২৮ এপ্রিল ২০১২, রবিবার, ০২:২০:১৪ অপরাহ্ন
শিরোনাম :


মির্জা ফখরুলের সংবাদ সম্মেলন
তারেক ও জোবাইদাকে ফরমায়েশী রায়ে সাজা প্রদান করা হতে পারে
দেশ রিপোর্ট
  • আপডেট করা হয়েছে : ০২-০৮-২০২৩
তারেক ও জোবাইদাকে ফরমায়েশী রায়ে সাজা প্রদান করা হতে পারে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর


বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, আমরা আশংকা করছি, সরকারি নীল নকশায় পরিচালিত এই তথাকথিত বিচার প্রক্রিয়ায় তারেক রহমান ও তাঁর স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমানকে ফরমায়েশী রায়ের মাধ্যমে সাজা প্রদান করা হতে পারে। অতীতে বেগম খালেদা জিয়াসহ আমাদের অনেক নেতাকে ফরমায়েশী রায়ের মাধ্যমে সাজা প্রদান করা হয়েছে। তারেক রহমান ও তাঁর স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমানকে একই প্রক্রিয়ায় রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে ফরমায়েশী রায়ের মাধ্যমে সাজা দেওয়ার চক্রান্ত করা হচ্ছে। সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, অত্যন্ত জরুরি একটি বিষয়ে আজ আপনাদের মুখোমুখি হয়েছি।

আমরা সব সময় বলে এসেছি, এই সরকার দীর্ঘদিন অবৈধভাবে ক্ষমতায় থেকে রাষ্ট্রের প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করে ফেলেছে। রাষ্ট্রের অন্যতম স্তম্ভ বিচার বিভাগ তার মধ্যে অন্যতম। দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) শুধুমাত্র সরকারের আজ্ঞাবহ প্রতিষ্ঠানই নয়, বিরোধী দলীয় দমন কমিশনে পরিণত হয়েছে। আমরা সর্বক্ষেত্রে বিচারের নামে প্রহসন প্রত্যক্ষ করছি। ইতোপূর্বে আমাদের দলীয় প্রধান, দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রী, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় সাজা দেয়া হয়েছে, তাঁকে দীর্ঘ বছর ধরে কারান্তরীণ করে রাখা হয়েছে। নি¤œ আদালতের সাজা উচ্চ আদালত কতৃর্ক নজীরবিহীনভাবে বৃদ্ধি করা হয়েছে। একজন বয়স্ক ও নারী হিসাবে আইনগতভাবে তাঁর জামিন প্রাপ্তির অধিকার থাকলেও সেই অধিকার থেকে তাঁকে বঞ্চিত করা হয়েছে। বিগত ১৪ বৎসরে সারাদেশে মিথ্যা ও গায়েবী মামলায় প্রায় ৪০ লক্ষ মানুষকে আসামী করা হয়েছে। শত শত নেতাকর্মীদের সাজা দেওয়া হয়েছে।

চলমান গণতান্ত্রিক আন্দোলনের দিক নির্দেশনা দানকারী তরুণ প্রজন্মের তরুণ নেতা বাংলাদেশের মানুষের আশা-ভরসার স্থল, বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে নির্বাসিত করা হয়েছে। আবার নতুন করে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। মূল লক্ষ্য হচ্ছে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া, দেশনায়ক তারেক রহমানসহ সকল দেশপ্রেমিক রাজনৈতিক নেতাদের রাজনীতি থেকে সরিয়ে দেওয়া। বাংলাদেশকে পুনরায় একদলীয় শাসন ব্যবস্থা বাকশালে ফিরিয়ে নেওয়া।

প্রিয় সাংবাদিকবৃন্দ,

গত কয়েক দিনের ঘটনা প্রবাহে আমরা আশঙ্কা করছি যে, আমাদের প্রিয় নেতা, বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, তাঁর স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমানকে সরকারি নীল নকশায় মিথ্যা মামলায় হয়তবা সাজার ব্যবস্থা করা হয়েছে। অথচ এই মামলা চলার মতো কোন আইনগত উপাদান নেই। কেননা তারেক রহমানের প্রদেয় সম্পদ বিবরণী যা ২০০৭ সনে জমা দেওয়া হয়েছিল তার পুরোপুরিভাবে আয়কর জমা দেওয়া হয়েছিল। পাশাপাশি ডা. জোবাইদা রহমান এর বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ হচ্ছে ৩৫ লক্ষ টাকা ঋউজ, উক্ত ঋউজ মামলা দায়েরের আগেই (২০০৫-২০০৬) অর্থ বৎসরের ট্যাক্স রিটার্ন দেওয়া হয়েছিল। তারেক রহমান ও তাঁর স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমান-এর বিরুদ্ধে ঢাকার বিশেষ আদালতে চলমান এই মামলায় অবিশ্বাস্য দ্রুততায় সাক্ষী নিয়ে (২/৮/২০২৩) রায় প্রচারের জন্য দিন ধার্য করা হয়েছে। দেশে লক্ষ লক্ষ মামলার জট থাকলেও তাঁদের এই মামলায় ১৬ দিনে ৪২ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে। রাত ৮টা- ৯টা পর্যন্ত একতরফাভাবে সাক্ষী নেয়া হয়েছে। আমাদের আইনজীবীরা এ ধরনের বিচার কাজের বৈধতা বিষয়ে প্রশ্ন উত্থাপন করতে গেলে তাদের উপর পুলিশ ও সরকার দলীয় আইনজীবীরা একাধিকবার হামলা চালিয়েছে। তাদেরকে আদালত কক্ষ থেকে বের করে দেয়া হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে বিচারের নামে ক্যামেরা ট্রায়াল চালানো হয়েছে।

