০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, শুক্রবার, ০৩:১৪:৩৯ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
স্ন্যাপ সুবিধা ফিরলেও কঠোর নিয়মে বিপাকে ৪০ মিলিয়ন মানুষ মসজিদে ধারাবাহিক হামলা, উদ্বেগে মুসলিম সম্প্রদায় ফেব্রুয়ারি ১ থেকে রিয়েল আইডি ছাড়া বিমানযাত্রায় লাগবে ৪৫ ডলারের ফি নিউইয়র্কে শীতকালে ঘর গরম রাখার জন্য এনার্জি সহায়তার আবেদন শুরু দারিদ্র্যপীড়িত দেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসন স্থায়ীভাবে বন্ধের আহ্বান ট্রাম্পের ১৯ দেশের গ্রিনকার্ডধারীদের পুনর্মূল্যায়ন শুরু তারেকের ‘ফেরা ইস্যু’ ঘোলা পানিতে মাছ শিকারে চেষ্টা বিডিআর বিদ্রোহের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের কমিশন রিপোর্টে তোলপাড় রাষ্ট্রীয় সর্বোচ্চ মর্যাদায় খালেদা জিয়া ১১ মাসে ২৮ জন বাংলাদেশী ভারতীয় সীমান্ত রক্ষীবাহিনী কর্তৃক নিহত হয়েছে


ওজন পার্ক ভোটকেন্দ্রের চালচিত্র
দেশ রিপোর্ট
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৯-০৬-২০২২
ওজন পার্ক ভোটকেন্দ্রের চালচিত্র ওজন পার্ক কেন্দ্রের বাইরে সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী মঈনুল ইসলামসহ অন্যান্য অতিথিবৃন্দ


প্রযুক্তিগত ত্রুটির কারণে পূর্বের নির্ধারিত সময় সকাল ৯টার পরিবর্তে একঘণ্টা বিলম্বে ওজন পার্কের দেশি সেন্টারে জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশন অব নির্বাচনে ভোটদান শুরু হয়। যে কারণে ভোটগ্রহণ করা হয় রাত ৯টা পর্যন্ত। ভোটকেন্দ্রে প্রথম ভোট প্রদান করেন সাহেদা বেগম (ভোটার নম্বর ১৫১১)। ওজন পার্ক ভোটকেন্দ্রে সাধারণ ভোটার ছিলো ৩ হাজার ৮৯৭, আজীবন সদস্য ৪৪৪। সকাল ৮টার আগ থেকেই কেন্দ্রের বাইরে ভোটারদের লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। অনেকে এসেছিল সকাল সকাল ভোট প্রদান করে কাজে চলে যাবেন বলে। অনেকে ঝামেলা এড়াতে সকালে লাইনে দাঁড়িয়েছিলেন। মেশিনে ওয়াইফাই ত্রুটি থাকায় একঘণ্টা বিলম্ব হয়। বিলম্বের কারণে ভোট প্রদান না করে অনেকে চলে যান। কারণ তাদের কাজ ছিলো। অনেকেই আবার ধৈর্য ধরে লাইনে দাঁড়িয়ে ভোট প্রদান করেন। ভোটকেন্দ্রে ছোটখাটো সমস্যা দায়িত্বে থাকা নির্বাচন কমিশনার আহমদ এ হাকিম অত্যন্ত দতার সাথে সমাধান করেন। কৌশল, সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত নির্বাচন পরিচালনার জন্য অনেকে আহমদ এ হাকিমের ভ‚য়সী প্রশংসা করেন অনেক ভোটার। নির্বাচন চলাকালীন সময়ে প্রতিদ্ব›দ্বী প্রার্থী, সমর্থক, ভোটাররদর উপস্থিতি ভোটকেন্দ্র এলাকায় উৎসবমুখর পরিবেশ পরিলক্ষিত হয়। হাঁকডাক, আড্ডা, ভোটের বিচার বিশ্লেষণ ছিলো শেষ সময় পর্যন্ত। ভোট চলাকালীন সময়ে প্যানেলের প্রার্থী, স্বতন্ত্র প্রার্থী সবার মুখে ছিল চিন্তা ও বিষন্নতার ছাপ। প্রার্থীদের দৌড়ঝাঁপ, ভোটারদের কাছে শেষ আর্তি, সমর্থকদের কাজে নিয়োজিত করা, ভোটকেন্দ্রে আসার জন্য ভোটারদের ফোন করা ছিলো চোখে পড়ার মতো। প্যানেলের প্রার্থীরা মনে করেছিলেন যেহেতু তাদের ভোট বেশি, সেহেতু টেনশন কম, কিন্তু ভোটাদের কম উপস্থিতি তাদের টেনশনে ফেলে দেয়। যদিও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা জানতেন তারা নির্বাচনে পরাজিত হবেন, তারপরেও চ্যালেঞ্জ নেয়া। 

