২৭ এপ্রিল ২০১২, শনিবার, ৬:০৮:০৩ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
‘ব্রাজিল থেকে জীবন্ত গরু আনা সম্ভব, তবে প্রক্রিয়া জটিল’ খালেদা জিয়ার সঙ্গে মির্জা ফখরুলের ঘন্টাব্যাপী সাক্ষাৎ বিশ্বের প্রতি যুদ্ধকে ‘না’ বলার আহ্বান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭ জানুয়ারির সংসদ নির্বাচনে গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা প্রতিষ্ঠা হয়েছে - হাবিবুল মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের প্রতিবেদন অনুমান ও অপ্রমাণিত অভিযোগ নির্ভর- পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয় ইউরোপে ভারতীয় ৫২৭ পণ্যে ক্যান্সার সৃষ্টিকারি উপাদন শনাক্ত বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের প্রবেশে কড়াকড়ি বিএনপির আন্দোলন ঠেকানোই ক্ষমতাসীনদের প্রধান চ্যালেঞ্জ বিএনপিকে মাঠে ফেরাচ্ছে আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন নিয়ে অদৃশ্য চাপে বিএনপি


ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সংশোধনের আহ্বান জাতিসংঘের হাই কমিশনের
দেশ রিপোর্ট
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৮-০৩-২০২৩
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সংশোধনের আহ্বান জাতিসংঘের হাই কমিশনের জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার টুর্ক


জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার টুর্ক ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সংশোধনের জন্য বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। গত ৭ মার্চ মঙ্গলবার জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদে দেওয়া বক্তৃতায় বিভিন্ন দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি তুলে ধরার সময় বাংলাদেশ প্রসঙ্গে ভলকার টুর্ক তাঁর পূর্বসূরি মিশেল ব্যাশেলেতের আহ্বানেরই পুনরাবৃত্তি করলেন। গত ২৭ ফেব্রুয়ারি শুরু হওয়া মানবাধিকার পরিষদের ৫২তম অধিবেশনের বক্তৃতায় হাইকমিশনার টুর্ক ৪০টি দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতির কোন কোন বিষয়ে তাঁর উদ্বেগ রয়েছে, তা তুলে ধরেন।

বাংলাদেশে রাজনৈতিক সহিংসতা বাড়তে থাকা, রাজনৈতিক কর্মীদের নির্বিচার গ্রেপ্তার, নির্বাচন সামনে রেখে মানবাধিকার এবং গণমাধ্যমকর্মীদের অব্যাহত হয়রানির কথা উল্লেখ করে এর জন্য ভলকার টুর্ক হতাশা প্রকাশ করেন।

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের বিষয়ে ভলকার টুর্ক বলেন, তাঁর দপ্তরের সঙ্গে দীর্ঘ আলোচনার পর তিনি এটিকে সংশোধন করার আহ্বান জানাচ্ছেন। তিনি বলেন, যারা তাদের স্বাধীন মতপ্রকাশ এবং বিশ্বাসের অধিকার প্রয়োগ করছে, তাদের বিরুদ্ধে এই আইন প্রয়োগর মাধ্যমে ফৌজদারি সাজা দেওয়া অব্যাহত রয়েছে।

এর আগে গত বছরের আগস্টে বাংলাদেশ সফরের সময় সাবেক হাইকমিশনার মিশেল ব্যাশেলেত বলেছিলেন, তাঁর দপ্তর সরকারের কাছে আইনটি সংশোধনে সুনির্দিষ্ট সুপারিশমালা পেশ করেছে। তিনি তখন ওই সুপারিশ অনুযায়ী আইনটি সংশোধনের আহ্বান জানিয়েছিলেন।

গত ছয় মাসেও এই বিষয়ে সরকার কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ায় হাইকমিশনারের দপ্তরে সুপারিশমালার বিস্তারিত প্রকাশের জন্য যোগাযোগ করলে তাঁরা জানান যে ওএইচসিএইচআর তিনটি মূল ইস্যুর কথা উল্লেখ করেছে। ভিন্নমত প্রকাশকে অপরাধ হিসেবে গণ্য করা, কথিত অপরাধ প্রতিরোধের ক্ষমতার পরিধির ব্যাপকতা ও জামিন ছাড়া দীর্ঘ সময়ের বন্দিত্বের বিষয়গুলো সংশোধনের জন্যই তাঁরা সরকারকে ব্যবস্থা নিতে বলেছেন।

শেয়ার করুন