২৯ এপ্রিল ২০১২, সোমবার, ০৪:১০:৩২ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
সরকার ও বেসরকারি উদ্যোগে দরিদ্রমুক্ত দেশ গড়ে উঠবে - আসাদুজ্জামান খান কামাল ৭০ শতাংশ মৃত্যু অসংক্রামক রোগে, বাজেটে বরাদ্দ বৃদ্ধির দাবি ‘বিদেশে দেশবিরোধী অপপ্রচারকারীদের বিরুদ্ধে স্থানীয় আইনে ব্যবস্থা নিন’ ভূল স্বীকার করে সরে দাড়ানোয় একজনের বহিস্কারাদেশ প্রত্যাহার বাফেলোতে সন্ত্রাসীদের গুলিতে দুই বাংলাদেশী নিহত ‘শেরে বাংলা আপাদমস্তক একজন পারফেক্ট বাঙালি ছিলেন’ বিএনপির বহিস্কৃতদের জন্য সুখবর! মে দিবসে নয়পল্টনে বিএনপির শ্রমিক সমাবেশ উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেয়ার জের, বিএনপির বহিস্কার ৭৬ থাইল্যান্ডের ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আহ্বান


দেশকে জয়া আহসান
আমি এক-একটা চরিত্র হয়ে বেঁচে থাকি
আলমগীর কবির
  • আপডেট করা হয়েছে : ০১-১১-২০২৩
আমি এক-একটা চরিত্র হয়ে বেঁচে থাকি জয়া আহসান


পঞ্চমবারের মতো জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার উঠতে যাচ্ছে নন্দিত অভিনেত্রী জয়া আহসানের হাতে। ‘জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার-২০২২’-এ প্রধান চরিত্রে শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রীর পুরস্কার পেয়েছেন তিনি। গত ৩১ অক্টোবর মঙ্গলবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানিয়েছে তথ্য মন্ত্রণালয়। পুরস্কার ঘোষণার পর টেলিফোনে নিউইয়র্ক থেকে প্রাকাশিত পাঠকপ্রিয় দেশ পত্রিকার সঙ্গে কথা বলেছেন জয়া। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন আলমগীর কবির

প্রশ্ন: কেমন আছেন, কোথায় আছেন?

জয়া আহসান: আমি এখন সিনেমার প্রচারে কলকাতায়। এখানে ‘দশম অবতার’ নামের একটি সিনেমা মুক্তি পেয়েছে। যেখানে আমিও করছি। 

প্রশ্ন: আবারও জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন। অনুভূতি কেমন?

জয়া আহসান: ‘বিউটি সার্কাস’ সিনেমাটিতে অভিনয় করার সময়ই মনে হয়েছিল এর মাধ্যমে ভালো কিছু অর্জন হবে। আজতো সেটারই বাস্তবায়নের খবর পেলাম। যে কোনো পুরস্কারকে আমার মনে হয় ভালো কাজের স্বীকৃতি। পুরস্কার ঘোষণার পর চারদিক থেকে সুসংবাদ আসছে। তবে আমি ‘বিউটি সার্কাস’ টিমকে ধন্যবাদ জানাই। তারা না থাকলে এটা অর্জন হয়ত সম্ভব ছিলো না।

প্রশ্ন: শিল্পী জীবনের সবচেয়ে বড় ইতিবাচক দিক কোনটি?

জয়া আহসান: একজন শিল্পী এক জীবনে নানা রকম চরিত্রে অভিনয় করার সুযোগ পান। একই মানুষ কত রকম মানুষের চরিত্রে করেন। এক জীবনে অনেক জীবন পান। এটা কি অভিনয়শিল্পী না হলে সম্ভব হতো? কখনোই হতো না। শিল্পী জীবনে এটাকে বড় পাওয়া বলে মনে করি।

প্রশ্ন: ফেলে আসা জীবনে কোনো কিছু কি আপনার জীবনে প্রভাব ফেলে?

জয়া আহসান: আমি ভারতেশ্বরী হোমসে পড়ালেখা করেছি। ক্লাস ফোরে পড়ার সময় আমাকে টাঙ্গাইলের ভারতেশ্বরী হোমসে রেখে আসা হয়েছিল। ওখানে তো অনেক নিয়ম-কানুন। সব কিছু মানিয়ে নিয়েছিলাম ছোটবেলায়। ওটা ছিল আমার জীবনের বড় একটি শিক্ষা। কেননা-একলা চলা, একলা সব কিছু করা এটা তো সবাই পারেন না। আমি ওখানে পড়ালেখা করে এইসব শিখেছি। এটা আমার জীবনের বড় একটি প্রভাব ফেলেছে। এখনো যে কোনো পরিবেশে নিজেকে মানিয়ে নিতে পারি। এটা শিখেছি ওখানে পড়ালেখা করে।

প্রশ্ন: অভিনয় ছাড়া সবচেয়ে প্রিয় কাজ কি?

জয়া আহসান: এই সময়ে এসে বাগান করা। ছাদ বাগান আছে আমার। বারান্দায় নানা রকম গাছ আছে। ঈদের দ্বিতীয় দিনে এসেই মাকে বলেছি চলো ছাদ থেকে সবজি নিয়ে এসে রান্না করি। সব কিছু ফ্রেশ। এটা যে কতটা শান্তি দেয় তা বলে বোঝানো সম্ভব না। নিজের গাছের পরিচর্যা করা এই সময়ে সত্যিই ভীষণ প্রিয় কাজ।

প্রশ্ন: বাংলাদেশের পাশাপাশি ভারতে আপনি নিয়মিত কাজ করেন। ওখানকার অভিজ্ঞতা কেমন?

জয়া আহসান: আমি কাজকে আলাদাভাবে ভাগ করতে চাই না। সব জায়গার প্রত্যেকটা কাজই আমার কাছে সমান গুরুত্বপূর্ণ মনে হয়। 

প্রশ্ন: এমন কথাও শোনা যায়, আপনি এত ভালো সুযোগ পাচ্ছেন বলে টালিউডের অনেক নায়িকা ক্ষুব্ধ। 

জয়া আহসান: আদৌ কি তাই? আসলে অভিনয়টা আমার জন্য খুব আনন্দের জার্নি। তাই হয়তো কাজেও সেটা দেখা যায়। যখন আমি এক-একটা চরিত্র হয়ে বেঁচে থাকি, তখন মনে হয় জীবনযাপনটা করছি। সত্যিই যদি তাঁরা অপছন্দ করতেন, তাহলে কি আমি ১০ বছর ধরে ওখানে কাজ করতে পারতাম।’

প্রশ্ন: কিন্তু আপনি যেভাবে কলকাতায় কাজ করছেন। ওখানকার তারকারা কিন্তু সেভাবে বাংলাদেশে কাজ করছেন না। 

জয়া আহসান: দেখুন এটা অনেকটাই ব্যক্তিগত পছন্দ-অপছন্দ। আমি যত দূর জানি, এখানকার অভিনেতাদেরও অফার করা হয়। কিন্তু তাঁরা হয়তো কাজে এতটাই ব্যস্ত থাকেন বা ভরসা করতে পারেন না বা অন্য কোনো কারণ থাকতে পারে, তাই কাজগুলো করা হয় না।

শেয়ার করুন