২৯ এপ্রিল ২০১২, সোমবার, ৬:৩২:৫৯ অপরাহ্ন


তৈরি পোশাক রফতানি যুক্তরাষ্ট্রে বাজার বাড়লো বাংলাদেশের
দেশ রিপোর্ট
  • আপডেট করা হয়েছে : ১২-০৫-২০২২
তৈরি পোশাক রফতানি যুক্তরাষ্ট্রে বাজার বাড়লো বাংলাদেশের বাংলাদেশের তৈরি পোশাক কারখানা


বছরখানেক ধরে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে তৈরি পোশাক রফতানিতে ভালো করছে বাংলাদেশ। সে জন্য বড় এই বাজারে বাংলাদেশের হিস্যা (মার্কেট শেয়ার) বেড়েছে। গত বছর শেষে বাংলাদেশের বাজার হিস্যা দাঁড়িয়েছিল ৮ দশমিক ৭৬ শতাংশ। চলতি বছরের প্রথম ৩ মাসে সেটি বেড়ে হয়েছে ৯ দশমিক ১৫ শতাংশ।

চলতি বছরের প্রথম ৩ মাসে (জানুয়ারি-মার্চ) বাংলাদেশ থেকে ২৪৮ কোটি ডলারের পোশাক রফতানি হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে। দেশি মুদ্রায় যা ২১ হাজার ৩২৮ কোটি টাকার সমান। চলতি বছরের প্রথম তিন মাসে অর্থের হিসাবে যে পরিমাণ পোশাক রফতানি হয়েছে, তা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৬২ দশমিক ২৩ শতাংশ বেশি।

ইউএস ডিপার্টমেন্ট অব কমার্সের অফিস অব টেক্সটাইল অ্যান্ড অ্যাপারেলের (অটেক্সা) হালনাগাদ পরিসংখ্যান থেকে এমন তথ্য মিলেছে। চলতি বছরের প্রথম ৩ মাসে যুক্তরাষ্ট্রের ব্র্যান্ড ও ক্রেতাপ্রতিষ্ঠানগুলো বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে ২ হাজার ৪৩১ কোটি ডলারের পোশাক আমদানি করেছে। গত বছরের একই সময়ের তুলনায় এবার আমদানি বেড়েছে ৩৯ দশমিক ৭১ শতাংশ।

যুক্তরাষ্ট্র বরাবরই বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের বড় বাজার। ৯ বছর আগে সাভারের রানা প্লাজা ধসের পর বাংলাদেশের পোশাক কারখানার কর্মপরিবেশ নিয়ে প্রশ্ন উঠলে বাজারটিতে রফতানি কমে যায়। তারপর কারখানার কর্মপরিবেশ উন্নয়নে ব্যাপক সংস্কারকাজ করেন উদ্যোক্তারা। ফলে ধীরে ধীরে ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করে বাংলাদেশের পোশাক রফতানি। অন্যদিকে চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার বাণিজ্যযুদ্ধের কারণে ২০১৯ সালে দেশটির অনেক প্রতিষ্ঠান বিকল্প উত্স হিসেবে বাংলাদেশকে বেছে নেয়। তবে করোনার থাবায় রফতানি আবার নিম্নমুখী হতে থাকে। গত বছরের মে মাস থেকে বাজারটিতে বাংলাদেশের পোশাক রফতানি আবার বাড়াতে শুরু করে।

যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশ তৃতীয় শীর্ষ তৈরি পোশাক রফতানিকারক। ওই বাজারে গত বছর বাংলাদেশ ৭১৫ কোটি ডলারের পোশাক রফতানি করে। ২০২০ সালের চেয়ে এই আয় প্রায় ৩৭ শতাংশ বেশি। চলতি বছরের প্রথম মাসে সেই প্রবৃদ্ধিকেও টপকে যান বাংলাদেশের উদ্যোক্তারা। যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বরাবরের মতো পোশাক রফতানিতে চীন শীর্ষস্থানে রয়েছে। চলতি বছরের প্রথম ৩ মাসে ৫৩২ কোটি ডলারের পোশাক রফতানি করেন চীনা উদ্যোক্তারা। ওই রফতানি গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৪৪ শতাংশ বেশি। বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে চীনের হিস্যা ২৪ শতাংশ। যদিও ২০১৮ সালে তাদের হিস্যা ছিল ৩৩ শতাংশ। তারপর থেকে বাণিজ্যযুদ্ধ ও করোনার কারণে চীনের বাজার হিস্যা কমতে থাকে।

যুক্তরাষ্ট্রে চীনের পর দ্বিতীয় শীর্ষ তৈরি পোশাক রফতানিকারক দেশ ভিয়েতনাম। চলতি বছরের প্রথম ৩ মাসে দেশটি ৪৪৫ কোটি ডলারের পোশাক রফতানি করেছে। এই রফতানি গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ২৯ দশমিক ৮৬ শতাংশ বেশি। তাদের বাজার হিস্যা ১৭ দশমিক ৩৯ শতাংশ।

যুক্তরাষ্ট্রে চতুর্থ ও পঞ্চম শীর্ষ পোশাক রফতানিকারক দেশ যথাক্রমে ভারত ও ইন্দোনেশিয়া। চলতি বছরের ৩ মাসে ভারত ১৫০ কোটি ডলারের পোশাক রফতানি করে। দেশটির প্রবৃদ্ধি ৫৩ শতাংশ। আর ইন্দোনেশিয়া রফতানি করে ১৪৬ কোটি ডলারের পোশাক। তাদের রফতানি বেড়েছে ৬২ দশমিক ৩১ শতাংশ।

শেয়ার করুন