২৮ এপ্রিল ২০১২, রবিবার, ৬:৪০:২০ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
‘শেরে বাংলা আপাদমস্তক একজন পারফেক্ট বাঙালি ছিলেন’ বিএনপির বহিস্কৃতদের জন্য সুখবর! মে দিবসে নয়পল্টনে বিএনপির শ্রমিক সমাবেশ উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেয়ার জের, বিএনপির বহিস্কার ৭৬ থাইল্যান্ডের ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আহ্বান ‘ব্রাজিল থেকে জীবন্ত গরু আনা সম্ভব, তবে প্রক্রিয়া জটিল’ খালেদা জিয়ার সঙ্গে মির্জা ফখরুলের ঘন্টাব্যাপী সাক্ষাৎ বিশ্বের প্রতি যুদ্ধকে ‘না’ বলার আহ্বান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭ জানুয়ারির সংসদ নির্বাচনে গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা প্রতিষ্ঠা হয়েছে - হাবিবুল মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের প্রতিবেদন অনুমান ও অপ্রমাণিত অভিযোগ নির্ভর- পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়


ব্যালটে থাকবেন
ট্রাম্পের পক্ষে মার্কিন সুপ্রিম কোর্ট
দেশ রিপোর্ট
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৬-০৩-২০২৪
ট্রাম্পের পক্ষে মার্কিন সুপ্রিম কোর্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প


বিদ্রোহ দমনের সাংবিধানিক ধারার উল্লেখ করে একক কোনো রাষ্ট্র ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অংশ নেয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা দিতে পারবে না। দেশটির সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্ট গত ৪ মার্চ সোমবার এমন আদেশ দিয়েছে।

সুপ্রিম কোর্টের সর্বসম্মত এই রায় কলোরাডো রাজ্যের জন্য সুনির্দিষ্ট করে দেয়া হয়েছে, কিন্তু এর মাধ্যমে অন্যান্য রাজ্যগুলোতেও ডোনাল্ড ট্রাম্পের জন্য যে প্রতিবন্ধকতা তৈরি হয়েছিল সেগুলো বাতিল হয়ে গেল। কলোরাডো ট্রাম্পকে রিপাবলিকানদের প্রাইমারিতে অংশ নেয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল। তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগে বলা হয়েছিল যে, তিনি ২০২১ সালের ক্যাপিটল দাঙ্গা উস্কে দিয়েছিলেন। আদালত তার রায়ে বলেছে যে, নির্বাচনে নিষেধাজ্ঞা দেয়ার ক্ষমতা শুধু কংগ্রেসের রয়েছে, কোনো রাজ্যের নয়।

সর্বোচ্চ আদালতের এই রায়ের ফলে ৫ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া কলোরাডোর প্রাইমারিতে ট্রাম্পের অংশগ্রহণের পথ সুগম হয়ে গেল।

রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হওয়ার দৌড়ে ট্রাম্প এগিয়ে রয়েছেন এবং ধারণা করা হচ্ছে আগামী নভেম্বরের নির্বাচনে ডেমোক্র্যাটিক প্রার্থী জো বাইডেনের সাথে বেশ ভালো টক্কর দেবেন তিনি। ৪ মার্চ সোমবার এই রুল জারির পর সাবেক প্রেসিডেন্ট তার ট্রুথ নামে সামাজিক মাধ্যমে বিজয় ঘোষণা করেছেন। তিনি দাবি করেছেন, এটি “আমেরিকার জন্য বড় জয়।”এই বার্তার পর পরই নির্বাচনি প্রচারণার তহবিল সংগ্রহের জন্য তার সমর্থকদের কাছে ই-মেইল পাঠানো হয়েছিল।

এরপর তিনি ফ্লোরিডায় তার বাসভবন মার-এ-লাগোতে এক বক্তৃতায় বলেন, এই সিদ্ধান্ত “খুবই সুচিন্তিত” এবং “দেশকে একত্রিত করতে এটি ভূমিকা রাখবে যা এই মুহূর্তে দরকার।” ট্রাম্প বলেন, “তোমার বিরোধীরা চায় বলেই তুমি কাউকে কোনো প্রতিযোগিতা থেকে বের করে দিতে পারো না।”

