২০১৫ সালে আমরা রাস্তায় দাঁড়াতে পারতাম না, গ্রেফতার করে নিয়ে যেতো। আজকে সেই অবস্থার পরিবর্তন হয়েছে, এখন বিএনপি যে কোনো আন্দোলনের ডাক দিলেই লাখ লাখ মানুষ আসছে। এর কৃতিত্ব বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমানের। তিনি বিদেশে বসেই সুন্দরভাবে দল এবং আন্দোলন পরিচালনা করছেন। তারেক রহমান বাংলাদেশে আসার জন্য প্রস্তুত। তিনি যে কোনো সময় আসতে পারেন, সেদিন বেশি দূরে নয়। তবে আমরা এখনো তাকে সিগন্যাল দিইনি। তিনি বলেন, দেশের মানুষ এখন বিএনপির সাথে।
বক্তব্য রাখছেন হেলাল খান
মানুষ জেগে উঠেছে। বাংলাদেশে
আর ২০১৪ এবং ২০১৮
সালের মতো নির্বাচন হবে
না। আপনারা প্রস্তুত থাকুন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনেই নির্বাচন হবে। গত ২৯
ডিসেম্বর যুক্তরাষ্ট্র জাসাস আয়োজিত দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী, বিজয় দিবস
এবং সকল রাজবন্দির মুক্তির
দাবিতে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির
বক্তব্যে হেলাল খান এসব কথা
বলেন। জাসাসের এই অনুষ্ঠানটি ছিলো
সম্পূর্ণ ভিন্ন। এই অনুষ্ঠানে যুক্তরাষ্ট্র
বিএনপি এবং বিএনপির অঙ্গ
সংগঠনের নেতাকর্র্মীরা অংশগ্রহণ করেন। জাসাসের এই অনুষ্ঠানে দেখা
গেছে, যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির ঐক্য। জাসাসের এই অনুষ্ঠানে ছিলো
হলভর্তি মানুষের উপস্থিতি। স্থান সংকুলান না হওয়য়ায় অনেকেই
বাইরে আড্ডা দিয়েছেন। তিন পর্বের এই
অনুষ্ঠানে প্রথম পর্বে ছিলো আলোচনা সভা,
দ্বিতীয় পর্বে কেক কাটা এবং
শেষ পর্বে ছিলো সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
নিঃসন্দেহে বলা যায়, জাসাসের
এই অনুষ্ঠান ছিলো সফল এবং
সার্থক। এই কৃতিত্ব নিশ্চয়
সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার সায়েম এবং সদস্য সচিব
জাহাঙ্গীর সোহরাওয়ার্দীর প্রাপ্ত।
অনুষ্ঠানে সুধীর একাংশ
যুক্তরাষ্ট্র জাসাসের আহ্বায়ক ইঞ্জিনিয়ার সায়েমের সভাপতিত্বে এবং সদস্য সচিব
জাহাঙ্গীর সোহরাওয়ার্দীর পরিচালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জাসাস কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বায়ক এবং জাতীয় চলচ্চিত্র
পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেতা হেলাল খান, গেস্ট অব
অর্নার জাসাস কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সভাপতি এম এ মালিক,
যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সাবেক সভাপতি আব্দুল লতিফ সম্রাট, যুক্তরাষ্ট্র
বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জিল্লুর রহমান জিল্লু,। প্রধান বক্তা
যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি গিয়াস
আহমেদ, যুক্তরাষ্ট্র মুক্তিযোদ্ধা দলের আহ্বায়ক এবং
কেন্দ্রীয় মুক্তিযোদ্ধা দলের সহ-সভাপতি
আলহাজ বাবর উদ্দিন, যুক্তরাষ্ট্র
বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট
জামাল আহমেদ জনি, সাবেক সহ-সভাপতি আনোয়ার হোসেন, যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সাবেক কোষাধ্যক্ষ জসীম ভ‚ইয়া,
যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মোশাররফ হোসেন সবুজ, জাসাস নেতা দারাদ আহমেদ,
শরিফ মাহমুদ হক, যুবদল কেন্দ্রীয়
কমিটির সাবেক সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক
সম্পাদক এম এ বাতিন,
যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সাবেক মহিলা সম্পাদিকা সৈয়দা মাহমুদা শিরিন, যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কাজী শাখাওয়াত হোসেন
আজম, সৈয়দ এম রেজা,
নিউইয়র্ক মহানগর বিএনপি উত্তরের সদস্য সচিব ফয়েজ চৌধুরী,
জাসাসের সাবেক সাধারণ সম্পাদক কাওছার আহমেদ, যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি নেতা ফারুক হোসেন
মজুমদার, এ জি এম
জাহাঙ্গীর, রিয়াজ মাহমুদ, নাসির উদ্দিন, সাঈদুর খান ডিউক, জামালুর
রহমান চৌধুরী, যুক্তরাষ্ট্র শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক
আনোয়ারুল ইসলাম শাহীন, শ্রমিক দল নেতা মোস্তাক
আহমেদ, আবুল কালাম, মোফাজ্জল
হোসেন, রুহুল আমিন, যুক্তরাষ্ট্র ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম জনি, যুক্তরাষ্ট্র যুবদল
নেতা আবুল কাশেম, আতিকুল
হক আহাদ, সাইফুর খান হারুণ, মিজানুর
রহমান, ফয়সল হোসেন, জাতীয়তাবাদী
ফোরামের সাধারণ সম্পাদক গোলাম এম হায়দার মুকুট,
সাবেক ছাত্রদল নেতা মার্শাল মুরাদ,
কোকো স্মৃতি পরিষদের সভাপতি শাহাদাত হোসেন রাজু, রিপন মিয়া, শেখ
হায়দার আলী, আনোয়ার হোসেন,
অনুষ্ঠানের আহ্বায়ক জাবেদ উদ্দিন, শামীম আহমেদ, খালেদ আর খান, এলিজা
আক্তার মুক্তা, সুলতানা খানম, সজিব চৌধুরী, মজিবুর
রহমান লাভলু, তানভীর ফাতেহা, রুহুলুজ্জামান চৌধুরী, রিয়াজ আহমেদ, তারেক আহমেদ, ডা. নার্গিস রহমান,
ইঞ্জিনিয়ার মাকসুদুল হক, মইনুল ইসলাম
বাবু, আশরাফুল হাসান, আমিনুল ইসলাম, ইঞ্জিনিয়ার রিয়াদুল রিমন, রাজ ইসলাম, রহিম
উদ্দিন, মোহাম্মদ মামুন সরকার, মোহাম্মদ জসীম, নূরে আলম, লিসান
চৌধুরী, মারিয়া আক্তার মৌ, লংআইল্যান্ড বিএনপির
সভাপতি মিয়া আলম পাখি,
লিয়াকত আলী, শাহ রকিব
আলী, মাসুক মিয়া, সুলতান মাহমুদ, অনুষ্ঠানের সদস্য সচিব হাসান মাহমুদ,
শাহ রকিব, সুলতান মাহমুদ সিদ্দিক, মোহাম্মদ আজাদ, এবাদুর রহমান, ফারুক খান।
সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। সেই সাথে তিনি
যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির কমিটি দেয়ার জন্য কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের
দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
সদস্য সচিব জাহাঙ্গীর সোহরাওয়ার্দী
অনুষ্ঠানে আগত সকল নেতাকর্মীকে
ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। শেষ পর্বে সাংস্কৃতিক
অনুষ্ঠানে সংগীত পরিবেশন করেন প্রবাসের জনপ্রিয়
শিল্পী রোকসানা মির্জা।
অনুষ্ঠানের শুরুতে কোরআন তেলওয়াত করে মওলানা নূরন্নবী।
এর পর দুই দেশের
জাতীয় সংগীত এবং দলীয় সংগীত
পরিবেশন করা হয়।