২৭ এপ্রিল ২০১২, শনিবার, ০৪:০৫:৫৩ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
‘ব্রাজিল থেকে জীবন্ত গরু আনা সম্ভব, তবে প্রক্রিয়া জটিল’ খালেদা জিয়ার সঙ্গে মির্জা ফখরুলের ঘন্টাব্যাপী সাক্ষাৎ বিশ্বের প্রতি যুদ্ধকে ‘না’ বলার আহ্বান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭ জানুয়ারির সংসদ নির্বাচনে গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা প্রতিষ্ঠা হয়েছে - হাবিবুল মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের প্রতিবেদন অনুমান ও অপ্রমাণিত অভিযোগ নির্ভর- পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয় ইউরোপে ভারতীয় ৫২৭ পণ্যে ক্যান্সার সৃষ্টিকারি উপাদন শনাক্ত বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের প্রবেশে কড়াকড়ি বিএনপির আন্দোলন ঠেকানোই ক্ষমতাসীনদের প্রধান চ্যালেঞ্জ বিএনপিকে মাঠে ফেরাচ্ছে আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন নিয়ে অদৃশ্য চাপে বিএনপি


বিএনপি’র শেষ গন্তব্য নিয়ে দুশ্চিন্তায় সরকার
সৈয়দ মাহবুব মোর্শেদ
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৯-১০-২০২২
বিএনপি’র শেষ গন্তব্য নিয়ে দুশ্চিন্তায় সরকার বিএনপির ময়মনসিংহ মহাসমাবেশ


বিভাগীয় শহরে বিএনপি’র সমাবেশ অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠেছে আওয়ামী লীগ সরকারের কাছে। এসব সমাবেশে বিপুল সংখ্যক জনসমাবেশ ঠেকাতে রাজনৈতিক ও প্রশাসনিকভাবে নানান ধরনের কলা কৌশল নিয়েও সুবিধা করতে পারছে না সরকার। এতে করে দিনের পর দিন বিভাগীয় সম্মেলনে বিএনপি ব্যাপকভাবে চাঙ্গা হয়ে উঠছে, এর পাশাপাশি দলের নেতাকর্মীরাও উজ্জীবিত হচ্ছে। যদিও স্বতঃস্ফূর্ত সমাবেশের পেছনে রয়েছে অন্যরকম দৃশ্যপট। রয়েছে রাজনীতির অন্যরকম হিসাব-নিকাশ। তবে বিভাগীয় সমাবেশগুলি সরকারের জন্য মারাত্মক মাথা ব্যাথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। 

ক্ষমতাসীন দল বিএনপি’র এধরনের কর্মসূচি না পারছে শক্তভাবে বাধা দিতে আবার পাল্টাও কিছু করতে পারছে না। সরকারের মাথা ব্যাথা বিএনপি’র বিভাগীয় সম্মেলনগুলি না অন্যদিকে টার্ন নেয়, পুরো রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট না পাল্টে দেয়। সরকারি দল বিএনপি’র বিভাগীয় সম্মেলনের শেষ গন্তব্য নিয়ে দুশ্চিন্তায়। খবর সংশ্লিষ্ট সূত্রের। 

সরকার বিরোধী আন্দোলনের অংশ হিসেবে দেশের দশটি সাংগঠনিক বিভাগে গণ সমাবেশ শুরু করেছে বিএনপি। গত ২৭ সেপ্টেম্বর বিএনপি ৯টি বিভাগে গণসমাবেশের কর্মসূচি ঘোষণা করে। প্রথমটি হয় চট্টগ্রামে। এরপর করেছে ময়মনসিংহে। এরপর রয়েছে ২২ অক্টোবর খুলনা, ২৯ অক্টোবর রংপুর, ৫ নভেম্বর বরিশাল, ১২ নভেম্বর ফরিদপুর, ১৯ নভেম্বর সিলেট, ২৬ নভেম্বর কুমিল্লা, ৩ ডিসেম্বর রাজশাহী ও ১০ ডিসেম্বর ঢাকায়। শেষ সমাবেশটি হবে আগামী ১০ ডিসেম্বর ঢাকার নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ের সামনে হওয়ার কথা রয়েছে। ওই সমাবেশকে ‘মহাসমাবেশ’ ঘোষণা দিয়েছে দলটি। এর আগে প্রথম ধাপে ২২ আগস্ট থেকে ১০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দেশব্যাপী জেলা, উপজেলা, থানা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে বিএনপি। 

