শ্রীলঙ্কার জয়ে বাংলাদেশ দল খুশী হতে না পারলেও হাতুরাসিংহের খুশী হতে নেই কোনো বারণ। কারন তার জন্মস্থানটা যে শ্রীলঙ্কাই। মনে মনে তিনি খুশী হলেও হতে পারেন। ২১ রানেই তো হেরেছে তার নির্দেশনা দেয়া দল।
তবে বাংলাদেশ দল নিয়ে তার অভিজ্ঞতা অর্জনের যে কাটাছেড়া, তার বলী হচ্ছে বাংলাদেশ এশিয়া কাপে। এমন শ্রীলঙ্কা দলের বিরুদ্ধে ২৫৮ রান করে জিততে না পারা, এটা বাংলাদেশ দলের জন্য বড্ড বেমানান। বিশেষ করে একই কন্ডিশনে এই শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে খেলে যে অভিজ্ঞতা অর্জন করেছিল, সেটাতে হারলেও ওই অভিজ্ঞতা আজ কাজে লাগানোর কথা। কিন্তু কে সেটা কাজে লাগাবেন। তারুন্যনির্ভর দল। অভিজ্ঞ খেলোয়াড় নেই বললেই চলে। বাংলাদেশের মারটা এখানেই।
প্রেসারে খেলতে পারেনা। তছনছ হয়ে যায় ব্যাটিং লাইন।
তবে এ ম্যাচটা হেরে যাবার লজ্জা অনেক। আর মাত্র এক ম্যাচ বাকী। ভারতের বিপক্ষে। সেখানে জয় আশা করা কিতাবি বাক্য। ফলে অর্জন শুন্য নিয়েই ফিরতে হবে সাকিবদের ঢাকায়।
এ ম্যাচে প্রথম ব্যাটিং করে অনেক পরিশ্রম করে ২৫৭ করেছিল শ্রীলঙ্কা। উইকেট না বুঝলে অনেক দল দেখে শিখে। বহুকষ্টে যখণ ওই রান করেছে লঙ্কা। তখন রান করতে প্রবলেম হবে বাংলাদেশেরও। এটা বোঝা উচিৎ ছিল। কিন্তু ইজি জয়ের পথে যাওয়া ব্যাটসম্যানদের অতি আত্ববিশ্বাস ডুবিয়েছে। ২৩৬ রানে শেষ উইকেট। ওভার তখনও বাকী। অলআউট ৪৮. ১ ওভারে। দ্বায়িত্বশীল ব্যাটসম্যানরা বরাবরের মতই ব্যর্থ। লিটন দলে ফিরলেও মেরাজকে ওপেনিংয়ে খেলানোর মর্ম বোঝা যায়নি। বরং লোয়ার অর্ডারে মিরাজ থাকলে ম্যাচটা বেরও হয়ে যেতে পারতো।
ওপেনিংয়ে দ্বায়িত্বশীল একজন সাইটলাইনে। তিনি আনামুল বিজয়। অথচ মিরাজকে টেনে তোলা। এভাবে ওলটপালট দলের খেলোয়াড়দের মনবল চুরমার হয়। এ ম্যাচে যার প্রমান। দু’এক ম্যাচে হতে পারে। তাই বলে প্রতিটা ম্যাচেই। মিরাজ কবে ওপেনিংয়ে খেললো। এ পর্যায়ে এসে শক্তিশালী দলের বাঘা বাঘা পেসারের মুখে প্রাকটিসহীন ও অভ্যাস না থাকা একজন খেলিয়ে দিলেই হলো? দল সিলেকশন ও ব্যাটিং অর্ডারের এ এলেমেলো অবস্থা কী বিশ্বকাপেও চলবে সেটা কে জানে!