১৭ জুলাই ২০২৫, বৃহস্পতিবার, ০৫:২৯:৪০ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
গোপালগঞ্জ এখন মুজিববাদী সন্ত্রাসীদের আস্তানায় পরিণত হয়েছে- নাহিদ এনসিপি’র মার্চ টু গোপালগঞ্জ কর্মসূচি ঘিরে ব্যাপক সংঘর্ষ চারজন নিহত নিউইয়র্কে ২০ লাখ মানুষ মেডিকেইড ও ৩ লাখ পরিবার স্ন্যাপ সুবিধা হারাবে নতুন ভিসা ফিতে বাংলাদেশিদের খরচ বাড়বে আড়াই গুণ ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ২ কোটি ডলার ক্ষতিপূরণ দাবি মাহমুদ খলিলের টেক্সাসের অভিবাসন আইন এসবি ৪ অসাংবিধানিক ঘোষণা ফ্লোরিডার ‘সিনেট বিল ৪-সির কার্যকারিতা বন্ধ করলো যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্ট নতুন নীতি ঘোষণা : ৯ কারণে নাগরিকত্ব হারাতে পারেন জঙ্গিবাদে সতর্ক থাকার মার্কিনী পরামর্শে নানা প্রশ্ন এনসিপিসহ ১৪৪ নিবন্ধন প্রত্যাশী দলের তথ্যে ঘাটতি


বিএনপির সামনে নতুন খেলা
সৈয়দ মাহবুব মোর্শেদ
  • আপডেট করা হয়েছে : ০২-০৭-২০২৫
বিএনপির সামনে নতুন খেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান


কয়েকদিন ধরেই দেশের রাজনৈতিক অঙ্গন বলা চলে নিরবতায় চলে গিয়েছিল। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বিএনপি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের লন্ডন বৈঠকের পর এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়। ওই বৈঠকের পর একটি বিষয় পরিস্কার হয়ে যায় যে, আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হচ্ছেই। পাশাপাশি দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে বিএনপি বর্তমান পরিস্থিতিতে একমাত্র প্রধান সহায়ক বা ত্রাণকর্তা ও পাশাপাশি একমাত্র রাজনৈতিক দল হিসাবে দেশে-বিদেশে স্বীকৃতি পায়। অন্য দিকে লন্ডনে অনুষ্ঠিত এমন একটি বৈঠকের পর আর আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও বার্তা চলে যায় বাংলাদেশের আগামী রাজনৈতিক কর্নধার হচ্ছে বিএনপি। এই দলটি সব।