ভোটার উপস্থিতির প্রসঙ্গে অনেকে বলেন, প্রথমত. একটি প্যানেলের ১৯ জনের মধ্যেই ১৪ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত। নির্বাচন করেছেন ৫ জন। যে কারণে ভোটার উপস্থিতি কম। যদি বাকি ১৪ জনকে নির্বাচন করতে হতো, তাহলে ভোটের চিত্র অন্যরকম হতো। অর্থাৎ ভোটার উপস্থিতি অনেক বেশি থাকতো। আবার স্বতন্ত্র প্রার্থীরাও যদি নির্বাচনে আটঘাট বেঁধে নামতো, সব প্রার্থী জয়ের জন্য ভোটারদের খুঁজে খুঁজে নিয়ে আসতো। নির্বাচন হতো প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ। ভোটারদের উপস্থিতিতে এলাকার চিত্র পাল্টে যেতো। অন্যদিকে প্যানেলের প্রার্থীরা জানতেন তারা সহজে জয়ী হবেন, কারণ তাদের ভোট অনেক বেশি। আবার স্বতন্ত্র প্রার্থীরাও জানতের পরাজয় তাদের নিশ্চিত। অনেক মনে করেছিলেন ওজন পার্কে অন্যান্য কেন্দ্রের চেয়ে এখানে ভোট বেশি। যে কারণে ভোটারদের উপস্থিতি হবে চোখে পড়ার মতো, কিন্তু তা হয়নি। ভোটাররা ঝাঁকে ঝাঁকে এসেছেন, ভোট দিয়ে চলে গেছেন। তবে মহিলা ভোটারদের উপস্থিতি ছিল কম। 

ভোটকেন্দ্রের পরিধি বড়, মেশিন ছিল বেশি (৭টা)। ভোটের পরিবেশ ছিল খুবই আনন্দঘন। কমিশনকে সাহায্য করেছেন বিয়ানীবাজার সমিতির সাবেক নির্বাচন কমিশনার আনোয়ার হোসেন, ছালেহ আহমদ মনিয়া, আমিনুল ইসলাম চুন্নু, বিয়ানীবাজার সমিতির বর্তমান সেক্রেটারি নজমুল হক মাহবুব, রিজু মোহাম্মদ, বিয়ানীবাজার সমিতির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জামাল হোসেন, বাবুল চৌধুরী, জসিম উদ্দিন, মিছবাহ আহমদ, বিয়ানীবাজার সমিতির সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক আবু তৈয়ব মোহাম্মদ তালহা। অন্যদিকে নির্বাচন কমিশনার নির্বাচন পরিচালনায় অত্যন্ত দতার ও বিচক্ষণতার পরিচালয় দিয়েছেন। 

ভোটগ্রহণ শেষে নির্বাচন কমিশনের সদস্য আহমদ এ হাকিম হলভর্তি লোকজনের সম্মুখে ফলাফল ঘোষণা করেন। ঘোষণার সময় সভাপতি পদপ্রার্থী বদরুল হোসেন খান, সেক্রেটারি পদপ্রার্থী মঈনুল ইসলাম, কোষাধ্য পদপ্রার্থী মোহাম্মদ আলীম, স্বতন্ত্র সেক্রেটারি পদপ্রার্থী শায়কুল ইসলাম, স্বতন্ত্র সভাপতি প্রার্থী মাসুদুল হক ছানু, স্বতন্ত্র প্রার্থী মিছবাহ উদ্দীন আহমদ ও সাহিদুল হক রাসেল, বাংলাদেশ সোসাইটির সাবেক সভাপতি এম আজিজ, বিয়ানীবাজার সমিতির সাবেক সভাপতি মোস্তফা কামাল, মকবুল রহিম চুনই, সাবেক সেক্রেটারি ফখরুল ইসলাম দেলোয়ার, মুহিবুর রহমান রুহুল, বিলাল চৌধুরী, আবুল ফজল দিদারুল ইসলাম, বাংলাদেশ স্পোর্টস কাউন্সিলের সভাপতি মিছবাহ আবদীন, বিয়ানীবাজার সমিতির সাবেক সহ সভাপতি মোজাহিদুল ইসলাম, মসজিদ আল আমানের সাবেক সভাপতি কবির চৌধুরী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

আহমদ এ হাকিম বলেন, সকলের সহযোগিতায় আমরা একটি সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য নির্বাচন উপহার দিয়েছি। এটা সম্ভব হয়েছে সকলের সহযোগিতায়। এ জন্য তিনি সবার প্রতি আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।


শেয়ার করুন