২৯ এপ্রিল ২০১২, সোমবার, ০৩:৪০:৩৬ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
সরকার ও বেসরকারি উদ্যোগে দরিদ্রমুক্ত দেশ গড়ে উঠবে - আসাদুজ্জামান খান কামাল ৭০ শতাংশ মৃত্যু অসংক্রামক রোগে, বাজেটে বরাদ্দ বৃদ্ধির দাবি ‘বিদেশে দেশবিরোধী অপপ্রচারকারীদের বিরুদ্ধে স্থানীয় আইনে ব্যবস্থা নিন’ ভূল স্বীকার করে সরে দাড়ানোয় একজনের বহিস্কারাদেশ প্রত্যাহার বাফেলোতে সন্ত্রাসীদের গুলিতে দুই বাংলাদেশী নিহত ‘শেরে বাংলা আপাদমস্তক একজন পারফেক্ট বাঙালি ছিলেন’ বিএনপির বহিস্কৃতদের জন্য সুখবর! মে দিবসে নয়পল্টনে বিএনপির শ্রমিক সমাবেশ উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেয়ার জের, বিএনপির বহিস্কার ৭৬ থাইল্যান্ডের ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আহ্বান


বিএনপি নিয়ে সরকারের সব পরিকল্পনা ভেস্তে গেছে
সৈয়দ মাহবুব মোর্শেদ
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৭-১২-২০২৩
বিএনপি নিয়ে সরকারের সব পরিকল্পনা ভেস্তে গেছে


দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি’র একটি বড়ো অংশ নিচ্ছে। মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নেতৃত্বে দলের একটি বড়ো অংশ সরকারের সাথে সক্রিয় যোগাযোগ রেখেছে। অন্যদিকে দলের প্রবীন ত্যাগী নেতাদের অন্যতম মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদসহ আরো বেশ কয়েকজন যে কোনো সময় নির্বাচনে যাওয়ার ব্যাপারে তৎপর, গোপনের সরকারের সাথে যোগাযোগও রেখেছে। এছাড়া বিএনপি’র সাথে আন্দোলনে সমমনাদেরও কেউ কেউ সরকারের থেকে বড়ো অংকের টাকা গ্রহণের পাশাপাশি সংসদ সদস্য হতে নির্ধারিত আসন পাওয়ার বিষয়ে গ্যারান্টি নিয়ে আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে নির্বাচন অংশ নিতে যাচ্ছে। সব মিলিয়ে বিএনপি ভেঙ্গে খান খান হয়ে যাচ্ছে। গত একবছর ধরে রাজনৈতিক অঙ্গনে এমনই সব মুখরোচক তথ্য ঘুরে বেড়াচ্ছিল। কিন্তু এসব কিছু মিথ্যা অসার প্রমাণ করে মাঠের অন্যতম প্রধান বিরোধী দলটি অক্ষত আছে। এর পাশাপাশি প্রায় অর্থশত শরিক রাজনৈতিক দলও আছে বিএনপি’র সাথে যুগপৎ আন্দোলনে। জানা গেছে, বিএনপিসহ দলটির সাথে মাঠের আরো বিরোধী দলকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাজি করার ব্যাপারে সরকারের সব মেকানিজমই ব্যর্থ হয়েছে। এর পাশাপাশি ঐক্য নষ্ট করে এদের মধ্যে ভাঙ্গন ধরাতে সরকারের বিভিন্ন ধরনের রাজনৈতিক প্রশাসনিক কূটকৈৗশলও ভেস্তে গেছে। ক্ষমতাসীন মহলে এমন পরিস্থিতিতে চরম ক্ষোভ আরা হতাশা দেখা দিয়েছে। 

