া গিয়ারদিনো একটি বই লিখেছেন। ২০১৮ সালের ৯ অক্টোবর প্রকাশিত এ বইয়ের নামটিও তিনি দিয়েছেন এই কবিতারই নামে ওড টু দ্য অনিয়ন।
আমেরিকায় একসময় পেঁয়াজকে তুলনামূলকভাবে একটি নিরাপদ খাদ্য হিসেবে বিবেচনা করা হতো। কিন্তু সাম্প্রতিক কিছু তথ্যউপাত্ত বলছে, খাদ্যজনিত অসুস্থতার আশ্চর্যজনক উৎস হয়ে উঠেছে এ ফসলটি।
যুক্তরাষ্ট্রে গত কয়েক দশকের মধ্যে পেঁয়াজকে একটি উল্লেখযোগ্য খাদ্য নিরাপত্তা ঝুঁকি হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছেÑএমন রেকর্ড নেই। ১৯৯৮ থেকে ২০১৩ সালের মধ্যে পেঁয়াজের কারণে দেশটিতে মাত্র ১৬১টি খাদ্যজনিত অসুস্থতা রিপোর্ট করা হয়েছে। এর বিপরীতে বরং লেটুসের মতো পাতাযুক্ত শাকগুলোর কারণে হাজার হাজার মানুষের অসুস্থতার প্রমাণ পাওয়া গেছে। যা হোক, সম্প্রতি পেঁয়াজ নিয়ে মার্কিন ধারণাটি কিছুটা বদলে গেছে। কারণ ২০২০ সাল থেকে আমেরিকার বিভিন্ন প্রদেশে ই. কোলি এবং সালমোনেলার মতো একাধিক প্রাদুর্ভাবের সঙ্গে পেঁয়াজের সম্পৃক্ততা প্রমাণ হয়েছে।
পেঁয়াজ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে উদ্বেগজনক ঘটনাটি ঘটেছে সম্প্রতি। এ ঘটনার জেরে দেশটির বেশ কয়েকটি অঙ্গরাজ্যে অস্থায়ীভাবে একটি কোয়ার্টার পাউন্ডের বার্গার বিক্রি বন্ধ করে দিয়েছিল বিশ্বখ্যাত ম্যাকডোনাল্ডস। কারণ এ বার্গার খেয়ে ই. কোলাই থেকে অসুস্থ হয়ে পড়া অন্তত ৯০ জনকে শনাক্ত করা হয়েছিল। পরবর্তীতে এই অসুস্থতার জন্য বার্গারে ব্যবহৃত পেঁয়াজ কুচিকে দায়ী করে যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় রোগ নিয়ন্ত্রণ ও নিরাময় কেন্দ্র (সিডিসি)।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, সব ধরনের বিষাক্ত পদার্থের বিরুদ্ধে পেঁয়াজ সমানভাবে লড়াই করে না। বর্তমানে তারা পেঁয়াজ-সম্পর্কিত ঘটনাগুলোর নির্দিষ্ট উৎস শনাক্ত করার জন্য রীতিমতো সংগ্রাম করে যাচ্ছেন। পিঁয়াজ নিয়ে এতো কথা বললাম। এবার তাহলে পিয়াজ নিয়ে একটা গল্প শোনাই।
