২৭ এপ্রিল ২০১২, শনিবার, ০১:৩৫:৩৬ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
‘ব্রাজিল থেকে জীবন্ত গরু আনা সম্ভব, তবে প্রক্রিয়া জটিল’ খালেদা জিয়ার সঙ্গে মির্জা ফখরুলের ঘন্টাব্যাপী সাক্ষাৎ বিশ্বের প্রতি যুদ্ধকে ‘না’ বলার আহ্বান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭ জানুয়ারির সংসদ নির্বাচনে গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা প্রতিষ্ঠা হয়েছে - হাবিবুল মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের প্রতিবেদন অনুমান ও অপ্রমাণিত অভিযোগ নির্ভর- পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয় ইউরোপে ভারতীয় ৫২৭ পণ্যে ক্যান্সার সৃষ্টিকারি উপাদন শনাক্ত বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের প্রবেশে কড়াকড়ি বিএনপির আন্দোলন ঠেকানোই ক্ষমতাসীনদের প্রধান চ্যালেঞ্জ বিএনপিকে মাঠে ফেরাচ্ছে আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন নিয়ে অদৃশ্য চাপে বিএনপি


অন্য হিসাব কষে রাজপথে আওয়ামী লীগ
সৈয়দ মাহবুব মোর্শেদ
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৮-০৬-২০২২
অন্য হিসাব কষে রাজপথে আওয়ামী লীগ


রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে গত ৪ জুন থেকেই একের পর এক সভা সমাবেশ করে যাচ্ছে এ আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গসংগঠন। এমনকি দলটির নানান ধরনের সভা-সমাবেশ হঠাৎ করেই বেড়ে গেছে দেশব্যাপী। কয়েকদিন আগে বিএনপি ও তার অঙ্গসংগঠনের সভা-সমাবেশে প্রকম্পিত ছিল এসব এলাকা। ফলে রাজধানীতে বিএনপির পক্ষ থেকে জাতীয় প্রেসক্লাব চত্বরে আর সভা-সমাবেশ করতে দেখা যাচ্ছে না। তবে আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গসংগঠনের এসব সমাবেশসহ অনেক কর্মসূচি নিয়েই রাজনৈতিক মহলেও নানান ধরনের প্রশ্ন ও কৌতুহল রয়েছে। 

যদিও বলা হচ্ছে যে, আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ করে বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদল এবং দলটির অন্যান্য সহযোগী সংগঠনগুলোর সাম্প্রতিককালে ‘অশালীন ও কটূক্তিপূর্ণ বক্তব্যসহ হত্যার হুমকির’ প্রতিবাদে দেশজুড়ে চলছে এসব কর্মসূচি। তবে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকমহল মনে করেন দলটি ও তা অঙ্গসংগঠনের কর্মসূচির মাত্রা বেড়ে যাওয়ার পেছনে রয়েছে কারো কারো ব্যক্তিগতসহ অন্য উদ্দেশ্যই মুখ্য। দলের ভেতরেও খোঁজ নিয়ে একই তথ্য পাওয়া গেছে।

জাতীয় প্রেসক্লাবে থেকে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউসহ সারাদেশ

গত কয়েকদিন ধরেই সকাল থেকেই মিছিল আর সেøাগানে প্রকম্পিত হচ্ছে ঢাকার রাজপথ। মিছিলের ভাষা আর সেøাগান হচ্ছে শেখ হাসিনা ভয় নাই,রাজপথ ছাড়ি নাই। কিংবা সারা দেশে একনেতা, শেখ হাসিনা, শেখ হাসিনা। আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ করে বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদল এবং দলটির অন্যান্য সহযোগী সংগঠনগুলোর সাম্প্রতিককালে ‘অশালীন ও কটূক্তিপূর্ণ বক্তব্যসহ হত্যার হুমকির’ প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে যুব মহিলা লীগ গত ২ জুন বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিশাল সমাবেশ ও বিক্ষোভ করে আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনটি। এসব অনুষ্ঠানে সরকারের শীর্ষপর্যায়ের মন্ত্রী-নেতারা বক্তব্য রাখছেন। বিএনপিকে কোণঠাসা করতে নানান ধরনের বক্তব্য তারা রাখছেন। সকাল ১০টায় সমাবেশ হওয়ার কথা থাকলেও রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড আর মিছিল নিয়ে নারী নেত্রীরা সাড়ে নয়টার মধ্যে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে হাজির হন। 