কেমন হলো  দু’টি বিভাগীয় সমাবেশ

চট্টগ্রাম ও ময়মনসিংহে বড় দুটি গণসমাবেশ করেছে বিএনপি। এসব সমাবেশে মধ্য দিয়ে বিএনপি বেশ চাঙ্গা। কারণ তারা এসব সমাবেশে এত জনসমাবেশের আশা করলেও সফল হবেন বলে ধরে নেননি। এর কারণ তাদের মনে ভয়ের পাশাপাশি ছিল দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বা ভারাপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমানের উপস্থিতি ছাড়া প্রচুর জনসমাগম হবে কি-না? তাছাড়া সন্দিহান ছিল সরকারের বিভিন্ন ধরনের চাপে এসব বিভাগীয় এলাকা থেকে লোকজন আদৌ আসবে কি-না? ধরপাকড় মামলা- হামলা নিয়ে এসব সমাবেশে তাদের নেতাকর্মীরা আদৌ সফল করতে পারবে কি-না? কিন্তু এসব সমাবেশে নেতাকর্মীদের পাশাপাশি সাধারণ জনগণের অংশগ্রহণে বিএনপি খুশি।

কারণ এলাকায় এলাকায় নেতাকর্মীদের নামে হাজার হাজার মামলা। এসব মামলায় কেউ জামিনে আছে, কেউ পালিয়েও বেড়াচ্ছে। কিন্তু এসব ত্যাগি নেতারা মামলা- হামলা মাথায় নিয়েও সমাবেশ সফল করে যাচ্ছে বলে দলের নেতারা মনে করেন। এবং তারা সামনের আন্দোলন নিয়ে আশাবাদী হয়ে উঠছেন বলে জানা গেছে। আর সে লক্ষ্যকে সামনে রেখে বিএনপি চট্টগ্রাম ও ময়মনসিংহের চেয়ে বেশি মানুষের জমায়েত চায় খুলনাতেও। খুলনার সমাবেশে দলের নেতাকর্মী না শুধু লাখো মানুষের উপস্থিতি ঘটানোর আশা দলটির নেতাদের। 

এ জন্য চলছে সর্বাত্মক চেষ্টা। ভোট চাওয়ার মতো করে মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে সমাবেশে উপস্থিতি চাইছে তারা সাধারণ জনগণের। খুলনায় সমাবেশ সফল করতে করা হয়েছে ১৬টি উপকমিটি। দফায় দফায় বৈঠক করে নানা কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করছেন কমিটির সদস্যরা। গণসমাবেশ সফল করতে খুলনা নগরের বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে লিফলেট বিতরণ করছেন নগর ও জেলা বিএনপির শীর্ষ নেতারা। জ্বালানি তেল ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি, দলীয় কর্মসূচিতে গুলি করে নেতা-কর্মীদের হত্যার প্রতিবাদ এবং নির্বাচনকালীন নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের দাবিতে ২২ অক্টোবর খুলনায় হবে এই বিভাগীয় গণসমাবেশ।

কেনো জনসমাগম হচ্ছে?

বিভাগীয় সমাবেশগুলিতে বিএনপি’র কর্মসূচিতে ব্যাপক লোক সমাগম হওয়ায় নেতাকর্মীরা এখন অনেকটা উজ্জীবীত। কিন্তু কেনো এসব কর্মসূচিতে জনসমাগম হচ্ছে সেব্যাপারে বিভিন্ন ধরনের তথ্য পাওয়া গেছে। কেননা গতবছরও ৫ বিভাগীয় শহরে সমাবেশের ঘোষণা দেয় বিএনপি। ২০২১ সালে চট্টগ্রামে ১৩ ফেব্রুয়ারি, বরিশালে ১৮ ফেব্রুয়ারি, খুলনায় ২৭ ফেব্রুয়ারি এবং রাজশাহীতে ১ মার্চ সমাবেশ করে বিএনপি।  এছাড়া ঢাকা বিভাগে দুটি সমাবেশ করে। সেসময়ে এসব কর্মসূচি নিয়ে দেশের জনগণ বা সরকারের কাছে বিষয়টা তেমন গুরুত্বপূর্ণ মনে করা হয় না। কিন্তু এবারে দৃশ্যপট পাল্টে গেছে। বিভিন্ন সভা সমাবেশ নিয়ে জনসাধারণসহ রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকমহলের কাছে বেশ ইঙ্গিতপূর্ণ বলে মনে হচ্ছে। 

