২৭ এপ্রিল ২০১২, শনিবার, ০১:০০:৫৬ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
‘ব্রাজিল থেকে জীবন্ত গরু আনা সম্ভব, তবে প্রক্রিয়া জটিল’ খালেদা জিয়ার সঙ্গে মির্জা ফখরুলের ঘন্টাব্যাপী সাক্ষাৎ বিশ্বের প্রতি যুদ্ধকে ‘না’ বলার আহ্বান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭ জানুয়ারির সংসদ নির্বাচনে গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা প্রতিষ্ঠা হয়েছে - হাবিবুল মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের প্রতিবেদন অনুমান ও অপ্রমাণিত অভিযোগ নির্ভর- পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয় ইউরোপে ভারতীয় ৫২৭ পণ্যে ক্যান্সার সৃষ্টিকারি উপাদন শনাক্ত বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের প্রবেশে কড়াকড়ি বিএনপির আন্দোলন ঠেকানোই ক্ষমতাসীনদের প্রধান চ্যালেঞ্জ বিএনপিকে মাঠে ফেরাচ্ছে আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন নিয়ে অদৃশ্য চাপে বিএনপি


স্মৃতিচারণ ক্রিকেট আম্পায়ারিং
’৭৬ এ একজনকে চপ্পল পরে ক্রিকেট আম্পায়ারিং করতে দেখেছি
মোঃ মেসবাহ উদ্দিন আহমেদ রেজা
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৩-০৪-২০২২
’৭৬ এ একজনকে চপ্পল পরে ক্রিকেট আম্পায়ারিং করতে দেখেছি


বাংলাদেশের ক্রিকেটের মান উন্নয়নের অন্যতম সহায়ক ক্রিকেট আম্পায়ারদের গুনগত মানের সেকাল আর একাল তুলে ধরার চেষ্টা করছি। আমি বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনের পরবর্তী ১৯৭৬ সাল থেকে বতমান সময় পর্যন্ত আম্পায়ার, স্কোরার কর্মকতাদের প্রসঙ্গে বলবো। আমি নিজে ১৯৮৫-৮৬ লীগ থেকে ঢাকা ও তার বাইরে বাংলাদেশের বিভিন্ন পর্যায়ের লীগ টুনামেন্টে এবং বাংলাদেশের বাইরে বিভিন্ন পর্যায়ের লীগ/ টুর্ণামেন্ট ক্রিকেট খেলায় ভারত, থাইল্যান্ড, মালেয়শিয়া, ইংল্যান্ড আম্পয়ারিং ও স্কোরিং করেছি। ২০০২ সালে ঢাকায় বাংলাদেশ বনাম পাকিস্তান খেলায় টেষ্ট ও ওডিআই প্যানেল আম্পায়ারও ছিলাম।


 বিগত ৭-৮ বছর যাবৎ বাংলাদেশের যেকোন পর্যায়ের ক্রিকেট খেলায় আম্পায়ারিং করা থেকে বিরত রয়েছি, কারন ঢাকা প্রিমিয়ার লীগে দীর্ঘদিন যাবৎ অনিয়ম চলছে তা সকলেই অবগত। আর এ ধরনের অনিয়মের লীগে জেনেশুনে কোন সিনিয়র  আম্পায়ারগণই খেলা পরিচালনা করতে পারেননা। যা হোক ১৯৭৬ সাল থেকে