পাঠক আপনিও নিশ্চয়ই জানেন গল্পটা। তবু আপনার প্রখর স্মরণশক্তিটাকে একটু চাগিয়ে দেই। এক কুলীন পাত্রের শিক্ষাদীক্ষা, আদবকায়দা, বহুবিধ গুণাবলির কথা শোনার পর পাত্রীর পিতা ঘটকমশাইকে জিজ্ঞেস করলেন, তা ছেলের কোনো বদভ্যাস-টদভ্যাস নেই তো? জবাবে ঘটক বললেন, না না কর্তা, কোনো খারাপ অভ্যাস নেই ছেলেটির। তবে ওই একটু-আধটু পেঁয়াজের দোষ যে আছে এটা আমি না বললে অধর্ম হবে। ‘অ্যাঁ, কী বললেন? ছেলে পেঁয়াজ খায়?’ কর্তাবাবু যেন আকাশ থেকে পড়লেন। ‘না, সব সময় খায় না,’ ঘটক বললেন, ‘শুধু মাঝে মাঝে যেদিন পেঁয়াজ দিয়ে গো-মাংসের কাবাব খায়, পানটান করে...।’ ‘গো-মাংস? মদ্যপান? রাম, রাম! কী বলছেন এসব?’ কর্তার বুঝি এবার হার্ট অ্যাটাক হয়। ঘটক মশাই দ্রুত তাকে আশ্বস্ত করলেন : না না, কর্তাবাবু, ওটা তো রোজ না। কেবল যেদিন বন্ধুবান্ধবসহ মেয়েছেলে নিয়ে একটু ফুর্তি-ফার্তি করে আর কি।.. এরপর কর্তাবাবুর পতন ও মূর্ছা। তার মূর্ছাভঙ্গ হয়েছিল কি না জানা যায়নি, তবে সেই থেকে ‘একটু পেঁয়াজের দোষ’ প্রবচনটি বাংলা ভাষায় রীতিমতো জেঁকে বসে আছে।
বাংলাদেশি সাংবাদিকের নিউইয়র্ক জয়!
বাংলাদেশে বসবাসরত এবং আমেরিকাতে বেড়াতে আসা একজন টিভি সাংবাদিককে নিউইয়র্ক স্টেট অ্যাসেম্বলি অ্যাওয়ার্ড দিয়ে সম্মানিত করেছে। প্রেস বিজ্ঞপ্তি হিসেবে প্রেরিত এই খবরটি এখন নিউইয়র্কের পত্র-পত্রিকায় ঘুরছে। আলবেনীর ক্যাপিটল হিলের এই অ্যাওয়ার্ডটি তার কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বাফেলোতে। সেখানকার স্থানীয় দু’জন ব্যবসায়ীর উপস্থিতিতে আরেকজন বাংলাদেশি অ্যাওয়ার্ডটি তার হাতে তুলে দিয়েছেন।
বাংলাদেশের একজন সাংবাদিককে অ্যাওয়ার্ড দিয়ে যদি স্টেট অ্যাসেম্বলি সম্মানিত কওে, তাহলে তা আলবেনীর ক্যাপিটল হিলে দিলে তাকে আরো বেশি সম্মানিত করা হতো। নিদেনপক্ষে কোনো স্টেট অ্যাসেম্বলিম্যান ক্যাপিটল হিল, সিটিতে তার অফিস বা ক্যাপিটল হিলের বাইরে ছোট কোনো অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তুলে দিলে ব্যাপারটা আরো নান্দনিক হতো। কিন্তু স্টেটের অন্য একটা সিটিতে একজন বাংলাদেশি তুলে দিলেন অন্য দু’জন বাংলাদেশি ব্যবসায়ীর উপস্থিতিতে ব্যাপারটা কেমন অস্বস্তিকর মনে হয় নাকি!
বাংলাদেশি একজন সাংবাদিককে স্টেট কর্তৃক অ্যাওয়ার্ড দেওয়া অবশ্যই সম্মানের। এটা আমাদের সবাইকে গর্বিত করে। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে বাংলাদেশে বসবাসরত একজন সাংবাদিককে নিউইয়র্ক স্টেট অ্যাসেম্বলি সম্মাননা দেয় কীসের ভিত্তিতে? নিউইয়র্ক স্টেটের জন্য তার কি অবদান? আরো সোজাসুজি বলতে গেলে কারো অবদান বিবেচনা করে কি এসব অ্যাওয়ার্ড বিতরণ করা হয়?
