২৭ এপ্রিল ২০১২, শনিবার, ১০:১৫:৫৮ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
‘শেরে বাংলা আপাদমস্তক একজন পারফেক্ট বাঙালি ছিলেন’ বিএনপির বহিস্কৃতদের জন্য সুখবর! মে দিবসে নয়পল্টনে বিএনপির শ্রমিক সমাবেশ উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেয়ার জের, বিএনপির বহিস্কার ৭৬ থাইল্যান্ডের ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আহ্বান ‘ব্রাজিল থেকে জীবন্ত গরু আনা সম্ভব, তবে প্রক্রিয়া জটিল’ খালেদা জিয়ার সঙ্গে মির্জা ফখরুলের ঘন্টাব্যাপী সাক্ষাৎ বিশ্বের প্রতি যুদ্ধকে ‘না’ বলার আহ্বান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭ জানুয়ারির সংসদ নির্বাচনে গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা প্রতিষ্ঠা হয়েছে - হাবিবুল মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের প্রতিবেদন অনুমান ও অপ্রমাণিত অভিযোগ নির্ভর- পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়


দেশকে তানিয়া রব
ফ্যাসিবাদ হঠাতে প্রয়োজন দীর্ঘ আন্দোলনের
সৈয়দ মাহবুব মোর্শেদ
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৯-১১-২০২২
ফ্যাসিবাদ হঠাতে প্রয়োজন দীর্ঘ আন্দোলনের তানিয়া রব


জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডি কেন্দ্রীয় কার্যকরি কমিটির সহ-সভাপতি ও স্থায়ী কমিটির অন্যতম সদস্য তানিয়া রব বলেছেন, দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি অত্যন্ত ভয়াবহ ও জটিল। আন্দোলন হচ্ছে, জনগণ রক্ত দিচ্ছে। প্রতিদিন প্রচণ্ড নির্যাতনের শিকার হচ্ছে জনগণ। স্বৈরাচার বা ফ্যাসিবাদ হঠাতে দীর্ঘ আন্দোলনের প্রয়োজন হয়।

আমেরিকা থেকে প্রকাশিত পাঠকপ্রিয় দেশ পত্রিকায় সাক্ষাৎকারে তানিয়া রব একথা বলেন। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন পত্রিকার বিশেষ প্রতিনিধি সৈয়দ মাহবুব মোর্শেদ

১৯৬২ সালের ২৯ জুলাই জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পৈতৃক নিবাস কুমিল্লা। ডাক্তার খাস্তগীর উচ্চবিদ্যালয়ে স্কুলজীবন এবং মতিঝিল সেন্ট্রাল গভর্নমেন্ট স্কুল থেকে এসএসসি এবং ইডেন গভর্নমেন্ট গার্লস কলেজ থেকে এইচএসসি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গ্র্যাজুয়েশন সম্পন্ন করেন। তিনি স্কুলজীবনে গার্লস গাইড, সংগীত, নৃত্যসহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক কর্মকা-ে সম্পৃক্ত ছিলেন। পরবর্তীতে বাংলাদেশ টেলিভিশনে আনিসুল হকের উপস্থাপনায় ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ‘অন্তরালে’ পারফরমার হিসেবে সম্পৃক্ত ছিলেন। তিনি কলেজে অধ্যয়নকালে ছাত্রলীগের রাজনৈতিক কর্মকান্ডে অংশগ্রহণ করেন। ২০০০ সালে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জেএসডির রাজনীতিতে প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণ করেন। পরবর্তীতে ২০১৫ সালে জেএসডির কাউন্সিলে কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি নির্বাচিত হন। ২০২১ সালে ‘জাতীয় সমাজতান্ত্রিক নারী জোট’-এর সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তানিয়া রব বর্তমানে জেএসডি কেন্দ্রীয় কার্যকরি কমিটির সহ-সভাপতি ও স্থায়ী কমিটির অন্যতম সদস্য। নিচে সাক্ষাৎকারটি পাঠকদের কাছে তুলে ধরা হলো। 

দেশ: দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি কেমন বলে মনে করেন?