পরিস্থিতি দ্রুত বদলে যাচ্ছে বা গেলো

কিন্তু এমন পরিস্থিতিতে রাজনৈতিক অঙ্গনে অন্য খেলোয়াড়-রা যে বসে নেই তা ধীরে ধীরে স্পস্ট হয়ে উঠেছে। তাদের পরিকল্পনা হচ্ছে বিএনপি’কে এমন সম্মান ও প্রভাব নিয়ে বেঁচে থাকতে দেয়া যায় না। জোড়ালো প্রচারণা চালানো হচ্ছে এভাবে দলটি আওয়ামী লীগের মতো এক দানব হয়ে উঠবে। রাজনৈতিক খেলোয়াড়রা এসব তথ্য হাজির ও প্রচার করে মেতে উঠেছে নতুন গেইম নিয়ে। আর দেশে এখন সে-ই গেইমের একের পর এক পর্ব মঞ্চস্থ হচ্ছে। বিশেষ করে বিএনপি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমানের সাথে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ড. ইউনুসের সাথে ‘ওয়ান টু ওয়ান বৈঠক’ রাজনৈতিক অঙ্গনে দলটিকে একধরনের বেকায়দায় ফেলেছে বলে কারো কারো অভিমত। বলা যায় বিএনপি এখন প্রচন্ড ঈর্ষার মুখে পড়েছে। কারো কারো মতে, বিএনপি’র বলয়ের বাইরে থাকা অন্য দলগুলি বলা চলে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়ে যায়। এরা তাদের দলের নেতাকর্মী ও শুভানুধ্যায়ীদের কাছে নানান প্রশ্নের মুখে পড়ছে প্রতিনিয়ত। আর এমন হতাশাব্যাঞ্জক পরিস্থিতিকে পুঁজি করে এই বলয়ে থাকা একটি দল রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন খেলার পেছনে ইন্দন জোগাতে থাকে বলে শোনা যায়। তাদের ইশারায় লন্ডন বৈঠককে রাজনৈতিক অঙ্গনে ম্লান করে দিয়ে একটি ইসলামী দল বিশাল সমাবেশ করে জানান দিতে মাঠে নেমেছে। এই দলটিকে দিয়ে মাঠে নামানোর আগে তারা হাক ডাক তুলে সেই চেনা সুর ‘সংস্কার ছাড়া নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না’। বেশ জোরালোভাবে সভা-সমাবেশে আওয়াজ বড় করতে থাকে এই বলে যে, নির্বাচনের আগে মৌলিক সংস্কারগুলো শেষ করতে হবে। জানানো হয় যে, প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ঘোষিত সময়ের মধ্যে জাতীয় নির্বাচনের ব্যাপারে আমাদের সমর্থন রয়েছে। তবে এবারে জোরালোভাবে সংস্কারের পাশাপাশি তুলে ধরা হয় স্থানীয় সরকারের নির্বাচনের ইস্যুটি। সুন্দর যুক্তি দাঁড় করিয়ে বলা হচ্ছে ‘নির্বাচন কমিশনের সক্ষমতা’ যাছাইয়ের জন্য স্থানীয় সরকার নির্বাচন একটি কার্যকর উদ্যোগ। এর সাথে আরও যুক্তি দাঁড় করা হয়। বলা হয় জনপ্রতিনিধি না থাকায় স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোতে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হচ্ছে। প্রশাসক দিয়ে দায়িত্ব পালন করায় নাগরিক সেবা ব্যাহত হচ্ছে। তাই জনদুর্ভোগ লাঘব ও নির্বাচন কমিশনের সক্ষমতা যাছাইয়ে আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচনের বিকল্প নেই। এদিকে এমন দাবির পাশাপাশি রাজনৈতিক অঙ্গনে আরেকটি দাবি নিয়ে মাঠ গরম করা হচ্ছে। তা হচ্ছে সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (পিআর) পদ্ধতি। এই পদ্ধতি বর্তমান সময়ে বাস্তবায়নের দাবিটির পেছনে একটি প্রতিবেশী দেশের ইন্ধন দেখছেন কেউ কেউ। আর এই পদ্ধতিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দাবি মাঠে নেমেছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। গত ২৮ জুন শনিবার রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে দলটির মহাসমাবেশ থেকে এ দাবি জানানো হয়। যে মহাসমাবেশে যোগ দিয়েছে জামায়াতে ইসলামী, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), এবি পার্টি, গণঅধিকার পরিষদের নেতারা। তারাই একই দাবি জানান। 