আমরা আশংকা করছি, সরকারি নীল নকশায় পরিচালিত এই তথাকথিত বিচার প্রক্রিয়ায় তারেক রহমান ও তাঁর স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমানকে ফরমায়েশী রায়ের মাধ্যমে সাজা প্রদান করা হতে পারে। অতীতে বেগম খালেদা জিয়াসহ আমাদের অনেক নেতাকে ফরমায়েশী রায়ের মাধ্যমে সাজা প্রদান করা হয়েছে। তারেক রহমান ও তাঁর স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমানকে একই প্রক্রিয়ায় রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে ফরমায়েশী রায়ের মাধ্যমে সাজা দেওয়ার চক্রান্ত করা হচ্ছে।

এত কিছুর পরও দেশের মানুষ ন্যায়বিচার আশা করে। যদি অন্যায়ভাবে কোন কিছু করা হয়, তাহলে বিচার বিভাগের ওপর মানুষের সর্বশেষ আশাটুকু শেষ হয়ে যাবে।

আপনাদেরকে ধন্যবাদ।

‘তারেকের মামলা ও আন্দোলনের সম্পর্ক’

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, অবশ্যই সম্পর্ক আছে। আপনি নিশ্চয়ই লক্ষ্য করবেন যখনই তারেক রহমান অ্যাকটিভ হয়েছেন, দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন এবং গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে অত্যন্ত সাফল্যের সঙ্গে ঠিক অতি দ্রুততার সঙ্গে এই মামলাকে সামনে নিয়ে এসে তাকে যেটা শুনলেন এখনই মাত্র ১৬ দিনে ৪২ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করে এই মামলা শেষ করা হচ্ছে। এটা হচ্ছে, পুরোপুরিভাবে একেবারে পরিকল্পিতভাবে তাকে সাজা দেয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। শুধু এটা নয়, তালিকা করা হয়েছে বিএনপির সিনিয়র নেতাদের যে, অতি দ্রুততার সঙ্গে মামলাগুলো শেষ করার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে লিখিতভাবে। যে প্রক্রিয়াটা প্রজেক্টটা হচ্ছে.. আগামী নির্বাচনের আগেই বিএনপির বা বিরোধী দলের নেতারা যারা নির্বাচন করেন তাদেরকে নির্বাচন থেকে দূরে সরিয়ে দেয়া আর একই সঙ্গে মূল নেতৃত্বকে প্রশ্নবিদ্ধ করে ফেলা- এটা হচ্ছে তাদের লক্ষ্যে। এটা করে তো কোনো লাভ হচ্ছে না। তিনি বলেন, আপনারা ভালো করে জানেন যে, এই সমস্ত ঝারি-জুরি সব তারা বুঝে গেছে। তারই ফলোশ্রুতিতে আপনারা দেখেছেন লক্ষ লক্ষ মানুষ রাজপথে আসছে, সমবেত হচ্ছে এবং গণতন্ত্রের জন্য তারা সংগ্রাম করছে, লড়াই করছে। জোবায়েদা রহমানের রাজনীতিতে আসার সম্ভাবনা আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা দেখি না। এটা হচ্ছে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা। ব্যক্তিগত রাজনৈতিক সব মিলিয়ে একটা জিজ্ঞাসা কাজ করছে এখানে।

‘রায়ে আন্দোলনে প্রভাব ফেলবে না’