জিনা গ্রিসওয়াল্ড বলেন, এই রুল জারির কারণে তিনি হতাশ হয়েছেন। তিনি বলেন, “শপথ ভঙ্গ করে বিদ্রোহে উস্কানি দেয়াটাকে নির্বাচন থেকে বাতিল করার ক্ষমতা কলোরাডোর থাকা উচিত।” একই সাথে ওয়াচডগ সংস্থা সিটিজেন ফর রেসপনসিবিলিটি এন্ড ইথিকস ইন ওয়াশিংটন-সিআরইডাব্লিউ যারা এই বিষয়টি কলোরাডোতে উত্থাপিত করেছে তারা একটি বিবৃতিতে বলেছে যে, আদালত “সময়ের দাবি পূরণে ব্যর্থ হলেও” এটা “এখনো গণতন্ত্রের জন্য একটি বিজয়: কারণ ট্রাম্প ইতিহাসে বিদ্রোহীবাদী হিসেবেই উল্লেখ থাকবেন।”

আদালত তার রায়ে বলে, “আমরা সম্মত হয়েছি যে, রাজ্যগুলো হয়তো কোনো ব্যক্তিকে রাজ্য সরকারে যাওয়ার বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা দিতে পারে।” “কিন্তু কেন্দ্রীয় বা ফেডারেল সরকারে বিশেষ করে প্রেসিডেন্টের ক্ষেত্রে সংবিধানের ৩ অনুচ্ছেদ কার্যকর করার কোনো ক্ষমতা রাজ্যগুলোর নেই।”

নয় জন বিচারকের সবাই রুল জারি করে বলেন, শুধু কংগ্রেসই ফেডারেল কর্মকর্তা এবং প্রার্থীদের বিরুদ্ধে সংবিধানের ১৪তম সংশোধনীর ধারা জারি করতে পারবে। গৃহযুদ্ধকালীন সংশোধনীর মাধ্যমে আনা সেকশন থ্রি অনুযায়ী, ফেডারেল, রাজ্য এবং সামরিক বাহিনীর কোনো কর্মকর্তার বিরুদ্ধে যদি যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে “বিদ্রোহে অংশগ্রহণের” কোনো অভিযোগ থাকে তাহলে সে আবার কোনো দপ্তরে পুনর্বহাল হতে পারবেন না। মামলায় বলা হয়েছে যে, ২০২১ সালের ৬ই জানুয়ারি ক্যাপিটল হিলে যে দাঙ্গা হয়েছিল তা উস্কে দিয়েছিলেন ট্রাম্প।

ফ্রি স্পিচ ফর পিপল এর মতো গোষ্ঠীগুলো বলছে, ২০২১ সালের ৬ই জানুয়ারি শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর বাধাগ্রস্ত করার প্রচেষ্টা সংবিধানে উল্লেখিত বিদ্রোহের সংজ্ঞার সাথে মিলে যায়।

আদালতের একজন বিচারপতি অ্যামি কনি ব্যারেট আলাদাভাবে লিখেছেন, নয়জন বিচারপতি মামলার বিষয়ে যে রায় দিয়েছেন, সেই বার্তাটিই “আমেরিকানদের গ্রহণ করা উচিত।”

বিচারপতি ব্যারেট লিখেছেন, “প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের এই অস্থিতিশীল সময়ে আদালত রাজনৈতিকভাবে অভিযুক্ত একটি ইস্যু নিষ্পত্তি করেছে। এই পরিস্থিতিতে, আদালতের এই সিদ্ধান্তে জাতীয় উদ্বেগ না বেড়ে কমা উচিত।” তবে আদালতের তিনজন লিবারেল বিচারক বলেছেন, এই আদেশের মাধ্যমে ‘আদালত এবং ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যে সাংবিধানিক প্রশ্নে ভবিষ্যতে যাতে বিতর্ক তৈরি না হয়’ সেটা নিশ্চিত করা হয়েছে। এ কারণেই ঘোষণা করা হয়েছে যে, ‘বিদ্রোহজনিত কারণে কেউ নির্বাচন করার অযোগ্য হতে পারে শুধুমাত্র যদি কংহ্রেস কখনো এ ধরনের আইন তৈরি করে।’ তারা আরো বলেছেন, “এটি করার কারণে সম্ভাব্য অন্য ক্ষেত্রগুলো যেখানে এই নীতি প্রয়োগ করা যেতো তার দ্বার বন্ধ হয়ে গেলো।”

শেয়ার করুন