২৭ এপ্রিল ২০১২, শনিবার, ০৩:১৯:৫৯ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
‘ব্রাজিল থেকে জীবন্ত গরু আনা সম্ভব, তবে প্রক্রিয়া জটিল’ খালেদা জিয়ার সঙ্গে মির্জা ফখরুলের ঘন্টাব্যাপী সাক্ষাৎ বিশ্বের প্রতি যুদ্ধকে ‘না’ বলার আহ্বান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭ জানুয়ারির সংসদ নির্বাচনে গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা প্রতিষ্ঠা হয়েছে - হাবিবুল মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের প্রতিবেদন অনুমান ও অপ্রমাণিত অভিযোগ নির্ভর- পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয় ইউরোপে ভারতীয় ৫২৭ পণ্যে ক্যান্সার সৃষ্টিকারি উপাদন শনাক্ত বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের প্রবেশে কড়াকড়ি বিএনপির আন্দোলন ঠেকানোই ক্ষমতাসীনদের প্রধান চ্যালেঞ্জ বিএনপিকে মাঠে ফেরাচ্ছে আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন নিয়ে অদৃশ্য চাপে বিএনপি


জনসমর্থন থাকলে পুলিশ কেনো, প্রশ্ন নজরুলের
নিজস্ব প্রতিনিধি
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৭-১২-২০২৩
জনসমর্থন থাকলে পুলিশ কেনো, প্রশ্ন নজরুলের বক্তব্য রাখছেন নজরুল ইসলাম খান


‘একতরফা’ নির্বাচনে জনসমর্থন থাকলে কেনো পুলিশকে দিয়ে কাউন্সিলারদের ভোট কেন্দ্রে ভোটার আনতে নির্দেশনার দেয়া হচ্ছে - তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন নজরুল ইসলাম খান। গত ২৬ ডিসেম্বর মঙ্গলবার সকালে মতিঝিল থেকে দিলকুশা সড়কে ভোট বর্জনের লিফলেট বিতরণের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এই প্রশ্ন রাখেন। তিনি বলেন, আমাদের প্রশ্ন জনগণকে ভোট কেন্দ্রে নিয়ে আসার জন্য ডামি প্রার্থী লাগবে কেনো? তাহলে সেই নির্বাচনে জনগণকে আনার জন্য বিভিন্ন রকমের যারা সরকারি অর্থের সুবিধা পান তাদেরকে হুমকি দেয়া হয় কেনো যে ভোটে না আসলে তাদের কার্ড বাতিল করা হবে, কেনো পুলিশকে দিয়ে পুলিশ কমিশনার কাউন্সিলরদের ডেকে বলতে হয় আপনারা ভোটাদেরকে নিয়ে ভোট কেন্দ্রে আসবেন- কেনো করতে হয়? আপনি কি মনে করেন জনগণ ভোট দেবে? নো, জনগণের ভোট দেয়ার কোনো আগ্রহ নেই। কারণ জনগণ জানে যে এই ভোটের কোনো অর্থ নেই, এটা কোনো ভোট না, এটা কোনো নির্বাচন না।

নজরুল ইসলাম খান বলেন, এই নির্বাচনে আপনারা (জনগণ) যাবেন না। যে সরকার জনগণের স্বার্থ, দেশের স্বার্থ, জনগণের জীবন-জীবিকা নিয়ে খেলা করে সেই সরকারকে অসহযোগিতা করুন। এই ডামি নির্বাচন ইতিহাসে প্রথম শুনলাম- একটা রাজনৈতিক দল বলে দেয় নিজের প্রার্থীর বাইরে আরো ডামি প্রার্থী দেবেন? কি জন্য বলে? যাতে বেশি লোক আসে। তাহলে সরকার বুঝে জনগণ এই নির্বাচন সমর্থন করে না, এই নির্বাচনে আসতে চায় না। এটা কি নির্বাচন? এটা অবৈধ নির্বাচন। এই নির্বাচনে মানুষ ভোট কেন্দ্রে যাবে না। দেশের অর্থনীতি আজকে দারুণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত বিপর্যস্ত ব্যাংকসহ আর্থিক প্রতিষ্ঠানে দূরাবস্থা- সেই সময়ে কয়েক হাজার কোটি টাকা খরচ করা হচ্ছে অবৈধ এই নির্বাচনে। আমরা বলি এই অবৈধ নির্বাচনে এই খরচ বন্ধ করুন। যাকেই ভোট দেবেন আওয়ামী লীগের লোককেই ভোট দেবেন। হয় নৌকা প্রার্থী, হয় ডামি প্রার্থী, না হয় আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী- কাজেই এটা কোনো নির্বাচন না। এই নির্বাচন যাবেন না। তিনি বলেন, আমরা এই নির্বাচন চাই না। জনগণ যাতে ভোট দিতে পারে, জনগণ যাতে তার প্রতিনিধি নির্বাচন করতে পারে আমরা সেই রকম একটা নির্বাচন চাই। আমরা সেই জন্য এই নির্বাচন বন্ধ চাই।

 এই সময়ে নেতা-কর্মীরা ‘অবৈধ নির্বাচন মানি না মানব না’, ‘নীল-নকশার নির্বাচন মানি না মানব না’, ‘খালেদা জিয়ার সংগ্রাম চলছে, চলবে’, ভোট চোর ভোট শেখ হাসিনা ভোট চর’ ইত্যাদি শ্লোগান দিতে থাকে।

শেয়ার করুন