তানিয়া রব: দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি অত্যন্ত ভয়াবহ ও জটিল। বেকারত্ব, মূল্যস্ফীতিতে পাঁচ থেকে ছয় কোটি মানুষ খাদ্য সংকটে বিপর্যস্ত। বিদ্যুতের ঘাটতির কারণে দারুণভাবে উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। দুর্নীতি অর্থপাচার ও লুণ্ঠনে জাতীয় অর্থনীতি এক বিপজ্জনক অবস্থানে উপনীত হয়েছে। সরকার ক্ষমতা ধরে রাখতে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে অবৈধ কাজে ব্যবহার করতে গিয়ে সকল রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যাচ্ছে। অপশাসন-দুঃশাসন জনজীবনে বিপর্যয় নেমে আসছে। প্রধানমন্ত্রী নিজেই ঘোষণা দিচ্ছেন আসন্ন ও সম্ভাব্য দুর্ভিক্ষের কথা। সরকার এসব অদক্ষতয় মোকাবিলা করতে পারবে না। শুধুমাত্র শাসন ব্যবস্থার সংশ্লিষ্ট গোষ্ঠীকে পরিবর্তন করে এই ভয়াবহতা অতিক্রম করা সম্ভব নয়। এই ধরনের জাতীয় সংকটে জাতিকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার প্রয়োজন।

দেশ: এ ধরনের পরিস্থিতির জন্য দায়ী কে? আপনারা কি দায়ী নন?

তানিয়া রব: আমি মনে করি, আপনি যে প্রশ্নটি করেছেন যে আপনারা কি দায়ী নন? অথবা কে দায়ী এর উত্তরে বলা যেতে পারে সংশ্লিষ্ট মহল এবং যারা বারবার ক্ষমতায় ছিলেন যারা। শুধুমাত্র ক্ষমতাকে দীর্ঘায়িত করার জন্য এবং নিজেদের দলীয় এবং সুবিধাবাদী গোষ্ঠীকে লাভবান করার জন্য রাষ্ট্রব্যবস্থাকে ব্যবহার করেছেন। সেসব মহল ও গোষ্ঠীকে পাশ কাটিয়ে এ প্রশ্নটির সঠিক উত্তর পাওয়া যাবে না। দেখুন, এখানে দেশ শাসন প্রশ্নে মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার  পক্ষে এই শব্দগুলো বেশি ব্যবহার করে একধরনের আবেগ আশ্রিত ব্যবস্থাপনার দিকে ঠেলে দেয়া হচ্ছে। ফলশ্রুতিতে রাষ্ট্রের যে মূলভিত্তি সাম্য, মানবিক মর্যাদাবোধ ও সামাজিক  ন্যায়বিচার  এই মূল জায়গাগুলো থেকে জনগণকে বারবার বঞ্চিত করা হচ্ছে। শাসকগণ রাষ্ট্রপরিচালনা করতে গিয়ে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা থেকে রাষ্ট্রকে বিচ্ছিন্ন করে  ফেলে। সুতরাং দায়-দায়িত্ব তাদেরকে বহন করতে হবে। 

দেশ: সরকারের বিরুদ্ধে কোনো ধরনের আন্দোলন সফল হচ্ছে না কেন?

তানিয়া রব: আন্দোলন হচ্ছে জনগণ রক্ত দিচ্ছে। প্রতিদিন প্রচ- নির্যাতনের শিকার হচ্ছে জনগণ। স্বৈরাচার বা ফ্যাসিবাদ হঠাতে দীর্ঘ আন্দোলনের প্রয়োজন হয়। সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন সফল হবে তখন, যখন জনগণ বুঝতে পারবে যে শুধুমাত্র এক দলের বাইরে আরেক দলকে ক্ষমতায় রেখে অথবা এনে তাদের যে সাংবিধানিক ও নাগরিক অধিকার এবং ন্যায্যতা কোনোটাই পাওয়া সম্ভব নয়। তাই জনগণ কিছুটা সময় নিয়েছে, তবে জনগণ তাদের অধিকার নিয়ে তাদের ন্যায্যতা নিয়ে, খুব দ্রুতই সংঘটিত হচ্ছে। এখন কথা হচ্ছে যে, রাজনৈতিক দলগুলো জনগণের এই মনের ভাষাটি বুঝতে পারছে কিনা? যদি রাজনৈতিক দলগুলো বুঝতে পারে তবে অবশ্যই একটি সম্ভাবনা তৈরি হবে।

দেশ: এখন জনগণ আপনাদের ডাকে সাড়া দিচ্ছে না, বিরোধীদলগুলো বিশেষ করে  অতীতের বিএনপির শাসনামল তারা দেখেছেন। তাই সাড়া দিচ্ছে না আপনাদের ডাকে বা আন্দোলনে।