সাড়ে দশটার মধ্যে হাইকোর্টের সামনে কদম ফোয়ারা, অন্যদিকে পল্টন পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ে মিছিলের পরিধি। এদিনের কর্মসূচিতে প্রধান অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক আর বিশেষ অতিথির বক্তব্যে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তাদের বক্তব্যে উঠে আসে যে, বিএনপি আবারো আগুন সন্ত্রাসের মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। তাদেরকে প্রতিহত করতে হবে। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ গণমানুষের দল। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এই দেশের আপামর জনতার দল। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা মাঠে আছে এবং থাকবে। অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন। যুব মহিলা লীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি নাজমা আকতার সভাপতিত্ব করেন। 

সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপিকা অপু উকিল সভা পরিচালনা করেন। অপরদিকে পরের দিনই ৩ জুন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে বিএনপি-জামায়াত জোটের অশালীন উক্তি ও হত্যার হুমকির’ প্রতিবাদে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে মহিলা আওয়ামী লীগের বিক্ষোভ সমাবেশ করে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম। সমাবেশে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনিও বক্তব্য রাখেন। 

এদের বক্তব্যে বিএনপিক উদ্দেশ্য করে দেয়া বক্তব্যে উঠে আসে ‘তাদের দুঃসাহস তারা আরেকটি ৭৫ ঘটাতে চায়। তারা বলে, পঁচাত্তরের হাতিয়ারকে আবার গর্জে উঠতে। এই ’৭৫ শুধু বাংলাদেশে নয়, সারা বিশ্বের রাজনীতিতে এক নিকৃষ্টতম ঘটনা, সবচাইতে শোকাবহ ঘটনা। সেই অপশক্তি জনগণের রায় নিয়ে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে দেশ পরিচালনায় আসায় বিশ্বাস করে না। তারা সবসময় ষড়যন্ত্র করে, অত্যাচার নির্যাতনের মাধ্যমে ক্ষমতায় টিকে থাকতে চেয়েছে।’ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাফিয়া খাতুন ও সাধারণ সম্পাদক মাহমুদা বেগমও এতে বক্তব্য রাখেন।

 এদিকে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ‘হত্যার হুমকি’র প্রতিবাদে ৪ জুনদেশজুড়ে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশ করবে দলটি। কেন্দ্রঘোষিত এই কর্মসূচির অংশ হিসেবে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে কৃষক লীগ প্রতিবাদ সমাবেশ কর্মসূচি পালন করে। 

এছাড়া ছাত্রদল প্রকাশ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকি দেয়ার প্রতিবাদ জানিয়ে সমাবেশ করেছে মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন গৌরব ’৭১। গত শুক্রবার বিকাল ৪টায় শাহবাগে প্রজন্ম চত্বরে এই প্রতিবাদ সমাবেশ হয়। অন্যদিকে একিইদিন বঙ্গবন্ধুঅ্যাভিনিউতে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশ করে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ স্বেচ্ছাসেবক লীগ। সকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধুঅ্যাভিনিউয়ে বর্ধিত সভা ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী যুবলীগ।

অপরদিকে সিলেট জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে পৃথক কর্মসূচি পালিত হয়। সিলেট নগরীর রেজিস্ট্রারি মাঠ থেকে দুপুর ১২টায় সিলেট জেলা আওয়ামী লীগ ও বেলা ২টায় মহানগর আওয়ামী লীগ বিক্ষোভ মিছিল বের করে। বেলা ১১টায় দলীয় কার্যালয়ে জেলা আওয়ামী লীগের প্রতিবাদ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন খুলনা জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও জেলা পরিষদের প্রশাসক শেখ হারুনুর রশীদ। বক্তৃতা করেন জেলা সাধারণ সম্পাদক সুজিত অধিকারী। বিকালে নগর আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। 

