২৬ এপ্রিল ২০১২, শুক্রবার, ১০:৫৩:০৭ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
‘ব্রাজিল থেকে জীবন্ত গরু আনা সম্ভব, তবে প্রক্রিয়া জটিল’ খালেদা জিয়ার সঙ্গে মির্জা ফখরুলের ঘন্টাব্যাপী সাক্ষাৎ বিশ্বের প্রতি যুদ্ধকে ‘না’ বলার আহ্বান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭ জানুয়ারির সংসদ নির্বাচনে গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা প্রতিষ্ঠা হয়েছে - হাবিবুল মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের প্রতিবেদন অনুমান ও অপ্রমাণিত অভিযোগ নির্ভর- পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয় ইউরোপে ভারতীয় ৫২৭ পণ্যে ক্যান্সার সৃষ্টিকারি উপাদন শনাক্ত বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের প্রবেশে কড়াকড়ি বিএনপির আন্দোলন ঠেকানোই ক্ষমতাসীনদের প্রধান চ্যালেঞ্জ বিএনপিকে মাঠে ফেরাচ্ছে আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন নিয়ে অদৃশ্য চাপে বিএনপি


কেন্টাকিতে বন্যায় ২৫ জনের মৃত্যু
দেশ রিপোর্ট
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৪-০৮-২০২২
কেন্টাকিতে বন্যায় ২৫ জনের মৃত্যু


 আমেরিকার সবচেয়ে দরিদ্র এলাকাগুলোর কয়েকটিতে রেকর্ড ভঙ্গকারী বন্যায় গোটা বসতি ভেসে গিয়েছে। সেখানে ন্যাশনাল গার্ডের সহায়তায় উদ্ধারকারী দলগুলো ২৯ জুলাই নিখোঁজ মানুষদের সন্ধান করে। কেন্টাকি অঙ্গরাজ্যের গভর্নর জানান যে, ২৫ জন নিহত হয়েছেন। তিনি শঙ্কা করছেন যে, বৃষ্টিপাত এভাবে অব্যাহত থাকলে মৃতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে।

কেন্টাকিতে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত পেরি কাউন্টির জরুরি ব্যবস্থাপনা পরিচালক জেরি স্টেসি বলেন, আমাদের এখনো অনেক সন্ধান করা বাকি রয়েছে। এখনো মানুষজন নিখোঁজ রয়েছেন।

অ্যাপালেসিয়ানের উপত্যকা ও খাঁড়িগুলোর নদীনালা ঘেঁষে থাকা শহরগুলো শক্তিশালী বন্যার স্রোত নিমজ্জিত হয়ে গিয়েছে। এর ফলে অচল গাড়িগুলো স্তূপ হয়ে পড়ে আছে, পানির তোড়ে ধুয়ে ভেসে আসা আবর্জনাগুলো সেতু এবং বাসাবাড়ি ও দোকানপাটের গায়ে লেগে স্ত‚প হয়ে গিয়েছে। খাঁড়া ঢাল বেয়ে নেমে আসা ভ‚মিধসে অনেক মানুষ বিচ্ছিন্ন এবং বিদ্যুৎহীন অবস্থায় রয়েছেন। এমন পরিস্থিতে উদ্ধারকাজও কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে।

ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শনের আগে গভর্নর অ্যান্ডি বেশিয়ার এপিকে বলেন যে, কেন্টাকিতে নিহত ১৫ জনের মধ্যে শিশুও রয়েছে, কিন্তু আমি শঙ্কা করছি যে, এই সংখ্যাটি দ্বিগুণ হতে পারে, এমনকি আজকের দিনের মধ্যেই।

তিনি বলেন, নিখোঁজ থাকা মানুষের সংখ্যা নির্ণয় করা ‘কঠিন’। কারণ বিপর্যস্ত এলাকা জুড়েই মোবাইল ফোন পরিষেবা এবং বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে। ২০০ জনেরও বেশি মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন বলে বেশিয়ার জানান। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোতে তিনি ন্যাশনাল গার্ডের সৈন্যদের মোতায়েন করেছেন। তিনটি পার্কে আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। সম্পদের এতো ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির কারণে গভর্নর ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য অনুদান সংগ্রহ করতে একটি অনলাইন পোর্টাল চালু করেছেন।

বেশিয়ার গত ২৮ জুলাই বলেন, আমার ধারণা কেন্টাকিতে অন্তত এক দীর্ঘসময়ের মধ্যে হওয়া এটিই সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ও ভয়াবহ বন্যা হয়ে উঠবে।


শেয়ার করুন