২৮ এপ্রিল ২০১২, রবিবার, ০৪:৪২:৩৭ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
‘শেরে বাংলা আপাদমস্তক একজন পারফেক্ট বাঙালি ছিলেন’ বিএনপির বহিস্কৃতদের জন্য সুখবর! মে দিবসে নয়পল্টনে বিএনপির শ্রমিক সমাবেশ উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেয়ার জের, বিএনপির বহিস্কার ৭৬ থাইল্যান্ডের ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আহ্বান ‘ব্রাজিল থেকে জীবন্ত গরু আনা সম্ভব, তবে প্রক্রিয়া জটিল’ খালেদা জিয়ার সঙ্গে মির্জা ফখরুলের ঘন্টাব্যাপী সাক্ষাৎ বিশ্বের প্রতি যুদ্ধকে ‘না’ বলার আহ্বান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭ জানুয়ারির সংসদ নির্বাচনে গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা প্রতিষ্ঠা হয়েছে - হাবিবুল মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের প্রতিবেদন অনুমান ও অপ্রমাণিত অভিযোগ নির্ভর- পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়


কেউ ইতিহাস থেকে শিক্ষা নেয় না
সালেক সুফী
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৮-১১-২০২৩
কেউ ইতিহাস থেকে শিক্ষা নেয় না


সরকার, বিরোধীদলের চলমান আন্দোলন সামাল দেওয়ার জন্য সেই সনাতন পদ্ধতির গ্রেফতার, মামলা কৌশল অবলম্বন করছে। বাংলাদেশের ইতিহাস বলে কোন সরকার কিন্তু অতীতে এই কৌশলে বিরোধী আন্দোলন স্তব্ধ করে ক্ষমতা দীর্ঘস্থায়ী করতে পারে নি। পরিবর্তিত বিশ্ব পরিস্তিতিতে বিশ্ব এখন অনেক সচেতন। এখন ডাকলেই লক্ষ লক্ষ মানুষ জীবন বাজি রেখে রাজপথে আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়ে না। রাজনৈতিক দলগুলোর আদর্শ আর জনগণকে উদ্বুদ্ধ করে না। সচেতন জনগণ তাই রাজনীতি আর রাজনৈতিক দলগুলো বিষয়ে অনেক বীতশ্রদ্ধ হতাশ।  জ্বালাও-পোড়াও, সম্পদ বিনষ্ট কারা করে এটি কমবেশি সবাই বোঝে। 

সরকারবিরোধী দলগুলোর বর্তমান আন্দোলন এবং সরকারি দলের একগুঁয়েমি নিয়ে সাধারণ জনসাধারণ হতাশ, বিক্ষুব্ধ।  জনগণ চায় নুন আনতে পান্তা ফুরানো জীবনে সৎভাবে বাঁচার নিশ্চয়তা। সরকারের ব্যর্থতা যেমন আছে, তেমনি বিরোধীদলগুলোর অতীত কর্মকাণ্ডের কারণেও জনগণ খুব একটা সম্পৃক্ত নয় চলতি আন্দোলনে। তবে ধারাবাহিক ধর্মঘট, ঘেরাও কিন্তু অর্থনৈতিক সংকটকে ঘনীভূত করছে। এভাবে চলতে থাকলে অচিরে কিন্তু পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাবে, জনগণকে জিম্মি করে কোনো দল বা গোষ্ঠী কখনো লাভবান হতে পারেনি পারবেও না। জনগণ অসহায়। স্বর্গ নরক কোন দিকে যাবে দিশা খুঁজে পাচ্ছে না।

সরকারি দল অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন করার জন্য সবার কাছে প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে বারবার। বিষয়টি নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলের দৃষ্টিকটু খবরদারি লজ্জাজনক পর্যায়ে পরিণত হয়েছে। দেশপ্রেমিক জনগণ ভেতরে ভেতরে জ্বলছে। প্রতিদিন মিডিয়ায় অসত্য ভাষণ ক্ষোভের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। 

সরকার জানে ২০১৪ বা ২০১৮-এর মতো একতরফা নির্বাচন করা বর্তমান অবস্থায় সম্ভব নয়। কথিত দিনের ভোট রাতে হবে না, ৫-৬ শতাংশ ভোট পড়লেও ৩০-৪০ শতাংশ দেখানোর সুযোগ নেই। সরকার যদি মনে করে জনগণ তাদের উন্নয়ন জোয়ারে ভেসে ভোট দিবে স্বতঃস্ফূর্তভাবে তাহলে সম্মত অন্তর্বর্তী সরকারের তত্ত্বাবধানে নির্বাচনে দ্বিধা কেন? কোন ফরমুলায় নির্বাচন হবে সেটি দুই পক্ষ ছাড় দিয়ে সম্মত হতে পারে। আমি বর্তমান অবস্থার জন্য উভয়পক্ষের ক্ষমতা লোভী নেতা-নেত্রীদের দায়ী করবো। তথাকথিত সুশীল কুশীলরাও এখন স্বার্থের নেশায় সাহস হারিয়েছেন বা দল কানা হয়ে আছে। 

সময় দ্রুত ফুরিয়ে আসছে। ঈশান কোনে মেঘ জমেছে। যে কোনো সময় ভারী বর্ষণ হতে পারে। বর্তমান বাস্তবতায় সেই পথেই এগোচ্ছে সংঘাতময় রাজনীতি। তাবু আশাবাদী শুভবুদ্ধির উদয় হবে। আফসোস হয় কেন কেউ ইতিহাস থেকে শিক্ষা নেয় না। 

শেয়ার করুন