মির্জা ফখরুল বলেন, প্রশ্নটা হচ্ছে, এরা (সরকার) বিচারব্যবস্থাকে সম্পূর্ণভাবে দলীয়করণ করে ফেলেছে- এটা বলতে কোনো দ্বিধা নেই। এরা এখন বিচার ব্যবস্থাকে এমন জায়গায় নিয়ে গেছে যেখানে ন্যায় বিচার পাওয়ার সম্ভাবনা খুব কম। এটা (সাজা) আন্দোলনে কোনো প্রভাব ফেলবে না। এজন্য প্রভাব ফেলবে না যে, মানুষ বুঝে গেছে এই সমস্ত রায়-টায় দিয়ে কোনো লাভ হবে না।”

‘দুদক: বিরোধী দলীয় দমন কমিশন’

মির্জা ফখরুল বলেন, দুর্নীতি দমন কমিশন শুধু সরকারের আজ্ঞাবহ প্রতিষ্ঠানই নয়, বিরোধী দল দমন কমিশনের পরিণত হয়েছে। আমরা সর্বক্ষেত্রে বিচারের নামে প্রহসন প্রত্যক্ষ করছি। ইতিপূর্বে আমাদের দলীয় প্রধান দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় সাজা দেয়া হয়েছে। তাকে দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে কারা অন্তরীণ এবং এখন গৃহে অন্তরীণ করে রাখা হয়েছে। বিগত ১৪ বছরে সারাদেশে মিথ্যা ও গায়েবী মামলায় প্রায় ৪০ লক্ষ মানুষকে আসামী করা হয়েছে। শত শত নেতা-কর্মীকে সাজা দেয়া হয়েছে। সাতক্ষীরার সাবেক এমপি হাবিবুল ইসলাম হাবিবকে ৭০ বছর সাজা দেয়া হয়েছে। মিন্টুসহ ৯ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়েছে।

‘মূল নেতৃত্বকে রাজনীতি থেকে দূরে সরানো’

মির্জা ফখরুল বলেন, চলমান গণতান্ত্রিক আন্দোলনে দিক নির্দেশনাদানকারী তরুণ প্রজন্মের তরুণ নেতা বাংলাদেশের মানুষের আশা-ভরসার স্থল বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে নির্বাসিত করা হয়েছে। আবার নতুন করে তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। মূল লক্ষ্য হচ্ছে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া, দেশনায়েক তারেক রহমানসহ সকল দেশপ্রেমিক রাজনৈতিক নেতাদের রাজনীতি থেকে সরিয়ে দেয়া। ইতিমধ্যে আমাদের দুইজন সিনিয়র নেতাকে স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু ও চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আমান উল্লাহকে সাজা দেয়া হয়েছে। বাংলাদেশকে পুনরায় একদলীয় বাকশালে ফিরিয়ে নেওয়া হচ্ছে তাদের উদ্দেশ্য।

সংবাদ সম্মেলনে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী পরিষদের সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন, সাবেক এটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট এজে মোহাম্মদ আলী, সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট আহমেদ আজম খান, ব্যারিস্টার কায়সার কামাল ও বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী উপস্থিত ছিলেন।

আওয়ামী লীগ কোনোকালেই ভদ্র ছিলো না

এদিকে গত ১ আগস্ট মঙ্গলবার দুপুরে এক মানববন্ধনে সরকার দেশকে ‘ডিপ স্ট্যাইটে’ পরিণত করেছে বলে অভিযোগ করেছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ নিজেরা সন্ত্রাসী। সেজন্য রাষ্ট্রটাকেও সন্ত্রাসী বানিয়ে ফেলেছে। এখন রাষ্ট্রটা এখন একটা সন্ত্রাসী রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে, একেবারেই সন্ত্রাসী রাষ্ট্র।” তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ কি শিষ্টাচার জানে? জানে না। রিজভী সাহেব, আলাল সাহেব বলছিলেন ভদ্রলোকেরা এরকম করে না। আওয়ামী লীগ কোনোকালেই ভদ্র ছিলো না।

‘‘তার জন্য আজকে রাষ্ট্রের যন্ত্রগুলোকে ব্যবহার করছে তারা। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ব্যবহার করছে, তারা বিচার বিভাগকে ব্যবহার করছে, প্রশাসনকে ব্যবহার করছে। তার মানে বাংলাদেশকে তারা ইতিমধ্যে বাংলাদেশকে একটা ডিপ স্ট্যাইটে পরিণত করেছে।”

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এযে আপনারা খাওয়ার-দাওয়া, ফল-মূল্যের যেসব কথা বললেন- এগুলো হচ্ছে ডাইভারশন। জনগণের দৃষ্টিকে অন্যদিকে ফেরানো। যখন সমস্যা-সংকট হচ্ছে আমা ভোটের অধিকার, আমার কথা বলার অধিকার, আমার বেঁচে থাকার অধিকার, আমার মানবাধিকার সেই সময়ে তারাও ওদিকে খাওয়ার গল্প সাজিয়েছে। আওয়ামী লীগ রাজনৈতিকভাবে কতটা ভ্যানক্রাফট হয়ে গেছে, কতটা দেউলিয়া হয়ে গেছে এবং তাদেরকে এখন এই জিনিসগুলো করতে হচ্ছে, ভিডিও করে ছাড়তে হয়।