তানিয়া রব: অবশ্যই দুঃশাসনের বিরুদ্ধে ভোটাধিকারসহ অধিকার আদায়ের  সংগ্রামে সকল ধরনের প্রতিকূলতা উপেক্ষা করে জনগণ ব্যাপক সাড়া দিচ্ছে, সারা বাংলাদেশ জেগে উঠেছে। প্রতিবাদের আন্দোলন ক্রমাগত প্রতিরোধের আন্দোলন রূপান্তর হবে। জনগণ শাসনব্যবস্থার মৌলিক পরিবর্তন চায়, বিদ্যমান শোষণমূলক নিপীড়নমূলক শাসনব্যবস্থার অবসান চায়। আমি আগেই বলেছি, জনগণ তাদের অধিকার ও ন্যায্যতা প্রশ্নে বারবারই প্রতারিত হয়েছে। অবশ্যই আমি এ বিষয়ে একমত অতীতে যারা সরকার পরিচালনা করেছেন তাদেরকে এ বিষয়টি নিয়ে গভীরভাবে ভাবতে হবে এবং প্রয়োজনীয় সংস্কারের মাধ্যমে যুগোপযোগী জনমুখী কর্মসূচি গ্রহণ করতে হবে। এই প্রশ্নটি এখন জাতীয় রাজনীতিতে প্রধান এজেন্ডা হয়ে উঠে এসেছে। যদি এই পদক্ষেপ নিতে রাজনৈতিক দলগুলো দ্বিধাগ্রস্ত হয়, তাহলে তা  হবে জনগণ ও দেশের জন্য অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক।

দেশ: এ সরকার কি দেশের উন্নয়ন করছে না? দেশে-বিদেশে কি দেশের সম্মান বাড়াচ্ছে না?

তানিয়া রব: একটি সরকার দেশের ও জনগণের কল্যাণ ও উন্নয়ন করবে এটাই কর্তব্য। কিন্তু সাধারণ জনগণের সমস্ত অধিকারকে খর্ব করে বাকস্বাধীনতা হরণ করে কথায় কথায় মামলা হামলা করে যে, অরাজকতা সৃষ্টি করেছে তা বোধহয় অনেকেই বিবেচনা নিচ্ছেন না! উন্নয়ন বলতে যা বোঝাচ্ছেন, তাহলো কতগুলো রাস্তা কতগুলো ফ্লাইওভার বা উচ্চবিল্ডিং বা শপিংমলসহ দৃশ্যমান উন্নয়নকে। একটি রাষ্ট্রের উন্নয়ন হচ্ছে জনগণের জীবনমান উন্নয়ন করা। সমাজের প্রতিটি স্তরের জনগণ যখন সেই উন্নয়নের ভাগীদার হয়। কতিপয় গোষ্ঠীর উন্নয়নকে সামগ্রিক উন্নয়ন বলা যায় না। দেখুন, আমাদের দেশটি নদীমাতৃক ও কৃষিভিত্তিক এখানে জনগণ সাধারণত নিজেদের কর্ম দিয়েই ভাগ্য উন্নয়ন করতে চায়, রাষ্ট্র আমাদের জনগণের ভাগ্য পরিবর্তনে সহায়ক ভূমিকা গ্রহণ করে না। আপনি দেখবেন প্রতিবছরই আমাদেরকে কৃষক তাদের উৎপাদিত ফসলের সঠিক মূল্য পায় না! তেমনি আমাদের নদীগুলোর নাব্য নষ্ট করে নদী ও প্রবাহমান পানির ব্যবহার দিনকে দিন সীমিত করে দিচ্ছে! এর জন্য দায়ী রাষ্ট্রব্যবস্থায় যারা আছেন, তারা নদীমাতৃকতা ও প্রকৃতিকে গুরুত্ব না দেয়া। উন্নয়ন হচ্ছে উন্নয়নের নামে গোষ্ঠী বা বিভিন্ন মহল সুবিধা নিচ্ছে, কিন্তু দেশের সবচেয়ে বড় জনগোষ্ঠী সেই উন্নয়নের ধারেকাছেও আসতে পারছে না। উন্নয়ন হয়েছে তবে সেই উন্নয়নের জীবন সহজ হয়নি, বরং জটিল হয়েছে। দেখুন এই রাজধানীতে যেভাবে যানজটের কারণে কর্মঘণ্টা নষ্ট হচ্ছে তা কীভাবে পোষাবেন? আপনি তাই উন্নয়নের আগে জনকল্যাণমুখী কিনা আপনার নিজস্ব সম্পদ দিয়ে তা সম্পাদন করা যায় কিনা ঐতিহ্য ও কৃষ্টির ধারাবাহিকতা রক্ষা করে জীবনমান উন্নীত হচ্ছে কিনা তা পর্যবেক্ষণ করার কোনো উদ্যোগ আমাদের নেই। তাই এই উন্নয়ন ব্যক্তি বা সুবিধাবাদী গোষ্ঠীর স্বার্থে যাচ্ছে, সামগ্রিকভাবে জনগণের স্বার্থে যাচ্ছে না। আমি ব্যক্তিগতভাবে এই ধরনের ঋণনির্ভর তথাকথিত উন্নয়নের বিপক্ষে। দেশ-বিদেশে সম্মান নিয়ে আমার কোনো মাথাব্যথা নেই। যে দেশে রাতে ভোট হয়, দুর্নীতি হয় এবং অপশাসন চলে সে দেশের মর্যাদা বহির্বিশ্বে  কীভাবে উজ্জ্বল হবে তা আমার জানা নাই।

