২৯ এপ্রিল ২০১২, সোমবার, ০৫:০১:৪৫ পূর্বাহ্ন


এনওয়াইপিডি ট্রাফিক ইউনিয়ন ডেলিগেট নির্বাচিত কায়েস
দেশ রিপোর্ট
  • আপডেট করা হয়েছে : ১০-০৫-২০২৩
এনওয়াইপিডি ট্রাফিক ইউনিয়ন ডেলিগেট নির্বাচিত কায়েস শিবলী চৌধুরী কায়েসের নির্বাচনী পোস্টার


নিউইয়র্ক সিটি পুলিশ ডিপার্টমেন্ট এনওয়াইপিডির ট্রাফিক বিভাগে কর্মরতদের ইউনিয়নের একটি শূন্য পদের বিপরীতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে জয়লাভ করেছেন, সাংবাদিক শিবলী চৌধুরী কায়েস। ট্রাফিক ইউনিয়ন ‘সিডব্লিউ-লোকাল-১১৮২’-এর এই প্রতিনিধি নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা হয়েছে গেল ৩ মে বুধবার। এতে এনওয়াইপিডি ট্রাফিক বিভাগের কুইন্স-ব্রঙ্কস বরোর ডেলিগেট হিসেবে ছয় জন প্রার্থীর মধ্যেই সর্বোচ্চ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন কমিউনিটির অতি পরিচিত মুখ ও সাংবাদিক কায়েস। 

এ নির্বাচন পরিচালনা করেছে ‘আমেরিকান আর্বিট্রেশন অ্যাসোসিয়েশন’। মাত্র একটি শূন্য পদের বিপরীতে যে ছয় জন প্রার্থী ছিলেন তাদের মধ্যে পাঁচ জন বাংলাদেশি আর অন্য জন ছিলেন আফ্রিকান-আমেরিকান। ট্রাফিক পুলিশে কর্মরত প্রায় ৫৭২ জন ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। যাদের মধ্যে সর্বোচ্চ ১২৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন শিবলী চৌধুরী কায়েস। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ব্রঙ্কস ট্রাফিক কমান্ডের শামীম হক পেয়েছেন ১০৯ ভোট, কুইন্স কমান্ড থেকে নির্বাচনী দৌড়ে অংশ নেয়া তৃতীয় আরেক বাংলাদেশি চন্দন দাস পেয়েছেন ১০৪ ভোট, আদিল হোসাইন ৯৫, হোসেইন মোহাম্মদ এম ৫৬ এবং সর্বশেষ একমাত্র নন-বাংলাদেশি ও কৃষ্ণাঙ্গ প্রার্থী পিয়ের পি পেয়েছেন ৭৮ ভোট। এর মধ্যে বাতিল হয়ে যায় তিনটি। সবাইকে পেছনে ফেলে জয়লাভ করেন ট্রাফিক বিভাগের নতুন মুখ শিবলী চৌধুরী কায়েস। 

নিউইয়র্ক সিটি পুলিশ বিভাগ-এনওয়াইপিডির তিনটি শাখার মধ্যে রেগুলার পুলিশ, স্কুল সেফটি ও ট্রাফিক বিভাগেই অনেক দূর এগিয়েছেন বাংলাদেশিরা। এরই অংশ হিসেবে এনওয়াইপিডি ট্রাফিক ইউনিয়নেও বেশ শক্ত অবস্থানে তারা। বর্তমানে প্রেসিডেন্ট, সেক্রেটারি ও ট্রেজারারসহ  পাঁচ জন ডেলিগেট বাংলাদেশি। কেবল ভাইস প্রেসিডেন্ট হচ্ছেন একজন নন বাংলাদেশি। 

সাংবাদিকতার পাশাপাশি নিউইয়র্ক সিটি সিভিল সার্ভিসে যোগদান করেই মূলধারার ইউনিয়নে সম্পৃক্ততাকে বাংলাদেশিদের কর্মদক্ষতারই ফসল বলে মনে করছেন নবনির্বাচিত ইউনিয়ন ডেলিগেট শিবলী চৌধুরী কায়েস। তিনি বলেন, ‘মূলত অভিবাসীদের স্বর্গরাজ্যখ্যাত নিউইয়র্ক সিটির আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, সিভিল সার্ভিস কিংবা ব্যবসা-বাণিজ্যে বেশ শক্ত অবস্থানে বাংলাদেশিরা। এনওয়াইপিডিতেও এ ধারা অব্যাহত রয়েছে।’

শিবলী চৌধুরী কয়েস জানান, কর্মদক্ষতা এবং মেধাগুণে অনেকেই পাচ্ছেন পদোন্নতি। সেই সঙ্গে মূলধারার রাজনীতিসহ বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে বাংলাদেশিদের এগিয়ে চলা অব্যাহত রয়েছে। যার মধ্যে ট্রাফিক পুলিশ বিভাগও অন্যতম। যেখানে এন্ট্রি লেভেল থেকে শুরু করে অসংখ্য সুপারভাইজরসহ শীর্ষপদে আসীন হচ্ছেন অভিবাসী ও তাদের সন্তানরা। তবে কমিউনিটির এগিয়ে চলায় বিদেশের মাটিতে দেশীয় রাজনৈতিক চর্চা ভুলে আমেরিকান মূলধারায় ও কর্মক্ষেত্রে মনোযোগী হওয়ার কোনো বিকল্প নেই। এমনটিও যোগ করেন কায়েস। আশা ব্যক্ত করে বলেন, ‘কমিউনিটির ঐক্যই ভবিষ্যতে আরো শক্তিশালী অবস্থানে পৌঁছবেন বাংলাদেশিরা।’

শেয়ার করুন