৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, শুক্রবার, ০৭:২০:১৪ পূর্বাহ্ন


মিশিগান ইউনিভার্সিটিতে ফিলিস্তিনপন্থী ছাত্র সংগঠনের সমঅধিকার আইন স্থগিত
দেশ রিপোর্ট
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৫-০২-২০২৫
মিশিগান ইউনিভার্সিটিতে ফিলিস্তিনপন্থী ছাত্র সংগঠনের সমঅধিকার আইন স্থগিত ইউনিভার্সিটি অব মিশিগান


ইউনিভার্সিটি অব মিশিগান কর্তৃপক্ষ গত ৩০ জানুয়ারি প্রভাবশালী ফিলিস্তিনপন্থী ছাত্র সংগঠন স্টুডেন্টস অ্যালায়েড ফর ফ্রিডম অ্যান্ড ইকুয়ালিটি (এসএএফই)-এর কার্যক্রম দুই বছরের জন্য স্থগিত করেছে। এ সিদ্ধান্তকে কেন্দ্র করে ক্যাম্পাসে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। ছাত্রসংগঠনটি দাবি করেছে, তাদের মতপ্রকাশের স্বাধীনতা হরণ করার লক্ষ্যে এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের ভাষ্যমতে, এসএএফই গত মে মাসে রিজেন্ট সারাহ হাবার্ডের বাসভবনের সামনে বিক্ষোভ এবং আগস্টে ফেস্টিভাল ইভেন্টে নিয়মবহির্ভূতভাবে প্রতিবাদ করায় নীতিমালা লঙ্ঘন করেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের মুখপাত্র কোলিন মাস্টোনি বলেন, এসব কর্মকাণ্ড বিশ্ববিদ্যালয় কমিউনিটির একজন সদস্যের জন্য গুরুতর হুমকি সৃষ্টি করেছিল। তবে স্টুডেন্টস অ্যালায়েড ফর ফ্রিডম অ্যান্ড ইকুয়ালিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের এই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে বলেছে, এটি তাদের ফিলিস্তিনপন্থী বার্তা স্তব্ধ করার একটি ষড়যন্ত্র। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া এক পোস্টে সংগঠনটি জানায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের নিষেধাজ্ঞা আমাদের থামাতে পারবে না। আমাদের আন্দোলন আরো শক্তিশালী হবে।

স্থগিতাদেশের ফলে স্টুডেন্টস অ্যালায়েড ফর ফ্রিডম অ্যান্ড ইকুয়ালিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের তহবিল পাওয়া এবং ক্যাম্পাসের কোনো জায়গা সংরক্ষণের সুযোগ হারাবে। তবে এক বছর পর সংগঠনটি বিশ্ববিদ্যালয়ের নীতিমালা সম্পর্কে সচেতনতা প্রদর্শন করলে পুনরায় স্বীকৃতির আবেদন করতে পারবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের এ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ছাত্রসংগঠনটি আপিল করার সুযোগ পেলেও ছাত্রসংগঠনের সমর্থকরা মনে করছেন, এটি একটি পরিকল্পিত পদক্ষেপ। প্রসঙ্গত, স্টুডেন্টস অ্যালায়েড ফর ফ্রিডম অ্যান্ড ইকুয়ালিটি ও অন্যান্য ফিলিস্তিনপন্থী সংগঠন সম্প্রতি মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যান আরবার ক্যাম্পাসে একাধিক বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করেছে। এসব কর্মসূচির মধ্যে কয়েকটি ঘটনায় পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ব্যবহার করেছে এবং বেশ কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে।

এছাড়া ক্যাম্পাসে সাম্প্রতিক সময়ে ইসলামোফোবিয়া ও অ্যান্টিসেমিটিজম ইস্যুতে উত্তেজনা বৃদ্ধি পেয়েছে। মুসলিম নাগরিক অধিকার সংগঠন কেয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে ইসলামোফোবিয়ার অভিযোগ এনেছে। অন্যদিকে ইহুদি ছাত্রদের ওপর একাধিক হামলার ঘটনাও ক্যাম্পাসে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে।

শেয়ার করুন