মেসবাহ উদ্দিন আহমেদ রেজা  

পরবর্তী প্রায় ৩০ বছর পর্যন্ত ধারাবাহিক ভাবে যেসকল আম্পায়ারগণকে আমি মাঠে আম্পায়ারিং করতে দেখেছি, উনাদের মধ্যে অন্যতম সেরা তালিকায় ছিলেন আতাউল হক মল্লিক ভাই, বজলু ভাই, সালাম ভাই, বাদশা ভাই, বাঘা ভাই, আজগর ভাই, পনির ভাই, কাজী মিসু ভাই, কাজী দিশু ভাই, ঝুনু ভাই, মিল্কি ভাই, শিশির, আজিজ ভাই, আলতাফ ভাই, মন্টু ভাই, মাহবুবুর রহমান ভাই, জাহাঙ্গীর, সেলিম ভাই, মুনির ভাই, হালিম ইউসুফ ভাই, নাদির শাহ্, মঞ্জু, মাহাবুবুল্লাহ, মাসুদ ভাই, দিপু রায় চৌধুরী ভাই, টুটুল, নীল রতন দাদা, এস. হক ভাই, নাজু ভাই, পিজুস, ফুলু, ইউসুফ খান, জন, জুয়েল, পারভেজ, লিটু, মুজাহিদ, তানভির ও আরো অনেকেই। 

আমি এখানে যাদের নাম উল্লেখ করেছি, উনাদের প্রায় সকলের সাথেই আমি নিজেও আম্পায়ার হিসেবে মাঠে খেলা পরিচালনা করেছি। বাংলাদেশ টেস্ট স্ট্যাটাস পাবার আগে বাংলাদেশের ক্রিকেট ছিল বিভাগীয় শহরের গন্ডির মধ্যে সীমাবদ্ধ। তবে আমি শুধু ঢাকার কথা উল্লেখ করছি। টেস্ট স্ট্যাটাস লাভের আগে দামাল সামার টুনামেন্ট দিয়ে ক্রিকেট মওসুম শুরু হতো। পরবর্তীতে প্রথম বিভাগ, দ্বিতীয় বিভাগ ক্রিকেট লীগ শুরু হয়ে যেত। তখন ম্যাটিং উইকেটে ক্রিকেট হতো। এর মধ্যে বিজয় দিবস, স্বাধীনতা দিবস, শহীদ স্মৃতি সহ অন্যান্য ক্রিকেট টুর্নামেন্টও হতো। বিশিষ্ট ব্যবসায়ী কে.জেড ইসলামের শতভাগ অর্থায়নে সমগ্র বাংলাদেশে নির্মান স্কুল ক্রিকেট টুর্নামেন্ট আয়োজন করা হত। এছাড়া আন্তঃবিশ^বিদ্যালয় টুর্নামেন্ট, ন্যাশনাল চ্যাম্পিয়ানশিপ, সিনিয়র জুনিয়র টুর্নামেন্ট হতো যেটা বর্তমানে জাতীয় লীগ নামে পরিচিত। তাছাড়া ঢাকার বাইরে চট্টগ্রামে মরহুম সাহেদ আজগর ও রাশেদ আজগর চৌধুরী এই দুই ভাইয়ের প্রচেষ্টায় রমরমা ইস্টার সামার যুব ও সিনিয়র ক্রিকেট টুর্নামেন্ট আয়োজিত হতো। ঢাকার সিনিয়র আম্পায়ারগণ ঢাকার বাইরের বিসিবির সিডিউল ছাড়াও বিভিন্ন লীগে ম্যাচ পরিচালনা করতাম। সে সময় ইংল্যান্ডের বিখ্যাত এম সি সি, পশ্চিমবঙ্গ ক্রিকেট দল, শ্রীলঙ্কার ক্রিকেট দল, হায়দ্রাবাদ ব্লুজ, করাচি ইলেক্ট্রিসিটি টিম, সাউথ আফ্রিকার যুব ও ‘এ’ টিম, ইংল্যান্ড ‘এ’ টিম, ওয়েস্ট ইন্ডিজ যুব ও ‘এ- টিম’ এসে ঢাকা, চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, রাজশাহী, ময়মনসিংহ এসে প্রদশর্ণী ম্যাচ খেলে গেছেন। তখন ঢাকা স্টেডিয়ামে উৎসবমুখর ঈদের সাজে সজ্জিত হতো। প্রচুর দর্শকের সমাগম হতো। এসব দেশের বাংলাদেশে সফরের অন্যতম ব্যবস্থাপক ছিলেন সৈয়দ আশরাফুল হক ভাই। ওনার কারণেই মূলত সেই সময় ক্রিকেট বিশ^ বাংলাদেশ আর বাংলাদেশের ক্রিকেটকে চিনতে শুরু করেছিলো। তিনি ক্রিকেট আম্পায়ারদের বিভিন্ন দেশে-বিদেশে পাঠিয়ে তাদের গুনগত মানের উন্নত সাধন করেছেন। সে সময় বাংলাদেশ দেশের বাইরে আইসিসি ক্রিকেট টুর্ণামেন্ট খেলতে অনেকবার বিদেশ সফর করেন। আর প্রায় সফরেই দলের সাথে একজন সিনিয়র আম্পায়ারও যেতেন। ১৯৭৬-৮৫ সাল পর্যন্ত সে সময় আম্পায়ারের মান সন্তোষজনক ছিল। কিঞ্চিৎ দু’চারটি ঘটনা ব্যতীত।