দেশ: এ সরকারকে আপনার পরামর্শ কি?

তানিয়া রব: এ সরকারকে আমরা পরামর্শ দিবো আর পরামর্শ সরকার শুনবে এমনটাই আমার মনে হয় না। তবে তাদের নিজস্ব চিন্তা থেকেই তাদের ভাবা উচিত তারা অনৈতিকভাবে ক্ষমতায় আছে এবং তাদের সরে আসা উচিত। ক্ষমতা চিরস্থায়ী নয়- এ ন্যূনতম সত্যটুকু সরকারের জানা উচিত।

দেশ: আপনাদের জাতীয় সরকার প্রতিষ্ঠার ডাকের ব্যাপারে কিছু বলেন। এ ব্যাপারে কোনো পক্ষই খোলাসা করে কিছু বলছে না। বিশেষ করে বিএনপি। কারণ কি?

তানিয়া রব: যখন দেশে অনৈতিক কোনো সরকার থাকে, যারা রাতে ভোট করে প্রশাসন যন্ত্রকে নিজেদের দলের স্বার্থে ব্যবহার করে, তখন কোনোক্রমেই রাষ্ট্রের যে মালিকানা জনগণের সে জায়গাটি ঠিক থাকে না এবং সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে যারা অনৈতিকভাবে ক্ষমতায় প্রতিষ্ঠিত হয়, তারা জনগণের জন্য বিন্দুমাত্র ভাবে না। তাই জনমনে তৈরি হয় ক্ষোভ-যন্ত্রণা এবং ফলশ্রুতিতে দেশে অপরাপর রাজনৈতিক দলগুলো জনগণের পাশে দাঁড়িয়েছে বিক্ষোভের যে জায়গাটি তৈরি করে, তা অনেক সময় জাতির জন্য দুর্ভাগ্য ডেকে আনে। সে কারণেই জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল মনে করে একটি জাতীয় সরকার অনিবার্য। আমাদের দল জাতীয় সরকারের যে রূপরেখা দিয়েছে তা জনগণ জানে এবং জনগণ এটাও মনে করে যে, আসলেই একটি সম্মুখ হানাহানি রক্তারক্তি পরিবেশকে পাশ কাটাতে হলে জাতীয় সরকারের বিকল্প নেই। বিএনপি জাতীয় সরকারকে যেভাবে বলছে যে, তারা ক্ষমতায় গেলে জাতীয় সরকার করবে। এটা বিএনপি ব্যাখ্যা করবে।

দেশ: অতীতে বিএনপি ক্ষমতায় ছিলো। ভবিষ্যতে তারা দেশে একটি সুস্থ রাজনীতি প্রতিষ্ঠা করবে- এটা আপনারা বিশ্বাস করেন?

তানিয়া রব: অতীতের ভুল থেকে যদি নিজেদেরকে সংশোধন না করে এবং জনকল্যাণমুখী কর্মসূচি এবং জবাবদিহিমূলক রাষ্ট্রব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত না করে, তাহলে খুব দ্রুতই জনগণ তাদের থেকে সরে আসবে।

দেশ: সরকারে সাথে বসে আলাপ-আলোচনা করে সমস্যার সমাধান করেন না কেন?

তানিয়া রব: সরকার সমস্যা সমাধানে সকলের সাথে আলাপ-আলোচনায় আগ্রহী নয় এবং আন্তরিক নয়।

শেয়ার করুন