০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, শুক্রবার, ৬:৩৭:১৪ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
স্ন্যাপ সুবিধা ফিরলেও কঠোর নিয়মে বিপাকে ৪০ মিলিয়ন মানুষ মসজিদে ধারাবাহিক হামলা, উদ্বেগে মুসলিম সম্প্রদায় ফেব্রুয়ারি ১ থেকে রিয়েল আইডি ছাড়া বিমানযাত্রায় লাগবে ৪৫ ডলারের ফি নিউইয়র্কে শীতকালে ঘর গরম রাখার জন্য এনার্জি সহায়তার আবেদন শুরু দারিদ্র্যপীড়িত দেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসন স্থায়ীভাবে বন্ধের আহ্বান ট্রাম্পের ১৯ দেশের গ্রিনকার্ডধারীদের পুনর্মূল্যায়ন শুরু তারেকের ‘ফেরা ইস্যু’ ঘোলা পানিতে মাছ শিকারে চেষ্টা বিডিআর বিদ্রোহের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের কমিশন রিপোর্টে তোলপাড় রাষ্ট্রীয় সর্বোচ্চ মর্যাদায় খালেদা জিয়া ১১ মাসে ২৮ জন বাংলাদেশী ভারতীয় সীমান্ত রক্ষীবাহিনী কর্তৃক নিহত হয়েছে


অর্থনৈতিক সংকটে সরকার
সালেক সুফী
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৯-০৫-২০২৪
অর্থনৈতিক সংকটে সরকার


ঘরে-বাইরে নানা চাপে সংকট সময়ে চার টার্মে ধারাবাহিক রাষ্ট্রশাসনের দায়িত্বে থাকা আওয়ামী লীগ সরকার। নিজেদের ভুল পরিকল্পনার সঙ্গে নানা বৈষয়িক কারণে অর্থনৈতিক সংকট ঘনীভূত হচ্ছে। ব্যাংক এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর কাঠামো ভেঙে পড়েছে। সরকার কিছুতেই বাজার সিন্ডিকেট ভাঙতে পারছে না।

নিত্যপণ্যের বাজার লাগামহীন। ভুল সময়ে ডলারের মূল্যমান বাজারভিত্তিক করার সিদ্ধান্ত বাণিজ্য, শিল্প, বিনিয়োগ সবক্ষেত্রেই অশুভ প্রভাব ফেলছে। ইতিমধ্যে প্রাক্তন পুলিশ প্রধান ও সাবেক র‌্যাব অধিনায়কের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগের তদন্ত শুরু হয়েছে, প্রাক্তন সেনাপ্রধানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। সংযুক্ত আরব আমিরাতে অবৈধ সম্পদের অধিকারীদের তালিকায় বাংলাদেশের বেশকিছু মানুষের থাকার প্রামাণ্য ডকুমেন্টস এখন মিডিয়ার কাছে। এরই মধ্যে কলকাতায় নির্মমভাবে নিহত হয়েছে বাংলাদেশের অন্যতম সংসদ সদস্য। এহেন সংকট সময়েও সরকারের গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রীরা দায়িত্বপূর্ণ বক্তব্য দিচ্ছেন বলা যাবে না।

একটি দেশের সেনাবাহিনী প্রধান এবং পুলিশ প্রধানের বিরুদ্ধে দুর্নীতি এবং সেই দুর্নীতির দায়ে কোনো দেশে কারো নিষিদ্ধ হওয়া, কিন্তু একটি দেশের ভাবমূর্তির জন্য শুভ নয়। অনেকেই বলছেন, ধর্মের ঢোল বাতাসে বাজে। অনেকেই বলছেন, থলের বিড়াল বেরিয়ে আসতে শুরু করছে। এমনটা অব্যাহত থাকলেও অবাক হওয়ার কিছুই থাকবে না। কেননা অর্থনৈতিকভাবেও অনেকেই সম্পদের পাহাড় গড়ে ব্যাংকগুলোকে বিপদে ফেলে দিয়েছেন। ফলে সংকট সময়ে দায়িত্বপূর্ণ মন্ত্রীরা সতর্ক মন্তব্য না করলে ক্রমাগত বিব্রত হতে থাকবে সরকার।

প্রথমেই আসি অর্থনৈতিক সংকট নিয়ে। বৈদেশিক মুদ্রার সংকট আতঙ্কজনক পর্যায়ে পৌঁছেছে। অব্যাহত ডলার সংকটে আমদানি-রফতানি উভয় ক্ষেত্রে সংকট ঘনীভূত করছে। ডলার সংকটে প্রাথমিক জ্বালানি আমদানি সক্ষমতা প্রশ্নবিদ্ধ। এতো হাঁকডাক করে গোটা দেশকে বিদ্যুৎ সরবরাহের আওতায় আনার সাফল্য এখন বুমেরাং প্রমাণিত হচ্ছে। গ্রিড নন-গ্রিড মাইল প্রায় ৩০ হাজার মেগাওয়াট ক্ষমতা নিয়েও ধারাবাহিকভাবে ১৫ হাজার মেগাওয়াট উৎপাদন করতে পারছে না বাংলাদেশ। সামগ্রিক বিদ্যুৎ-জ্বালানি সাপ্লাই চেইন ম্যানেজমেন্ট চ্যালেঞ্জের মুখে। বিদ্যুৎ জ্বালানি সংকটের কারণে শিল্পখাতে সংকট চলছে। 

আগামী দুই মাসে রফতানি আয় কমে বৈদেশিক মুদ্রার সঞ্চয়ে বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে। কতটা অসহায় হলে প্রধানমন্ত্রীকে সংসদে বলতে হয় প্রয়োজনে ঢাকার অভিজাত এলাকায় লোডশেডিং করে হলেও গ্রামাঞ্চলে বিদ্যুৎ সরবরাহ উন্নত করতে হবে। প্রয়োজনে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রীর বাসাও লোডশেডিং মুক্ত থাকবে না।

প্রাক্তন পুলিশপ্রধান এবং প্রাক্তন সেনাবাহিনী প্রধানের পর আরো কোনো কোনো আলোচিত ব্যক্তির বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ আসার শঙ্কা ঘনীভূত হচ্ছে।

এই যে বাংলাদেশের দুষ্কৃতকারীরা কলকাতায় বাংলাদেশের সংসদ সদস্যকে হত্যা করলো এটি কি শুভ আলামত? সংকটগুলো কিন্তু দৃশ্যমান। সরকারের মন্ত্রীরা উদোর পিন্ডি বুধোর ঘাড়ে না চাপিয়ে সমস্যার গভীরে প্রবেশ করে সমাধানের সমন্বিত প্রচেষ্টা নেওয়ার পরামর্শ দেবো। কাচের ঘরে বসে ঢিল ছোড়া অবশ্যই পরিত্যাগ করতে হবে।

শেয়ার করুন