একইদিন দুপুর ১২টায় শহরের সাতমাথা মুজিব মঞ্চে জেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে সভাপতির বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মজিবর রহমান মজনু। সকাল ১০টায় জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে খন্ড খন্ড মিছিল নিয়ে কয়েক হাজার নেতা-কর্মী শহরের শহিদ স্মৃতি পৌর উদ্যানে হাজির হন।

মাগুরা শহরের চৌরঙ্গী মোড় সেগুন বাগিচায় জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল ফাত্তাহর সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন মাগুরা-১ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট সাইফুজ্জামান শিখর। নোয়াখালী  বেলা ১১টায় জেলা শহর মাইজদীর প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে শেষ হয়।

সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, জেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক খায়রুল আনম সেলিম, যুগ্ম আহ্বায়ক শিহাব উদ্দিন শাহিন, শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল ওয়াদুদ পিন্টুপ্রমুখ। বাগেরহাটের জেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে বিকালে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর উপজেলায় বিক্ষোভ ও প্রতিবাদে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রতিবাদ সমাবেশে নেতৃত্ব দেন স্থানীয় এমপি মো. জগলুল হায়দার। সিরাজগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুস সামাদ তালুকদারের নেতৃত্বে শহরে বিশাল মিছিল বের করা হয়। এতে স্থানীয় এমপি হাবিবে মিল্লাত মুন্নাসহ স্থানীয় নেতারা অংশগ্রহণ করেন।

নেপথ্যে নানান গুঞ্জন

এদিকে আওয়ামী লীগের এমন সব আকস্মিক কর্মসূচিতে রাজনৈতিক অঙ্গন এমনকি আওয়ামী লীগের ভেতরেও উঠেছে নানান ধরনের গুঞ্জন। কারো কারো মতে ডিসেম্বরের মধ্যে আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলন করা হবে বলে জানিয়েছেন দলটির সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সম্প্রতি গণভবনে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকের সূচনা বক্তব্যে তিনি এ কথা জানান।

সেইসঙ্গে ছাত্রলীগসহ সহযোগী সংগঠনগুলোকেও সম্মেলন করার নির্দেশ দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক। ২০১৯ সালের ডিসেম্বর মাসের ২০ ও ২১ তারিখ আওয়ামী লীগের ২১তম জাতীয় সম্মেলন হয়। তিন বছরের কমিটির মেয়াদ শেষ হবে আগামী ডিসেম্বর মাসেই। গত দু’বারের মতো এবারো নির্ধারিত সময়েই সম্মেলন করতে চায় দলটি। তারই অংশ হিসাবে তৃণমূলের মেয়াদোত্তীর্ণ শাখাগুলোর সম্মেলন করতে চায় তারা। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকমহল মনে করেন নতুন কমিটি থেকে নিজেদের অবস্থান দৃঢ করতে এবং ভবিষ্যতে দলে আরো শীর্ষ পদ পেতে আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গসংগঠনগুলো মরিয়া হয়ে উঠেছে।

এদিকে অতি সম্প্রতি সর্বোচ্চ আদালত চত্বরে ছাত্রদলের ওপর হামলার নেপধ্যে ও নানান ব্যাপারেও বিভিন্ন সংবাদ গণমাধ্যমে চলে এসেছে। এত বলা হয় আদালত চত্বরে ছাত্রদলের ওপর হামলার সময়ে সামনের সারিতে ছিলেন ছাত্রলীগের ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখার নেতা–কর্মীরা। তাঁদের সঙ্গে ছিলেন সংগঠনের ঢাকা কলেজের আসন্ন কমিটিতে শীর্ষ পদপ্রত্যাশী নেতা ও তাঁদের অনুসারীরা।বলা হয় ছাত্রদলের ওপর হামলায় নেতৃত্ব দেয়া নেতাদের প্রায় সবাই ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত। ফলে ছাত্রলীগ,যুবলীগসহ কেউই বসে নেই। 