আমার ক্যারিয়ারের সেরা এক ঘটনা চপ্পল  (সেন্ডেল) পায়ে ক্রিকেট আম্পায়ারিং করতে দেখা। সেটা ছিল ঢাকা আউটার স্টেডিয়ামে (বর্তমানে জাতীয় হকি স্টেডিয়াম) ১৯৭৬ সালে। ওই সময় একজন    আম্পায়ারকে চপ্পল পায়ে দিয়ে মাঠে   আম্পায়ারিং করতে আমি দেখেছি। তবে নামটা বলবো না। কিন্তু সেটা নিয়ে কোনো বির্তক হয়নি। সে সময় আম্পায়ারদের সিদ্ধান্ত নিয়ে তেমন কোন বির্তক হতো না। ১৯৮৫-৮৬ সালের দ্বিতীয় বিভাগ ক্রিকেটে আম্পায়ারিং দিয়ে আমার অভিষেক হয়। পরবর্তীতে ধারাবাহিকভাবে মাহাবুবুল্লাহ, টুটুল, মঞ্জু, জাহাঙ্গির, শাহিন, শিনু আমরা সিনিয়রদের সাথে সমন্বয় করে আম্পায়ারিং শুরু করার পর আমাদের আম্পায়ারদের স্ট্যাটাস বহুগুন বৃদ্ধি পায়। এ সময় আমরা বাংলাদেশে প্রথম ক্রিকেট আম্পায়ার এসোসিয়েশন গঠন করি। আমি দৃঢ়তার সাথে দাবী করে বলতে পারি যে, এ সময় বাংলাদেশের ক্রিকেটের উন্নতি আর তার সফল ধারাবাহিকতায় আমাদের আম্পায়ারদের অবদান অনেকাংশে ছিলো। সে সময় কঠিন বাস্তবতার মুখোমুখিতে কঠিন স্ট্রাগল করে মাঠে আমাদের আম্পায়ারিং করতে হতো। সেই সময় মাঠে খেলায় দু’দলে গোলোযোগের কারনে মাঠে গোলাগুলি হয়েছে। কিছু ক্লাব সমথকরা রাতে অন্ধকারে পিচ খুড়ে খেলা ভন্ডুল করার চেষ্টা করেছে। আম্পায়ারদের এই সময় ছুরি, চাকু, খুর, পিস্তল দেখিয়ে মাঠে হুমকি দিতো ও লাঞ্চিত করতো। আর এসব ঘটনা বেশিরভাগ সময়ই ধানমন্ডির আবাহনীর খোলা মাঠে আমাদেরকে মোকাবেলা করতে হয়েছে। অনেক সময় নিরাপত্তার অভাবে আম্পায়ারকে মাঠ থেকে সরে যেথে হয়েছে মাঠে নিরাপত্তা পুলিশ না থাকায়। সে সময় অধিকাংশ সিনিয়র আম্পায়ারই ক্লাব সমর্থক, কর্মকতা দ্বারা নিগৃত হয়েছে। আমরা এ সময় সিনিয়র ক্রিকেটারদের আম্পায়ারিং করতে আহবান জানাই। শাহিন, নাদিরশা, সামিউর রহমান সামি, দিপু রায় চৌধুরী, আশিক, মনি তারা আমাদের ডাকে সারা দিয়ে এগিয়ে আসেন। এদের মাঝে জাতীয় দলের সাবেক মূল্যবান খেলোয়ার দিপু রায় চৌধুরীকে খেলা শেষে আহত হতে হয়েছিলো। যদিও এসব ঘটনা ধীরে ধীরে নিয়ন্ত্রণ হয়ে গিয়েছিলো। কর্মকর্তামাঠে উপস্থিত থাকতেন, দুইজন আম্পায়ার ও একজন স্কোরার এর বাহিরে আর কিছুই ছিলোনা। এখন মূল আম্পায়ার দুইজন ছাড়াও একজন স্ট্যান্ডবাই, একজন ম্যাচ রেফারী, ম্যাচ ম্যানেজার, দুইজন বা তারও অধিক স্কোরার মাঠে উপস্থিত থাকে। সাথে রয়েছে কঠোর আইন। 

