৩০ এপ্রিল ২০১২, মঙ্গলবার, ০৬:৫১:০৪ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
‘বিশেষ চাহিদা সম্পন্নদের প্রতিভা বিকাশে কোন ধরনের প্রতিবন্ধকতা রাখা যাবে না’ সরকার ও বেসরকারি উদ্যোগে দরিদ্রমুক্ত দেশ গড়ে উঠবে - আসাদুজ্জামান খান কামাল ৭০ শতাংশ মৃত্যু অসংক্রামক রোগে, বাজেটে বরাদ্দ বৃদ্ধির দাবি ‘বিদেশে দেশবিরোধী অপপ্রচারকারীদের বিরুদ্ধে স্থানীয় আইনে ব্যবস্থা নিন’ ভূল স্বীকার করে সরে দাড়ানোয় একজনের বহিস্কারাদেশ প্রত্যাহার বাফেলোতে সন্ত্রাসীদের গুলিতে দুই বাংলাদেশী নিহত ‘শেরে বাংলা আপাদমস্তক একজন পারফেক্ট বাঙালি ছিলেন’ বিএনপির বহিস্কৃতদের জন্য সুখবর! মে দিবসে নয়পল্টনে বিএনপির শ্রমিক সমাবেশ উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেয়ার জের, বিএনপির বহিস্কার ৭৬


ভোট বর্জনের গণসচেতনতা তৈরিতে ব্যস্ত বিএনপি
বিশেষ প্রতিনিধি
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৭-১২-২০২৩
ভোট বর্জনের গণসচেতনতা তৈরিতে ব্যস্ত বিএনপি ভোট বর্জনে বিএনপির লিফলেট বিতরণ


অবরোধ-হরতালের পাশাপাশি লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি বৃদ্ধি করেছে বিএনপি। সাধারণ মানুষকে সচেতন করতেই বিএনপি এমন উদ্যোগ। দীর্ঘ হরতাল-অবরোধে মানুষের ব্যাপক সাড়া। এরপরও এ কর্মসূচি দীর্ঘায়িত না করে মাঝেমধ্যে এটা পালনের উদ্যোগ। সাধারণত এসব কর্মসূচিতে মানুষেরই যত ভোগান্তি। দেশের অর্থনীতির বিষয়টা তো আছেই। ফলে এটা যতটা এড়ানো যায়, সেটাও ভাবনায়। যদিও নির্বাচনের খুব বেশি দিন বাকিও নেই। বিএনপির মূল প্ল্যান নির্বাচনে যেন মানুষের অংশগ্রহণ না থাকে। 

এদিকে গত ২৪ ডিসেম্বর রোববার বিএনপি তাদের দ্বিতীয় দফায় যে কর্মসূচি ঘোষণা দেয়, তাতে ভোট বর্জনের জন্য জনমত তৈরিতে লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি রয়েছে। চলমান এ কর্মসূচি আগামী ২৮ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার পর্যন্ত চলবে। ৭ জানুয়ারি ভোট বর্জনের আহ্বান নিয়ে লিফলেট বিতরণের এটা দ্বিতীয় বারের কর্মসূচি। 

রোববার বিকালে ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম-মহাসচিব এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন। সেখানে তিনি বলেন, আগামী ২৬, ২৭ ও ২৮ ডিসেম্বর তিন দিন সারাদেশে গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি পালিত হবে। নির্বাচন বর্জন ও অসহযোগ আন্দোলনের পক্ষে এই কর্মসূচি আমি ঘোষণা করছি। তবে বিএনপির সব কর্মসূচি আলাদাভাবে ঘোষণা দিয়ে সেটা পালন করে আসছে সমমনা অন্যদলগুলোও। যার মধ্যে জামায়াত, এলডিপি, বামসহ অন্যান্য দলগুলোও রয়েছে। 

এর আগে ভোট বর্জনে রোববার সারা দেশে সকাল-সন্ধ্যা অবরোধ কর্মসূচি সম্পন্ন করে বিএনপিসহ সমমনা জোট ও দলগুলো। এর আগে এমন কর্মসূচি পালন করে আসছে তারা বিগত ২০-২২ ডিসেম্বর। সেখানেও গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ করে বিএনপি। বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী নিজেও রাস্তায় নেমে সাধারণের মধ্যে লিফলেট বিতরণ করছেন এমন দেখা যায়। 

এর পাশাপাশি অসহযোগ আন্দোলেনরও ডাক দিয়েছে বিএনপি। এতে বলা হয়েছে, ৭ জানুয়ারি ভোট বর্জন। ভোটগ্রহণে দায়িত্বপালনকারী কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ভোটগ্রহণ থেকে বিরত থাকা। সরকারকে সব প্রকার ট্যাক্স, খাজনা, ইউটিলিটি বিল ও অন্যান্য প্রদেয় স্থগিতকরণ। ব্যাংকগুলোতে লেনদেন এড়িয়ে চলা। রাজনৈতিক হয়রানিমূলক মামলায় অভিযুক্তরা হাজিরা দেওয়া থেকে বিরত থাকা। 

গত ২৮ অক্টোবর নয়া পল্টনে বিএনপির মহাসমাবেশ পর থেকে বিএনপিসহ সমমনা জোটগুলো চার দফায় পাঁচ দিন হরতাল ও এ পর্যন্ত ১২ দফায় মোট ২৩ দিন অবরোধ কর্মসূচি করে। তবে নির্বাচনের আগ মুহূর্তে এমন হরতাল-ধর্মঘট আরো হতে পারে বলে জানা গেছে। বিএনপি অবশ্য দীর্ঘদিন থেকেই শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি করে আসছিল। হরতাল-ধর্মঘটে ছিলো না তারা। এমনকি সমাবেশ, মিছিল করতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিজেদের কর্মী নিহত হওয়ার পরও। 

বিএনপি হরতাল-অবরোধে চলে গেছে ২৮ অক্টোবরে পল্টনের সমাবেশ পণ্ড হওয়া থেকেই। পণ্ড হওয়া মঞ্চ থেকেই মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর পরের দিন সকাল সন্ধ্যা হরতাল আহ্বান করেছিলেন। সে থেকেই শুরু। অবশ্য পাশাপাশি বিএনপির নেতাকর্মীদের ব্যাপক ধরপাকড়ও চলে। এতে বাদ যায়নি কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দও। মির্জা ফখরুল ইসলাম, মির্জা আব্বাসসহ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ যারা বিএনপির আন্দোলন সংগ্রামের ফ্রন্টলাইনে ছিলেন তাদের প্রায় সবাই কারাবন্দি। বিএনপির ভাষ্য অনুসারে, ২৮ অক্টোবরের পর থেকে অন্তত ২০ হাজার নেতাকর্মীকে আটক করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এরপর থেকেই যারা বাইরে আড়ালে-আবডালে থেকে রয়েছেন। তারা বিএনপির এসব কর্মসূচি ঘোষণা দিচ্ছেন ও সেগুলো পালিতও হচ্ছে। 

শুধু বিএনপিই নয়, ভোট বর্জনের আহ্বান সমমনা দলসমূহেরও। একই সঙ্গে দেশের বৃহৎ ইসলামী দল চরমোনাইর পীরসাহেবও ভোট কেন্দ্রে না যেতে তার সমর্থকদের আহ্বান জানিয়েছেন।

শেয়ার করুন