আসন ভাগাভাগির গুজব

দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন যতই ঘনিয়ে আসছিল ততই বাজারে প্রথম গুঞ্জন উঠে যে, বিএনপি আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনেই আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে। এর বিনিময়ে বিএনপি জাতীয় সংসদে পাচ্ছে ৮০টির’র অধিক আসন। পাচ্ছে জাতীয় সংসদে প্রধান বিরোধী দলের মর্যাদা। এর পাশাপাশি দলের শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধে মামলা- মোকাদ্দমা প্রত্যাহারও করা হবে। আসন ভাগাভাগির মাধ্যমে সমঝোতা করে বিএনপি আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনেই নির্বাচনে যাচ্ছে-এমন গুঞ্জনের বিষয়টি বহুদূর গড়ায়। বিষয়টি এমন পর্যায়ে পৌঁছে যে বিএনপি’র সাথে আন্দোলনরত সমমনাদের একটি অংশের মধ্যে এনিয়ে চরম হতাশা দেখা দেয়। একপর্যায়ে বড়ো ধরনের সন্দেহ অবিশ্বাস দেখা দেয়। তাদের ধারণা বিএনপি শেষ মেষ তাদের মাঠে ফেলে দিয়ে এই সরকারের অধীনেই আসন ভাগাভাগি করেই নির্বাচনে অংশ নেবে। সন্দেহ অবিশ্বাস দূর করতে বিএনপি’র সাথে আন্দোলনরত সমমনাদের একটি অংশের বেশ কয়েকজন শীর্ষ নেতা এক পর্যায়ে রাজধানীতে একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার সাথে সাক্ষাৎ করেন। সেখানে গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা সরাসরি জানতে চান বিএনপি কি আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনেই আসন সমঝোতার মাধমে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে? এব্যাপারে তারা বিএনপি’র চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার নিজস্ব ব্যক্তিগত মতামত জানতে চান। সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া তার নিজ দল বিএনপি’র সাথে আন্দোলনরত সকলকে সরকারের সাথে কোনো ধরনের সমঝোতা রাজি না হতে কঠোরভাবে নির্দেশ দেন। এসময় সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া স্পষ্টত বলেন, ‘দয়া করে এদের (আওয়ামী লীগ) কেনো ধরনের আশ্বাসেই আস্থা রাখবেন না, বিশ্বাসই করবেন না। তিনি বিএনপি’র সাথে আন্দোলনরত সমমনাদের ওই অংশের নেতাদের যারা হাসাপাতালে সাক্ষাৎ করতে এসছিলেন তাদের সর্তক করে বলেন, আওয়ামী লীগতে ক্ষমতায় রেখে এদের অধীনে নির্বাচনে অংশ বিএনপি ধবংস হয়ে যাবে। জনগণ বিএনপি’কে জীবনেও বিশ্বাস করবে না। খালেদা জিয়ার নিজ মুখ থেকে এমন বক্তব্য শুনে বিএনপি’র সাথে আন্দোলনরত গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা আশ্বস্ত হন। অন্যদিকে বিএনপি’র সাথে আসন ভাগাভাগি করে বা সমঝোতার মাধ্যমে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে- এসরকারের পক্ষ থেকে এমন প্রচারণা মাঠে মারা যায়। 

গ্রেফতার মামলা মোকাদ্দমাতেও অনড় বিএনপি

সরকারের পদত্যাগ ও নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে গত ২৮ অক্টোবরে বিএনপি ডেকেছিল সমাবেশ। বিএনপি সরকারকে বিভিন্নভাবে আশ্বস্ত করেছে যে এটি হবে অহিংস সমাবেশ। কিন্তু পরবর্তীতে এটি অহিংস অবস্থায় থাকেনি। এর পেছনে কে ছিল? বা কারা দায়ী? এনিয়ে চলছে নানান ধরনের গুঞ্জন। কিন্তু এই সমাবেশে ঘটে যাওয়া বিভিন্ন ঘটনার পর থেকে বিএনপি’র ওপর চলে বিভিন্ন ধরনের প্রশাসনিক পদক্ষেপ, ধরপাকড়, গ্রেফতার অভিযান। হতে থাকে একের পর এক মামলা। এমন ঘটনায় বিএনপি’র নেতাকর্মীরা এক ধরনের রাজনৈতিক বিপর্যয়ের মুখে পড়েন। বিএনপি’র নেতাদের কেউ কেউ আত্মগোপনে চলে যান। ঝড় বৃষ্টি উপেক্ষা করে দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা কর্মীদের ধান ক্ষেত উন্মুক্ত মাঠের এক কোনে কিংবা বস্তিতে আশ্রয় নেন। হন ঘর ছাড়া, যা বিভিন্ন গণমাধ্যমে উঠে আছে। এর পাশাপাশি বিভিন্ন যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। কিন্তু দেখা গেছে, এমন কঠিন পরিস্থিতিতেও বিএনপি’র হাই কমান্ড ও প্রবীন নেতারা এই সরকারের অধীনে নির্বাচনে অংশগ্রহণ প্রশ্নে না বলে গেছেন। তাদের দাবিতে বিএনপিসহ সমমনারা আপোষহীনই থেকেছেন। ২৮ অক্টোবরের ঘটনার আগে পরে সরকার যে পরিকল্পিতভাবে কাজ করে যাচ্ছিল তা আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী মন্ত্রী আবদুর রাজ্জাকও অকপেটেই স্বীকার করে নেন। তিনি বলেন, নির্বাচনে আনার জন্য বিএনপি নেতাদের কারাগার থেকে মুক্তির প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। তিনি আরো বলেন, “তারা (বিএনপি) বলুক যে নির্বাচনে আসবে, সবাইকে আমরা কালকে ছেড়ে দিবো।” কিন্তু এমন প্রস্তাবেও বিএনপি রাজি না হওয়ায় সরকারের বিভিন্ন সংস্থা বেকায়দায় পড়ে।

