১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, শনিবার, ০১:৪০:২০ পূর্বাহ্ন


ইইউতে পোশাক রফতানি বেড়েছে ৮.০৭ বিলিয়ন ডলার
বিশেষ প্রতিনিধি
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৫-০৬-২০২৫
ইইউতে পোশাক রফতানি বেড়েছে ৮.০৭ বিলিয়ন ডলার গার্মেন্টস কারখানা


ইউরোপীয় ইউনিয়নে (ইইউ) বাংলাদেশের পোশাক রফতানি উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পেয়ে ২০২৫ সালের জানুয়ারি-এপ্রিল সময়কালে ৮.০৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে, যা ২০২৪ সালের একই সময়ে ছিল ৬.৫১ বিলিয়ন ডলার।

এই সময়ে দেশের তৈরি পোশাক রফতানি ২৩.৯৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। এ সময় পোশাক রফতানির পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে ১৯.৭১ শতাংশ এবং একক মূল্য বেড়েছে ৩.৫৭ শতাংশ। যা রফতানি আয়, পরিমাণ ও দামের একটি ভারসাম্যপূর্ণ বৃদ্ধি নির্দেশ করে।

ইউরোস্ট্যাটের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৫ সালের জানুয়ারি-এপ্রিল সময়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের বৈশ্বিক পোশাক আমদানিতে ১৪.২১ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে, যার আর্থিক পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩২.৪৯ বিলিয়ন ডলার। পরিমাণের দিক থেকে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১৫.৮৪ শতাংশ, তবে গড় ইউনিট মূল্য ১.৪১ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে।

একই সময়ে চীন, ভারত, পাকিস্তান ও কম্বোডিয়াও ইইউতে উল্লেখযোগ্য প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে।

২০২৫ সালের জানুয়ারি-এপ্রিল সময়কালে ইইউতে চীনের রফতানি ২১.৪৯ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ৮.৩৯ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে, যেখানে ইউনিট মূল্য ৭.৩৭ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।

তবে তুরস্কের রফতানিতে নেতিবাচক প্রবণতা দেখা গেছে। দেশটির ইইউতে রফতানি ৫.৪১ শতাংশ হ্রাস পেয়ে ৩.১০ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে। অন্যদিকে ভিয়েতনামের রফতানি ১৫.৬২ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ১.৪৮ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে এবং ইউনিট মূল্য ৫.৬৮ শতাংশ বেড়েছে।

ভারত, পাকিস্তান ও কম্বোডিয়া যথাক্রমে- ২.০১ বিলিয়ন, ১.৪২ বিলিয়ন ও ১.৫৬ বিলিয়ন ডলার রফতানি করেছে। যার প্রবৃদ্ধির হার যথাক্রমে- ২০.৫৮ শতাংশ, ২৩.৪২ শতাংশ ও ৩১.৭৮ শতাংশ।

শিল্প সংশ্লিষ্টরা জানান, ইইউ বাজারে বাংলাদেশের অবস্থান ক্রমেই শক্তিশালী হচ্ছে। বিশেষ করে ইউনিট মূল্যে বাড়তি আয় একটি ইতিবাচক দিক হলেও চীন এখনো এগিয়ে এবং ভিয়েতনামও প্রতিযোগিতামূলক অবস্থানে রয়েছে। বিজিএমইএর সাবেক পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল বলেন, ‘ইইউ বাজারে আমাদের প্রতিযোগিতামূলক অবস্থান ধরে রাখতে হলে আসন্ন ইইউ নিয়মনীতি অনুসরণ করে কৌশল গ্রহণ করা এবং উৎপাদন সক্ষমতা উন্নয়ন জরুরি।’ তিনি আরো বলেন, ‘একই সঙ্গে নতুন বাজার অনুসন্ধান চালিয়ে যেতে হবে, যাতে ইইউ ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাজারের ওপর অতিনির্ভরতা কমে আসে এবং বাংলাদেশ আরো শক্তিশালী অবস্থানে পৌঁছতে পারে।’

শেয়ার করুন