ভুঁইফোড়রা মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছে

এদিকে বসে নেই ভুঁইফোড় সংগঠনগুলো। আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ করে বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদল এবং দলটির অন্যান্য সহযোগী সংগঠনগুলোর সাম্প্রতিককালে ‘অশালীন ও কটূক্তিপূর্ণ বক্তব্যসহ হত্যার হুমকির’ প্রতিবাদে দেশজুড়ে চলা কর্মসূচিতেও এরা ঢুকে পড়েছে। মাত্র কয়েকদিন আগে এসব ভুঁইফোড় সংগঠনের বিরুদ্ধে কেন্দ্র থেকে হুঁশিয়ার করে দেয়া হয়েছিল সভা-সমাবেশসহ বিভিন্ন সেমিনার আয়োজনের বিরুদ্ধে।ফলে এসব ভুঁইফোড় সংগঠনগুলো যারা দোকান নামে  পরিচিতদের অগ্রযাত্রা একপ্রকার থেমেই যায়। কিন্তু এরা আবারো সরব হয়েছে আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ করে বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদল এবং দলটির অন্যান্য সহযোগী সংগঠনগুলোর সাম্প্রতিককালে ‘অশালীন ও কটূক্তিপূর্ণ বক্তব্যসহ হত্যার হুমকির’ প্রতিবাদে দেশজুড়ে চলা কর্মসূচির ব্যানারে।

শেষ কথা

স্থানীয় সরকার নির্বাচন নিয়ে দলের তৃণমূল পর্যায়ে সংকট মারাত্মক পর্যায়ে। জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে এধরনের সঙ্কটের পাশাপাশি চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি সামনে রেখে  আওয়ামী লীগের সম্মেলনের দিকে যাচ্ছে।

সম্মেলনে নতুন কমিটি নিয়ে নির্বাচনে অংশ নেবে আওয়ামী লীগ। ফলে দলে এখন  এক্ষেত্রে অনেকগুলো ফ্যাক্টর কাজ করছে। দলের সভাপতি পদে শেখ হাসিনাই থাকছেন,তাই এই নিয়ে কারো মাথা ব্যথা নেই। দলের সাধারণ সম্পাদক পদে কে আসছেন এনিয়ে আগাম কিছুই বলা যাচ্ছে না। সাধারণ সম্পাদক হতে আগ্রহী বেশে কয়েকজন নেতা নানাভাবে সক্রিয়, যা চোখে পড়ার মতো। তাঁরা জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে সম্মেলনে অংশ নিয়ে নিজেদের অবস্থান শক্ত করছেন। 

দলের বর্তমান ৮১ সদস্যের কমিটিতে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, সাংগঠনিক সম্পাদক ও বিষয়ভিত্তিক সম্পাদক পদে কিছু কিছু নেতার ব্যাপারে দলের হাইকমান্ডে অভিযোগ জমা হয়েছে। যাদের অনেকে বাদ পড়তে পারে। আসলে পরবর্তী জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখেই হাইকমান্ড প্রস্তুত হচ্ছে। এমন খবরে মাঠের নেতারা বিভিন্নভাবে নিজেদের জাহির করতে তৎপর। 

আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ করে বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদল এবং দলটির অন্যান্য সহযোগী সংগঠনগুলোর সাম্প্রতিককালে ‘অশালীন ও কটূক্তিপূর্ণ বক্তব্যসহ হত্যার হুমকির’ প্রতিবাদে দেশজুড়ে চলা কর্মসূচির ব্যানারে এসব কর্মসূচি যে স্রেফ নিজেদের জাহির করতে,ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব বাগিয়ে নিতেই পালিত হচ্ছে বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন।


শেয়ার করুন