২৬ মার্চ ২০২৫, বুধবার, ০১:৩৪:০৬ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
আজ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস বাংলাদেশ ও মেক্সিকোর মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদার এদেশে আওয়ামী লীগের পুনর্বাসন আমরা হতে দিব না- আখতার হোসেন সাংবাদিকতা ব্যবস্থাকে সাংবাদিকবান্ধব করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে- মাহফুজ আলম আমাদের যেকোনো মূল্যে ঐক্য ধরে রাখতে হবে- তারেক রহমান প্যারিসে বাংলাদেশ কমিউনিটি মসজিদ ও ইসলামিক সেন্টারে পুরস্কার বিতরণ সংস্কার ও নির্বাচনকে যেভাবে মুখোমুখি করা হচ্ছে তা ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যমূলক- তারেক রহমান আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার কোনো পরিকল্পনা নেই- প্রধান উপদেষ্টা আ.লীগ নিষিদ্ধের দাবীতে মধ্যরাতে মিছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রে ফেন্টানাইলের কারণে ৫৫ হাজার মৃত্যু


এনসিপি’র গতিবিধিতে সবার নজর
সৈয়দ মাহবুব মোর্শেদ
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৫-০৩-২০২৫
এনসিপি’র গতিবিধিতে সবার নজর নতুন দলের আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে নেতৃবৃন্দ


নতুন রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) নিয়ে নানা জল্পনা কল্পনা শুরু হয়ে গেছে। দলটির জন্মের পর থেকে ইতিবাচক ও নেতিবাচক দিক নিয়ে আলোচনা এখন তুঙ্গে। নতুন দলের আগমনে আপাতত কোনো কোনো দল পুলকিত। আবার কারো মধ্যে বিব্রতকর অবস্থা-ও লক্ষ্য করা গেছে। কেউ আবার ২৪’এর একদল বিপ্লবী আপোষহীন সংগ্রামী তরুণদের সাথী হিসাবে পাওয়া গেছে বলে মনে করছেন। তবে দলটি কার আনুকল্যে তৈরি হলো? কা-র বা কাদের ছায়ায় সামনের দিনগুলিতে এগুবে সেদিকে সবার নজর। 

অবশেষে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আত্মপ্রকাশ ঘটলো। জুলাই অভ্যুত্থানের সামনের সারির নেতাদের নিয়ে গত ২৮ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার নতুন দলের যাত্রা শুরু হলো। নাগরিক পার্টির আহ্বায়ক হয়েছেন নাহিদ ইসলাম। সদস্য সচিব হলেন আখতার হোসেন। জাতীয় নাগরিক পার্টির ২১৭ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি অনুমোদনও দেওয়া হয়েছে।

সহজ সরলভাবে আছে ভবিষ্যতের কথা

একটি নতুন সংবিধান প্রণয়নই প্রথম লক্ষ্য-এমনটি জানিয়েছেন ‘জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতারা। সেকেন্ড রিপাবলিক প্রতিষ্ঠার জন্য গণপরিষদ নির্বাচনের মাধ্যমে তারা একাজটি করবে বলে জানায়। আর সাদামাটাভাবে দলটির পক্ষ থেকে বলা হয় যে, তারা বাংলাদেশকে সামনে রেখেই যা যা করার তা করবে। এ দেশের জনগণের স্বার্থকে সামনে রেখে রাষ্ট্রকে বিনির্মাণ করার কথা ঘোষণা করেছেন দলের তরুণ নেতারা। বলেছেন, তারা সামনের কথা বলতে চায়। পেছনের ইতিহাস অতিক্রম করে সম্ভাবনার বাংলাদেশের কথা বলতে চায়। এর পাশাপাশি নাগরিক পার্টির নেতারা ভারত ও পাকিস্তানপন্থি রাজনীতির ঠাঁই বাংলাদেশে হবে না বলে সাফ সাফ জানিয়ে দিয়েয়েছেন। আর বলা হচ্ছে, সংসদে কে যাবে তা জনগণ নির্ধারণ করবে, ভারত নয়। আশাবাদের বাণী শুনিয়ে বলেছেন, বিভাজনের রাজনীতির দিন শেষ। তরুণরা নেতৃত্ব দিয়ে চাঁদাবাজ ও দখলদারমুক্ত বাংলাদেশ গড়বে। সেখানে দিনের ভোট রাতে হবে না। বলেছেন, নেতা নির্ভর নয় নীতিনির্ভর বাংলাদেশ হবে। থাকবে না পরিবারতন্ত্র। ক্ষমতা শুধু ব্যক্তি বা পরিবারের কাছে কুক্ষিগত থাকবে না।

