প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে উপস্থিতি
আগামী অক্টোবরের মধ্যে স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার সরকারের বিদায় হবে। আর চলতি মাসেই শেখ হাসিনার আমেরিকায় শেষ সফর। জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে যোগ দিতে আসলে তাকে সর্বাত্মকভাবে প্রতিহত করা হবে এবং সর্বত্র প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে এবং জাতিসংঘের সামনে সর্ববৃহৎ বিক্ষোভ প্রদর্শন করা হবে। গত ১ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্ক মহানগর দক্ষিণ বিএনপি কর্তৃক আয়োজিত বিএনপির ৪৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব কথা বলেন।
নিউইয়র্কের জ্যাকসন হাইটস ডাইভারসিটি প্লাজায় অনুষ্ঠিত বর্ণিল প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের আহ্বায়ক হাবিবুর রহমান সেলিম রেজা। সদস্য সচিব মোহাম্মদ বদিউল আলমের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় জাতীয় নির্বাহী কমিটির অন্যতম সদস্য ও যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জিল্লুর রহমান জিল্লু। বিশেষ অতিথি ছিলেন যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সাবেক কোষাধ্যক্ষ জসিম উদ্দিন ভূইয়া, নিউইয়র্ক স্টেট বিএনপির বিপ্লবী আহ্বায়ক মো. অলিউল্লাহ আতিকুর রহমান, সদস্য সচিব সাবেক ছাত্রনেতা সাইদুর রহমান সাইদ, নিউইয়র্ক মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-আহ্বায়ক মো. সোহরাব হোসেন, যুগ্ম-আহ্বায়ক এমলাক হোসেন ফয়সাল, রুহুল আমিন নাসির, খলকুর রহমান, জিয়াউল হক মিশন, নাসির উদ্দিন, মো. রিপন মিয়া, কামাল উদ্দিন দিপু, রেজবুল কবির, শেখ জহির, কামাল হোসেন হাওলাদার, সাখাওয়াত আজাদ, মিজানুর রহমান মিজান, জামাল হোসেন, নুরুল হুদা, জামালুর রহমান চৌধুরী, গোলাম মাহমুদ, মিজানুর রহমান মানিক, মহানগর উত্তরের যুগ্ম-আহ্বায়ক এজিএম জাহাঙ্গীর হাসাইন, নিউইয়র্ক স্টেট বিএনপির যুগ্ম-আহ্বায়ক নাসিম আহম্মেদ, স্টেট বিএনপির যুগ্ম-আহ্বায়ক নিরা রাব্বানী, স্টেট বিএনপির যুগ্ম-সদস্য সচিব রিয়াজ মাহমুদ, স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক সাইফুর খান হারুন, সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক খোরশেদ আলম, যুক্তরাষ্ট্র যুবদলের সাবেক যুগ্ম-সম্পাদক মিজানুর রহমান মিজান, যুগ্ম-সম্পাদক আমানত হোসেন আমান, মীর মিজান, যুবদল নেতা মনিরুল ইসলাম মনির, যুবদল নেতা জহির খান, স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা মির্জা বাদল, যুবদল নেতা রাহিমুল ইসলাম প্রিন্স, যুবদল নেতা অহিদুজ্জামান নিলু, স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা উত্তম বনিক, খাইরুন আমান, নাজিম উদ্দিন, রাহাত রাজা, আনোয়রুল হক বাকী, ওসমান গনি, সালাউদ্দিন রুবেল, আলা হোসেন, আব্দুল মুকিত, বেলাল আহম্মেদ, লাল মিয়া, রাকিবুল ইসলাম ফাহিম, রিয়াদ মাহমুদ, নাজমুল হোসেন, সায়েম আহম্মেদ, নজরুল, যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সাবেক মহিলা সম্পাদক সৈয়দা মাহমুদা শিরিন, মহিলা নেত্রী রুবী বেগম, মনি আক্তার, মহানগর বিএনপি নেতা মির্জা আজম, নুরে আলম চৌধুরী মিল্টন, সোহেল রানা, বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মশিউর রহমান, এ বি সিদ্দিক পাটোয়ারি, জীবন সফিব, আজিজুল হাওলাদার প্রমুখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে জিল্লুর রহমান জিল্লু বলেন, আজকের এই দিনে স্বাধীনতার ঘোষক শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি। ১৯৭৮ সালের এই দিনে শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বিএনপি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। আজকের এই দিনে আমাদের শপথ হোক স্বৈরাচার মুক্ত বাংলাদেশ। তিনি বলেন, আশা করছি আগামী অক্টোবরের মধ্যেই স্বৈরাচারি শেখ হাসিনা সরকারের পতন হবে এবং জাতিসংঘের সাধারণ অভিবেশনে আসতে পারবে সকি না জানি না। যদি আসে, তাহলে এই প্রবাসে সর্ববৃহৎ বিক্ষোভ প্রদর্শন করা হবে। আশা করি, এটাই হবে তার বিরুদ্ধে সর্বশেষ বিক্ষোভ। শেখ হাসিানার পতন হলে বেগম খালেদা জিয়া মুক্তি পাবেন এবং তারেক রহমান বীরের বেশে বাংলাদেশে যাবেন।
হাবিবুর রহমান সেলিম রেজা অনুষ্ঠান সফল এবং সার্থক করার জন্য সবার প্রতি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে বলেন, যত দিন পর্যন্ত স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার পতন না হবে, ততদিন পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে। তিনি বলেন, শেখ হাসিনার পতন না হওয়া পর্যন্ত আমরা ঘরে ফিরে যাবো না। আশা করি, আগামী ২০২৪ সাল হবে খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমানের বাংলাদেশ।
অলিউল্যাহ আতিকুর রহমান বলেন, আগামী সেপ্টেম্বরে স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা আসছেন, আমাদের কর্মসূচি থাকবে যেখানে সেখানেই প্রতিরোধ।
খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে এক বর্ণঢ্য র্যালি বের করা হয়। র্যালি শেষে প্রতিষ্ঠাবাষির্কী উপলক্ষে কেক কাটা হয়। অনুষ্ঠানে দলীয় পাতা এবং দলীয় সংগীত পরিবেশন করা হয়।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই যুবদল নেতা হাফেজ শাহবাজ খান পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত ও দোয়া পরিচালনা করেন।