আর এমন দাবির ঘোর বিরোধী বিএনপিসহ দলটির সাথে যুগপৎ আন্দোলনের শরিক মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের উদার গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল। এদের দাবি হচ্ছে আগে জাতীয় সংসদ নির্বাচন। কারো কারো মতে, স্থানীয় সরকার নির্বাচনের পাশাপাশি জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (পিআর) পদ্ধতিতে আয়োজনের দাবির মাধ্যমে রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন খেলা শুরু হয়ে গেছে। তবে কেনো এমন খেলা শুরু হয়ে সে ব্যাপারে বেশ কয়েককটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে। একটি পক্ষ মনে করে ১৩ জুন লন্ডনে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূসের সঙ্গে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বৈঠক আসলে রাজনৈতিক অঙ্গনে একধরনের ঈর্ষার ক্ষেত্র তৈরি করেছে। এতে এক পক্ষ মনে করছে এমন বৈঠকের মাধ্যমে দেশের অনেক সক্রিয় দলকে অপমানই শুধু নয় তাদের অস্তিত্ব আছে বলেই মনে করা হয়নি, বা পাত্তাই দেয়নি। একটি সূত্র জানায়, বিএনপি’র বলয়ের বাইরে থাকা মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের একটি বড়ো ইসলামী দলে নেতারা এতে বেশ ক্ষুব্ধ হয়েছেন, অপমানিত হয়েছেন বলে শোনা যায়। এমন পরিস্থিতিতে বিক্ষুব্ধ ওই ইসলামী দলকে কাজে লাগায় অন্য একটি ইসলামী দল বলে দাবিদারকে। এই দলটি নিজেদের অতীত গ্রহণযোগ্যতা প্রশ্নের মুখে থাকায় বর্তমান পরিস্থিতিতে মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের ওই ইসলামী দলকে কাজে লাগাচ্ছে। তবে মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের ইসলামী দলটিকে মাঠে নামিয়ে এবং ওই ইস্যুকে সক্রিয়ভাবে ব্যবহার করে এর সার্বিক ফল চক্রটির পক্ষে টেনে নিতে বলে শোনা যাচ্ছে। 

গোপন সমঝোতার পার্ট না হতে পারায়

আরেকটি সূত্র জানায়, ১৩ জুন লন্ডনে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূসের সঙ্গে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের যে বৈঠক হয় তা একটি অংশ ছিল ওয়ান টু ওয়ান বৈঠক। এই বৈঠকে আসলে কি হয়েছে তা বাইরের কেউ জানতে পারছে না। অনেকের মতে, এই বৈঠকে বিএনপি আগামীতে কিভাবে দেশ চালাবে কাদের সাথে নিয়ে সরকার গঠন করবে? কারা হবে ক্ষমতা সঙ্গী- এসব বিষয়গুলি নিয়ে একটি ‘স্বচ্ছ কমিটমেন্ট’ তৈরি করা হয়। সেখানে শুধু মাত্র বিএনপি সাথে যুগপৎ আন্দোলনের শরিকদের পাশাপাশি ২০২৪ সালে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ইমেজকে ধারণ করে গড়ে উঠা নতুন রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টিকে-ও শক্ত অবস্থানে রাখা হয়। একিই সাথে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতা আন্দোলনে অংশগ্রহণকারীদের মহান ত্যাগকে যথাযথ সম্মান দিয়ে এর সাথে জড়িত তারুণ্যের নেতৃত্বকে সঙ্গে নিয়ে বাংলাদেশকে এগিয়ে নেওয়ার ব্যাপারটি বিএনপি’র সাথে শক্তভাবে বোঝাপড়া হয়েছে। এর বাইরে আর কাউকে রাখা হবে না বা নেওয়া যাচ্ছে না বলে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়। এছাড়া ওই বৈঠকে বিএনপি’কে সম্ভবত এককভাবেই আশ্বস্ত করা হয় যে, আগামী রমজানের আগে বাংলাদেশে একটি অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ এবং সকলের ভোট দেওয়ার মতো একটি নির্বাচন (জাতীয় সংসদ) হবে। সম্প্রতি বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সহসম্পাদক রুমিন ফারহানাও তার এক বক্তব্যে জানান যে, তাদের দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে অন্তর্বর্তী সরকার প্রধান ড. মোহাম্মদ ইউনূসের লন্ডনে বৈঠক হয়েছে। তিনি জানান সেই বৈঠক থেকে আমরা যে বার্তা পেয়েছি, আগামী রমজানের আগে বাংলাদেশে একটি অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ এবং সকলের ভোট দেওয়ার মতো একটি নির্বাচন (জাতীয় সংসদ) হবে। এই নিবার্চনে আমাদের দায়িত্ব হলো ধানের শীষের যে প্রার্থী হবে, দলের যে প্রার্থী হবে, তাকে নির্বাচিত করা।’ এসব কারণে রাজনৈতিক অঙ্গনে ওই পক্ষ দারুণ বিক্ষুব্ধ, ঈর্ষান্বিত। একারণে লন্ডন বৈঠকের পর পর জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর দ্বিতীয় পর্যায়ের প্রথম বৈঠকে অসমাপ্ত আলোচনায় অংশ নেয়নি ওই দলটি। তবে বিএনপিসহ অন্য রাজনৈতিক দলগুলো আলোচনায় অংশ নিয়েছিল। জানা গেছে, কমিশনের পক্ষ থেকে দুই ঘণ্টা পরে হলেও দলটিকে বৈঠকে যোগ দিতে অনুরোধ করা হয় বলে জানা গেছে। আর এসব কারণে ও এর পাশাপাশি রাজনৈতিক অঙ্গনে ‘সমঝোতার’ খবর জানাজানি হয়ে যাওয়াতেই জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকারের নির্বাচন ও সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (পিআর) পদ্ধতিতে নতুনভাবে সামনের দিকে টেনে আনা হয়েছে ওই রাজনৈতিক দলটির ইশারায়। ইতোমধ্যে বিএনপি’র পক্ষ থেকেও একিই সন্দেহ করা হচ্ছে। এব্যাপারে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেই ফেলেছেন, জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন এবং সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (পিআর) পদ্ধতিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কথা যাঁরা বলছেন, তাঁরা একটি উদ্দেশ্য সামনে রেখেই এমনটি বলছেন। তাদের সন্দেহ নির্বাচন বিলম্বিত বা না হওয়ার জন্য পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন চাওয়া হচ্ছে। 