শুরুতে কিছু বির্তক : ‘সেকেন্ড রিপাবলিক’ নিয়ে ধোয়াশা

এনসিপি আত্মপ্রকাশের শুরুতেই ‘সেকেন্ড রিপাবলিক’ নিয়ে একটা বির্তকের পাশাপাশি এনিয়ে জনমনে নানান ধরনের প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। কেননা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাদের উদ্যোগে আত্মপ্রকাশ করা নতুন রাজনৈতিক দল এনসিপি এই সেকেন্ড রিপাবলিক প্রতিষ্ঠার কথা জানিয়েছে। আসলে মূল কথা হলো বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা মনে করছেন যে তাদের অবজারভেশন হচ্ছে দেশের বর্তমান সংবিধান বাতিল করে সমসাময়িক রাজনৈতিক সামাজিক অবস্থা বিবেচনা করেই শাসনব্যবস্থা চালু করতে হবে। এদিকে সর্বশেষ ৪ মার্চ মঙ্গলবার সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে নতুন এই রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক মো. নাহিদ ইসলাম পুরোনো সংবিধান এবং শাসন কাঠামো রেখে নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণ সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেছেন। তবে এই বিষয়টি নিয়ে ধীরে ধীরে সবাই কথা বলতে শুরু করেছেন। 

এরা কি কিংস পার্টি?

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাদের উদ্যোগে আত্মপ্রকাশ করা নতুন রাজনৈতিক দল এনসিপি নিয়ে সবচেয়ে বড়ো প্রশ্ন চলমান ‘এরা কারা’। এদের পেছনে কারা? কাদের দ্বারা এরা লালিত পালিত হলো বা হচ্ছে বা ভবিষ্যতে হবে? এরা কি ভবিষ্যতে সরকারি আনুকল্য পাচ্ছে বা পাবে? এমন বির্তকের মাঝে একটি ঘটনা সকলকে চমকে দেয়, তা ছিল সরকারিভাবে বাস রিকুইজিশনের ঘটনা। রাজধানীর মানিক মিয়া এভিনিউতে সমাবেশ করার মাধ্যমে এনসিপি’র আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠান উপলক্ষে গত ২৮ ফেব্রুয়ারি শুক্রবারে বিপুল জনসমাগম নিয়েই প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। এমনিতেই ছাত্রদের রাজনৈতিক দল নিয়ে শুরু থেকেই নানা অভিযোগ করে আসছে বিএনপিসহ অনেকে। অনেকেরই অভিযোগ অন্তর্বর্তী সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় গড়ে উঠেছে ছাত্রদের এই রাজনৈতিক দল। এমন প্রচারণার মাঝে আগুনে ঘি ঢেলে দেয়া হয়েছে সরকারিভাবে বাস রিকুইজিশনের ঘটনাটি। ছাত্রদের রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে জনসমাগম বাড়াতে পিরোজপুর জেলা প্রশাসক ৫টি বাস রিকুইজিশন দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। বাসগুলো জাতীয় নাগরিক কমিটির পিরোজপুর প্রতিনিধি মুসাব্বির মাহমুদ সানির কাছে বুঝিয়ে দিতে বলা হয়েছে একদিনের জন্য। যাতে করে পিরোজপুর থেকে বাসে করে নতুন রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে হাজির হতে পারেন দলের নেতাকর্মীরা। অভিযোগ উঠেছে, দেশের প্রায় ২৬টি জেলা থেকেই এ ব্যবস্থা করা হয়েছে? এমন অভিযোগের ব্যাপারে একপর্যায়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলমকে ব্যাখ্যা দিতেও হয়েছে। এনসিপি আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে সরকারিভাবে বাস আসার বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের কোনো হস্তক্ষেপ নেই বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। শফিকুল আলম বলেন, এনসিপির আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে লোক আনতে সরকারিভাবে বাস রিকুইজিশনের ঘটনাকে কেন্দ্র করে যেটি ঘটেছে তা অতিরঞ্জিত। পিরোজপুর থেকে বাসযোগে সমাবেশে যোগ দেওয়ার ঘটনায় সরকারের কোনো ভূমিকা নেই। 

