২৯ এপ্রিল ২০১২, সোমবার, ০৩:৩৯:৪৮ পূর্বাহ্ন


ইংল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড এর পর ভারতের কাছেও হার
বিশ্বকাপ পানসে হয়ে গেছে বাংলাদেশের!
নিজস্ব প্রতিনিধি
  • আপডেট করা হয়েছে : ২০-১০-২০২৩
বিশ্বকাপ পানসে হয়ে গেছে বাংলাদেশের!


বিশ্বাকাপ আসরটা দীর্ঘ হয়ে গেছে বাংলাদেশের জন্য। এ যেন আর ফুরাতেই চাচ্ছেনা। দলের অভ্যন্তরের বিতর্ক যেন আর ফুরাচ্ছেই না। নতুন নতুন ইস্যু এসে আবারও অস্থির অবস্থার তৈরী করছে। শুরুটা তামিমকে দিয়েই। এরপর সাকিব, লিটন দাস ও মাহমুদুল্লাহ’র অবমুল্যায়ন। তামিমের মত একজন দক্ষ ও অভিজ্ঞ ক্রিকেটারকে বাংলাদেশে রেখে যেয়ে যে মস্ত ভূল তার খেসারত পদে পদে দিচ্ছে।


তামিম যতটুকুই খেলুক না কেন, ওপেনিংয়ে এখনও ভরসা তিনিই। দীর্ঘ অভিজ্ঞতা ছাড়াও মেগা আসরের যে মানসিক শক্তি প্রয়োজন সেটা তামিমের রয়েছে। ফলে তার চেয়ে ভাল পারফরমারও কম অভিজ্ঞতা সম্পন্ন হলে তাকে এমন আসরে বিবেচনা করা একটা দক্ষ টিম ম্যানেজম্যান্টের পারফেক্ট কাজ হতে পারে না।


তামিমের অনুপুস্থিতির গ্যাপটা কোনভাবেই পূরন হচ্ছেনা। যার প্রভাব ব্যাটিং লাইনের উপর। দলের একজন ব্যাটসম্যানের ব্যাটিং অর্ডার ঠিক নেই। কে কোথায় খেলবেন সেটা সে নিজেও জানেন না। এভাবে কখনই অন্তত ক্রিকেট ভাল খেলা যায় না। দলের সঙ্গে সাত আটজন এক্সপার্ট চাকুরিরত। কিন্তু এসবই কী হাতুরাসিংহের ব্রেন থেকে আসছে কি না কে জানে!


বাংলাদেশ যেভাবে খেলছে, ব্যাটসম্যান ওলট পালট করে এতে হয়তো দু’এক ম্যাচে সফলতা আসতেও পারে। কিন্তু ধারাবাহিকতা কখনই সম্ভব না। ইংল্যান্ড, নিউজিল্যান্ডের পর খেললো তারা ভারতের বিপক্ষেও। সেই একই অবস্থা। অনেকটা পাত্তাই পায়নি টিম বাংলাদেশ। ব্যাটিংয়ে দুরাবস্থা যথারীতি। এরপর বোলিংয়েও। এটা ঠিক ভারতের বিপক্ষে জিতে যাবে এটা ভাববার কারন নেই। কিন্তু ভারতকে হারানোর অভ্যাস তো আছে। তাহলে লড়াইটুকুই বা কেন হবে না।
তবে এটাও ঠিক, যে অবস্থা টিমে এখান থেকে বড় পরিবর্তন আনা প্রয়োজন। এক সময় ইনজামামুল হক, মোহাম্মা ইউসুফ, ওয়াসিম,ওয়াকারের বিকল্প নিয়ে দুশ্চিন্তা ছিল। রাহুল দ্রাবিঢ়, শচীন টেন্ডুলকার, যুবরায সিং,মাহেলা জয়বর্ধনে, জয়সুরিয়া, সাঙ্কাকারাদের বিকল্প ভাবতেও গা শিওরে উঠতো। কিন্তু এরা নেই। কিন্তু ভারত,পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা প্রমুখ দেশ কিন্তু ঠিকই দাড়িয়ে। ফলে টিম বাংলাদেশেও এখন এমন পরিবর্তন প্রয়োজন।


তামিম নেই। সাকিব, লিটন দাস,মুশফিক,মাহমুদুল্লাহদের বাদ দিয়ে এক্ষুনি তারুন্যনির্ভর দল নিয়ে দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা করে এগিয়ে যাওয়া উচিৎ। তাতে অন্তত আগামী বিশ্বকাপে এভাবে পানসে একটা বিশ্বকাপ দেখতে হবে না। অপেক্ষা করতে হবে না, এ আসরটা শেষ হচ্ছে না কেন। এর আগের বিশ্বকাপেও ছিল একই দৃশ্য। এবারও তার পুনুরাবৃত্তি। বাংলাদেশ একটি ম্যাচ দুটি ম্যাচ জিততে এখণ আর বিশ্বকাপ খেলতে যায় না। এখন জয়ের পাশাপাশি শক্তিশালী দলগুলোর সঙ্গে চোখে চোখ রেখে লড়াই করুক সেটাই প্রত্যাশা। যেমনটা আফগানিস্তানের পর নেদারল্যান্ডও শুরু করেছে। কিন্তু অমন টিম স্পিরিট বাংলাদেশেরও ছিল। অজ্ঞাত কারনে, টিমে অর্ন্তদ্বন্দের কারনে সেটা অদৃশ্য হয়ে গেছে।
এমনটা বেশীদিন চলতে দেয়া সম্ভবত উচিৎ নয়।   

শেয়ার করুন