ফায়ার সার্ভিসের সঙ্গে যুক্ত হয়ে সেনাবাহিনীও আগুন নেভানোর মিশনে। তবুও আগুন পুরাপুরি নিয়ন্ত্রনে আনা যাচ্ছেনা। আগের দিনগত রাত দশটায় শুরু হওয়া অগ্নিপাত এ রিপোর্ট লেখাকালী রাত সাড়ে সাতটায়ও আগুন নেভানোর পুরাপুরি ঘোষনা দিতে পারেনি। তবে রাত দশটা নাগাদ আগুন নেভানো সম্ভব হবে বলে জানা গেছে উদ্ধারের কাছে নিয়োজিত সুত্রে।
এরপর নিরুপনে কাজ করা হবে ক্ষয়-ক্ষতি ও তদন্ত। ইতিমধ্যে একটি তদন্ত কমিটিও গঠিত হয়েছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত প্রায় অর্ধশতাধিক লোকের মৃত্যু ঘটেছে। যার মধ্যে আটজনের মত ফায়ারসার্ভিসের কর্মীও। আগুন নেভানোর কাছে নিয়োজিত থাকার পর হটাৎ করে কন্টিনার ব্লাষ্ট হয়ে ফায়ার সার্ভিসকর্মীদের নির্মম মৃত্যু ঘটে।
এদিকে সিতাকুন্ডে এমন ভয়াভয় ঘটানায় গোটা দেশজুড়েই শোকের ছায়া নেমে এসেছে। এতগুলো প্রাণ এভাবে ঝড়ে গেল- মানুষ প্রতিনিয়ত আফসোস করছে। উল্লেখ্য, আগুন নেভানোর কাজে ফায়ারসার্ভিসের ২৫ টি দল এক যোগে কাজ করেছে। যার সঙ্গে সকালেই যোগ দেয় সেনাবাহিনীর উদ্ধারকর্মীরাও।
ঘটনার পর থেকে আশপাশের গ্রামগুলোয় পোড়া গন্ধে এলাকা ভারী হয়ে উঠেছে। গন্ধে মানুষ বিপাকে। নিহতদের প্রত্যেককে দুই লাখ করে ও আহতদের পঞ্চাশ হাজার করে টাকা প্রদানের ঘোষনা দিয়েছে সরকার।
আগুন যতই নিয়ন্ত্রন হচ্ছে ততই কান্নায় ভেঙ্গে পরছে স্বজনহারারা। কেউ তার স্বজনদের খুজছেন। কেউবা নিশ্চিত হয়েছেন। আহতদের চিৎকারেও ভারী হচ্ছে আকাশ। কাউকে কাউকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেয়া হয়েছে। বিএম কন্টিনারের ওই এলাকায় হাহাকার ও স্বজনদের শান্তনা দেয়ার মত ভাষা খুজে পাচ্ছেনা কেউ। স্বজনরা তাদের প্রিয়জনের নানা বর্ননা দিয়ে আহাজারি করছে। এ এক হ রিদয় বিদারক ঘটনা।