তবে এসব সমাবেশ অয়োজনের মধ্য দিয়ে বিএনপি বুঝতে পারছে তাদের দলের শক্তি এখনো অটুট। এবং বিশাল জনগোষ্ঠী বিএনপি পাশে আছে। প্রশ্ন হচ্ছে এসব সমাবেশে দলীয় নেতাকর্মীর পাশাপাশি সাধারণ জনগণ কি করে এসব সমাবেশে আসতে পেরেছে। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহল মনে করেন বিএনপি যত না এর জন্য কৃতিত্ব দাবি করছে তার চেয়ে বেশি দাবিদার আন্তর্জাতিক সমর্থন। তবে সেটি কেবল বিএনপি’র ওপরই না সারা দুনিয়াতেই কোনো রাষ্ট্র এখন মানবাধিকার লংঘন করলে আন্তর্জাতিক চাপের মুখে পড়ছে।

বাংলাদেশে র‌্যাবের ওপর আন্তর্জাতিক চাপ বিশেষ করে প্রথমবারের মতো কোনো বাংলাদেশি মার্কিন নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে র‌্যাবের সাবেক ও বর্তমান সাত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে গত বছরের একেবারে শেষের দিকে। এ ছাড়া প্রতিষ্ঠান হিসেবে র‌্যাবের বিরুদ্ধেও নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে যুক্তরাষ্ট্র। বিভিন্ন দেশের ১৫ ব্যাক্তি ও ১০ প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের দায়ে মার্কিন অর্থ দপ্তর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। এর মধ্যে সাতজন বাংলাদেশের। এমন নিষেধাজ্ঞায় বলা চলে বাংলাদেশের একপ্রকার রাজনৈতিক চাঞ্চল্য সৃষ্টি করে। 

এ নিয়ে বেশি চাঞ্চল্য সৃষ্টি করে যখন সরকারের পক্ষ থেকে এধরনের নিষেধাজ্ঞা বাতিলের প্রাণপন চেষ্টা। কিন্তু নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের চেষ্টায় সরকারের বিভিন্নমুখি তৎপরতার মুখেও মার্কিন রাষ্ট্রদূত না বলে দেন। সম্প্রতি ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস বলেছেন, জবাবদিহি নিশ্চিত করার পাশাপাশি মানবাধিকার আইন মেনে চলা ছাড়া র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) ওপর আরোপিত যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের কোনো সুযোগ নেই। আবার জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার মিশেল ব্যাচেলেট বাংলাদেশ সফরকালে বলে গেছেন আগামী নির্বাচনের দিকে অগ্রসর হচ্ছে।

একটি উত্তেজনাকর অবস্থা ও মেরুকরণের দিকে যাচ্ছে। টেকসই অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য এই নির্বাচন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। নির্বাচনকালে রাজনৈতিক দল, সুশীল সমাজ, সাংবাদিকদের সভা-সমাবেশ ও মতপ্রকাশের সুযোগ দেওয়া জরুরি। অন্যদিকে সম্প্রতি সংসদের বিরোধী দল জাতীয় পার্টির (জাপা) শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে প্রাতরাশ বৈঠক করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত (ইইউ) দেশগুলোর রাষ্ট্রদূতরা। ইইউ রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলির গুলশানের বাসভবনে এ বৈঠক থেকে বাংলাদেশে একটি সুষ্ঠু ও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচনের প্রত্যাশা জানিয়েছেন ইইউ রাষ্ট্রদূতরা। একইসঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর সভা-সমাবেশে হামলা ও বাধা চান না তারা। একের পর এক এমন আন্তর্জাতিক চাপের আর মনিটরিংয়ের কারণে বিএনপি নেতাকর্মীরা মনে করছেন আওয়ামী লীগ সরকারের প্রতি আন্তর্জাতিক সমর্থন আগের মতো নেই। আবার এমন ধারণা করছেন যে, একটি সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে এ সরকার এখন বাধ্য। তা না হলে আর কেউ না হোক মার্কিনীরা ছাড় দেবে না। এর পাশাপাশি সরকারের বিরুদ্ধে বেকে বসবে ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত (ইইউ) দেশগুলো। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এমন রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটই জোড়ালো ভাবেই তৈরি করেছে। 