১৯৯১ সালে আমি ইংল্যান্ডের ‘দি এসোসিয়েশ অব ক্রিকেট আম্পায়াস এন্ড স্কোরার’ এর এসোসিয়েট মেম্বার হই এবং জুন মাসে আমি ইংল্যান্ড যেয়ে বাষিক জেনারেল মিটিং ও ডিনারে এ অংশগ্রহণ করি। তাছাড়া সাসেক্স মাইনর কাউন্টিতে দুই ম্যাচে আম্পায়ার হিসাবে দায়িত্ব পালন করি। আমি ছাড়াও মাহাবুবুল্লাহ ও মঞ্জুও এসোসিয়েট মেম্বার ছিলেন। এরই ধারাবাহিকতায় ১৯৯৬ সালে পুনরায় আমি ইংল্যান্ডে অবস্থানকালে সেখানে মাইনর      কাউন্টিতে কিছু সংখ্যক খেলায় আম্পায়ারিং করি এবং বাংলাদেশ ক্রিকেট আম্পায়ার্স এসোসিয়েশনকে ইংল্যান্ডে তালিকাভুক্ত করি। এভাবেই আমাদের এসোসিয়েশন চলছিল। পরবর্তীতে বাংলাদেশ টেষ্ট স্ট্যাটাস পাওয়ার পরও বাংলাদেশ দলের খেলার মান মোটামুটি পযায়ে থাকলেও আম্পায়ারদের মানোন্নয়ন ভালোভাবেই এগিয়ে যাচ্ছিল। 

যদিও বর্তমান সময়ের বিগত প্রায় ১০ বছর থেকে ঢাকার ক্রিকেট খেলার চেহারা সম্পূর্ণ ভিন্নরূপ ধারন করে। এসময় সিনিয়র আম্পায়ারদের অনেকেই অবসরে পাঠিয়ে দেয়ার মতো ঘটনা ঘটে। অনেকে আম্পায়ারগণকে লজ্জায় আম্পায়ারিং করা থেকে সরে যেতে দেখা যায়। এভাবেই সিনিয়র আম্পায়ারদের মাঠ থেকে হারিয়ে যেতে হচ্ছে। কারন এ সময় মাঠের খেলা আর আম্পায়ার সম্পূর্ণ বিসিবির নিয়ন্ত্রণে চলে যায়, যা অতীত ইতিহাসে এ ধরনের ঘটনা ঘটতে দেখা যায়নি। বিশেষ করে এরশাদ শাসনামল ও পরবর্তীতে জনাব কে জেড ইসলাম ভাই, রেজাই করিম ভাই, আমিনুল হক মনি ভাই, রইস ভাই, তানভীর হায়দার ভাই, তানভীর মাজহার তান্না ভাই, সৈয়দ আশরাফুল হক ভাই, মানজার ভাই, সাজ্জাদুল ইসলাম ববি ভাই, মরহুম গোলাম ফারুক অপু ভাই, আবু হাসান চৌধুরী প্রিন্স ও অন্যান্যরা বিসিবির পরিচালনার দায়িত্ব সবকালের সর্বত্তোম ভাবে পরিচালনা করে গেছেন। ওনাদের সাথে বাংলাদেশ ক্রিকেট আম্পায়ার্স এসোসিয়েশনের পক্ষে সিনিয়র আম্পায়ার এস বি চৌধুরী শিশিরও দায়িত্ব পালন করে গেছেন। এ সময় বিসিবি মাঠে কিছু নতুন অবসর যাওয়া খেলোয়ারদের থেকে আম্পায়ার বানানোর চেষ্টা করেন। এদের থেকে মাসুদুর রহমান মুকুল, সরফুদ্দৌলা ইবনে সৈকত, সুমন, আনিস, গাজী সোহেল, রিঙ্কু সহ অন্যান্যরা সিনিয়র আম্পায়ার লিটু ও তানভীরের সাথে সমন্বয় করে মাঠে আম্পায়ারিং শুরু করে। এ সময় এরা প্রায় সকলেই সুনামের সাথে আম্পায়ারিং করে আসছিলো। কিন্তু দুর্ভাগ্যভাবে এরাও মাঠে কর্মকতাদের নগ্ন হস্তক্ষেপের কারনে বিব্রত বোধ করতে থাকেন বলে আমি জানি। প্রতিবাদ স্বরূপ এদের থেকেই ভালো একজন আম্পয়ার টিঙ্কু আম্পায়ারিং থেকে স্বেচ্ছায় অবসর গ্রহণ করে ফেলেছেন। এটা ক্রিকেটের জন্য বড় ক্ষতিকর বিষয়।  


