২৬ এপ্রিল ২০১২, শুক্রবার, ০৪:২৯:৪০ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
‘ব্রাজিল থেকে জীবন্ত গরু আনা সম্ভব, তবে প্রক্রিয়া জটিল’ খালেদা জিয়ার সঙ্গে মির্জা ফখরুলের ঘন্টাব্যাপী সাক্ষাৎ বিশ্বের প্রতি যুদ্ধকে ‘না’ বলার আহ্বান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭ জানুয়ারির সংসদ নির্বাচনে গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা প্রতিষ্ঠা হয়েছে - হাবিবুল মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের প্রতিবেদন অনুমান ও অপ্রমাণিত অভিযোগ নির্ভর- পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয় ইউরোপে ভারতীয় ৫২৭ পণ্যে ক্যান্সার সৃষ্টিকারি উপাদন শনাক্ত বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের প্রবেশে কড়াকড়ি বিএনপির আন্দোলন ঠেকানোই ক্ষমতাসীনদের প্রধান চ্যালেঞ্জ বিএনপিকে মাঠে ফেরাচ্ছে আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন নিয়ে অদৃশ্য চাপে বিএনপি


বিএনপির সমাবেশ ঘীরে উত্তেজনা বাড়ছে
মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাস আটক, ডিবি বলছে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আনা হয়েছে
বিশেষ প্রতিনিধি
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৯-১২-২০২২
মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাস আটক, ডিবি বলছে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আনা হয়েছে


বিএনপির ১০ ডিসেম্বর ঢাকার সমাবেশ ঘীরে ক্রমশ উত্তপ্ত হচ্ছে রাজনীতি। সর্বশেষ বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত তিনটার দিকে আটক করা হয়েছে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য সাবেক মেয়র মির্জা আব্বাসকে তাদের নিজ নিজ বাসা থেকে আটক করা হয়েছে বলে জানা গেছে। দলের পক্ষ থেকে ও স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম বিভিন্ন তথ্যের বরাত দিয়ে জানিয়েছে ওই তথ্যা। কেন তাকে আটক করা হয়েছে, এ ব্যপারে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কোনো কিছু জানায়নি পুলিশ।

তবে একটি সুত্র বলেছে তাদেরকে ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ডিবি জানিয়েছে তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আনা হয়েছে। 

এ ব্যাপারে বিএনপির প্রেস উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান সাংবাদিকদের বলেছেন, গোয়েন্দা পুলিশের সদস্যরা দলের শীর্ষস্থানীয় এই দুই নেতাকে তাঁদের বাসা থেকে আটক করে নিয়ে গেছেন। মির্জা ফখরুলের স্ত্রী রাহাত আরা বেগমকে উদ্ধৃত করে তিনি জানান ‘ডিবি পুলিশ সদস্যরা রাত তিনটার দিকে উত্তরার বাসায় এসে বলেছে, সরকারের উচ্চ পর্যায়ের নির্দেশে তাঁরা মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে আটক করছেন।’ একই ভাবে মির্জা আব্বাসের সহধর্মিনী আফরোজা আব্বাসও গনমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। 

এদিকে নয়া পল্টনে ৭ ডিসেম্বর সংঘর্ষে একজনের নিহত ও বহু আহত একই সঙ্গে  দলের কেন্দ্রীয় ওবিএনপির সিনিয়র যুগ্ন মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী সহ অনেক  নেতাকর্মী আটকের পর বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে যান। কিন্তু সেখানে দ্বায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা তাকে ঢুকতে দেয়নি। বারবার মির্জা ফখরুলকে বলতে শোনা গেছে, ‘আমি মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সহ পুলিশের উর্ধতন কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করে আমি এখানে এসেছি। তারা বলেছে, অফিসে ঢুকতে কোনো বাধা নেই। এখণ আপনারা ঢুকতে দিচ্ছেন না।’ তিনি সেখানে বসে পরেন। 

এদিকে ৮ ডিসেম্বর বিএনপির বরকতুল্লাহ বুলু’র নেতৃত্বে ৫ নেতার সঙ্গে ডিএমপি’র কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুকের সঙ্গে বৈঠক করতে যান। দুই ঘণ্টার বেশি সময়ের বৈঠক শেষে বের হয়ে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকতউল্লা বুলু সাংবাদিকদের বলেন, গণসমাবেশের জন্য কমলাপুর বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহি মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল স্টেডিয়াম ও মিরপুর বাঙলা কলেজ মাঠ নিয়ে আলোচনা হয়েছে।

 পরে পুলিশের (ডিবি) উর্দ্ধতন এক কর্মকর্তাও মিডিয়াকে আশ্বস্থ করে বলেছেন, শীগ্রই এ সমস্যার সমাধান হয়ে যাচ্ছে। এরই মধ্যে ওই দিনগত রাতে বিএনপির শীর্ষস্থানীয় দুই জনের আটকের ঘটনায় বিএনপির সমাবেশ আদৌ হবে কি-না এ নিয়ে সন্দেহ দেখা দিয়েছে। কারন বিএনপি শীর্ষ নেতাদের অনেকেই এখন কারাগারে। এমতাবস্থায় আগামীকাল শনিবারের বিএনপির সমাবেশ কোথায় হবে, সে সমাবেশে বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্ব কে থাকবে সেটা নিয়ে উৎকন্ঠা শুরু হয়েছে। 

উল্লেখ্য, বিএনপির এ সভা তাদের বিভাগীয় মহাসমাবেশ কার্যক্রমের শেষ সভা। এরপর তাদের পরের আন্দোলনের কর্মসূচী ঘোষনা দেয়ার কথা। 


শেয়ার করুন