বিএনপির সিনিয়র যুগ্ন মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীকে জামিনে মুক্তি দেয়া হয়েছে। দীর্ঘ সাড়ে চারমাস সময়েরও বেশী সময় ধরে কারাভোগের পর বিএনপির এ নেতা মুক্তি পেলেন। মঙ্গলবার বিকেল ৪টার দিকে তাকে কেরানীগঞ্জের কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি দেয়া হয়।
সর্বশেষ মানহানির অভিযোগে গোপালগঞ্জে করা এক মামলায় গত ১৮ এপ্রিল জামিন পেলেও জামিননামার মূল কপি কারাগারে না পৌঁছানোর কারণে ঈদের আগে তাকে মুক্তি দেওয়া হয়নি। আজ জামিননামার মূল কপি হাতে হাতে কারা কর্তৃপক্ষের কাছে দেওয়া হলে, আনুষঙ্গিক প্রক্রিয়া শেষে বিএনপির এই শীর্ষ নেতাকে মুক্তি দেওয়া হয়।
মুক্তির পর কারাগারের সম্মুখে বিএনপি ও তার বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতাকমী বিএনপির এ শীর্ষ নেতাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান। এ সময় তাকে একটি ছাদ খোলা জীপে দাড়িয়ে নেতাকর্মীদের অভিবাদনের জবাব দিতে দেখা যায়। এ সময় রিজভীর স্ত্রী আরজুমান আরা বেগম ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন- বিএনপি চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী অ্যাডভোকেট শামছুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, কেন্দ্রীয় নেতা অধ্যাপক এবিএম ওবায়দুল ইসলাম, ডা. রফিকুল ইসলাম, অধ্যাপক মোর্শেদ হাসান খান, অধ্যাপক আমিনুল ইসলাম, ঢাকা জেলা বিএনপির সভাপতি খন্দকার আবু আশফাক, সাধারণ সম্পাদক নিপুণ রায় চৌধুরী প্রমুখ।
রিজভির মুক্তি প্রসঙ্গে তার আইনজীবী সৈয়দ জয়নাল আবেদীন মেজবাহ জানান, রুহুল কবির রিজভী গ্রেফতার হওয়ার পর থেকে ৫০টি মামলায় জামিন পান। গত বছরের ৭ ডিসেম্বর পল্টন থানার মামলায় গ্রেফতার হওয়ার পর সুপ্রিম কোর্ট, ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালত, ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত এবং কুমিল্লার আদালত থেকে এসব মামলায় জামিন পান। তার বিরুদ্ধে দায়ের করা বেশির ভাগ মামলায় নাশকতার অভিযোগ আনা হয়। সর্বশেষ মানহানির মামলায় গোপালগঞ্জের আদালত থেকে জামিন পান তিনি।