২৯ এপ্রিল ২০১২, সোমবার, ০৫:৪৪:১৪ পূর্বাহ্ন


যুক্তরাষ্ট্র আ.লীগ ও সহযোগী সংগঠনের সভা
জয়ের নাম ব্যবহার করে সিদ্দিকুর ফায়দা হাসিলের চেষ্টা করেছেন
দেশ রিপোর্ট
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৫-১০-২০২৩
জয়ের নাম ব্যবহার করে সিদ্দিকুর ফায়দা হাসিলের চেষ্টা করেছেন যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভায় বক্তব্য রাখছেন ফজলুর রহমান


যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েছে। বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচনকে সমানে রেখে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের এই বিভক্তি এবং কাদা ছোড়াছুড়ি দলের সাধারণ সমর্থকরা ভালোভাবে নিচ্ছেন না। গত ১৬ অক্টোবর যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতি ড. সিদ্দিকুর রহমান এবং সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সামাদ আজাদের নেতৃত্বে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেই সভায় দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ এনে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের কার্যকরি কমিটির আট সদস্যকে কারণ দর্শানো নোটিশ দেওয়া হয়। এসব নেতার মধ্যে রয়েছেন যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ফজলুর রহমান, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক নিজাম চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল হাসিব মামুন, মহিউদ্দিন দেওয়ান, জনসংযোগ সম্পাদক কাজী কয়েস, কৃষিবিষয়ক সম্পাদক আশরাফুজ্জামান, সদস্য হিন্দাল কাদির বাপ্পা ও আতাউল গনি আসাদ। একই তারিখে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ফজলুর রহমান এবং সিনিয়র যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক নিজাম চৌধুরীর নেতৃত্বে আরেক অংশের সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতিকে উপেক্ষা করে দলের সহ-সভাপতি ফজলুর রহমানকে দলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব পালনের প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়। এছাড়াও ১০১ সদস্যবিশিষ্ট নির্বাচন পরিচালনা কমিটি গঠন করা হয়। একই সভায় ড. সিদ্দিকুর রহমানের বিরুদ্ধে গঠণতন্ত্রবিরোধী কর্মকাণ্ডসহ বিভিন্ন ধরনের অভিযোগ উত্থাপন করা হয়।

গত ১৬ অক্টোবর সন্ধ্যায় নিউইয়র্কের জ্যাকসন হাইটে মামাস পার্টি হলে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের এক গুরুত্বপূর্ণ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভার শুরুতে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত করেন মাওলানা সাইফুল আলম সিদ্দিকী।

মতবিনিময় সভাটি যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজলুর রহমানের সভাপতিত্বে ও যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাবেক ছাত্রনেতা আব্দুল হাসিব মামুন, সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য কাজী কয়েছ ও কার্যকরি সদস্য হিন্দাল কাদির বাপ্পা যৌথভাবে পরিচালনা করেন। সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মাহবুবুর রহমান, সামসু উদ্দিন আজাদ, সিনিয়র যুগ্ম-সম্পাদক নিজাম উদ্দিন চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক মহিউদ্দিন দেওয়ান, কৃষিবিষয়ক সম্পাদক কৃষিবিদ আশরাফুজ্জামান, সমাজকল্যাণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেন, মহিলা সম্পাদিকা শিরিন আক্তার দিবা, শিল্প ও বাণিজ্যবিষয়ক সম্পাদক ফরিদ আলম, কার্যকরি সদস্য আলী হোসেন গজনবী, আতাউল গনি আসাদ, কামরুল হাসান হিরা, আব্দুল হামিদ, ইলিয়ার রহমান, মোহাম্মদ কায়কোবাদ, মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মনতাজ শেহনাজ, বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের উপ-আন্তর্জাতিক সম্পাদক গাজী ওহিদুজ্জামান লিটন, বঙ্গবন্ধু আইনজীবী পরিষদ সভাপতি মুর্শেদা জামান, বঙ্গবন্ধু পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মাঈন উদ্দিন, যুক্তরাষ্ট্র স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি ও যুগ্ম-সম্পাদক নাফিকুর রহিম তোরান ও গোলাম কিবরিয়া জামান, শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক জুয়েল আহমেদ, যুবলীগ নেতা মিজানুর রহমান চৌধুরী, গণেশ কীর্তনিয়া, ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি জেড এ জয়, জাহাঙ্গীর এইচ মিয়াসহ যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, শ্রমিক লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও ছাত্রলীগের প্রায় শতাধিক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।

এছাড়াও অনলাইনে সংযুক্ত থেকে একাত্মতা প্রকাশ করেছেন যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুর রহিম বাদশা, মুক্তিযেদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক মুজাহিদু ইসলাম, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক দেওয়ান বজলু, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের কার্যকরি সদস্য শাহজাহান চৌধুরী, শামসুল আবেদীন, ওহিদুর রহমান মুক্তা ও আক্তার হোসেন চৌধুরী।