তিনি বলেন, ন্যূনতম শিষ্টাচারের কথা অনেকে বলেছেন। আওয়ামী লীগ কি শিষ্টাচার জানে? জানে না। রিজভী সাহেব, আলাল সাহেব বলছিলেন ভদ্রলোকেরা এরকম করে না। আওয়ামী লীগ কোনোকালেই ভদ্র ছিলো না। সুতরাং তাদের কাছে ভদ্রতা আশা করার কারণ নেই। আওয়ামী লীগের জন্ম তাদের সন্ত্রাস দিয়ে। তাদের বডি ল্যাংগুয়েজের মধ্যে সন্ত্রাস ছাড়া কিছু নেই। ওরা কথা বললে দেখবেন মনে হবে যে, গুন্ডামি করছে।

নয়া পল্টনে দলের কার্যালয়ের সামনে কেরানীগঞ্জ দক্ষিণ বিএনপির উদ্যোগে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের ওপর হামলার ঘটনার প্রতিবাদে এই মানববন্ধন হয়। তিন ঘন্টার মানববন্ধনে নেতা-কর্মীরা বিক্ষোভ প্রদর্শন করে।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বাবু গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আমান উল্লাহ আমান, আবদুস সালাম আজাদকে নতুন করে কোনো পরীক্ষা দিতে হবে না দেশপ্রেমের। তাদের সারাজীবনের রাজনীতি নিয়ে দেশপ্রেমের পরীক্ষা দিয়েছেন, জয়লাভ করেছেন এবং গণতন্ত্রের জন্য কাজ করেছেন। সমস্যা কোথায় জানেন-প্রচন্ড ভয় পেয়েছে। ২৮ তারিখের যে সমাবেশ সেই সমাবেশে জনগণ যেভাবে জেগে উঠেছে, সেই সমাবেশে লক্ষ লক্ষ মানুষ ঢাকার সমস্ত রাজপথ দখল করে নিয়েছিলো সেইটা দেখে তারা ভয় পেয়ে পুরোপুরিভাবে অন্য পথে যাওয়ার চেষ্টা করছে। তিনি বলেন, অগ্নি সন্ত্রাসের কথা বলছে। বিএনপি অগ্নি সন্ত্রাস করে না। আপনারা অগ্নি সন্ত্রাস করেন। বিএনপি জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আন্দোলন আন্দোলনের চেহারায় এসেছে। বিএনপি ন্যায়সঙ্গত শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের মধ্য দিয়ে অবশ্যই গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করবে। আমাদের একদফা এক দাবি যে, শেখ হাসিনকে পদত্যাগ করতে হবে, সংসদ বিলুপ্ত করতে হবে এবং সেটাকে একমাত্র সংকট নিরসনের পথ আছে এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকার বা নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের হাতে ক্ষমতা দিয়ে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করে নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে। এর কোনো বিকল্প নেই। নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আপনারা সবাই আরো দৃঢ় হোন, আরো ঐক্যবদ্ধ হোন। উত্তাল তরঙ্গের মতো আন্দোলনের পর আন্দোলন, সমুদ্রে যেমন ঢেউয়ের পর টেউ আসে সেই ঢেউয়ের পর ঢেউ দিয়ে এদেরকে সরাতে হবে।’

কেরানীগঞ্জ দক্ষিণ থানা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি বদিউজ্জামান বাবুলের সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক মোজাদ্দেদ আলী বাবুর সঞ্চালনায় মানববন্ধনে দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, নির্বাহী কমিটির সদস্য অর্পনা রায়, ঢাকা জেলা বিএনপির সভাপতি খন্দকার আবু আশফাক, সাবেক সভাপতি দেওয়ান মো. সালাহউদ্দিন বাবু, কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুল প্রমুখ নেতারা বক্তব্য রাখেন।

খালেদা জিয়ার সঙ্গে মির্জা ফখরুলের সাক্ষাৎ

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। গত ১ আগস্ট মঙ্গলবার রাত ৮টা ২২ মিনিটে খালেদা জিয়ার গুলশানের বাসভবন ফিরোজায় এ সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়। দলীয় সূত্র এতথ্য নিশ্চিত করেন। জানা যায়, বিএনপি মহাসচিব রাত সোয়া নয়টা পর্যন্ত ফিরোজায় অবস্থান করেন। তিনি বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার খোঁজ খবর নেন।

শেয়ার করুন