দুর্মুখরা বলে, এসব অ্যাওয়ার্ডের ফরম্যাট জনপ্রতিনিধিদের কম্পিউটারে স্থায়ীভাবে থাকে। যখন যাকে প্রয়োজন পরে নাম-ঠিকানা বদল করে তা তুলে দেওয়া হয়। এখানে কারো বিশেষ কোনো অর্জন খতিয়ে দেখা হয় না। আমরা দেখেছি ইতিপূর্বে বাংলাদেশ জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি নিউইয়র্কে এমনি ধরনের অ্যাওয়ার্ড নিয়ে বাংলাদেশে গিয়ে মিডিয়ায় তা ফলাও করে প্রচার করেছেন।
নিউইয়র্কের লেখকের বই সেরা ১০ তালিকায়
প্রতি বছর সারা বিশ্বে প্রকাশনা সংস্থাগুলো থেকে লাখো বই প্রকাশিত হয়। বছর শেষে নানা সংস্থা বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে সেরা বইয়ের তালিকা করে। জনপ্রিয়তা, বিক্রি, আলোচনা, সমালোচনা ইত্যাদির ভিত্তিতে এই সেরা বইয়ের তালিকা করা হয়। তেমনই ওয়াশিংটন পোস্টের বুক ওয়ার্ল্ড বিভাগ বছরে সেরা ১০টি বইয়ের (ফিকশন ও নন-ফিকশন) তালিকা করেছে। এই তালিকায় স্থান পেয়েছে নিউইয়র্কের একজন লেখকের বই। নিউইয়র্কভিত্তিক সাংবাদিক ও লেখক অ্যাটোসা আরাক্সিয়া আব্রাহামিয়ানের নন-ফিকশন বই ‘দ্য হিডেন গ্লোব: হাউ ওয়েলথ হ্যাকস দ্য ওয়ার্ল্ড’। এ তালিকার অন্তর্ভুক্ত। ওয়াশিংটন পোস্টের ২০২৪ সালের সেরা বইয়ের তালিকার শুরুতেই আছে মার্কিন ঔপন্যাসিক ড্যানজি সেনার উপন্যাস ‘কালারড টেলিভিশন’।
তালিকার দ্বিতীয় অবস্থানে আছে মার্কিন লেখক ও ইউনিভার্সিটি অব সাউদার্ন ক্যালিফোর্নিয়ার ডিস্টিংগুইশড অধ্যাপক পার্সিভাল লিওনার্দ এভারেটের উপন্যাস ‘জেমস’। যুক্তরাষ্ট্রে জন্ম নেওয়া ব্রিটিশ-লিবিয়ান ঔপন্যাসিক হিশাম মাতার ২০১৭ সালে পুলিৎজার জিতেছেন। সেরা বইয়ের তালিকায় তৃতীয় অবস্থানে আছে তার উপন্যাস ‘মাই ফ্রেন্ডস’। পুলিৎজার পুরস্কারজয়ী মার্কিন ঔপন্যাসিক রিচার্ড পাওয়ারসের এ বছরের নতুন উপন্যাস ‘প্লে-গ্রাউন্ড।
মার্কিন লেখক ক্লেয়ার মেসুদের উপন্যাস ‘দিস স্ট্রেঞ্জ ইভেন্টফুল হিস্ট্রি’ সেরা বইয়ের তালিকার ৫ নম্বরে আছে।
বেলজিয়ামে জন্ম নেওয়া মার্কিন লেখক, সমালোচক ও শিল্পী লুসি সান্তের স্মৃতিকথামূলক বই ‘আই হার্ড হার কল মাই নেম: আ মেমোয়ার অব ট্রানজিশন’। বুকারজয়ী অস্ট্রেলীয় ঔপন্যাসিক ও চলচ্চিত্র পরিচালক রিচার্ড ফ্লানাগানের নন-ফিকশন বই ‘কোয়েশ্চেন সেভেন’। ফরাসি লেখক ও সাংবাদিক এমানুয়েল ক্যারেরার অপরাধ নিয়ে লেখা নন-ফিকশন বই ‘ভি থার্টিন: ক্রনিকল অব আ ট্রায়াল’। বইটি অনুবাদ করেছেন কানাডীয় অনুবাদক জন ল্যাম্বার্ট।