সভায় সর্বসম্মতিক্রমে সিনিয়র সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ফজলুর রহমানকে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হিসেব দায়িত্ব পালনের জন্য প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি জননেত্রী শেখ হাসিনার অনুমোদনসাপেক্ষে প্রস্তাবটি কার্যকর করা হবে।

সভায় আরো একটি সিদ্ধান্তে বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজলুর রহমানকে আহ্বায়ক ও সহ-সভাপতি মাহবুবুর রহমান, সামসু উদ্দিন আজাদ, যুগ্ম-সম্পাদক নিজাম চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল হাসিব মামুন, মো. মহিউদ্দিন দেওয়ান, সম্পাদকম-লীর সদস্য কাজী কয়েছ ও যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের কার্যকরি সদস্য হিন্দাল কাদির বাপ্পাকে যুগ্ম-আহবায়ক, কার্যকরি কমিটির সব সদস্য, বিভিন্ন স্টেট ও সিটি কমিটি এবং সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দকে সদস্য করে ১০১ সদস্য বিশিষ্ট জাতীয় সংসদ নির্বাচন পরিচালনা কমিটি গঠন করা হয়। প্রয়োজনসাপেক্ষে কমিটির সদস্যসংখ্যা বাড়ানো হবে। পরবর্তী সময়ে সবার সঙ্গে যোগাযোগ করে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হবে।

এছাড়াও নির্বাচনী কার্যক্রমকে দেশ-বিদেশে জোরদার করার জন্য তিনটি উপকমিটি গঠন করা হয়। কমিটিগুলো হলো- ১. প্রচার ও প্রকাশনা উপপরিষদ; ২. সমন্বয় ও জনসংযাগ ও ৩. ফরেন অ্যাফেয়ার্স।

যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির নেতৃবৃন্দের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ

বিভিন্ন পত্রপত্রিকা ও সোশ্যাল মিডিয়ায় যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতি ও যুগ্ম-সম্পাদকের প্রেরিত বিবৃতিটি আমাদের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। আমরা এই দূরভিসন্ধিমূলক বিবৃতির তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। আমরা কার্যনির্বাহী কমিটির প্রায় ৯০ ভাগ সদস্য এই বিবৃতিটি প্রত্যাখ্যান করে সংশ্লিষ্ট সবার অবগতির জন্য উল্লেখ করতে চাই যে, সিদ্দিকুর রহমান দায়িত্ব গ্রহণ থেকে আজ অবধি দলকে গঠনতান্ত্রিক নিয়মে পরিচালনা করেননি। তিনি মনে করেন, দলটা তার নিজস্ব একটা করপোরেশন, আর আমরা সবাই তার কর্মচারী সিদ্দিকুর রহমানের আর্থিক অনিয়ম, সংগঠনের নিয়মনীতি-বহির্ভূত কার্যক্রম, সম্মেলনের নামে আর্থিক সুযোগ-সুবিধা নেওয়া, দলে পদ-পদবির বাণিজ্যকরণ, অসংলগ্ন বক্তব্য-বিবৃতির মাধ্যমে দলের ভাবমূর্তি নষ্টকরণ, যথাযথ মর্যাদায় জাতীয় দিবসসমূহ পালনে ব্যর্থতা, সর্বোপরি সংগঠনের ঐক্য, শৃঙ্খলা এবং সংহতি বিনষ্টের অভিযোগে সর্বমহলে তিনি ইতিমধ্যে অভিযুক্ত। এসব কারণে সংগঠনের কার্যনির্বাহী কমিটিসহ দলের সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা তার গঠনতন্ত্রবিরোধী কার্যক্রমের কারণে তার প্রতি অনাস্থা জানিয়ে আসছেন। দলের হাইকমান্ডও এই সব অনিয়মের কারণে বিগত চার বছর থেকে তাকে দলের গুরুত্বপূর্ণ কোনো কার্যক্রমে সংশ্লিষ্ট হতে দিচ্ছেন না। বিবৃতিতে তারা আরো বলেন, আপনারা সবাই অবলোকন করেছেন গত ২২ সেপ্টম্বরের প্রধানমন্ত্রীর সংবর্ধনা সভা ও বিগত চার বছরে অনুষ্ঠিত অন্যান্য সভা-সমাবেশ। এতে নিশ্চয়ই  হাইকমান্ডের বার্তাটি সবার কাছে স্পষ্ট হয়ে যাওয়ার কথা। আমরা বুঝতে অক্ষম আসন্ন সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতির জন্য এম ফজলুর রহমানের সভাপতিত্বে আয়োজিত সভার সূত্র ধরে সিদ্দিকুর রহমান কি করে দলের দীর্ঘদিনের পরীক্ষিত ও গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা যারা একদিন তাকে এই পদে বসিয়েছিলেন, তাদের শোকজ করার ধৃষ্টতা দেখান। সবাই দেখেছে, গত ২২ সেপ্টেম্বর এম ফজলুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত প্রধানমন্ত্রীর সংবর্ধনা সভায় উনি সুবোধ বালকের মতো নির্বাক হয়ে বসেছিলেন কোনো ধরনের ওজর-আপত্তি ছাড়াই। কারণ তিনি ভালো করেই জানেন, তার ওপর দলের হাইকমান্ড এবং সংগঠনের সর্বস্তরের নেতৃবৃন্দের কোনো আস্থা নেই। এমতাবস্থায় অনেক আগেই তাকে দলের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি নেওয়া উচিত ছিল। সেটা তিনি না করে নানা ছলচাতুরি এবং মিথ্যাচারের আশ্রয় নিয়ে নিজেকে রক্ষার অপচেষ্টায় লিপ্ত হয়েছেন। তারই অংশ হিসেবে দলে পদ-পদবি বণ্টনের মুলা ঝুলিয়ে  প্রথমে কার্যকরি কমিটির সভার পরে বর্ধিত সভা ইত্যাদি নামে কার্যকরি কমিটির মাত্র সাতজন সদস্য নিয়ে সভা করে দলের পরীক্ষিত নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে বিষোদগার করেছেন। এখানে সবচেয়ে উদ্বেগের বিষয় হলো ওই সভায় তিনি অযাচিতভাবে সজীব ওয়াজেদ জয়ের নাম ব্যবহার করে ব্যক্তিগত ফায়দা হাসিলের অপচেষ্টা করেছেন। আমরা তীব্র ভাষায় তার এই অপচেষ্টার প্রতিবাদ জানাই এবং তাকে এই ধরনের দূরভিসন্ধি থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানাই। আমরা কার্যকরি কমিটি পক্ষ থেকে সিদ্দিকুর রহমানকে জিজ্ঞাসা করতে চাই যে,  আপনি প্রতিনিয়ত গঠনতন্ত্রের সবক’টি গুরুত্বপূর্ণ ধারা, উপধারা লঙ্ঘনের অভিযোগে পরীক্ষিত নেতাদের অভিযুক্ত করাটা নিতান্তই হাস্যকর নয় কি? আপনি তো ইতিমধ্যে সংগঠনের নেতৃবৃন্দকে শোকজ করার ক্ষেত্রে বিশ্ব রেকর্ড করেছেন, হলফ করে বলেন তো এর কয়টা কার্যকর করতে পেরেছেন? এবং দলের কি লাভ হয়েছে?

