২৬ এপ্রিল ২০১২, শুক্রবার, ০২:৪৭:৫০ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
‘ব্রাজিল থেকে জীবন্ত গরু আনা সম্ভব, তবে প্রক্রিয়া জটিল’ খালেদা জিয়ার সঙ্গে মির্জা ফখরুলের ঘন্টাব্যাপী সাক্ষাৎ বিশ্বের প্রতি যুদ্ধকে ‘না’ বলার আহ্বান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭ জানুয়ারির সংসদ নির্বাচনে গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা প্রতিষ্ঠা হয়েছে - হাবিবুল মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের প্রতিবেদন অনুমান ও অপ্রমাণিত অভিযোগ নির্ভর- পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয় ইউরোপে ভারতীয় ৫২৭ পণ্যে ক্যান্সার সৃষ্টিকারি উপাদন শনাক্ত বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের প্রবেশে কড়াকড়ি বিএনপির আন্দোলন ঠেকানোই ক্ষমতাসীনদের প্রধান চ্যালেঞ্জ বিএনপিকে মাঠে ফেরাচ্ছে আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন নিয়ে অদৃশ্য চাপে বিএনপি


তবু বাংলাদেশকেই ভালোবাসি
সালেক সুফী
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৮-০৩-২০২৩
তবু বাংলাদেশকেই ভালোবাসি মিরপুর শেরেবাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামের প্রেসবক্সে একটি মুহুর্ত


২০০৫ থেকে  ২০২৩ আঠারো বছর প্রবাসী। থাকি বসবাসের জন্য পৃথিবীর অন্যতম সেরা দেশ অস্ট্রেলিয়ায়। ঘুরেছি দুনিয়ার ৫ টি মহাদেশের অন্তত ৫০ টি সেরা শহরে। মেলবোর্ন, এডিলেড ,ব্রিসবেন ,সিডনি ,পার্থ , ক্যানবেরা ,  লুজার্ন ,প্যারিস , এথেন্স ,রোম , আমস্টার্ডাম , ব্রাসেলস, ওয়াশিংটন, ক্যালগারি ,মেক্সিকো সিটি, দারেসালাম , টোকিও, কুয়ালামপুর , বালী , সিঙ্গাপুর ,ব্যাংকক, ইয়াঙ্গুন , কাঠমুন্ডু , দিল্লী ,কলকাতা , জয়পুর,আগ্রা,  কাবুল, দুবাই ,আবুধাবি , দোহা, মস্কো কত শহরে সময় কেটেছে। হয়তো গুনে ,মানে,পরিবেশ,পরিস্থিতির তুলনায় ঢাকা বা বাংলাদেশ তুলনীয় নয়। তবু বাংলাদেশ আমার দেশ, ঢাকা আমার প্রিয় শহর। আমি বাংলাদেশকেই ভালোবাসি। 

২০০৫ স্থায়ী ভাবে প্রবাসী হবার পর থেকে ২০০৯ পর্যন্ত যাওয়া হয় নি বিদেশে নিজের অবস্থান নিশ্চিত করার সংগ্রামে। ২০১০ থেকে প্রতিবছর বাংলাদেশে অন্ত দুইবার গেছি কখনো দাফতরিক কাজে ,কখনো আত্মীয় ,পরিজনদের সান্নিগ্ধে সময় কাটাতে।  দেখেছি নানা সমস্যায় জর্জরিত বাংলাদেশের কঠিন সংগ্রাম।  ২০১৯-২০২২ যাওয়া হয় নো করোনা অতিমারীর কারণে। ২০২২ ,২০২৩ দুই দফায় ৪ ম্যাশ কাটিয়েছি। ঘুরে বেড়িয়েছি কুয়াকাটা থেকে দিনাজপুর ,সাতক্ষীরা থেকে সিলেট।  স্বাধীনতার ৫২ বছরে বাংলাদেশ অনেক পাল্টে গেছে।


১৭ কোটি বিপুল জনগোষ্ঠীর দেশ অনেক প্রতিকূল পরিবেশে নিরন্তর সংগ্রাম করছে। হয়তো নানা কারণে বিপুল সম্ভাবনা নিয়েও কাঙ্খিত অবস্থানে পৌঁছাতে পারে নি।  কিন্তু আশাহত হবার কারণ দেখি না. উন্নয়নের ভিত্তি রচিত হয়ে গেছে। ২০২৩ -২০২৫ কঠিন সময় সামাল দিতে পারলে নতুন প্রজন্ম বাংলাদেশকে চটপটে বাংলাদেশে পরিণত করবে দৃঢ় বিশ্বাস রাখি।

জানি বাংলাদেশ ভীষণ ভাবে দুর্নীতি গ্রস্থ , বিপুল সম্পদ পাচার হয়ে গেছে দেশের বাইরে। জানি বিপুল জনগোষ্ঠী নিয়ে ঢাকা  এখন যান জট ,জল  জট ,বায়ু দূষণ, শব্দ দূষণ নিয়ে দুনিয়ায় বসবাসের জন্য অন্যতম নিকৃষ্ট নগরী। অপরিকল্পিত নগরায়ন ,জনসচেতনার অভাবে ঢাকা এখন নিত্য মরণঘাতী গ্যাস দুর্ঘটনার শঙ্কায়। জানিনা মেট্রো রেল, এলেভেটেড এক্সপ্রেস বা বাস রেপিড ট্রানজিট কতটা স্বস্তি দিবে। হয়তো একসময় ৫০% জনগোষ্ঠী ঢাকার বাইরে রিভার্স মাইগ্রেশন হয়ে স্বস্তি মিলবে। আমার প্রিয় ঢাকা শহর তিলোত্তমা হয়তো হবে না কোনো দিন। তবু ঢাকা ভালোবাসি। বার বার ফিরে যেতে চাই। 

আমাকে যদি বলেন এই মুহূর্তে বাংলাদেশের চ্যালেঞ্জগুলো কি,সংক্ষেপে বলবো 

ক ক : কিছু মৌলিক বিষয়ে রাজনৈতিক সমঝোতা। আর সমঝোতার ভিত্তিতে যতটা সম্ভব নিরপেক্ষ জাতীয় নির্বাচনের মাদ্ধমে জনতা বান্ধব সরকার নির্বাচন 

খ খ : সমাসন্ন আর্থিক সংকট ,জ্বালানি সংকট মোকাবেলায় আমলা কামলাদের মেলবন্ধন। কঠোর হাতে দুর্নীতি দমন। জ্বালানি নিরাপত্তার জন্য নিজেদের জ্বালানি গ্যাস ,কয়লা উত্তোলন ,সৌর বিদ্যুৎ সহ সকল ধরণের নবায়নযোগ্য জ্বালানি উন্নয়ন। 

গ গ : চলমান মেগা প্রকল্পগুলো দ্রুত শেষ করে সুফল অর্জন। 

ঘ ঘ : আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত দূরদৃষ্টি সম্পন্ন মেধাবী তরুণদের দেশে আকৃষ্ট রাখার মতো পরিবেশ সৃষ্টি।

সর্বোপরি রাজনীতি রাজনীতিকদের হাতে ফিরিয়ে দেয়া। 

প্রতিনিয়ত লিখছি , যখনি বাংলাদেশে যাই বিভিন্ন মিডিয়ায় স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে কথা বলি. স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে তরুণদের প্রশিক্ষণ দেই।  স্বভাবনা আর চ্যালেঞ্জ নিয়ে কথা বলি. ১৯৭১ মুক্তিযুদ্ধ প্রজন্ম হিসাবে দেশের জন্য দায়বদ্ধতা অনুভব করি।  


শেয়ার করুন