আর এ কারণে সরকার যেনো তেনোভাবে কাজ করতে পারবে না বিশেষ করে দেশে রাজনৈতিক সভা সমাবেশের ব্যাপারে। এসব মাথায় রেখে বিএনপি নেতাকর্মীরা বেশ চাঙ্গা ও সাহসী হয়ে উঠছে। তারা এবারে তাদের লক্ষ্যে পৌঁছাতে তেমন বেগ পেতে হবে না বলেই মনে করে দলের সাংগঠনিক কাজে মন দিয়েছে। এখন বিভাগীয় শহরে বিএনপি’র ডাকা সমাবেশগুলি ছাড়াও দলের নেতাকর্মীরা বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশ নিচ্ছে। 

শেষ কথা

যদিও সভা সমাবেশ বা এধরনের কর্মসূচি দিয়ে প্রকৃত জনসমর্থন বোঝা যায় না বলে পর্যবেক্ষক মহল মনে করেন। তবে এসব সমাবেশে বিএনপি বেশ উজ্জীবিত। তারা একের পর এক বিভাগীয় সম্মেলন করে জানান দিচ্ছে মাঠে বিএনপি’ই একক বিরোধী দল। তারা বাংলাদেশের প্রধান বিরোধী দল। অন্যদিকে বিএনপি এসব কর্মসূচিতে সংহিস পথেও হাঁটছে না। মামলা মোকাদ্দমায় পড়লেও বিএনপি কর্মসূচিতে ছাড় দিচ্ছে না। ইতোমধ্যে ময়মনসিংহে বিএনপির গণসমাবেশ ঘিরে দলটির কর্মীদের সঙ্গে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনায় বিএনপির ৪০০ জনকে আসামি করে মামলা করেছে পুলিশ। কোতোয়ালি মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জহিরুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলাটি করেন। এতে ২৩ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ৩৫০ থেকে ৪০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

 অন্যদিকে বিএনপি’র কর্মী লাশ হয়ে ফিরলেও হরতাল দিচ্ছে না। বিএনপি’র এমন কৌশলেও সরকার মহাচিন্তায়। তবে এভাবে বিএনপি তার লক্ষ্যে কতটা পৌঁছাতে পারবে তা নিয়ে নানান গুঞ্জন শোনা যায়। এসব গুঞ্জন কাটিয়ে বিএনপি কতটা সফল হবে তা দেখতে সরকারের ভবিষ্যত কৌশলগুলি পর্যবেক্ষণে আনতে হবে। মাঠে বলা বলি হচ্ছে ভারত-মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সফরে সরকারের ঝুলিতে ভালো কিছু বয়ে আনতে পারেনি। আর একারণেই বিএনপি’র বিভাগীয় সমাবেশগুলিতে বাধা দেয়াার বদলে সরকারের কর্মীরা বিভিন্ন স্থানে লাঠি হাতে নিয়ে নিরব দর্শকের ভূমিকাতেই থাকছে। 

কাজেই সামনের দিনগুলি সরকার কতটা কৌশলী হচ্ছে তা সময় বলে দেবে। তার আগ পর্যন্ত বিএনপি’র বিভাগীয় সম্মেলনের শেষ গন্তব্য নিয়ে দুশ্চিন্তাতেই থাকতে হচ্ছে সরকারকে-এমন পর্যবেক্ষণ মাঠ পর্যায়ের।

শেয়ার করুন