শেষ কথা

লন্ডনে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূসের সঙ্গে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বৈঠকের পরপরই বিএনপি’র সব পর্যায়ের নেতাকর্মীদের মধ্যে একটা অহমিকা ভাব চলে আসে। পাশাপাশি ফুরফুরে মেজাজও লক্ষ্য করা গেছে। মাঠে অন্য রকম এক পরিস্থিতি তৈরিও হয়ে গেছে। বলা চলে বিএনপি’র নেতাকর্মীদের চললে বলনে একটা ভাব দেখা গেছে যে, সব পেয়ে গেছে তারা, বিশেষ করে আগামী দিনের বাংলাদেশ তাদের হাতে। কিন্তু এমন পরিস্থিতিতে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে আরকটি পরিস্থিতিতে যে অন্য পক্ষ বসে নেই তা বিএনপি ধারণা করতে পারেনি। বাংলা ভাষায় যাকে বলা হয়ে থাকে মাঠে একটি ‘গোপন খেলা’ সাজানো হচ্ছে তা বিএনপি’র মাঠের নেতারা ঠাহর করতে পারেনি। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, ১৩ জুন লন্ডনে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূসের সঙ্গে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের যে বৈঠকের পর বাংলাদেশের ভেতরে দলটি অহমিকায় গা না ভাসিয়ে ছোট বড়ো সব রাজনৈতিক দলের সাথে ‘একটি সহযোগিতা করার প্রস্তাব’ মাঠে নিয়ে ‘শুভেচ্ছা বার্তা’ দিতে পারতো। কিন্তু সে-ই সৌজন্য না দেখিয়ে ড. ইউনূসের সঙ্গে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে বৈঠক এমনভাবে নেওয়া হয় যে দেশে আর কোনো দলই নেই। কারো কারো মতে, বিএনপি’র এমন অহমিকার জবাবে মাঠে তাদের শক্ত অবস্থান জানান দিতে কেউ কেউ তৎপর হয়ে উঠেছে বা খেলায় মেতে উঠেছে। আবার কারো কারো মতে, পর্দার আড়ালে চলছে বড়ো ধরনের দর-কষাকষি। এখন দেখা যাবে বিএনপি সামনের দিনগুলিকে নতুন এই খেলা দলটি কিভাবে মোকাবেলা করে।

শেয়ার করুন