০১ মে ২০১২, বুধবার, ০৩:৫৬:৪৮ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
যুক্তরাষ্ট্রে এবার বন্দুকধারীর গুলিতে তিন আইনশৃংলাবাহিনীর সদস্য নিহত ‘বিশেষ চাহিদা সম্পন্নদের প্রতিভা বিকাশে কোন ধরনের প্রতিবন্ধকতা রাখা যাবে না’ সরকার ও বেসরকারি উদ্যোগে দরিদ্রমুক্ত দেশ গড়ে উঠবে - আসাদুজ্জামান খান কামাল ৭০ শতাংশ মৃত্যু অসংক্রামক রোগে, বাজেটে বরাদ্দ বৃদ্ধির দাবি ‘বিদেশে দেশবিরোধী অপপ্রচারকারীদের বিরুদ্ধে স্থানীয় আইনে ব্যবস্থা নিন’ ভূল স্বীকার করে সরে দাড়ানোয় একজনের বহিস্কারাদেশ প্রত্যাহার বাফেলোতে সন্ত্রাসীদের গুলিতে দুই বাংলাদেশী নিহত ‘শেরে বাংলা আপাদমস্তক একজন পারফেক্ট বাঙালি ছিলেন’ বিএনপির বহিস্কৃতদের জন্য সুখবর! মে দিবসে নয়পল্টনে বিএনপির শ্রমিক সমাবেশ


লঙ্কার বিপক্ষে হারের নেপথ্যে সেই ব্যাটিং
নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট করা হয়েছে : ১০-০৯-২০২৩
লঙ্কার বিপক্ষে হারের নেপথ্যে সেই ব্যাটিং লিটন আউট। কিন্তু তিনি সম্ভবত সন্দিহান ছিলেন। আত্ববিশ্বাসে ঘাটতি ছিল তারও/ছবি সংগৃহীত


শ্রীলঙ্কার জয়ে বাংলাদেশ দল খুশী হতে না পারলেও হাতুরাসিংহের খুশী হতে নেই কোনো বারণ। কারন তার জন্মস্থানটা যে শ্রীলঙ্কাই। মনে মনে তিনি খুশী হলেও হতে পারেন। ২১ রানেই তো হেরেছে তার নির্দেশনা দেয়া দল। 

তবে বাংলাদেশ দল নিয়ে তার অভিজ্ঞতা অর্জনের যে কাটাছেড়া, তার বলী হচ্ছে বাংলাদেশ এশিয়া কাপে। এমন শ্রীলঙ্কা দলের বিরুদ্ধে ২৫৮ রান করে জিততে না পারা, এটা বাংলাদেশ দলের জন্য বড্ড বেমানান। বিশেষ করে একই কন্ডিশনে এই শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে খেলে যে অভিজ্ঞতা অর্জন করেছিল, সেটাতে হারলেও ওই অভিজ্ঞতা আজ কাজে লাগানোর কথা। কিন্তু কে সেটা কাজে লাগাবেন। তারুন্যনির্ভর দল। অভিজ্ঞ খেলোয়াড় নেই বললেই চলে। বাংলাদেশের মারটা এখানেই। 

প্রেসারে খেলতে পারেনা। তছনছ হয়ে যায় ব্যাটিং লাইন। 

তবে এ ম্যাচটা হেরে যাবার লজ্জা অনেক। আর মাত্র এক ম্যাচ বাকী। ভারতের বিপক্ষে। সেখানে জয় আশা করা কিতাবি বাক্য। ফলে অর্জন শুন্য নিয়েই ফিরতে হবে সাকিবদের ঢাকায়। 

এ ম্যাচে প্রথম ব্যাটিং করে অনেক পরিশ্রম করে ২৫৭ করেছিল শ্রীলঙ্কা। উইকেট না বুঝলে অনেক দল দেখে শিখে। বহুকষ্টে যখণ ওই রান করেছে লঙ্কা। তখন রান করতে প্রবলেম হবে বাংলাদেশেরও। এটা বোঝা উচিৎ ছিল। কিন্তু ইজি জয়ের পথে যাওয়া ব্যাটসম্যানদের অতি আত্ববিশ্বাস ডুবিয়েছে। ২৩৬ রানে শেষ উইকেট। ওভার তখনও বাকী। অলআউট ৪৮. ১ ওভারে। দ্বায়িত্বশীল ব্যাটসম্যানরা বরাবরের মতই ব্যর্থ। লিটন দলে ফিরলেও মেরাজকে ওপেনিংয়ে খেলানোর মর্ম বোঝা যায়নি। বরং লোয়ার অর্ডারে মিরাজ থাকলে ম্যাচটা বেরও হয়ে যেতে পারতো।


ওপেনিংয়ে দ্বায়িত্বশীল একজন সাইটলাইনে। তিনি আনামুল বিজয়। অথচ মিরাজকে টেনে তোলা। এভাবে ওলটপালট দলের খেলোয়াড়দের মনবল চুরমার হয়। এ ম্যাচে যার প্রমান। দু’এক ম্যাচে হতে পারে। তাই বলে প্রতিটা ম্যাচেই। মিরাজ কবে ওপেনিংয়ে খেললো। এ পর্যায়ে এসে শক্তিশালী দলের বাঘা বাঘা পেসারের মুখে প্রাকটিসহীন ও অভ্যাস না থাকা একজন খেলিয়ে দিলেই হলো? দল সিলেকশন ও ব্যাটিং অর্ডারের এ এলেমেলো অবস্থা কী বিশ্বকাপেও চলবে সেটা কে জানে! 


শেয়ার করুন