০৪ জুলাই ২০১২, বৃহস্পতিবার, ০২:১০:০৪ পূর্বাহ্ন


গতানুগতিক ও ঋণনির্ভর ঘাটতি বাজেট
নিজস্ব প্রতিনিধি
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৭-০৬-২০২৪
গতানুগতিক ও ঋণনির্ভর ঘাটতি বাজেট


বাম গণতান্ত্রিক জোট কেন্দ্রীয় পরিচালনা পরিষদের সমন্বয়ক ও বাসদের সাধারণ সম্পাদক কমরেড বজলুর রশীদ ফিরোজ, সিপিবি’র সভাপতি কমরেড শাহ আলম, সাধারণ সম্পাদক কমরেড রুহিন হোসেন প্রিন্স, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির সাধারণ সম্পাদক কমরেড মোশরেফা শিশু, বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের সাধারণ সম্পাদক কমরেড ইকবাল কবীর জাহিদ, বাসদ (মার্কসবাদী) সমন্বয়ক কমরেড মাসুদ রানা ও সমাজতান্ত্রিক আন্দোলনের নির্বাহী সভাপতি কমরেড আব্দুল আলী  ৬ জুন ২০২৪ সংবাদপত্রে দেয়া এক তাৎক্ষণিক বাজেট প্রতিক্রিয়ায় প্রস্তাবিত বাজেটকে গতানুগতিক ও ঋণনির্ভর ঘাটতি বাজেট হিসেবে প্রত্যাখ্যান করে গরীব মেহনতি মানুষের পক্ষে গণমুখী বাজেট প্রণয়নের আহŸান জানিয়েছেন।


বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, ২ লক্ষ ৫৬ হাজার কোটি টাকার ঘাটতি বাজেটে দেশি বিদেশি ঋণের উপর নির্ভর করা হয়েছে। এমনিতেই সরকার ঋণের ভারে জর্জরিত। ফলে ঋণের সুদ পরিশোধের জন্যই বাজেটে বিরাট অংকের ১ লক্ষ ১৩ হাজার ৫০০ কোটি টাকা অর্থাৎ মোট বাজেটের ৭ ভাগের একভাগ বরাদ্দ রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে।


ব্যাংকগুলো থেকে সরকার ঋণ করায় এবং খেলাপী ঋণের কারণে ব্যাংকগুলো তারল্য সংকটে ভুগে দেউলিয়া হওয়ার পথে। আর্থিক খাতের সংকট নিরসনে বাজেটে কোন দিক নির্দেশনা নাই। বেকার সমস্যার সমাধান ও কর্মসংস্থানেরও কোন দিক নির্দেশনা বাজেটে নাই। তাছাড়া মূল্যস্ফীতি যেখানে প্রায় ১০% সেখানে বর্তমান প্রবৃদ্ধি যে ঋণাত্মক তা আড়াল করে আগামীতে প্রবৃদ্ধি ৬.৭৫% এবং মূল্যস্ফীতি ৬.৫% অর্থাৎ বাস্তবে প্রবৃদ্ধি ০.২৫% ধরা হয়েছে। তাও কীভাবে অর্জিত হবে তার কোন দিক নির্দেশনা নাই।


টাকার অবমূল্যায়, মূল্যস্ফীতি ও জিডিপি বিবেচনায় নিলে বাজেটে শিক্ষা-স্বাস্থ্য-কৃষি এবং সামাজিক সুরক্ষা খাতেও বরাদ্দ বাস্তবে বাড়েনি। টাকার অংকে সামাজিক সুরক্ষা খাতে ১০ হাজার কোটি টাকা বাড়ানোর প্রস্তাব করা হলেও বাস্তবে তা পেনশনভোগী ও মুক্তিযোদ্ধা ভাতায় চলে যাবে। উপরন্তু কৃষি খাতে ২৩-২৪ অর্থ বছরের সংশোধিত বাজেটের তুলনায় প্রস্তাবিত বাজেটে কৃষি খাতে বরাদ্দ কমানো হয়েছে।
বাজেটে শ্রমজীবী জনগোষ্ঠীর খাদ্য নিশ্চয়তার জন্য রেশনিং এর জন্য কোন বরাদ্দ রাখা হয়নি। বাজেটে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ এবং দুর্নীতি রোধে কোন কার্যকর দিক নির্দেশনা নাই। যেখানে আজিজ, বেনজির, আনার কাÐে সরকারের দুর্নীতির ভয়াবহতা ফুটে উঠেছে সেখানে এবারেও কালো টাকা সাদা করার সুযোগ রেখে দুর্নীতিকে আরো উৎসাহিত করার ব্যবস্থা হচ্ছে।


বিবৃতিতে বাম জোটের নেতৃবৃন্দ ধনি, লুটপাটকারীদের স্বার্থে বাজেট না করে গরীব মেহনতি মানুষের স্বার্থে বাজেট প্রণয়নের জোর দাবি জানান।
বাজেট প্রত্যাখ্যান ও গণমুখী বাজেটের দাবিতে বাম গণতান্ত্রিক জোটের পক্ষ থেকে আগামী ৮ জুন শনিবার দেশব্যাপী বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে।

শেয়ার করুন