এখন নতুন চাপ ॥ প্রমাণ করানোর চেষ্টা বিএনপি জঙ্গি সংগঠন

এদিকে বিএনপি সরকার বাগে নিতে এবার নতুন করে কঠোর চাপ সৃষ্টির অভিযোগ করা হচ্ছে। বিএনপি’র বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী এই প্রতিনিধিকে অভিযোগ করেন তারা এখন আইন শৃংখলা বাহিনীর কাছ থেকে বিভিন্ন ধরনের চাপ পাচ্ছেন। তাদের মতে, এখন তারা পালিয়ে বেড়ানোকে নিরাপদ মনে করছেন। কারণ এখন আইন শৃংখলা বাহিনীর হাতে গ্রেফতার হলেও অন্য ধরনের বিপদ দেখা দিচ্ছে। তাদের এমন আশঙ্কার কথাই শোনা গেছে সম্প্রতি বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভীর পক্ষ থেকে গণমাধ্যমে দেয়া বক্তব্যে। তিনি বলেছেন, ছাত্রদল, যুবদলসহ অন্যান্য সংগঠনের নেতাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জোর করে তুলে নিয়ে গিয়ে পৈশাচিক অত্যাচারের মাধ্যমে তাদের শেখানো স্বীকারোক্তি আদায় করা হচ্ছে। তিনি অভিযোগ করে আরো বলেন, জনগণ বিশ্বাস করে-চলমান গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে এবং জনগণের দৃষ্টিকে ঝাপসা করতেই সরকারের ইন্ধনে একের পর এক পরিকল্পিতভাবে নাশকতা ঘটিয়ে বিএনপির ওপর দায় চাপাচ্ছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। কিন্তু এসবে কাজ হচ্ছে না বলেই রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকমহল মনে করেন। 