পরিশেষে আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, সেকালের আম্পায়ারদের মাঠে শত অসুবিধার মুখোমুখি হওয়া সত্ত্বেও তাদের মেরুদন্ড সোজা করেই দ্বায়িত্ব পালন করে গেছেন। ক্রিকেটের আজকের উন্নতির পেছনে সে সময়ের সঠিক আম্পায়ারিং অনেক ভুমিকা রয়েছে। কারন নিরপেক্ষ আম্পায়ারিং না হলে একজন ক্রিকেটার সে যত ট্যালেন্টই হোক না কেন, তার প্রতিভা বিকাশে বিঘœ ঘটবেই। কিন্তু আমরা মাঠে থাকতাম অনঢ়। পারফেক্ট সিদ্ধান্ত দেয়া হতো। ক্রিকেটারদেরও আমাদের উপর ছিল অগাধ আস্থা। এখনকার মত রিপ্লে সিষ্টেম ছিলনা। রিভিউ নেয়ার সিষ্টেমও না। তবে আমি নিশ্চিত, আমরা খালি চোখে যা দেখতাম, সিদ্ধান্ত দিতাম তা শতভাগ মন থেকে এবং পারফেক্ট। কী আবাহনী বা মোহামেডান, বিমান কিংবা ব্রার্দার্স, বা কলাবাগান ক্লাব। এগুলো মাঠে মনে থাকতো না। জাতীয় ক্রিকেট ইন্টারনশ্যানলেও যতটুকু দ্বায়িত্ব পালন করেছি। সব ক্ষেত্রেই সে সময়ের সিনিয়র ও আমরা দ্বায়িত্বে থাকতাম শতভাগ অনঢ়। কারন আমাদের মাঝে চক্ষুলজ্জা ছিলো, জবাবদিহীতা ছিলো। বর্তমানে নবীন-প্রবীন সকল আম্পায়ারদের মেরুদন্ড ভেঙ্গে দেয়া হয়েছে বলে আমি মনে করি। এরা সঠিকভাবে দ্বায়িত্বটা পালন করতে পারেন না। তারা যে সঠিক আম্পায়ারিং করতে জানেন না, তা নয়। কিন্তু পারছেন না। ফরমেয়েসি সিদ্ধান্ত না দিলে ম্যাচ পাবেন না। অবজ্ঞার শিকার হতে হয়। যা বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্য খুবই অশুভ লক্ষণ আর অনেক লজ্জাস্কর ও দূর্ভাগ্যেরও।  


লেখক: সিনিয়র পুল ক্রিকেট আম্পায়ার

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড।


শেয়ার করুন