এলজিবিটিকিউ বিতর্ক

এদিকে নতুন এই দলটির পেছনে কারা বা কি উদ্দেশ্যে গঠন করা হয়েছে তা নিয়ে যখন বির্তক তুঙ্গে তখনই একটি বিষয় নিয়ে সবাইকে ভাবিয়ে তুলেছে। সে-টি হলো এলজিবিটিকিউ বির্তক। অন্তর্বর্তী সরকার থেকে পদত্যাগ করে তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলামকে এনসিপির আহ্বায়ক করে ১৭১টি পদের কমিটি গঠন করা হয়েছে। আর এই কমিটি নিয়েই তৈরি হয়েছে সেই বিতর্কটি। কেননা দলটির কমিটিতে নাম এসেছে মুনতাসির মামুন নামে এক ব্যক্তির। তার বিরুদ্ধে এলজিবিটিকিউ সম্প্রদায়ের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। এলজিবিটিকিউ সম্প্রদায় বলতে বুঝায় যারা গে, লেসবিয়ান, বা সমকামী এজেন্ডা নিয়ে কাজ করেন। ধারণা করা হচ্ছে মুনতাসির মামুন পশ্চিমা এলজিবিটিকিউ সম্প্রদায় যেমন- গে, লেসবিয়ান বা সমকামী এজেন্ডা বাস্তবায়নে রাজনৈতিকভাবে কাজ করবেন। আর এতে করে একটি বিষয়ও স্পস্ট হয়ে উঠেছে মুনতাসির মামুনের নাম যেভাবেই হোক কমিটিতে নিয়ে আসাকে একটি ভিন্ন পরিস্থিতি তৈরি করছে। বলা হচ্ছে, এলজিবিটিকিউ সম্প্রদায়ের পক্ষে কাজ করাসহ পশ্চিমা কালচার বাস্তবায়নে কি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-আন্দোলনের পেছনে পশ্চিমারা কাজ করেছে। এছাড়া কারো কারো মুখে শোনা যাচ্ছে পশ্চিমা কয়েকটি দেশ তাদের শিক্ষা-সংস্কৃতি ও তথাকথিত কালচারকে প্রতিষ্ঠা করতে কোমলমতি ছাত্রদের ব্যবহার করে বাংলাদেশে একটি ভিন্ন পরিবেশ তৈরি করতে চায়। তবে এসবের সত্যতা বা প্রমাণ না মিললেও বাংলাদেশের মতো মুসলিম দেশে সমকামিতা উসকে দিতে এমন ব্যক্তিকে নাগরিক পার্টিতে জায়গা দেওয়া হয়েছে কেনো? সে প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে। প্রশ্ন উঠেছে আবু সাঈদরা কি কাওমে লুত তথা এলজিটিভি মতাদর্শ বাস্তবায়নের জন্য শহিদ হয়েছেন? শোনা যায় নাগরিক পার্টিতে গে অ্যাক্টিভিস্ট মুনতাসির মামুনকে পজিশন দেওয়া হয়েছে। তিনি হোচিমিনসহ দেশের অন্যান্য এলজিটিভি অ্যাক্টিভিস্টিদের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে আসছেন। জানা গেছে, আলেকজান্ডার স্কোর হলেন মার্কিন বিলিয়নিয়ার জর্জ স্কোর এর ছেলে। এদের আন্তর্জাতিক সংস্থার নাম হচ্ছে স্যারশ ফাউন্ডেশর, জিজি জর্জ সরজ এর আর্থিক সহায়তা নিয়ে সারা বিশ্বে সমকামীদের মুভমেন্ট চলছে। 