ফুল আর ফুটলো না

২৮ অক্টোবরে বিএনপি’র কর্মসূচির পর থেকে বিএনপি’কে বিভিন্নভাবে কোনাঠাসা করে রাখা হয়েছে। জাতীয়- আন্তর্জাতিকভাবে চেষ্টা হচ্ছে বিএনপি একটি সন্ত্রাসী দল হিসাবে প্রতিষ্ঠা করাতে। বলা হচ্ছে সহিংস পথে বিএনপি ক্ষমতায় আসতে চায়। অনেকে মনে করেন, নির্বাচনের মাস দুয়েক আগে বিএনপি আর সহিংসতাহীন শান্তি পূর্ণ আন্দোলনের অবস্থান ধরে রাখতে পারেনি একথা যেমন ঠিক তেমনি ২৮ অক্টোবরে ঘটে যাওয়া ঘটনাকে পুজি করে ক্রমশ মনোবল হারানো আওয়ামী লীগ মনোবল ফিরে পেয়েছে। কিন্তু ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ তাদের সেই অবস্থান এখন ধরে রাখতে পারছে না পরবর্তী বিভিন্ন ঘটনার কারণে। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকমহল মনে করে ২৮ অক্টোবরে ঘটে যাওয়া ঘটনাকে পুজি করে ক্ষমতাসীর আওয়ামী লীগ ধারণা করেছিল এধরনের পরিস্থিতি থেকে রেহাই পেতে বিএনপি হয়ত খুবই আপোষে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেয়ার সিদ্ধান্ত নেবে। সরকারের সাথে সমঝোতা ছাড়াই বিএনপি নির্বাচন অংশ নেবে ২৮ অক্টোবরে সহিংসতার সব দায় এড়াতে। যদিও ২৮ অক্টোবরে বিএনপি’র কর্মসূচির পর ঘটে যাওয়া ঘটনা নিয়ে জাতীয় এমনকি আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ভালো বির্তক আছে। ২৮ অক্টোবরে কিছু ঘটনার ব্যাপারে খোদ জাতিসংঘও বিবৃতি দেয়। কিন্তু তারপরেও সরকার ধারণা করে এমন ঘটনার পর সরকারের কঠোর পদক্ষেপের কারণে বিএনপি নমনীয় হবে, নির্বাচন প্রশ্নে আপোষহীন ভূমিকা থেকে সরে আসবে। এমনটাই নিশ্চিত আওয়ামী লীগের হাই কমান্ড। সরকার বিএনপি’কে নিয়ে তাদের পরিকল্পনায় সফলতার ব্যাপারে এমনভাবে নিশ্চিত ছিলেন বলেই আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক প্রায়ই জোর গলায় বলতেন। বলেছেন গণমাধ্যমে অপেক্ষা করুন আরো ফুল ফুটবে। মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার শেষ তারিখের আগে অনেক দল ও ব্যক্তি নির্বাচনে আসতে পারে এমন ইঙ্গিত করেছিলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। এ প্রসঙ্গে তিনি জোর গলাতেই বলেন, সামনের সময়টা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ (ক্রুশিয়াল)। ৩০শে নভেম্বর মনোনয়ন ফরম জমা দেয়ার শেষ তারিখ। এরমধ্যে কতো ফুল ফুটবে। আর শীতকাল তো এসে গেছে, কিছু কিছু ফুল ফোটার সময়ও এসে গেছে। এখন কোন ফুল কোথায় ফুটছে...হঠাৎ জেগে উঠবে। অপেক্ষা করুন।’ কিন্তু বাস্তবে দেখা গেছে অন্য চিত্র। বিএনপি’র মাত্র হাতে গোনা কয়েকজন সরকারের নৌকায় চড়েছেন। আর ফুল ফুটলোই না..। অথচ ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ধারণা চিল বিএনপি পুরো পুরোপুরিভাবে না আসলেও দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রশ্নে দলটির পাশাপাশি তাদের সাথে আন্দোলনরত সমমনাদের একটি বড়ো বিগড়ে বসবে, অর্থ্যাৎ নির্বাচনে অংশই নেবে। 

শেষ কথা ॥ ভেস্তে গেলো সব পরিকল্পনা

আর এমন পরিস্থিতিতে সরকারের হাই কমান্ড অনেক ক্ষুদ্ধ। যারা হাই কমান্ডকে আশ্বস্ত করেছিল বিএনপি আবারো ২০১৮ মতো নির্বাচনে অংশ নেবে, সরকারের টোপে পা দেবে তাদের ব্যাপারে আওয়ামী লীগের একেবারে শীর্ষ পর্যায়ে ক্ষোভ বিরাজ করছে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে সরকারের এমন পরিকল্পনা যে মাঠে মারা গেছে এবং সরকার বেকায়দা পড়েছে সম্প্রতি বিএনপি’র এক নেতা বলেছেন। বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ‘৭ জানুয়ারির আসন ভাগবাটোয়ারার ‘আমি-ডামির’ ভোট প্রহসন জমছে না দেখে দিশেহারা হয়ে পড়েছে প্রধানমন্ত্রী ও তার ডামি নির্বাচন কমিশন। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকমহল মনে করেন, আওয়ামী লীগ যাদের ওপর আস্থা রেখে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অংশগ্রহণ প্রশ্ন বিএনপি’কে নিয়ে যে পরিকল্পনা সাজিয়ে ছিল সেটি যে ভেস্তে গেছে তা এখন পুরোপুরি স্পষ্ট। এখন সামনে জাতীয় আন্তর্জাতিক পরিস্থিতি লক্ষ্য করে ক্ষমতাসীনরা বিএনপি’কে নিয়ে কোন পরিকল্পনা করে বিজয়ের মালা গলায় পড়বেন তা হয়-তো সময় বলে। না পুরোপুরি ব্যর্থ হবেন তা-ও সময় বলে দেবে। কিন্তু তার আগ পর্যন্ত বিএনপি’কে নিয়ে সরকারের সব পরিকল্পনা যে ভেস্তে গেছে সে আক্ষেপ বয়ে বেড়াতে হবে অনেকদিন-এমনটাই বিশ্লেষকরা মনে করেন।

শেয়ার করুন