সেরা বইয়ের তালিকার ১০ নম্বরে আছে লেখক জন গ্যানজের ইতিহাস ও রাজনীতিভিত্তিক বই ‘হোয়েন দ্য ক্লক ব্রোক: কন মেন কনস্পাইরেসি অ্যান্ড হাউ আমেরিকা ক্র্যাকড আপ অন দ্য আর্লি ১৯৯০’।
পেরি পেরি চিকেন
গত সপ্তাহের দেশ পত্রিকায় আমার নির্দিষ্ট কলামে অন্য খবরের সঙ্গে ভোজনবিলাসীদের জন্য খাবারের সন্ধান দিয়েছিলাম। তারপর থেকে প্রচুর কল। অনেকেই জানেন আমি ভোজনবিলাসী একজন মানুষ। সময় সুযোগ পেলেই এদিক-ওদিক খেতে ছুটে যাই। তাই তাদের অনুরোধ মাঝে মধ্যে মাসে অন্তত দু’একদিন যেন খাবারের সন্ধান দেই। সে বিবেচনায় এ সপ্তাহে আমি নিয়ে যাবো একটি ফাস্ট ফুডের দোকানে। নাম- পরি পেরি চিকেন।
চিকেন তো সবাই খান। চিকেন ফ্রাই, চিকেন রোস্ট, চিকেন তান্দুরি, চিকেন কারি, কড়াই চিকেন, চিকেন বার বি কিউ ইত্যাদি নানা পদ্ধতিতে। কিন্তু আজ আমি আপনাদের নিয়ে যাবো একটা ভিন্নধরনের চিকেন খাওয়াতে। নাম- পেরি পেরি চিকেন। আর দোকানের সব চিকেনই হালাল।
পেরি পেরি একটি মরিচের নাম। কাঁচামরিচের মতো। এটা জন্মায় সাউথ আফ্রিকান টেরিটরিতে। বিশেষ করে মোজাম্বিকে। গবেষণা করে দেখা গেছে এই মরিচে আছে ভিটামিন এ, বি ও সি তিনটাই একত্রে। এই মরিচ শুকিয়ে গুঁড়ো করে সঙ্গে লেবুর রস, পেঁয়াজ এবং ভিনেগার পরিমাণমতো মিশিয়ে তৈরি করা হয় বিশেষ একধরনের সস। একটা চিকেনকে এ সস দিয়ে ভিজিয়ে মেরিনেট করে ২৪ ঘণ্টা রেখে তারপর আগুনের আঁচের ওপর রেখে রোস্ট করা হয়। তারপর তা আস্ত বা গ্রাহকের চাহিদামত পিস করে তার সামনে পরিবেশন করা হয়।
আমরা পেরি পেরি চিকেনের স্বাদ নিতে গিয়েছিলাম বেলরোজের চিকি’স (CHICY'S ) নামক একটি দোকানে। কথা হলো দোকান মালিকের সঙ্গে। জানালেন মোজাম্বিকের ৫০০ একর এলাকায় প্রায় ১ হাজার ৪০০ কৃষকের ফার্ম আছে। সেখান থেকে তারা এ মরিচ সংগ্রহ করেন। শুধু তারাই নন নিউইয়র্কসহ যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন স্টেটে এই পেরি পেরি চিকেনের দোকান রয়েছে। আছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশেও। তাদের সবাই এই এক জায়গা থেকে এ বিশেষ ধরনের মরিচ সংগ্রহ করে তৈরি করেন সস। যার মিশ্রণে তৈরি হয় পেরি পেরি চিকেন।
নিউইয়র্কের ভোজনরসিক যারা এই হালাল পেরিপেরি চিকেনের স্বাদ নিতে চান তারা ঘুরে আসতে পারেন এইঠিকানায়-
চিকি’স
২৪৮-৪৩ জেরিকো টার্নপাইক, নিউইয়র্ক-১১৪২৬
ফোন: ৭১৮ ৩৪৭ ৩৩০০
৩০ ডিসেম্বর ২০২৪