নতুন দল নিয়ে একটি বিশ্লেষণ

দেশে চলমান বড় রাজনৈতিক দলগুলি নিয়ে একেক জন একেক রকম টেনশন রয়েছে। এরই মধ্যে নতুন দলটির গঠনের খবরে কেউ পুলকিত বোধ করলেও সামনের দিনগুলিতে কি তবে সে ব্যাপোরে তাদের চিন্তা তা-কিন্ত না। কারণ রাষ্ট্রক্ষমতায় যাওয়ার রসদ সামগ্রী কার কতটা তাও দেখার বিষয় আছে। তার চেয়ে বড়ো উদ্বেগের বিষয় কোনো একটি পক্ষের গুটির চালে দেশে এমন মেধাবী নেতৃত্ব নির্মমভাবে হারিয়ে গেলে ভবিষ্যত প্রজন্ম বাংলাদেশ নিয়ে ভাবা কমিয়ে দেবে। যা সবার উদ্বেগ উৎকন্ঠার বিষয়। কেননা ২৪’এর ছাত্র-জনতার আন্দোলনে জন্ম নেয়া নতুন রাজনৈতিক দলের ব্যাপারে নানান মত শোনা যায়। একটি সূত্র মনে করে, ২৪’এর ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয়া ছাত্ররা ধারণা করছে, দেশের বিরাট অংশকে তারা ফ্যাসিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে মাঠে নামাতে পেরেছিল। ছাত্রদের সে-ই আন্দোলনকে সবাই একেবারে দলমত নির্বিশেষে শিক্ষার্থীদের একটি স্বাধীন প্লাটফরম মনে করেই ঝাঁপিয়ে পড়েছে। নিরপেক্ষ মঞ্চ মনে করে, ২৪’এর ওই ছাত্র-জনতার আন্দোলনে দল মত পরিচয় ফেলে দিয়ে অংশ নেন। কিন্তু কিছুদিন না যেতেই এমন আন্দোলনকে বাংলাদেশের মুক্তিযদ্ধে সরাসরি বিরোধীতাকারী একটি রাজনৈতিক দল ও তাদের ছাত্রদের সংগঠন শক্তভাবে প্রচার করতে শুরু করে নিজেদের একক কৃতিত্ব বলে। জোরশে বলতে থাকে তারাই ২৪’এর ওই ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মাস্টারমাইন্ড ও প্রধান শক্তি। দেশে বিদেশে এনিয়ে সরব আলোচনা জমে উঠে বাংলাদেশে ছাত্র জনতার আন্দোলন কি তা-হলে মৌলবাদী সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীর ব্যানারেই হয়েছিল? আর এমন প্রচারণার পাশাপাশি রাজনৈতিক সামাজিক এমনকি রাষ্ট্রর বিভিন্ন প্রশাসন যন্ত্রেও তাদের শক্ত উপস্থিতি বিষয়টি নিশ্চিত করছে যে তারা এখন দেশকে নিয়ন্ত্রণ করছে। এর পরবর্তীতে দেখা যায় যে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিজয়কে একটি রাজনৈতিক দল নিজের পকেটে রাখতে চায়, যা পুরো দেশবাসীকে ভাবিয়ে তুলেছে। তাদের মধ্যে এখন প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে কাদের ডাকে? কাদের উদ্দেশ্য সাধনে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের শাসনকে সরাতে কোমলমতি ছাত্ররা ঐক্যবদ্ধ হয়েছিল? একটি যুদ্ধ মনে করে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল? ধীরে ধীরে এমন ধারণা এখন সর্বত্র উঠে আসছে। কারো কারো মতে এমন আশঙ্কা এমন ধারণা বা ক্ষোভ একসময়ে বিষ্ফোরিত হতে পারে। সেক্ষেত্রে ২৪’এর ওই ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সম্পৃক্তদের একটি বড়ো অংশের পাশাপাশি রাষ্ট্রের স্পর্শকাতর অনেক প্রতিষ্ঠান, ব্যক্তি মহাঝুঁকিতে পড়তে পারে। একিই সঙ্গে লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে, মাঠের বড়ো রাজনৈতিক দল বিশেষ করে বিএনপি ও তার সাথে যুগপৎ আন্দোলনের সঙ্গীরা যারা মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের উদার গণতান্ত্রিক দল বলে পরিচিত তারা-ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয়া বড়ো অংশের সাথে একটা দূরত্ব তৈরি করেছে বা হয়ে গেছে। সেক্ষেত্রে ২৪’এর ওই ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সম্পৃক্তদের ভবিষ্যতে রাজনীতিতে বা দেশ গঠনে কতটা স্পেস বা সুযোগ করে দেবেন সে-বিষয়টি এখন আলোচনায়। কারো কারো মতে, বিএনপি ও তার সাথে যুগপৎ আন্দোলনের সঙ্গীরা যারা মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের উদার গণতান্ত্রিক দল বলে পরিচিত তাদের পক্ষ থেকে ২৪’এর ওই ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সম্পৃক্তদের নিয়ে ভবিষ্যত পরিকল্পনার ব্যাপারে সুস্পস্ট ধারণা বা আশ্বাস মিলছে না বা পাওয়া যাচ্ছে না। আর একারণে ২৪’এর ওই ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সর্ম্পক্তরা একটি নতুন মঞ্চ বা স্থান করে নিয়েছেন নতুন রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)’র ব্যানারে যা তাদের বর্তমান ও ভবিষ্যতে অবস্থানকে সুদৃঢ করতে। 