কাজেই এসব বক্তব্য-বিবৃতিতে কেউ বিভ্রান্ত না হয়ে আসুন আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে আগামী নির্বাচনে দলকে বিজয়ী করার জন্য  সর্বাত্মক প্রস্তুতি গ্রহণ করি এবং মূলধারায় প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়নের গল্প জোরালোভাবে তুলে ধরি। সেই সঙ্গে দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র ইস্পাত কঠিন ঐক্যের মাধ্যমে রুখে দাঁড়াই।

বিবৃতি প্রদান করেন, সিনিয়র সহ-সভাপতি এম ফজলুর রহমান, সহ-সভাপতি আকতার আহমদ, সৈয়দ বশারত আলী, মাহবুবুর রহমান, ডা. মোহাম্মদ আলী মানিক, সিনিয়র যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক নিজাম চৌধুরী, যুগ্ম-সম্পাদক আইরিন পারভিন, সাংগঠনিক সম্পাদক ফারুক আহমদ, মহিউদ্দিন দেওয়ান, আব্দুল হাছিব মামুন, আব্দুর রহিম বাদশা, চন্দন দত্ত, সম্পাদক কাজী কয়েছ, মিসবাহ আহমেদ, ফরিদ আলম, শাহ বখতিয়ার, কৃষিবিদ আশরাফুজ্জামান, জাহাঙ্গীর হোসেন, এম এ করিম জাহাঙ্গীর, মুজাহিদুল ইসলাম, মনসুর খান, মোহাম্মদ আলী সিদ্দিকী, ড. আব্দুল বাতেন, মাহবুবুর রহমান টুকু, দেওয়ান বজলু, শিরিন আখতার দিবা, ড. রুবেল, অ্যাডভোকেট আব্দুর রহমান মামুন, জালালউদ্দিন রুমি, নুর আলম চৌধুরী, সদস্য হিন্দোল কাদির বাপ্পা, অহিদুর রহমান মুক্তা, আজিজুর রহমান সাবু, আখতার আহমদ চৌধুরী, ডেনি চৌধুরী, শাজাহান চৌধুরী, সামছুল আবেদীন, শরাফ সরকার, আমিনুল ইসলাম কলিন্স, খুরশিদ খন্দকার, হাজী নিজাম, আব্দুল হামিদ, আলী হুসেন গজনবী, আতাউল গনি আসাদ, ময়নুল হক, শরীফ কামরুল হাসান হিরা, মস্তফা কামাল পাশা, রেজাউল করিম চৌধুরী, আলাউদ্দিন জাহাঙ্গীর, হারুণ আহমদ, মহসিন রিপন, আজহারুল ইসলাম লিটন, নুরুন নবী চৌধুরী, রফিক পাটেয়ারী, ইকবাল কবির, আমিন কতোয়াল, মীর নিজামুল হক প্রমুখ।

শেয়ার করুন