কোন পথে হাঁটবে এনসিপি

তবে এই এনসিপি নিয়ে কিছু সন্দেহের পাশাপাশি কারো কারো মধ্যে রয়েছে আশঙ্কাও। তাদের মতে ধরে নেয়া যাক এনসিপি কিংস পার্টি না। তবে তারা কি কারো পথের কাঁটা হয়ে দাঁড়াবে? তারা কি আরও অন্য ইস্যুতে দেশকে অন্যদিকে নিয়ে যাবে? তারা কি কোনো জোটের ছায়ায় নির্বাচন করবে? সম্প্রতি এমন খবর রেরিয়েছে যে, নির্বাচনী জোট গড়তে বিএনপি, এবি পার্টি, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (বিজিপি)’র সাথে যোগাযোগ করে যাচ্ছে। তবে একটি সূত্র জানায়, এনসিপি বিএনপি’কে সব দিক থেকেই এখন নিরাপদ মনে করছে। তারা মনে তাদের জন্য বিএনপি’র মতো একটি বড়ো দলের সমর্থন বা আশ্রয় স্থল এখন ও ভবিষ্যতে অনেক নিরাপদ। তবে সেক্ষেত্রে জামায়াতের মত দল চুপ করে বসে থাকবে কিনা সন্দিহান অনেকে। কারণ এনসিপি’ত ভেতরে জামায়াতেরই একটি বড়ো অংশ সক্রিয় বা শীর্ষ স্থানে বসে কলকাটি নেড়ে যাচ্ছে। কারো কারো মতে, এনসিপি হয়তবা তাদের আর্শিবাদের গড়া আরেকটি প্লাটফরম। সময় সুযোগ মতে এটিকে তারাই নিজেদের মতো সাজিয়ে নেবে। তবে এমন ধারণা-র সত্যতা দেখতে আরও কিছুদিন সময় নেবে বলে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহল মনে করেন।

শেয়ার করুন